মিসরকে আবার অন্ধকার যুগে ফিরিয়ে নেয়ার চক্রান্ত শুরু হয়েছে - মকবুল আহমদ
লিখেছেন লিখেছেন গনঅভ্যুত্থানের ডাক ০৬ জুলাই, ২০১৩, ০১:৪৪:০২ দুপুর
মিশরে জনগণের ভোটে নির্বাচিত জনপ্রিয় প্রেসিডেন্ট ডঃ মোহাম্মদ মুরসিকে ক্ষমতাচ্যুত করে সেনাবাহিনীর ক্ষমতা দখলের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ
মিসরকে আবার অন্ধকার যুগে ফিরিয়ে নেয়ার চক্রান্ত শুরু হয়েছে - মকবুল আহমদ
মিশরে জনগণের ভোটে নির্বাচিত জনপ্রিয় প্রেসিডেন্ট ডঃ মোহাম্মদ মুরসিকে ক্ষমতাচ্যুত করে সেনাবাহিনীর ক্ষমতা দখলের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমীর জনাব মকবুল আহমাদ আজ ৫ জুলাই নিম্নোক্ত বিবৃতি প্রদান করেছেনঃ-
"মিশরে জনগণের ভোটে নির্বাচিত জনপ্রিয় প্রেসিডেন্ট ডঃ মোহাম্মদ মুরসিকে ক্ষমতাচ্যুত করে সেনাবাহিনীর ক্ষমতা দখলের আমি তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। মিশরে একটি সফল গণ-অভ্যুত্থানের পর সেখানে একটি নির্বাচিত পার্লামেন্ট গঠিত হয় এবং সে দেশের জনগণ ভোট দিয়ে ডঃ মোহাম্মদ মুরসিকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করে। জনগণের ম্যান্ডেটকে পদদলিত করে ক্ষমতা লিপ্সু সামরিক বাহিনী ক্ষমতা দখল করে সাংবিধানিক আদালতের প্রধান বিচারপতি আদলি মনসুরকে প্রেসিডেন্ট নিয়োগ দিয়ে একটি পুতুল সরকার গঠনের চেষ্টা করছে। পার্লামেন্টের স্পীকার সাদ আল কাততানি ও ইখওয়ানের ডেপুটি প্রধান রশিদ বাইয়ুমীকেসহ শতাধিক নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সেখানে টিভি চ্যানেল ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতা হরণ করা হয়েছে। আলজাজিরার সাংবাদিককে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ থেকেই বুঝা যাচ্ছে যে, মিশরকে আবার অন্ধকার যুগে ফিরিয়ে নেয়ার চক্রান্ত্ম শুরু হয়েছে।
২০১২ সালের গণঅভ্যুত্থানের পরে স্বৈরশাসনের অবসান ঘটিয়ে মিশরে যে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার যাত্রা শুরু হয়েছিল সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে তা ধ্বংস করার চক্রান্ত্ম শুরু হয়েছে। এতে সাম্রাজ্যবাদী শক্তির ক্রীড়নখ ইসলামের দুশমন ইসরাইলই লাভবান হবে। মিশরে সামরিক অভ্যুত্থানের পেছনে ইসরাইল ও তার মুরুব্বীদের হাত রয়েছে। যারা আরব বিশ্বে গণতন্ত্র ও ইসলামী শাসন এবং শান্ত্মি ও সমৃদ্ধী চায় না তারাই ষড়যন্ত্র করে মিশর থেকে আবার ইসলাম ও গণতন্ত্রকে বিদায় করতে চায়।
মিশরের ইতিহাস হচ্ছে ইসলামের সুমহান আদর্শ প্রতিষ্ঠা করার ইতিহাস। ১৯২৮ সাল থেকে সাম্রাজ্যবাদী শক্তির বিরুদ্ধে পরিচালিত আন্দোলনে আপোষহীন ভূমিকা পালন করে আসছে ইখওয়ানুল মুসলিমীন। প্রত্যেক স্বৈরশাসকই ইখওয়ানের নেতৃবৃন্দের ওপর জুলুম ও নির্যাতন চালিয়েছে। ইখওয়ানের প্রতিষ্ঠাতা মরহুম হাসানুল বান্না (রহ কে ইসলামের দুশমনরা গুলি করে হত্যা করেছে। ইখওয়ানের নেতা সাইয়েদ কুতুব ও আবদুল কাদের আওদাসহ শীর্ষ স্থানীয় নেতাদের ফাঁসি দেয়া হয়েছে।
রক্ত সাগর পেরিয়ে মিশরবাসী স্বৈশাসনের অবসান ঘটিয়ে মিশরের ইতিহাসে প্রথম গণতান্ত্রিকভাবে ড. মোঃ মুরসিকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করেছে। ড. মোঃ মুরসি জীবন বাজী রেখে তার ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালনের আপ্রাণ চেষ্টা করেছেন। ষড়যন্ত্রকারীদের নিকট তিনি শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত্ম নতি স্বীকার করেননি। আমি বিশ্বাস করি অস্ত্রের জোরে যারা ক্ষমতা ছিনিয়ে নিয়েছেন তারা নৈতিকভাবে মিশরের প্রেসিডেন্টের নিকট পরাজিত হয়েছেন এবং আবারও মিশরবাসী সামরিক জান্ত্মার কবল থেকে ঐক্যবদ্ধভাবে সংগ্রাম করে মিশরের জনগণকে মুক্ত করবে ইনশাআলস্নাহ।
মিশরের জনগণ ইসরাইলের ক্রীড়নখ সামরিক স্বৈরাচারের বিরম্নদ্ধে আবার তীব্র গণআন্দোলন করে ইসলাম ও গণতন্ত্রকে সুপ্রতিষ্ঠত করার সংগ্রাম ইতিমধ্যেই শুরম্ন করেছে। তা আরো বেগবান ও তীব্র করে সামরিক স্বৈরতন্ত্রের হাত থেকে মিশরের জনগণকে মুক্ত করবে ইনশাআল্লহ।"
বিষয়: বিবিধ
১৫৮৭ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন