একজন জাফর ইকবাল ও নষ্ট তরুণ সমাজ!!!
লিখেছেন লিখেছেন বাংলার দামাল সন্তান ৩১ অক্টোবর, ২০১৩, ১০:৪৩:৩০ সকাল
ভণ্ড পীরের যেমন অন্ধ ভক্তের অভাব নাই; তেমনি জাফর ইকবালেরও নষ্ট ভক্তের অভাব নাই।
তাই জাফর ইকবালকে নিয়ে কিছু লেখার আগেই ভাদ্র মাসের কুকুরের কথা মনে পড়ে যায়। কারণ, জাফর ইকবালকে নিয়ে কিছু লিখলেই তরুণ
প্রজন্মের বড় একটা অংশ ভাদ্র মাসের পাগলা কুকুরের মত ঝাঁপিয়ে পড়ে। ছাত্রীদের বুকের সাথে বুক মিলিয়ে হিন্দী গানের তালে তালে ড্যান্স করা জাফর ইকবালের দেশপ্রেম বিগত
যৌবনা নারীর টগবগে যৌবনের মত। বিএনপি ক্ষমতায় থাকলেই জাফর ইকবালের দেশপ্রেম বাংলা সিনেমার কমেডিয়ানের সুন্দরী তুই গরম চানাচুরের মতো গরম হয়ে যায়। কিন্তু, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলেই জাফর ইকবালের দেশপ্রেম বিগত যৌবনা বেশ্যার মতো হয়ে যায়। নষ্ট ডিজুস প্রজন্মের গুরু ড: জাফর ইকবাল ২০০২ সালের ১৩ মার্চ তেল-গ্যাস রক্ষা জাতীয় কমিটির ৮দিনের বিবিয়ানা লংমার্চে অংশ নেন। এমনকি প্রথম আলোতে ওই বছর ৬ এপ্রিল বিশাল কলামও লিখেছিলেন। কারণ, তখন বিএনপি ক্ষমতায় ছিল। কিন্তু আওয়ামী লীগের আমলে তিস্তা, সুন্দরবন ধ্বংসকারী রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্পের ব্যাপারে জাফর ইকবালের দেশপ্রেম
জেগে উঠতে দেখেছেন কি? ডিজুস জেনারেশনকে সস্তা দেশপ্রেমের বুলি আওড়ানো জাফর ইকবাল সম্প্রতি দেশের শীর্ষ স্থানীয় একটি নিউজ পোর্টালের একটি লেখায় লিখেছেন,
হেফাজতে ইসলাম মে মাসের ৫ তারিখে ঢাকা শহরের যে কাণ্ড করেছিল সেরকম ঘটনা সারা পৃথিবীতেও কোথাও হয়েছে বলে আমার জানা নাই। একটা মানুষ কতটা অসভ্য, নির্লজ্জ বেহায়া হলে এমন কথা বলতে পারে তা পাঠকদের কাছে প্রশ্ন না রেখে কিছু তথ্য উপস্থাপন করছি। চলুন পাঠক, পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত
এবং মায়ানমারে ঘটে যাওয়া এমন কিছু ঘটনা দেখি যা বিশ্বের ইতিহাসে অসভ্য, বর্বর কাণ্ড হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আছে।
২০০২ এর ২৭ ফেব্রুয়ারি– গুজরাটের SABARMATI EXPRESS নামে একটি ট্রেনে হামলায় ভারতের ৫৯ জন
মারা যায়। এ ঘটনায় কোনো প্রমাণ ছাড়াই মুসলমানদের দোষী সাব্যস্ত করা হয়। অথচ পরবর্তীতে ‘নতুন নানাভাতি’ তদন্তের
রিপোর্টে বেরিয়ে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। মুসলমানদের ওপর হামলা চালানোর জন্যই উগ্র হিন্দু সন্ত্রাসী নেতা নরেন্দ্র মোদির
নির্দেশেই ট্রেনে অগ্নিকাণ্ডের নাটক সাজানো হয়। সাজানো নাটকের ঘটনাকে ইস্যু করে মাসখানেক ধরে সাম্প্রদায়িক উগ্র হিন্দুরা মুসলিমদের ওপর হামলা চালায়। শুরু হয় দাঙ্গা। লাশের মিছিলে যোগ হতে থাকে মুসলিম শিশু, কিশোর-কিশোরী, তরুণ-তরুণী, যুবক-যুবতী। ধর্ষণের শিকার হন হাজার হাজার
মুসলিম নারী। ৯ মাসের ফিটাস (ভুমিষ্ট হওয়ার আগ পর্যন্ত শিশুদের ফিটাস বলে) মায়ের পেট কেটে বের করে আগুনে পুড়িয়ে দেয়ার ঘটনাও ঘটেছিল। কাউসার বানু নামের এক ৯ মাসের গর্ভবতী মহিলার পেট কেটে জন্ম না নেয়া শিশুকে আগুনে পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনা স্তব্দ করে দেয় বিশ্ববাসীকে।
ভারতের এমন ঘটনার বহু প্রমাণ আছে যেসব ঘটনায় হাজার হাজার মুসলমানকে খুন করা হয়েছিল। ১৯৪৮ সালের সেপ্টেম্বর এবং অক্টোবরে মধ্য ভারতে প্রায় ৫০ হাজার মুসলিমকে হত্যা করে নতুন ভারতীয় রাষ্ট্রীয় কর্তৃপক্ষ। মুসলমানদের লাইন ধরিয়ে নির্বিচারে গুলি করে হত্যা করে তৎকালীন ভারতীয় সেনাবাহিনীর সদস্যরা। আরেক পার্শ্ববর্তী দেশ মায়নামারে ১৯৭৮সালেই ১০ হাজার রোহিঙ্গাকে হত্যা করা হয় এবং ১৯৯৭ সালে ২৭টি মসজিদ ভেঙ্গে ফেলা হয়। আর গত ২০১২-২০১৩ সালে মায়ানারের মুসলামনাদের ওপর বৌদ্ধরা যে নারকীয় তাণ্ডব চালিয়েছে তা পাঠককে আর স্মরণ
করিয়ে দেবার দরকার আছে বলে মনে হয় না। প্রিয় পাঠক, আমাদের পাশ্ববর্তী দুটি দেশের যে কয়েকটি ঘটনা সংক্ষেপে বলা হয়েছে সে তুলনায় ড. জাফর ইকবাল হেফাজতের তথাকথিত কাণ্ডের যে অভিযোগ করেছেন তা নিয়ে এবার
আপনাদের কাছে কিছু প্রশ্ন রাখছি-
হেফাজত কী করেছে ৫ মে?
একজন হিন্দুকে কি ঢাকায় খুন করেছে?
কোনো মন্দিরে হামলা করেছে?
কোনো হিন্দু যুবতীকে ধর্ষণ করেছে?
তলোয়ার বা রামদা নিয়ে মানুষ খুন করেছে? না করেনি।
যদি করতো সরকারী পেটোয়া বাহিনী শাপলা চত্বরে রাতের আঁধারে গণহত্যা চালানোর আগেই খুন হয়ে যেত।তাই নয়কি?
বিষয়: বিবিধ
১৪৪৯ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন