জামায়াত বিরোধী ফতোয়া ও তার জবাব। (আশা করি সবাই পড়বেন)
লিখেছেন লিখেছেন বাংলার দামাল সন্তান ২২ আগস্ট, ২০১৩, ১১:৩৬:২৭ রাত
জাময়াতে ইসলামীর বিরুদ্ধে যারা ফতোয়া দেন ও প্রচার করেন জামায়াত তাদের সাথে ঝগড়ায় লিপ্ত হয়ে সময় নস্ট করে না। বাতিল শক্তির বিরুদ্ধে যারা সংগ্রাম করেন না,আধুনিক জাহিলিয়াতের সাথে যাদের কোন সংঘর্ষ নেই,যাদের ইকামাতে দ্বীনের কোন কর্মসূচী নেই,ইসলামকে বিজয়ী করার
জন্য যারা জামায়াতবদ্ধ ভাবে কিছু করে না তাদের পক্ষ থেকে এ জাতীয়
যে সব ফতোয়া প্রচারিত হয় তা সচেতন মুসলমানদের নিকট কোন গুরুত্ব পায় না। ফতোয়া প্রচারক গনের প্রতি যে কজনের অন্ধ ভক্তি রয়েছে এ
ফতোয়া দ্বারা ঐসব লোককে জামায়াত থেকে ফিরিয়ে রাখাই হয়ত তাদের
উদ্দেশ্য।
জামায়াত তাদের দ্বীনি খেদমতকে স্বীকার করে এবং তাদের বিরুদ্ধে কোন বিদ্বেষ পোষন করে না।ইসলামী আন্দোলনের ক্ষেত্রে তাদেরকে প্রতিপক্ষ
মনে করে না।জামায়াতের প্রতিপক্ষ হলো ধর্মনিরপেক্ষতাবাদী, সমাজতন্ত্রী ও সংকির্ন জাতীয়তাবাদী আন্দোলন।
দেশে দ্বীনে হক ও দ্বীনে বাতিলের যে সংঘর্ষ চলছে তাতে অবশ্য ঐসব ফতোয়া বাতিলের পক্ষে লাগাচ্ছে। তবুও জামায়াত ফতোয়া নিয়ে বিচলিত নয় কারন যারা ফতোয়া দিচ্ছেন তাদের বিবুদ্ধে জামায়াত কিছু করতেও চায় না,বলতেও চায় না। জামায়াত তাদেরকে বিরোধী শক্তি বলে মনে করে
তাদের সাথে জামায়াতের কোন লড়াই নেই। এসব ফতোয়ার বক্তব্য থেকে দেখা যায় যে,ফতোয়াদাতাগণ মাওলানা মওদূদী (রঃ)-এর-বই-এর কোন
কোন কথা আপত্তিজনক মনে করেন এবং যেহেতু এ জামায়াতের তিনিই
প্রতিষ্ঠাতা সেহেতু ফতোয়াটা জামায়াতের বিরুদ্ধে ও দেয়া প্রয়োজন বোধ করেন।আগেই বলেছি যে মাওলানা মওদূদী (রঃ)-এর প্রতিটি কথা জামায়াতের বক্তব্য হিসেবে ধরা অযৌক্তিক।
যদি ফতোয়া দিতেই হয় তাহলে তা লেখকের বিরোদ্ধেই দেয়া উচিত, জামায়াতের বিরুদ্ধে নয়। মাওলানা মওদূদীর লিখিত বই-এর সব কথার সাথে সাবাই একমত হওয়া জরুরী নয়।
সুতারাং ওলামায়ে কেরারদের মধ্যে যারা তার লেখায় ভূল দেখতে পান তারা এলমী দিক দিয়ে কুরআন হাদীসের যুক্তির ভিত্তিতে সমালোচনা করলে তাদের জ্ঞান থেকে জামায়াতের লোকেরাও উপকৃত হবে। ইজতিহাদি ভূলত সবারই হতে পারে।
যোগ্য আলেমগন সেসব ভুল ধরিয়ে দিলে দ্বীনের বড় খেদমত হবে। অবশ্য এ কাজটি বেশ কঠিন কাজ।এ কাজটি না করে যদি ফতোয়া দেয়া সহজ
মনে করা হয় তাহলে ফতোয়াদাতাগণের মর্যাদা এ দ্বারা বাড়ে না।হক ও
বাতিলের লড়াই যেখানে সেখানে এ ফতোয়া বাতিলের সহায়ক হয়।
ফতোয়াদাতাগণ যদি ইকামাতে দ্বীনের মহান দায়ীত্ব পালনের উদ্দেশ্যে জামায়াতে ইসলামীর চেয়ে উন্নত কোন দ্বীনি জামায়াত কায়েম করেন এবং আমাদের মতো কর্মীরা যদি মনে করেন যে আমরা ইসলামকে কায়েম করার যে নিয়তে জামায়াতে যোগ দান করেছি সে উদ্দেশ্যে তাদের কায়েম
করা জামায়াতে গেলে আরও ভালভাবে সফল হবে,তাহলে এ জামায়াত
ত্যাগ করে তাঁদর জামায়াতে যেতে একটুও দ্বিধা করবেন না।
কিন্তু ইকামাতে দ্বীনের প্রোগ্রাম যাদের নেই তারা যখন জামায়াতের বিরুদ্ধে ফতোয়া দিয়ে তাদের দায়ীত্ব শেষ করেন,তখন তাদের সচেতন
মু’তাকিদ,অনুসারী ও সারগিদদের নিকটও তাদের মর্যদা নষ্ট হয়। এসব ফতোয়া দেয়া যে ইসলামের কোন সত্যিকার খেদমত নয়,বরং এর দ্বারা যে ইসলামী আন্দোলনে বিরোধিদ তালিকায় তাদের নাম শামিল হচ্ছে সে কথা বুঝবার তৌফিক আল্লাপাক তাদেরকে দিন এ দোয়া করা ছাড়া তাঁদের
মতো খাদেমে দ্বীনের সম্পর্কে আর কিছু বলার নেই।আদালতে আখেরাতেই
চুড়ান্তভাবে দেখা যাবে যে,হকের পক্ষে কারা কাজ করেছে,আর বাতিলের
সহায়ক কারা ছিল। জামায়তে ইসলামী ইকামাতে দ্বীনের যে প্রচেষ্টা চালাচ্ছে তা সঠিকভাবে জন্য ফতোয়াদাতাগনের নিকট আবেদন জানাচ্ছি।
আল্লাহ পাক তাদেরকে যতটুকু যোগ্যতা দিয়েছেন তা নেতিবাচক কাজে খরচ না করে ইসলামের পক্ষে ইতিবাচক কাজে ব্যয় করার জন্য অনুরোধ করছি।
আর যদি জামায়াতে ইসলামীকে সংশোধন করার নিয়তে যে কোন ধরনের
ভুলত্রুটি ধরিয়ে দেন তাহলে জামায়াত তাদের এ মহান খেদমতের জন্য
শুকরিয়া জানাবে।যারা দরদী মন নিয়ে এ জাতীয় সংশোধনের চেষ্টা করেন তারা ফতোয়ার ভাষায় কথা বলেন না।
বিষয়: বিবিধ
৩০১৩ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন