হিজাব পরিধান ও আল-কোরআনে কথা শুনতে গিয়ে ৭জন কিশোরীকে কিশোর অপরাধী সংশোধন কেন্দ্রে প্রেরণ!!!
লিখেছেন লিখেছেন বাংলার দামাল সন্তান ০১ সেপ্টেম্বর, ২০১৩, ১০:১০:৪৯ সকাল
গত বুধবার, ২৮ আগষ্ট ২০১৩ বরিশালের মুলাদী গাছুয়া ইউনিয়নের হোসনাবাদ গ্রাম থেকে ইসলামী ছাত্রী সংস্থার ২২ সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ। গত বুধবার দুপুর দেড়টার দিকে গাছুয়া ইউনিয়ন জামায়াতের সেক্রেটারি মাস্টার আতাহারউদ্দিনের পইক্ষা হোসনাবাদ গ্রামের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। ছাত্রী সংস্থার জেলা সভানেত্রী স্বর্ণালীসহ ২২ সদস্যকে পুলিশ ৫৪ ধারায় আটক দেখিয়ে গতকাল বিকাল সাড়ে ৪টায় মুলাদি থানা থেকে বরিশাল নিয়ে আসে। বরিশোলের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শাহিনুর আক্তারের আদালতে তাদেরকে হাজির করলে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে সকলকে জেল হাজতে প্রেরণের আদেশ দেয়। মামলার বাদী মুলাদী থানার এস.আই ইয়াকুব আলী এজাহারে তাদের বিরুদ্ধে তথ্যভিত্তিক কোন অভিযোগ না পাওয়ায় ৫৪ ধারায় আটক দেখানো হয়েছে বলে উল্লেখ করেন। আটককৃতদের মধ্যে ৭ জন অপ্রাপ্ত বয়স্ক স্কুল ছাত্রীও রয়েছে। এদিকে বরিশালের পুলিশ সুপার মোঃ এহসান উল্লাহ গতকাল সকালে মুলাদী থানায় গিয়ে ঘটনার পূর্বপর পর্যালোচনা করে আটককৃতদের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ না পাওয়ায় ৫৪ ধারায় মামলা রুজু করার নির্দেশ দেন বলে থানা থেকে জানানো হয়।
এদিকে স্থানীয় খবরে জানা গেছে, এদের মধ্যে ৭জন স্কুল ছাত্রীকে আজ রাত ৯টায় গাজীপুর কিশোর অপরাধী সংশোধন কেন্দ্রে আনা হচ্ছে।
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রী সংস্থা একটি নিয়মতান্ত্রিক ও আদর্শবাদী সংগঠন। তারা দেশের আইন ও সংবিধান মেনে চলে। তবে কেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রী সংস্থার প্রোগ্রামে আল-কোরআনের কথা শুনতে এসে কিশোরী ছাত্রীদের কিশোর অপরাধী সংশোধনাগারে যেতে হবে?
আমরা দেশের ইসলাম প্রিয় ধর্মপ্রান ছাত্রীসমাজ সরকারের নিকট জানতে চাই এইসকল ইসলাম প্রিয় ছাত্রীবোনদের অপরাধ কি? কেন নিজ ধর্ম পালন করে চলার পথে তাদের বাধা প্রদান করা হচ্ছে? কেন এই সাম্প্রদায়িকতা?
সরকার এইসকল ছাত্রীবোনের চরিত্র থেকে কি সংশোধন করতে চাই আমরা জবাব চাই এবং অতিস্বত্তর আটককৃত সকল ছাত্রীদের মুক্তি চাই।
বিষয়: বিবিধ
১৫৫৭ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন