আগে একটু হেসে নিই, হাঃ হাঃ হাঃ !!!!!!
লিখেছেন লিখেছেন বাংলার দামাল সন্তান ২৯ মে, ২০১৩, ০৯:৩১:০৪ রাত
আগে একটু হেসে নিইঃ
হাঃ হাঃ হাঃ
আল্লামা জুনায়েদ বাবু নগরীর জামীন। সত্যি আর না হেসে পারলাম না এই খুনি সরকার ও নাস্তিকের কর্মকান্ড দেখে। সুস্থ সবল এক জ্যান্ত মানুষকে গ্রেফতার করে ৩৩দিনের রিমান্ডে অমানুষিক নির্যাতন চালিয়ে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়ে এখন জামিনে মুক্তি দিয়েছে আধামরা একজন মানুষকে।
কিন্তু কেন এই জামিন? কি করবে এই জামিন নিয়ে বাবু নগরী বা আমরা মুসলিম সমাজ? কি কাজেই যাবে এই জামিন টা? যদি বাবু নগরীই না থাকে তাহলে ঐ জামিনের কাগজ গুলো নিয়ে কি করবে বাবু নগরীর পরিবার ও আমরা? আমরা তো ছেয়েছিলাম সুস্থ বাবু নগরীকে। কিন্তু এ কি করল এই নাস্তিকের বাচ্চা জালেম সরকার ও তার সহযোগিরা?
প্রশ্ন হয়ে দাড়িয়ে গেল আমাদের সামনে।
এই প্রশ্নের জবাব একদিন ঠিকই দিতে হবে এই জালেম সরকারকে। আমরা এই রকম হাজার প্রশ্নের জবাব নেওয়ার জন্য অপেক্ষমান। কঠিন জবাব আমরা মুসলিমগন নিব ইনশাহ আল্লাহ।
সেই দিন আর মিথ্যা বলে পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ থাকবেনা তাদের। ভাল করে মনে রাখিস আজকের কথাগুলো।
এক মাঘে শীত যায়না এই কথাটা আপনারা ভুলে গেলেও আমরা মুসলিমরা ভুলি নাই আর কোনদিন ভুলবও না।
একটু ইসলামে অতীত ইতিহাসের দিকে থাকিয়ে দেখুন সব কিছু স্পষ্ট হয়ে যাবে পানির মত।
আমরা ইঁদুরের মত নয় যে পালিয় গর্তে লুকাবো।
আমরা কঠিন শপথ যেমন নিতেও জানি টিক তেমনি তা পুরনের জন্য আল্লাহর রাস্তায় বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিতেও পারি এবং শত্রুদের বুকের অপবিত্র রক্ত নিতে জানী।
একটু চেয়ে দেখ আমাদের অতীত ইতিহাস।
মনে করিসনা জামীন দিয়ে মুক্তি পেয়ে যাবি।
এর চরম বদলা আমরা নিয়েই ছাড়ব ইনশাহ আল্লাহ।।
কে বলেন ? বাংলাদেশের ৯০% মানুষ মুসলমান ৷ ৯০% মুসলমানের দেশে কখন ও আলেমদের অবস্থা এরকম হতে পারেনা ৷ আল্লাহ তুমি আমাদের সকলকে বুঝার তাওফিক দাও ৷ বাতিলকে ধংশ করার শক্তি & সামর্থ তুমি আমাদের দাও ৷ আল্লাহ বাংলাদেশের সকল মুসলমাদের কে তুমি খাটি ইমানদার বানাও ৷ ভালো-মন্ধ বুঝার তাওফি তুমি দাও ৷ আমীন
পুলিশ সদস্য হত্যাসহ তিন মামলায় জামিন আদেশের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই মুক্তি পেয়েছেন হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব জুনাইদ বাবুনগরী।
আদালতে সরকারপক্ষের আইনজীবী ঢাকা মহানগর দায়রা জজআদালতের পিপি আব্দুল্লাহ আবু জানান, বাবুনগরীর শারীরিক অসুস্থতা বিবেচনায় নিয়ে আদালত সবক’টি মামলায় জামিন দিয়েছেন।
রাজধানীর পল্টন থানায় দায়ের পুলিশ হত্যা, গাড়ি ভাঙচুরসহ তিনটি মামলায় জামিন পান হাটহাজারী মাদ্রাসার এই শিক্ষক।
জামিনের পর বিকেলেই মুক্তি পান জুনাইদ বাবুনগরী। তার শারীরিক অবস্থা এতটাই গুরুতর যে, জরুরি ভিত্তিতে প্রিজন সেল থেকেবারডেম হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে নিতে হয়েছে। তবে তার স্বাস্থ্যগত বিষয়ে হাসপাতালের চিকিৎসকরা মুখ খুলতে চাচ্ছেন না।
সেখানে বাবুনগরীর সঙ্গে থাকা তার জামাই মো. আব্দুল্লাহ আরটিএনএন- কে বলেন, ‘বাবুনগরীর অবস্থা সুবিধাজনক নয়। এখানেই তাকে চিকিৎসা দেওয়ার কথা জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।’
এদিকে, বিকেলে হেফাজত মহাসচিব মাওলানা জুনাইদ বাবুনগরীর মৃত্যুর গুজব ছড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে দলের মধ্যেক্ষোভ দেখা দেয়।এছাড়া বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগের সাইটেও এ নিয়ে বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়।
হেফাজতের ঢাকা মহানগরীর ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক আলতাফ হোসেন ক্ষোভ প্রকাশ করে আরটিএনএন- কে বলেন, ‘ঘটনার দিন লালবাগ থেকে আমিনিজ হাতে সুস্থ বাবুনগরীকে পুলিশের গাড়িতে তুলে দিয়েছি। সেসময় পুলিশ বলেছিল, তাকে চট্টগ্রামে পাঠানো হচ্ছে। কিন্তু পরে তাকেগ্রেপ্তার করেন।’
তিনি বলেন, ‘রিমান্ডে নিয়ে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতনে ফলে বাবুনগরীর এই অবস্থা হয়েছে। তার কিছু হলে সরকারকেই এর জবাব দিতে হবে।’
সবার প্রিয় হুজুর বাবুনগরী আমাদের মাঝে সুস্থ হয়ে ফিরে না আসলে সরকারেরপতন অনিবার্য বলেও হুঁশিয়ারি দেন আলতাফ হোসেন।
এছাড়া অসুস্থতা এবং হঠাৎ করে মৃত্যুর গুজবে অনেকেই হেফাজতের লালবাগের অস্থায়ী কার্যালয়ে জোড় হন। তাদের মধ্যেউত্তেজনা দেখা দিয়েছে। আর বারডেম হাসপাতালেও সংগঠনের অনেক নেতাকর্মী ভিড় করছেন। তবে কড়া পাহারা থাকায় বারডেমে কাউকে ভিড়তে দেওয়া হচ্ছে না।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জুনাইদ বাবুনগরীকে বারডেম হাসপাতালের সপ্তম তলার নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ, বেড নম্বর-১) রাখা হয়েছে। সেখানে তিনি অধ্যাপক ডা. নূরুজ্জামানের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
চিকিৎসক সাংবাদিকদের জানান, ‘বাবুনগরীর কিডনিজনিত সমস্যা রয়েছে। এজন্য ডায়ালাইসিস করা হয়েছে। পায়ে সামান্য ক্ষতচিহ্ন দেখা যাওয়ায় এমআরআই করানো হয়েছে।’
ডা. নূরুজ্জামানবলেন, ‘তিনি নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছেন। তাকে সবধরনের মেডিকেল সাপোর্ট দেওয়া হচ্ছে। বাবুনগরী আপাতত আশঙ্কামুক্ত।’
এর আগে দুপুরে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম শাহরিয়ার মাহমুদ আদনান হেফাজতে ইসলামের এই কেন্দ্রীয় নেতার জামিনের আদেশ দেন।
পরে কারা উপমহাপরিদর্শক গোলাম হায়দার বলেন, ‘জামিনের কাগজপত্র আসার পর হাসপাতাল থেকে তার পাহারাতুলে নেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ এখন তিনি মুক্ত।’
তবে তিনি এখনো হাসপাতালেই রয়েছেন বলে জানান তিনি।
জামিনের পর কারাকর্তৃপক্ষের কাছ থেকে বাবুনগরীকে বুঝে নেন তার জামাই মাওলানা মো. আব্দুল্লাহ ও ভাগ্নে মাওলানা মো. সালাহউদ্দিন। এরপর বিকেলে বারডেম হাসপাতালে আসেন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের ডেপুটি জেলার জাহিদুল আলম। তিনি বাবুনগরীর জামিনের কাগজপত্র তার স্বজনদের হাতে তুলে দেন।
উল্লেখ্য, গত ৫ মে রাতে মতিঝিল থেকে হেফাজতকর্মীদের হটিয়ে দেওয়ার পরদিন লালবাগ থেকে গ্রেপ্তার হন বাবুনগরী। এরপর তিনটি মামলায় তিনি দুইদফায় ২২ দিন রিমান্ডে ছিলেন।
বিষয়: বিবিধ
১৮৮৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন