একজন আদর্শ মায়ের গল্পঃ - 'মা' তোমাকে হাজার সালাম......

লিখেছেন লিখেছেন বাংলার দামাল সন্তান ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৩, ০১:৩৫:১৫ দুপুর





হযরত বকতিয়ার কাকী (রহঃ) একজন প্রখ্যাত আল্লাহওয়ালা ছিলেন। যখন বয়স মাত্র ছয়-সাত বছর,মা তাকে পড়ানোর জন্য বাড়ির পাশের মাদরাসায় নিয়ে গেলেন। এবং যোগ্য এক শিক্ষকের কাছে অর্পণ করলেন।

শিক্ষক তাকে পড়াতে শুরু করলেন যে - বলো ছেলে 'আলিফ -বা - তা -ছা । তখন এই শিশু বকতিয়ার কাকী (রহঃ) প্রথম আলিফ তো বললেনই এরপর শুরু করলেন -'যালিকাল কিতাবু লা রইবা ফীহি'। পড়তে পড়তে তিনি পনের পারা শুনিয়ে দিলেন। এমন শ্রুতিমধুর তিলাওয়াত যে,শিক্ষক বাধা দিলেন না শুধু তন্ময় হয়ে একের পর এক নীরবে শুনলেন! শিক্ষক বললেন যে,আরে বেটা !তোমার মা আমার সাথে এমন রসিকতা কেন করলেন?আর তুমিই বা এমন শিশু বয়সে কুরআন মুখস্থ করলে কিভাবে? শিশু বখতিয়ারের মুখে কোন জবাব নেই!!!!

তখন শিক্ষক তাকে নিয়ে তার মার কাছে গিয়ে পর্দার আড়াল থেকে জিজ্ঞেস করলেনঃ- মা ! আপনি আমার সাথে এভাবে ঠাট্টা করলেন কেন?আমাকে লজ্জা দিলেন কেন?আপনার ছেলে পনের পারার হাফেজ! অথচ আপনি একে 'আলিফ -বা - তা -ছা ' শেখার জন্য দিলেন ? এই শোনে তার 'মা' বলতে লাগলেন-দেখ বাবা,আমি যদি জানতাম আমার পুত্র কুরআনের পনের পারা হিফয করে ফেলেছে; তাহলে কি একে তোমার নিকট পাঠাতাম? আমি এই প্রথম জানলাম 'আল্লাহপাক' আমার অজান্তে আমার সন্তানকে পনের পারা কুরআন মুখস্থ করিয়ে দিয়েছেন। সত্যিই এটা অবাক হওয়ার ঘটনা ! যে শুনবে এতে অবাক হবে এবং বলবে কীভাবে সম্ভব? তবে আমার কাছে অবাক হওয়ার কিছুই নয়। কারণ আমার মনে পড়ছে আমি যখন একে দুধ পান করাতাম তখন মৃদু শব্দে ধীরে ধীরে কুরআন তিলাওয়াত করতাম। এটা সবাই জানে, বাচ্চাদের মেধা একেবারে সচ্ছ কাচের মত থাকে। এজন্য আল্লাহর পাকের মেহেরবাণীতে আমার তিলাওয়াত আমার সন্তানের হৃদয়-মানসে অংকিত হয়ে গেছে।

হ্যাঁ এটাই ছিল সেই আদর্শ মায়ের গল্প, মহিয়সী নারীর গল্প !

কিন্তু আজ কোথায় হারিয়ে গেল সে মা জাতি , যাদের আমলই গড়ে তুলে ছিল সেই আওলিয়া কেরাম ও দ্বীন ইসলামের রক্ষক- প্রচারক মানুষ?




এখনের মা রা তো সন্তানকে দুধপান করায় গান শুনে শুনে সিনেমা দেখে । তারা প্রথম দিন থেকে সিনেমা- গান এবং নানা নাটক আর বাজে আড্ডাতে ডুবে থাকে । তাতে তাদের সন্তানও এসব শুনে তাহলে কিভাবে ভাল কিছু আশা করতে পারি ভাল কিছু ?বরং , তাদের থেকে ভাল কিছু আশা করা চরম বোকামী। আমরা এটা মানতে রাজি নই সন্তানের খারাপ চরিত্রের জন্য আমরাই মা - বাবা হয়ে দায়ি ।

তবে হা আশার কথা হলো এখনো কিছু মা-বাবা আছেন যারা সদা-সর্বদা আল্লাহকে স্মরণ করে, কিন্তু তা হতে গোনা গুটিকয়েকজন মাত্র

বিষয়: বিবিধ

৩৮৮৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File