‘ওরা মানুষ না ওরা আম্লীগ’
লিখেছেন লিখেছেন মেঘে ঢাকা স্বপ্ন ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১৪, ০৫:৩৫:৫৫ বিকাল
“বাংলাদেশে একমাত্র খারাপ লোক আমি, তারপরে শেখ হাসিনা। আর সবাই ফেরেস্তা। আমি দুর্ব্যবহার করি। মহারাজের মতো আচরণ করি। পত্র-পত্রিকাওয়ালারা লেখে। লিখলে কি হবে? যে অপমান সইতে পারে তার জন্য এটা কিছু না, সে সফল হবেই।”
উপরের কথাগুলো গত ২৫শে জুন কোন এক সেমিনারে বলেছিলেন আমাদের ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী। লক্ষনীয় যে, তিনি ঐদিন কথার চলে ঠিকই বলে দিয়েছিলেন- “বাংলাদেশে একমাত্র খারাপ লোক আমি, তারপরে শেখ হাসিনা।” কিন্তু এতদিন কেউ বুঝতে পারেনি ঐ লোকটি কতটা খারাপ হতে পারে! মুসলমানের মুখোশ পরিহিত ঐ কুলাঙ্গার বালমন্ত্রী সেই খারাপের নমুনাটি গতকাল রোববার বিকেলে নিউ ইয়র্কে জ্যাকসন হাইটসের একটি হোটেলে নিউ ইয়র্কস্থ টাঙ্গাইল-প্রবাসীদের সঙ্গে এক মতবিনিময়কালে নিজেই স্পষ্ট করে দিয়েছেন সবার সামনে।
তিনি পবিত্র হজ প্রসঙ্গে বলেন-
“আমি কিন্তু হজ আর তাবলিগ জামাতের ঘোরতর বিরোধী। আমি জামায়াতে ইসলামীরও বিরোধী। তবে তার চেয়েও হজ ও তাবলিগ জামাতের বেশি বিরোধী।”
তিনি বলেন-
“এ হজে যে কত ম্যানপাওয়ার নষ্ট হয়। হজের জন্য ২০ লাখ লোক আজ সৌদি আরবে গিয়েছে। এদের কোনো কাম নাই। এদের কোনো প্রডাকশন নাই। শুধু রিডাকশন দিচ্ছে। শুধু খাচ্ছে আর দেশের টাকা দিয়ে আসছে। এভারেজে যদি বাংলাদেশ থেকে এক লাখ লোক হজে যায় প্রত্যেকের পাঁচ লাখ টাকা করে ৫০০ কোটি টাকা খরচ হয়।”
হজ কিভাবে এসে এর ব্যাখ্যা দিয়ে মন্ত্রী বলেন-
“আব্দুল্লাহর পুত্র মোহাম্মদ চিন্তা করল এ জাজিরাতুল আরবের লোকেরা কিভাবে চলবে। তারাতো ছিল ডাকাত। তখন একটা ব্যবস্থা করলো যে আমার অনুসাসীরা প্রতিবছর একবার একসাথে মিলিত হবে। এরমধ্য দিয়ে একটা আয়-ইনকামের ব্যবস্থা হবে।”
তাবলিগ জামাতের সমালোচনা করে আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী বলেন, “তাবলিগ জামাত প্রতি বছর ২০ লাখ লোকের জমায়েত করে। নিজেদেরতো কোনো কাজ নেই। সারা দেশের গাড়ি-ঘোড়া তারা বন্ধ করে দেয়।”
প্রবাসী বাংলাদেশিদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী বলেন, “কথায় কথায় আপনারা জয়কে টানেন কেন। ‘জয় ভাই’ কে। জয় বাংলাদেশ সরকারের কেউ নয়। তিনি কোনো সিদ্ধান্ত নেয়ারও কেউ নন। আপনারা বিদেশে এসেছেন কামলা দিতে এবং সব সময় কামলাই দিবেন। প্রবাস থেকে প্রকাশিত পত্র-পত্রিকাগুলোকে লতিফ সিদ্দিকী টয়লেট পেপার বলে আখ্যায়িত করেন। টিভির টকশোতে যারা অংশগ্রহণ করেন তাদের ‘টক মারানি’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন। এ সব টকশোতে যোগদানকারী আর ‘চুতমারানিদের’ মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
নিজের মতের সাথে না একমত না হওয়ায় অন্য কোন বিরোধী রাজনৈতিক দলের প্রতি-ব্যাক্তির প্রতি কঠোরভাবে সমালোচনা করা যেতে পারে। তা বলে একেবারে আমাদের প্রিয়নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) যার নাম উচ্চারণ করলে সম্মানস্বরুপ দরুদ পাঠ করতে হয়, এমন একজনের প্রতি, ইসলামের গুরুত্বপূণ স্তম্ভ পবিত্র হজের প্রতি অশালীন যা ইচ্ছা কটুক্তিমূলক সমালোচনা করে যাবে??
এমন সাহস তাকে কে দিয়েছে! আমার মন চাই শালার জিহ্বা এখন টেনে ছিড়ে ফেলতে। কত বড় নিলজ্জ্ব্য বেহায়া, কুলাঙ্গার নাস্তিক, ইসলাম-মুসলিম বিদ্ধেষী হলে ইসলামের অন্যতম স্তম্ভ পবিত্র হজ এবং আমাদের বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) সম্পর্কে আপত্তিকর ও অন্যায় মন্তব্য করতে পারে!
হ্যাঁ, একমাত্র তারাই পারে যারা আম্লীগ করে। কারণ ‘ওরা মানুষ না ওরা আম্লীগ’। মানুষের যে গুনাবলি-বৈশিষ্ট্য রয়েছে তা আম্লীগ যারা করে তাদের মধ্যে আছে বলে মনে হয় না।
বিষয়: রাজনীতি
১২১১ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন