অধম জাতির ধর্মানুভুতি........................
লিখেছেন লিখেছেন হুরপরী ০৪ মে, ২০১৩, ০৩:১৪:২৪ রাত
পরিবারে বাবা-মার হাতেই আমাদের ধর্মের হাতেখড়ি, এরপর অর্ধশিক্ষিত মৌলবী। ছোট বেলায় আর দশজনের মত আমাদের ঘরেও মৌলবীর আনাগোনা ছিল। আল্লার অস্তিত্ব, ধর্মের আচার-অনুষ্ঠান, বেহেস্তের সুখ-পুলক, দোজকের বিচিত্র শাস্তি এসব বিষয়ে সারগর্ভ(!) সবক মুলত মৌলবী সাহেব থেকেই আসে। দাদী/নানী'র ভূত-প্রেত, দেও-দানবের গল্পের পাশাপাশি এরপর শিক্ষা দেয়া হয় ; মুসা নবীর লাঠির আঘাতে দরিয়া দ্বিখন্ডিত হওয়া, ইব্রাহিম নবীর অগ্নিকুন্ড, মাছের পেটে অমুক নবী, নিষিদ্ধ ফল গন্ধম এবং আদমের স্বর্গপতন, হাতি বহরের বিরুদ্ধে ক্ষুদ্র আবাবিল পাখির বিজয় গাথা, বোরাক যাত্রা ..... জাতিয় অসংখ্য ধর্মীয় উপাখ্যান। ধোয়াশা কাহিনী শুনতে শুনতে অজানা ভয় ও আতংক মাথায় নিয়ে সমাজে আমরা এভাবেই বেড়ে উঠি। মুক্ত চিন্তার অনুসন্ধানি মনন কে ধ্বংস করে গেথে দেয়া হয় ধর্ম বিশ্বাস। প্রশ্নের অপ্রবেশযোগ্যতা, সমালোচনা করার অনাধিকার এবং অলৌকিকতার উপর দ্বিধাহীন বিশ্বাসের ফলে এই সমাজের মানুষের ধর্মানুভূতি গড়ে ওঠে অযৌক্তিক অন্ধত্বের হাত ধরে। যেখানে আদর্শ নৈতিকতার কোন স্হান নেই।
দেশটির প্রতিটি স্তর নুয়ে আছে পাহাড়সম দূর্নীতির চাপে, সরকারি-বেসরকারি, প্রশাসনিক, ব্যসায়িক, পারিবারিক কিংবা ব্যাক্তি যেকোন পর্যায়েই সততা যেন শুধুই ফিকশনাল একটি শব্দ। মানুষের প্রতি নেই মানুষের সহমর্মিতা। প্রতারনা, ভেজাল, ধাপ্পাবাজী, ভেলকিবাজী, খুন, ধর্ষন, চুরি-ডাকাতি, গনপিটুনি এগুলো নিত্তনৈমিত্তিক ঘটনা, সজ্ঞানে অন্যের ক্ষতি করতে বিবেক কাঁপে না একটুখানি। দেশের প্রায় নব্বই শতাংশ মানুষ মুসলমান। আর এ পাপাচার সর্বশ্রেষ্ঠ ধর্মের দাবিদার মুসলমানের হাতেই হয়।
কিন্তু ধর্মের নেয়ামক নবী-চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন করা হলেই অজানা ভয় ও আতংকে আমাদের মুসলমানের অতি সংবেদনশীল ধর্মানুভুতি রুদ্রমুর্ত্তি ধারন করে। বেহেস্তী সুখ পুলক হাতছাড়া হয়ে যায় কিনা সেই ভয়ে জেগে উঠে মানুষ কতল করার অদম্য ইছ্ছা।
বিষয়: বিবিধ
২০০৭ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন