নাস্তিকদের মধ্যে শতকরা ৫% মুসলিম!

লিখেছেন লিখেছেন বাংলার দামাল সন্তান ০৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৩, ১১:৫২:৪১ সকাল





অনেকে মনে করেন একটা হিন্দু পরিবার থেকে নাস্তিক হওয়া ছেলে এবং একটা মুসলিম পরিবার থেকে নাস্তিক হওয়া ছেলে একই রকম। তাদের মাঝে কোন ভেদাভেদ নেই এবং এই দুজনেই সমাজের জন্য সমানভাবে ক্ষতিকর।কিন্তু ব্যাপারটা কিন্তু আসলে সে রকম নয়। মুসলিম পরিবার থেকে নাস্তিক হওয়া অনেক ছেলেকে আমি আক্ষেপ করে লিখতে দেখেছি তারা মুসলিম পরিবার থেকে নাস্তিক হয়ে যে ভাবে নিজের ধর্মের সমালোচনা যেভাবে করে ঠিক সে রকম সমালোচনা একজন হিন্দু পরিবার থেকে নাস্তিক হওয়া ছেলে করে না তার নিজ বাবার ধর্মের বেলায়। তাদের মাঝে একটা কথা প্রচলন আছে যে একজন মুসলিম ঘরের সন্তান সব কিছু ছেড়ে দিয়ে নাস্তিক হলেও একজন হিন্দুর ঘরের সন্তান বগলের তলায় দুর্গা,সরস্বতী,শিব এইগুলোকে সাথে নিয়ে নাস্তিক হয়। মূলত ধরতে গেলে ব্যাপারটা এই রকম যে একজন মুসলিম ঘরের সন্তান নাস্তিক নিজের পূর্ব-পুরুষের ধর্মের সমালোচনা করে।কিন্তু হিন্দুর ঘরে জন্মগ্রহনকারী নাস্তিকও সেই ইসলামেরই সমালোচনা করে। তাদের নিজেদের ধর্মের ব্যাপারটা অনেক ক্ষেত্রেই এড়িয়ে যান।

আসলে হিন্দুর ঘরে জন্মগ্রহণকারী একজন নাস্তিকের এই রকম আচরনে আমি মোটেও অবাক হই না। বরং তাদের এই কাজটা করার স্বাভাবিক। কারন হচ্ছে একজন হিন্দু ঈশ্বরে বিশ্বাস না করেও নাস্তিক হতে পারে।হিন্দু দর্শনে এটা বৈধ। হিন্দু দর্শনকে মোটামুটি ২ টি ভাগে ভাগ করা যায়।১ আস্তিকতা দর্শন এবং ২ নাস্তিকতা দর্শন। যারা বেদ মানে তাদের আস্তিক বলা হয় এবং যারা বেদ মানে না তাদের নাস্তিক বলা হয়। প্রাচিন ভারতে চার্বাক মুনি এই ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য উধাহরন। তাছাড়া এই ব্যাপারে উইকির এই লিঙ্ক দেখতে পারেন Click this link

এই জন্য খেয়াল করলে দেখবেন পশ্চিম বাংলায় বেশীরভাগ মন্দির কমিটিতে আছেন কমিউনিস্ট নেতারা। তাছাড়া ভারতে হিন্দুত্ববাদী বিজেপি,সন্ত্রাসী সংগঠন আরএসএসের অনেক নেতাই নিজেদের নাস্তিক দাবি করে। তাড়া ঈশ্বরে বিশ্বাস না করেও হিন্দু। তারা চায় ভারতীয় উপমহাদেশের সমস্ত মুসলিমদের হত্যা করতে, মুসলিমদের মৃত লাশের উপরে উল্লাস করতে। আর তাদের এই কাজে বর্তমানে সাহায্য করছে মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহনকারী কিছু ভোদাই। এরা হয় জেনেই হিন্দুত্ববাদ গ্রহন করেছে নয়তো ছাগলের ৩ নাম্বার বাচ্চার মত নাচে। তবে আমার মতামত হল মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহনকারী নাস্তিকদেরকে আমাদের লক্ষ না বানালেও চলবে। তাহলে পশ্চিমবাংলার হিন্দুরা এদের জাতে তুলে ফেলবে। তছলিমা নাছরিনকে কিন্তু জনপ্রিয়তা করার পেছনে সবচেয়ে বড় হাত আছে আদন্দবাজার পত্রিকার। ফলাফল হচ্ছে তছলিমা নাছরিন নিজেও ডুবেছে এবং সেই সাথে আমরা বাঙালি মুসলিমরাও ডুবেছি। মাঝখান দিয়ে লাভবান হয়েছে হিন্দুরা। তাই আমাদের লক্ষ বানানো উচিৎ যারা এই ৫% নাস্তিকের পেছনে আছে তাদের। তাহলেই সব খেল খতম হয়ে যাবে। বাঙালি নাস্তিকদের, যাদের শুধুমাত্র ফেসবুকে পাওয়া যায় তাদের অনেকের অ্যাকাউন্ট ঘেটে আমি নিশ্চিত হয়েছি যে এদের মাঝে বড়জোড় ৫% হবে মুসলিম পরিবারের আর বাকি ৯৫% হচ্ছে হিন্দুর পরিবারের। নাস্তিক পেজের লাইক লিস্ট চেক করলে এই ব্যাপারে সত্যতা পাবেন। তাছাড়া এই হিন্দুদের আবার অনেকেই মুসলিম নাম ব্যাবহার করে লেখে। তাই মুসলিম ঘরের যারা নাস্তিক হন তাদের বলছি নিজে বাঁশ খাবেন না এবং নিজের আপন স্বজাতিকেও বাঁশ দেবেন না। যদি হিন্দু হওয়ার এত খায়েশ থাকে তাহলে নিজের আরবি নাম পরিবর্তন করে সংস্কৃত নাম ধারন করুন এবং ঘোষণা দিয়ে হিন্দু হয়ে যান। যারা আমাকে প্রশ্ন করেন কেন আমি নাস্তিক হই না তাদের উত্তর এই লেখাতে আছে বলে আশা করি।

বিষয়: বিবিধ

৪৩৪৯ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File