খবর ....
লিখেছেন লিখেছেন গনঅভ্যুত্থানের ডাক ০৩ জুলাই, ২০১৩, ০৭:৫৬:৫৬ সন্ধ্যা
১। গাজিপুর নির্বাচনে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীর ব্যাংক একাউন্ট জব্দ করেছে এনবিআর। নির্বাচনের মাত্র দুই দিন আগে সরকার এই ঘটনা ঘটিয়েছে।
২। গাজিপুর নির্বাচনে ৯৫ শতাংশ পোলিং ও প্রিজাইডিং অফিসার সরকারী দলের সমর্থক গোষ্ঠি থেকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে নির্বাচন কমিশনে বলা হলে তারা কোনো প্রতিকার করেননি।
৩। সরকার দলীয় কয়েকজন এমপি প্রিজাইডিং অফিসারদের নিয়ে দুইদফা মিটিং করেছেন। সেই মিটিং এর ছবি তুলতে গেলে সাংবাদিককে গুম করার হুমকী দেয়া হয়।
৪। গাজিপুর নির্বাচনে সরকারী বেশ কিছু সংস্থা, যেমন ধান গবেষনা ইনস্টিটিউট, ইসলামী ফাউন্ডেশন ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তারা প্রকাশ্যে সরকারদলীয় প্রার্থীর পক্ষে মাঠে নেমেছে।
৫। সরকারের পক্ষে কাজ না করলে চাকরিচ্যুত করার হুমকী ।
৬। নির্বাচনের পূর্বে অভিযানের নামে বিএনপি ও জামাত এর সমর্থকদের বাড়ি বাড়ি পুলিশের হামলা, ধরপাকর ও গ্রেফতার অভিযান।
৮। আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে নিস্কলুষ করতে বিদ্রোহী প্রার্থী জাহাঙ্গিরকে কিছুদিনের জন্য গুম করা ও পরবর্তীতে তাকে হাসপাতালে পাওয়া যায়। এরপরে সেই প্রার্থী চোখের পানি ফেলতে ফেলতে নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার ঘোষনা দেন। এর আগে তার নমিনেশন বাতিল নিয়ে হাইকোর্টে পর্যন্ত যেতে হয়েছে।
একটা মাত্র নির্বাচনে যদি এতগুলো পক্ষপাতিত্ব ও একপাক্ষিক অনিরপেক্ষ আচরন সরকারের পক্ষ থেকে করা হয়, তারপরেও তত্বাবধায়ক সরকারের কোনো যৌক্তিকতা থাকে ?
এরপরেও যারা বলবে যে তত্বাবধায়ক সরকারের কোনো প্রয়োজন নেই, আওয়ামী লীগের অধীনেই নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব্, তার কপালে ঝাড়ুর ( পিছার) বাড়ি দেওয় উচিত।
কথা খুব স্পষ্ট, তত্ত্বাবধায়ক লই চুদুরবুদুর চইলত ন।
বিষয়: বিবিধ
১৭১৩ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন