কারাগারে বাবরের আতিথেয়তা প্রত্যাখ্যান করলেন রনি!

লিখেছেন লিখেছেন গনঅভ্যুত্থানের ডাক ২৬ জুলাই, ২০১৩, ১০:২০:২৩ সকাল

একজন বছরের পর বছর ধরে আছেন কারাগারে আর অন্যজন চমক দেখিয়ে অনেকটা আকঃস্কিক ভাবেই কাল গেলেন জেলে



জানা যায় একজন বেশ দাপট সাথেই আছেন কাশিমপুর কারাগারে আর অন্যজন বেশ দাপটের সাথেই সাড়ে চার বছর ক্ষমতার কাছাকাছি থেকে ক্ষমতার শেষ সময়ে এসে অনেকটা ভাগ্যের পরিহাসে - সরকারের চমক দেখানোর খেয়ালে গেলন জেলে। হ্যাঁ এই দুই জনের একজন হলেন এক সময়ের প্রবল ক্ষমতাধর জোট সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর আর অন্যজন হলেন মহাজোটের সদ্য কারাবরণ করা এমপি গোলাম মাওলা রনি। কিন্তু প্রথম দেখাতেই বাবরের আতিথেয়তা গ্রহন করতে অস্বীকার করলেন রনি।

কারাগার সূত্রে জানা যায়, আদালতের জামিন আবেদন নামঞ্জুর হবার পর কাশিমপুর কারাগারে পাঠানো হয় রনিকে আর সেখানেই আগে থেকে থাকা লুৎফুজ্জামান বাবর সাথে দেখা হয়। কারাগারে দুজন সময় নিয়ে কথাও বলেন তারা। এক পর্যায়ে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর সাংসদ গোলাম মাওলা রনিকে তার সঙ্গে রাতের খাবার খাওয়ার নিমন্ত্রণ করেন। জবাবে বাবরকে ‘দুঃখিত’ বলে অসম্মতি জানান সাংসদ রনি।

সূত্র জানায়, কারাগারেও বেশ দাপট নিয়েই আছেন লুৎফুজ্জামান বাবর। চারদলীয় জোটের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী থাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও কারাগারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের অনেকে তাকে বেশ সমীহ করেন। মন্ত্রী থাকতে যারা স্যার বলতেন তারা এখনও সে অভ্যাস ছাড়তে পারেননি। তাই কারাগারে থাকলেও নিজের ইচ্ছাধীন অনেক কিছুই করতে পারেন বাবর। চাইলেই বাসা থেকে যে কারো সঙ্গেই দেখা করতে পারেন। বাসা থেকে নিয়মিত খাবারও আনিয়ে খান। আজও বাসা থেকে খাবার এসেছে। তাই রনিকে রাতে একসঙ্গে খাবার খাওয়ার প্রস্তাব দেন বাবর।

জবাবে রনি দুঃখিত বলে অসম্মতি প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘আপনি ২১ আগস্টের বোমা হামলা মামলার আসামি। আপনার সঙ্গে খাবার গ্রহণ করা আমার জন্য উচিত হবে না। কারাগার থেকে আমার জন্য যা বরাদ্দ আছে আমি তাই খাব।’

কারাগার সূত্রে জানা যায়, গোলাম মাওলা রনিকে পার্ট-২ তে ডিভিশন সেলে রাখা হয়েছে। কারাবিধি অনুযায়ী তার জন্য খাবারসহ যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা দেয়া হবে। আর ওই একই পার্টেই বর্তমানে আছেন লুৎফুজ্জামান বাবরও।

উল্লেখ্য গত ২০ জুলাই আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর বেসরকারি খাত বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের মালিকানাধীন ইন্ডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের দুই সাংবাদিকে পেটানোর অভিযোগে সাংসদ রনিসহ ৩০জনকে অজ্ঞাত আসামি করেহ ত্যাচেষ্টার মামলা দায়ের করে ইন্ডিপেনডেন্ট টিভি কর্তৃপক্ষ। আর অন্য দিকে ওই একই দিন রনিও সালমান এফ রহমান ও দুই সাংবাদিককে আসামি করে হত্যা চেষ্টার মামলা করেন রনি।

২১ জুলাই ওই মামলায় নিম্ন আদালত থেকে জামিন নেন তিনি। কিন্তু বাদীপক্ষ তার জামিন বাতিলের আবেদন করলে আদালত তাকে গ্রেফতারের নির্দেশ দেয়। আদালতের নির্দেশের দউই ঘন্টারর মধ্যেই তাকে ঘ্েফতার করে পুলিশ। বৃহস্পতিবার তাকে আদালতে হাজির করা হয়। তার পক্ষে জামিন আবেদন করা হলেও তা বাতিল করে রনিকে কারাগারে পাঠায় আদালত। প্রথমে তাকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের চম্পাকলি সেলে রাখা হয় এবং পরে তাকে কাশিমপুর কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

বিষয়: বিবিধ

১৭৯৪ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File