বহুল আলোচিত মদিনা সনদ আসলে কি?

লিখেছেন লিখেছেন হুরপরী ১৭ এপ্রিল, ২০১৩, ০৫:৩৮:০২ বিকাল

ব্লগে লম্বা লেখা কেউ পড়ে না। যে কারনে কয়েকটি মাত্র উদাহরন দিয়ে অতি সংক্ষেপে বলছি। অনেকের ধারনা যে মদিনা চুক্তি সই করে মুসলমানরা অন্য ধর্মের প্রতি উদারতা এবং শান্তিপুর্ণ সহঅবস্থানের নজির স্হাপন করেছিল। কিন্তু আসলেও কি তাই? আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী হয়তো তাই মনে করেন। নাকি বেশি ভোট পাওয়ার ধান্ধা?

মদিনা সনদ আসলে একটি গুরুত্বহীন যেনতেন সনদ যে কারনে খুব অল্প সময়ের ভিতর চুক্তি ভেংগে যায়। মুলত সনদ স্বাক্ষর করার সময় ইহুদী, খৃষ্টানদের তুলনায় মদিনায় মুসলমানরা ছিল সংখ্যালঘু এবং সামরিক বিবেচনায় অপেক্ষাকৃত কম শক্তিশালি। যে কারনে নবীজী প্রতিপক্ষ ইহুদী-খৃষ্টান দের অনেক ছাড় দিয়ে সনদ সই করতে বাধ্য হয়ে ছিলেন। এটা করে নবীজী আসলে মুসলমানদের শক্তি সামর্থ বৃদ্ধি করার একটা কৌশল অবলম্বন করেন। একবার যখন সবকিছু নবীর গ্রিপে চলে আসে ঠিক তখনই মুসলমানরা বেকে বসে। শুরু হয় ছলে বলে চুক্তি ভংগের খেলা। আমার সাথে অনেকে হয়তো একমত নাও হতে পারেন। কিন্তু সুক্ষভাবে দেখলে কুরআন-হাদীসের ধরাবাহিক সুরা গুলোতে তার প্রমান মিলে যায়।

"আমি আরব ভূমি থেকে ইহুদি ও খৃষ্টানদেরকে উচ্ছেদ করব, মুসলিম ছাড়া এখানে আর কেউ থাকবে না। সহী মুসলিম, হাদিস-৪৩৬৬"

"সম্পর্কচ্ছেদ করা হল আল্লাহ ও তাঁর রসূলের পক্ষ থেকে সেই মুশরিকদের সাথে, যাদের সাথে তোমরা চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলে। সূরা- আত তাওবাহ, ০৯:০১"

"অতঃপর নিষিদ্ধ মাস অতিবাহিত হলে মুশরিকদের হত্যা কর যেখানে তাদের পাও, তাদের বন্দী কর এবং অবরোধ কর। আর প্রত্যেক ঘাঁটিতে তাদের সন্ধানে ওঁৎ পেতে বসে থাক। কিন্তু যদি তারা তওবা করে, নামায কায়েম করে, যাকাত আদায় করে, তবে তাদের পথ ছেড়ে দাও। নিশ্চয় আল্লাহ অতি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। সূরা- আত তাওবাহ, ০৯:০৫"

বিষয়: বিবিধ

১৪৮৩ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File