প্রতিহিংসা

লিখেছেন লিখেছেন গনঅভ্যুত্থানের ডাক ২১ জুন, ২০১৩, ০২:৪০:১৫ দুপুর

জামায়াতের সাবেক আমীর অধ্যাপক গোলাম আজমের পুত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আব্দুল্লাহিল আমান আজমী



ইসলাম-বিদ্বেষী ও ভারতীয় দালাল হিসেবে বিবেচিত বর্তমান আওয়ামী সরকার ক্ষমতায় এসে তাঁকে অন্যায়ভাবে বিনা দোষে সেনাবাহিনী থেকে বরখাস্ত করেছে। তার অপরাধ তিনি ইসলামী আন্দোলনের সিপাহসালার অধ্যাপক গোলাম আজমের পুত্র।

সাবেক অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলামের সমবয়সী বন্ধু অধ্যাপক গোলাম আযম এমন একজন পন্ডিত ব্যক্তি যাকে যেকোন সরকার মন্ত্রীত্ব দিয়ে হলেও রাখতে চাইত। তিনি কোন দলের চামচামি করেননি। যা করেছেন ইসলামের জন্য করেছেন। তিনি যে বইগুলো লেখেছেন তাতে মুক্তিকামী মানুষ একটি সরল পথের দিশা পেয়েছে। এটাই তার জন্য কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে। নাস্তিকরা তার বুদ্ধিভিত্তিক যুক্তির বিরুদ্ধে পাল্টা যুক্তি দাঁড় করাতে পারেনি। আর কমিউনিস্টদের বিশেষ আক্রোশ এই সিপাহসালারের প্রতি।

বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীকে দেখলে যেমন আ'লীগের গা জ্বলে তেমনি কমিউনিস্ট ছেড়ে ইসলামের সুশীতল ছায়া আসা গোলাম আযমকে দেখেও তাদের এলার্জি হয়। তাই তাকে ব্যক্তিগত প্রতিহিংসায় মেতে উঠে। তার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলে। এক সময় বিষয়টি আদালতে নিয়ে যায়। তিনি বাংলাদেশের নাগরিক না এমন হাস্যকর অভিযোগ তুলে তারা। সেদিন সুপ্রিম কোর্ট তার পক্ষে রায় দেয়। এখন কেউ যদি তার নাগরিকত্ব নিয়ে আজেবাজে কিছু বলে তাহলে আদালত অবমাননা হবে। বুমেরাং যাকে বলে।

আ'লীগ ক্ষমতায় আসার পর ট্রাইবুনাল নিয়ে যা কিছু হয়েছ তা সবার কাছে পরিষ্কার। বিরুধী শক্তিকে নিঃশেষ করার ট্রাইবুনাল যে এটি এর প্রমাণ স্কাইপি কেলেংকারিসহ নানা রায়ে জনগন বুঝে নিয়েছে।

হাসিনার আদালতে যদি গোলাম আযম অপরাধীও হয় (যদিও প্রত্যক্ষ বা দালিলিক প্রমাণ পায়নি।) তাহলে তার অপরাধে পুত্রকে অপসারণ করা হল কেন? পিতার কারনে পুত্র কেনো শাস্তি পাবে ???

যদি সেটাই নিয়ম হয়, তাহলে ৭২-৭৫ সাল পর্যন্ত শেখ মুজিবের অত্যাচারের শাস্তিতো হাসিনারও পাওয়া উচিত।

বিষয়: বিবিধ

২২৫৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File