আসুন জেনে নিই পর্দা সম্পর্কে আল-কোরআন কি বলে?
লিখেছেন লিখেছেন বাংলার দামাল সন্তান ০৮ অক্টোবর, ২০১৩, ০৭:৫৭:৪৩ সন্ধ্যা
পর্দাঃ চোখ কান খোলা নাগরিক বলতেই জানেন, সমাজে আজ নারীর নিরাপত্তা বলে কিছু নেই। স্কুল, কলেজ, যানবাহন, কর্মস্থল থেকে নিয়ে কোথাও নিরাপদ নয়। যত তিক্ত মনে হোক আজ এ সত্য আমরা কিছুতেই অস্বীকার করতে পারব না যে সমাজে নারীদের এহেন দুরাবস্থার জন্য দায়ী প্রধানত আমরাই।
আল্লাহ তা‘আলা ইরশাদ করেন,-‘মানুষের কৃতকর্মের দরুন স্থলে ও সমুদ্রে ফাসাদ প্রকাশ পায়। যার ফলে আল্লাহ তাদের কতিপয় কৃতকর্মের স্বাদ তাদেরকে আস্বাদন করান, যাতে তারা ফিরে আসে।’ (সূরা আর-রূম, আয়াত : ৪১)
আর এ থেকে উত্তরণে আমাদের ফিরে আসতে হবে আমাদের মহান স্রষ্টা দয়ালু আল্লাহর নির্দেশনা এবং সবচে কল্যাণকামী রহমতের নবী আল্লাহর রাসূলের দেখানো পথে।
আল্লাহ ইরশাদ করেনঃ-‘আর তোমরা ব্যভিচারের কাছে যেয়ো না, নিশ্চয় তা অশ্লীল কাজ ও মন্দ পথ।’ (সূরা বানী ইসরাঈল, আয়াত : ২৩)
আল্লাহ তা‘আলা আরও বলেন ‘হে নবী পত্নীগণ, তোমরা অন্য কোন নারীর মত নও। যদি তোমরা তাকওয়া অবলম্বন কর, তবে (পরপুরুষের সাথে) কোমল কণ্ঠে কথা বলো না, তাহলে যার অন্তরে ব্যধি রয়েছে সে প্রলুব্ধ হয়। আর তোমরা ন্যায়সংগত কথা বলবে। আর তোমরা নিজ গৃহে অবস্থান করবে এবং প্রাক- জাহেলী যুগের মত সৌন্দর্য প্রদর্শন করো না। আর তোমরা সালাত কায়েম কর, যাকাত প্রদান কর এবং আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের আনুগত্য কর। হে নবী পরিবার, আল্লাহ তো কেবল চান তোমাদের থেকে অপবিত্রতাকে দূরীভূত করতে এবং তোমাদেরকে সম্পূর্ণরূপে পবিত্র করতে।’ (সূরা আল-আহযাব, আয়াত : ৩২-৩৩)
এখানে নবীপত্নীগণ ও তাঁদের পরবর্তী সকল মুমিন নারীকে সম্বোধন করা হয়েছে। ইসলাম এ পন্থা অবলম্বন করেছে পর্দা, পবিত্রতা ও লজ্জার প্রচারে। অবনত দৃষ্টি, লজ্জাস্থান হেফাজত, নারী-পুরুষের আত্মিক শূচি রক্ষায়। নারীর প্রতি যৌন লোলুপতা রুখতে। ফিতনা-ফাসাদ ও সন্দেহ-অবিশ্বাস এবং ভুল বোঝাবুঝি থেকে তাকে দূরে রাখতে। আল্লাহ তা‘আলা মুমিন নারীদের নির্দেশ দিয়েছেন, তারা যেন তাদের দৃষ্টি অবনত রাখে। আপন ইজ্জত রক্ষা করে এবং আকর্ষণীয় অঙ্গগুলো আবৃত রাখে। যাতে কোনো অসুস্থ অন্তর বা অসংযত দৃষ্টির অধিকারী পুরুষ তার টিকিটিও স্পর্শ করতে না পায়।
আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘আর মুমিন নারীদেরকে বল, তারা তাদেরদৃষ্টিকে সংযত রাখবে এবং তাদের লজ্জাস্থানের হিফাযত করবে। আর যা সাধারণত প্রকাশ পায় তা ছাড়া তাদের সৌন্দর্য তারা প্রকাশ করবে না। তারা যেন তাদের ওড়না দিয়ে বক্ষদেশকে আবৃত করে রাখে।’ (সূরা আন-নূর, আয়াত : ৩১)
পরিশেষ বলতে হয়, নারীর সম্মান ও মর্যাদায় প্রতিষ্ঠা এবং তার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রয়োজন যা প্রয়োজন তা হলো
১) সামাজিকভাবে তাকওয়ার চর্চা।
২) প্রয়োজন সামাজিকভাবে ইসলামের অনুশাসন প্রতিষ্ঠা করা।৩) সব ধারার শিক্ষায় পাঠ্যবইয়ে ধর্মীয় শিক্ষা বাধ্যতামূলক করা।
৪) পরিবারে ইসলামী শিক্ষা ও শিষ্টাচারের প্রতি সর্বাধিক গুরুত্ব দেয়া।
৫) সব ধরনের অশ্লীলতা এবং অশ্লীল কার্যকলাপের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় ও সামাজিকভাবে রুখে দাঁড়ানো।
৬) সকল অশ্লীল ও উগ্র বিজ্ঞাপন প্রচার বন্ধে রাষ্ট্রীয়ভাবে উদ্যোগ গ্রহণ করা।
আল্লাহ আমাদের বুঝা ও আমল করার তাওফীক দান করুন।
আমীন।
বিষয়: বিবিধ
৩৩৭৭ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন