গার্মেন্টস শ্রমিক : এ যুগের করায়ত্ব দাস-দাসী
লিখেছেন লিখেছেন হুরপরী ০১ মে, ২০১৩, ০৪:২৬:১৩ বিকাল
৭ শতকের আরব দেশে দাস-দাসী রাখা বৈধ নিয়ম ছিল। সে সময় দাস-দাসী'রা ছিল মালিকের সম্পুত্তি। যেমন উট, দুম্বা, ঘর, বাড়ী, তাবু, যৌন উপকরন...... ইত্যাদির মতই। কিন্তু সেই মধ্যযুগেও দাস-দাসী,দের জন্য কিছু বিধিবদ্ধ বিধান ছিল। তখন দাস-দাসী কে হত্যা করার কোন সামাজিক অধিকার ছিল না। প্রচলিত আইনে তখন চোখের বদলে চোখ, হাতের বদলে হাত এবং এমন কি দাসের বদলে দাস.......... এ বিবেচনায় কাজীর দরবারে বিচার করা হত। দাস-দাসী দের প্রতি মানবিক আচরন করার নিদ্দেশও ছিল সে সময়। এমন কি ধর্মের নবী-সাহাবীরাও দাস-দাসীদের ভাল খানা, পিনা, পোশাক দেয়ার কথা বলেছেন।
কিন্তু আজকের এ সভ্য যুগেও সাভারে ইট-পাথরের নিচে চাপা পড়েছেন আমার শত শত ভাই বোনেরা। স্বজন হারানোর কান্না ও আহাজারিতে বাতাস হয়ে উঠেছে ভারি। তখন সাধারণ মানুষের মতো আমিও হতবাক ও ক্ষুব্ধ । এই কি আমার সভ্যতা? যাদের পরিশ্রম ও কারিগরি দক্ষতায় এক সময় বিখ্যাত হয়ে উঠেছিল ঢাকার মসলিন, জামদানি । যাদের কারণে এদেশের তৈরি পোশাক স্থান করে নিয়েছে বিশ্বের দরবারে। সেই নিপুণ কারিগরদের আজ মারা হচ্ছে ইট পাথরের নিচে চাপা দিয়ে, লোহার ফটকে আটকে আগুনে পুড়িয়ে । এ যেন লাঠিপেটা করে তাড়িয়ে মৃত্যু-কুপে ঠেলে দেওয়া ৭ শতকের আরবীয় ক্রীতদাসদের প্রতি দাস মালিকের নির্মমতাকে ম্লান করে দেয় । কি ছিল তাদের অপরাধ?
বিষয়: বিবিধ
১৭২১ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন