১৫৫৬ সাল ও ২০১৩ সালের মধ্যে পাথর্ক্য?
লিখেছেন লিখেছেন বাংলার দামাল সন্তান ০৩ অক্টোবর, ২০১৩, ১২:০১:১৭ দুপুর
(১) ১৫৫৬ সাল ।
ব্রহ্মপুত্র ও শীতলক্ষ্যা নদীর সঙ্গমস্থলে মুখোমুখি হয়েছেন বাংলার বারো ভূঁইয়াদের অন্যতম দুঃসাহসী ঈসা খাঁ এবং মোঘল সম্রাটের সেনাপতি রাজা মানসিংহ ।
যুদ্ধক্ষেত্রের দু’ প্রান্তে ভয়ংকর রণসাজে প্রস্তুত উভয়পক্ষের দুঃসাহসী যোদ্ধারা । প্রতিপক্ষের রক্তের নেশায় অস্থির হয়ে আছে তারা । সূর্য্যের আলো লেগে ঝিকিয়ে উঠছে তাদের তরবারীর ধারালো ফলা আর চকচকে শিরস্ত্রান । মাটিতে অস্থিরভাবে পা ঠুকছে অশ্বারোহী বাহিনীর তেজী ঘোড়াগুলো থেকে থেকে । যুদ্ধ শুরু হতে ক্ষনকাল মাত্র বাকি ।
সহসা বাংলার অপরাজেয় সেনাপতি, বারো ভুঁইয়াদের অন্যতম নেতা শূন্যে হাত তুলে নিরস্ত করলেন উভয়পক্ষের সৈন্যদেরকে।
বিস্মিত প্রতিপক্ষ মুঘল সেনাপতি রাজা মানসিংহকে তিনি আহ্বান জানালেন তার সাথে একক লড়াইয়ে অবতীর্ন হওয়ার জন্য । জানালেন, উভয়পক্ষের যোদ্ধারা বহুদিনের রণক্লান্ত । তাছাড়া জয়-পরাজয়ই যখন যুদ্ধের একমাত্র কাংখিত বস্তু, তাই বহু সৈনিকের প্রাণবিয়োগের মাধ্যমে রক্তাক্ত কোন উপসংহারে পৌঁছানোর চাইতে দুই সেনাপতির দ্বন্দ্বযুদ্ধই স্থির করে দিক যুদ্ধের ভাগ্য । এ ক্ষেত্রে প্রানবিয়োগ হবে মাত্র একজনের ।
বেঁচে যাবে নিরপরাধ বহু মানুষ ।
(২) ২০১৩ সাল ।
৫৬ হাজার বর্গমাইলের সোনার বাংলায় দু’টি বড় দল ক্ষমতার অনিবার্য্য দ্বন্দে ভয়ংকরভাবে মুখোমুখি হয়েছে পরস্পরের । কেউ কাউকে বিন্দুমাত্র ছাড় দিতে তারা প্রস্তুত নয় । ভেতরে তাদের ধিকিধিকি জিঘাংসা । যে কোন মুহুর্তে তারা একে অন্যের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে প্রতিপক্ষকে ধ্বংশ করে দিতে মুখিয়ে আছে । দুই পক্ষের সেনাপতিই নারী । পোড় খাওয়া যোদ্ধা তারা । দুঃসাহসী ও বেপরোয়া ।
তাদের একজন কি শূন্যে হাত তুলবেন আজ যুদ্ধোন্মত্ত উভয় পক্ষকে নিরস্ত করার জন্য । তারপর কি আহ্বান জানাবেন প্রতিপক্ষ সেনাপতিকে মল্লযুদ্ধের জন্য ?
তাহলে যে বেঁচে যেত বহু সাধারন সৈনিকসহ নিরপরাধ মানুষ ।
বিষয়: বিবিধ
২০৮১ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন