ইতিহাসের জঘন্যতম মিথ্যার নজির স্থাপন করল এই ট্রাইব্যুনাল। (ডঃ তুহিন মালিক)
লিখেছেন লিখেছেন বাংলার দামাল সন্তান ১৪ মে, ২০১৩, ১১:০১:৫৪ সকাল
আল্লামা সাঈদীর রায়ের চুলচেড়া বিশ্লেষণ করলেন ডঃ তুহিন মালিক।
ইতিহাসের জঘন্যতম মিথ্যার নজির স্থাপন করল এই ট্রাইব্যুনাল।
মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে যে দু'টি অভিযোগে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে,
১.তার মধ্যে একটি হলো বিশাবালীকে হত্যার ঘটনা।এবং অন্যটি হল
২.ইব্রাহীম কুট্টি হত্যার ঘটনা।
সুখরঞ্জন বালী যিনি সাঈদীর পক্ষে সাক্ষী দিতে গিয়ে কোর্ট এলাকা থেকে গুম হয়েছে প্রকাশ্য দিবালোকে
তারই ভাই বিশাবালী হত্যার অভিযোগে সাঈদী সাহেবকে ফাসির রায় দেওয়া হলো !!!!!!
ইতিহাসের জঘন্যতম মিথ্যার নজির স্থাপন করল এই আওয়ামী ট্রাইব্যুনাল।
মাওলানা সাঈদীর বিরুদ্ধে অভিযোগ ১৯৭১ সালের ২ জুন পিরোজপুরের উমেদপুরে হিন্দুপাড়ায় বিশাবালী নামে একজন অসুস্থ ব্যক্তিকে নারকেল গাছে সাথে বেঁেধ রাজাকাররা হত্যা করে। মাওলানা সাঈদীর উপস্থিতিতে এবং নির্দেশে তাকে হত্যা করা হয় বলে অভিযোগ আনা হয়েছে। সেই বিশাবালীল ভাই হলেন সুখরঞ্জন বালী। রাষ্ট্রপক্ষ তাকে সাক্ষী মেনেছিল।
সরকারপক্ষ মিথ্যা সাক্ষী দেয়ার জন্য তাকে চাপ দিচ্ছিল। কিন্তু তিনি সত্য কথা বলতে স্বেচ্ছায় ট্রাইব্যুনালে যেতে চান। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ট্রাইব্যুনালের বিচারকদের সামনে তার পৌঁছা সম্ভব হয়নি। এর আগেই তাকে ট্রাইব্যুনালের গেটের সামনে থেকে সাদা পোশাকধারী ডিবি পুলিশ অপহরণ করে নিয়ে যায়।
দেখুন বিশাবালীর ভাই সুখরঞ্জন বালী সাঈদীর ব্যাপারে কি বলে!
অপর অভিযোগটি হল ইব্রাহীম কুট্টি হত্যার ঘটনা।
অথচ ইব্রাহিম কুট্রির স্রী মমতাজ বেগম ১৯৭২ সালে ১৪ জন কে আসামী করে
ইব্রাহীম কুট্টি হত্যার মামলা করে সেই মামলায় অনেকের সাজা হয়।
মজার বিষয় হল, ঐ মামলায় সাঈদীকে আসামী করা হয়নি।
আল্লামা সাঈদী যদি ইব্রাহিম কুট্রি হত্যার সাথে জড়িতই থেকে থাকে ।
তবে কেন তাকে ১৯৭২ সালে ঐ মামলায় আসামী করা হয়নি!!
নিচের লিংক এ দেখুন এটি ডিফেন্স প্রদর্শনী । কিন্তু আদালত তার রায়ে সবচেয়ে পুরাতন
এই ডকুমেন্টের কোন আলোচনা না করে অন্যায় ভাবে
আল্লামা সাঈদীকে জডিয়েছে।
বিষয়: বিবিধ
৪১৪৯ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন