নেতার মুক্তির জন্য এক টানা ৩বছর রোজা পালন!

লিখেছেন লিখেছেন বাংলার দামাল সন্তান ২৪ আগস্ট, ২০১৩, ০৫:৫৪:১৫ বিকাল



নেতার মুক্তির জন্য এক টানা ৩বছর রোজা পালন!

২৯জুন ২০১০ সালে জামায়াতের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে একটানা রোজা রেখে চলেছেন ঝিনাইদহের কালীগঞ্জের আব্দুর রশিদ(৬৫)। নেতৃবৃন্দের মুক্তি না হওয়া পর্যন্ত রোজা অব্যাহত রাখতে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টির মাধ্যমে প্রিয় নেতার মুক্তির জন্য শরীয়তের নিষিদ্ধ দিনগুলি ব্যতীত একটানা ৩ বছরের অধিক সময় ধরে একাধারে রোজা আছেন আব্দুর রশিদ।

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জের চাঁচড়া গ্রামের বাসিন্দা রোজাদার আব্দুর রশিদ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় আমীর, সেক্রেটারী গ্রেপ্তার হওয়ার পর থেকে একাধারে রোজা রেখে চলেছেন। সংসারধর্মহীন আব্দুর রশিদের পৈতৃক নিবাস পটুয়াখালী জেলায়। প্রায় ২৪ বছর আগে জীবিকার সন্ধানে তিনি যশোর জেলার সাতমাইলের হৈবৎপুর গ্রামে আসেন। যে বাড়ীতে তিনি কাজ করতেন সেই বাড়ীর মেয়ে রেহেনা বেগমের বিয়ে হয় চাঁচড়া গ্রামে। প্রায় ১৯ বছর আগে রেহেনার স্বামী বাবলুর রহমান তাকে নিজ বাড়ীতে নিয়ে আসেন। সেই থেকে পরিবারের একজন সদস্য হিসেবে আছেন তাদের সাথে। সহজ সরল, সংগঠন প্রিয় আব্দুর রশিদ চাঁচড়া গ্রামের ছোট বড় সবার প্রিয় রশিদ নানা হিসেবে পরিচিত।

নেতার মুক্তির জন্য রোজা রাখছেন কেন?- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমার মতো নগন্য মানুষের দাবী দুনিয়ার কোন মানুষ রাখবে না তাই রোজা রেখে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের মাধ্যমে তাদের মুক্তির কামনা করছি। আর কত দিন রোজা রাখবেন এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যতদিন পর্যন্ত কেন্দ্রীয় শীর্ষ নেতারা মুক্তি না পাবেন তত দিন পর্যন্ত রোজা রাখবেন। নিরব প্রতিবাদী এই মানুষটি গ্রামের একটি মসজিদে মোয়াজ্জিনের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি মানুষের মধ্যে সংগঠনের ব্যাপক দাওয়াতী কাজ করেন। দীর্ঘদিন ধরে সেহেরী ও ইফতার তৈরী করে দিতে বিরক্তবোধ করেন না রেহেনা বেগম। তিনি জানান আব্দুর রশিদ একজন পরহেজগার ব্যক্তি। তার জন্য কিছু করতে পেরে আমি সন্তুষ্ট।

রোজা রাখার বিষয়ে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা ওলিয়ার রহমান বলেন, আব্দুর রশিদ নিয়মিত জামায়াতে ইসলামীর অফিসে আসেন। আমি কয়েক দিন তাকে তাকে মাঝে মাঝে রোজা ভাঙ্গতে বলেছি। কিন্তু যখনই রোজা ভাঙ্গতে বলি তখনই তিনি হাও মাউ করে কেঁদে ফেলেন । এমনকি অভিমান করে পরপর কয়েক দিন অফিসে আসা বন্ধ করে দেন। তাই এখন আর তাকে রোজা ভাঙ্গতে বলি না

Click this link

বিষয়: বিবিধ

১৪৪০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File