আলেমদের সমালোচনা: প্রসঙ্গ মাওলানা মওদুদী

লিখেছেন লিখেছেন বাংলার দামাল সন্তান ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৩, ০৭:১১:৪৬ সন্ধ্যা



অভিযোগকারীদের একটি দাবী হলো কোন মহল মওদুদীকে অন্ধভাবে অনুসরণ করে। এর স্বপক্ষে তাদের যুক্তি হলো যখনই মওদুদীর বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ উঠে তখনই তারা সেটা খন্ডনে উঠেপড়ে লাগে। আসল কথা হলো কোন মুসলিমের বিরুদ্ধে কোন মিথ্যারোপ করা হলে সেটার যৌক্তিক জবাব দেওয়া প্রত্যেক মুসলিমের ঈমানী দায়িত্ব।মাওলানা মওদুদীর বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলেও যদি সেটার আনুগত্য করা হত তবে অন্ধ-অনূসরণের কথা তোলা যেত।বস্তুনিষ্ঠভাবে চিন্তা করে আমি যা পেলাম, মওদুদীর অন্ধ-অনুসরণকারী নয় অন্ধ-বিরোধীর সংখ্যাই প্রচুর।

মওদুদীর গবেষণা কর্ম সত্যপন্তী মানুষকে ইসলামের প্রতি আকৃষ্ট করেছে। এ সত্যকে স্বীকৃতি দেওয়া আর অন্ধ অনুসরণ এক কথা নয়। অন্ধ-অনুসরণ হত যদি সঠিক কোন অভিযোগকে স্বীকার না করা হত। যে অভিযোগের ভিত্তি হচ্ছে বিদ্বেষপ্রসূত আংশিক উদ্ধৃতি সেটাকে খন্ডন করার চেষ্টাকে অন্ধ-অনুসরণ মোটেই বলা যায়না।

ফিকহের ব্যাপারেও তো তিনি অনেক মাসয়ালা দিয়েছেন। জামায়াত কি সেগুলোই অন্ধভাবে মেনে চলে? তাহলে কি করে এ আপত্তি করা যায়?



মওদুদীর ব্যপারে জামায়াতের মনোভঙ্গি;


তাঁর ব্যপারে জামায়াতের দৃষ্টিভঙ্গি বুঝতে হলে কোন ব্লগার, বা অন্য কারো কথার উপর নির্ভর করা অনুচিত। আমরা অধ্যাপক গোলাম আযমের কথা থেকে দৃষ্টিভঙ্গিটা পেতে পারি। ইকামাতে দ্বীন গ্রন্থের ৮২ নং পৃষ্ঠায় তিনি লিখেছেন- “তাঁর অগণিত পাঠক পাঠিকা দেশে বিদেশে ছড়িয়ে আছে। যিনি এত কিছু লিখেছেন তাঁর লেখায় কোন ভুল ত্রুটি থাকা অস্বাভাবিক নয়। যারা জ্ঞান চর্চায় নিযুক্ত তারা যুক্তি প্রমাণের ভিত্তিতে তার লেখার সমালোচনা করলে দ্বীনের অবশ্যই উপকার ও খেদমত হবে”

অর্থ্যাৎ বস্তুনিষ্ঠ ও যৌক্তিক সমালোচনা করলে জামায়াত তা মেনে নিতে প্রস্তুত। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে কারো বিরুদ্ধে ব্যক্তি আক্রোশ মেটানো কেমন কাজ?



অন্ধ-অনুসারী নাকি অন্ধ-বিদ্বেষী?


জামায়াত অন্ধ-অনুসারী নয়। বরং বিভিন্ন সময় দেখা গেছে তাঁর বিরুদ্ধে আরোপিত অভিযোগ অকাট্যভাবে খন্ডন করার পরেও কতক মুসলিম নিজেদের আংশিক-উদ্ধৃতিতেই অটল আছেন। তাহলে কি বুঝা গেল?অন্ধ-অনুসরণ নাকি অন্ধ-বিদ্বেষ? ভুল করে থাকলে তো প্রত্যেক মুসলিমের উচিত ভুলের স্বীকৃতি দেওয়া ও সত্যকে অকুণ্ঠচিত্তে মেনে নেওয়া।

তথাকথিত সমালোচকদের ইসলাম-প্রেম

ব্লগে তাদের অনেককেই দেখা যায় নাস্তিক বলে বহুল পরিচিতদের সাথে গলায় গলায় ভাব। নিজেদের পোস্টে নাস্তিকদের মন্তব্য পেয়ে তারা খুশিতে গদগদ হয়ে নাস্তিকদের মোবারকবাদ জানাতে থাকেন।এদেরকে নাস্তিকদের ইসলাম-বিদ্বেষী পোস্টে তেমন কোন অবস্থান নিতেও দেখা যায়না। অতীতেও দেখা গেছে যারা মাওলানার বিদ্বেষপ্রসূত সমালোচনা করেছেন তারা পরবর্তীতে হাদিছ-অস্বীকারকারী ইত্যাদি রূপে পরিচিত হয়েছেন।

মাওলানা মওদুদী কি তাঁকে অন্ধ-অনুসরণ করতে বলেছেন?

তিনি ১৯৪১ সালে জামায়াতের আমীর নির্বাচিত হলে জামায়াতকে কঠোরভাবে সতর্ক করে দেন যেন তাঁর কোন কথাকে অন্ধ-অনুসরণ করা বা মাপকাঠি হিসেবে না মানা হয়।

বিষয়: বিবিধ

২৬১৪ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File