ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ কি আসলেই হিন্দু সংস্কৃতি ও নাস্তিক জাতীয়তাবাদ - একটি ঐতিহাসিক রাজনৈতিক বিশ্লেষণ
লিখেছেন লিখেছেন তারিক আলাম ৩০ মার্চ, ২০১৩, ১০:৪২:০২ সকাল
১৮৮৫ সালে বৃটিশ রাজের কর্মকর্তা Allan Octavian Hume - এর পরামর্শে এবং তাত্তাবধনে ইংরেজি ভাষায় শিক্ষিত ভারতীয়দের মাধ্যমে একটি সামাজিক প্লাটফরম হিসেবে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের গোড়াপত্তন হয়। যারা বৃটিশ রাজ এবং সাধারণ জনগনের মাঝে সেতু বন্ধনের মত কাজ করবেন, এবং ব্রিটিশ রাজকে প্রতক্ষ্য ও পরোক্ষ সহযোগিতা করবে। ১৯০০ শতাব্দীর শরুতে এসে এই প্লাটফর্ম সম্পূর্ণভাবে রাজনৈতিক প্লাটফর্ম হিসেবে ভারতীয় জাতীয়তাবাদের রুপ নিয়ে বৃটিশ রাজ বিরোধী আন্দোলন শুরু করে। ভারতের জাতীয় কংগ্রেসের ১৯০০ সালের শুরুর রাজনীতি থেকে আজ অবধি ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্টের ধারণা ও হিন্দু জাতীয়তাবাদ একই সাথে চালাতে থাকে। তাই আমরা দেখি, সুভাষচন্দ্র বসের মত সমাজতন্ত্রবাদী ও হিন্দুজাতীয়তাবাদে বিশ্বাসী লোক ধর্মনিরপেক্ষ কংগ্রেসের সভাপতি পদে অধিষ্ঠিত হতে পেরেছিলেন। ভারতের রাজনীতিতে একজন সমাজতন্ত্রবাদী, নাস্তিকবাদী, ধর্মনিরপেক্ষবাদী একই সাথে হিন্দু জাতীয়তাবাদী হতে পারেন। তার কারণ মূলত হিন্দু ধর্মে বিশ্বাসী লোক একই সাথে হিন্দু ধর্ম বা একাধিক স্রষ্টায় বিশ্বাসী ধর্ম, নাস্তিক ধর্মে বিশ্বাসী হতে পারেন(১)।
একজন হিন্দু ধর্মে বিশ্বাসী লোক হিন্দু হয়েও নাস্তিক হতে পারেন কিন্তু একজন ইসলাম ধর্মে বিশ্বাসী লোক মুসলিম হলে কখনও নাস্তিক হতে পারেন না। অর্থাৎ মুসলিম এবং নাস্তিক একসাথে হওয়া যায় না, হয় সে মুসলিম না হয় নাস্তিক, দুটোর একটা। যে কারণে একজন হিন্দু একই সাথে হিন্দু ও নাস্তিক হতে পারেন। সেই কারণে ভারতে ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র ব্যবস্তা ও নীতিমালা হিন্দু ধর্মের বিশ্বাসের সাথে সাংঘর্ষিক তো নয় বরং সেটা সেটা হিন্দু জাতীয়বাদকে বিকাশ করে। ধর্ম, সংস্কৃতি, রাষ্ট্রনীতি, রাজনীতি ও ধর্মনিরেপক্ষর মধ্যে সম্পর্ক বুঝতে হলে আমার "ধর্ম দর্শন - মানুষ, ধর্ম ও রাজনীতি" পড়ুন।
ধর্মনিরপেক্ষর ছায়ায় ভারতীয় জাতীয়তাবাদের আন্দোলন হিন্দু জাতীয়তাবাদকে অগ্রসর করছিল এবং মুসলমানদেরকে সামাজিক এবং রাজনৈতিকভাবে আরো নিচের দিকে ঠেলে দিচ্ছিল। মুসলমানরা ভারতে শিক্ষা-দীক্ষা, সামাজিক ও রাজনৈতিক অবস্থানে হিন্দুদের তুলনায় অনেক পিছিয়ে ছিল। তত্কালীন সমাজের উচ্চপদে হিন্দুদের মূলত একচেটিয়া প্রধান্য ছিল। হিন্দুদের এই নেত্রীত্বে থাকা ও তাদের ধর্মীয় জাতীয়তাবাদের আন্দোলনের কারণে সমাজের বিভিন্ন অংশে মুসলমানদের অগ্রসর হওয়াতো দুরের কথা বরং সমাজে মাথা উচু করে টিকে থাকায় অসম্ভব হয়ে উঠেছিল।
এই হিন্দু জাতীয়তবাদের উত্থানে ভীত হয়ে পাল্টা হিসাবে মুসলমানদের সামাজিক ও রাজনৈতিক অবস্থান দার করানোর জন্য ভারতীয় মুসলমানরা ১৯০৬ সালে ঢাকাতে নবাব খাজা সলিমুল্লাহর সভাপতিত্বে অল ইন্ডিয়ান মুসলিমলীগ গঠন করে। সেকুলার বা ধর্মনিরপক্ষবাদী মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ যিনি ১৯০৪ সালে কংগ্রেসের সদস্য পদ নিয়ে রাজনীতি শুরু করেন, তিনি মুসলিমলীগ প্রতিষ্ঠার বিরোধিতা করেন। কারণ জিন্নাহ তার কংগ্রেসের রাজনীতির দর্শনের ভিতর থেকে হিন্দু-মুসলিম ইউনিটি দেখতেন। তিনি হিন্দু-মুসলিম একত্র রেখে ভারতীয় জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসী হয়ে ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন করে স্বাধীন ভারত রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করার সংগ্রামে লিপ্ত ছিলেন। কিন্তু মুসলিমলীগের অগ্রযাত্রা দেখে এবং ভারতী মুসলিমদের এর প্রতি সমর্থন দেখে ১৯১৩ সালে জিন্নাহ মুসলিমলীগে যোগদান করেন এবং ১৯১৬ সালে জিন্নাহ মুসলিমলীগের সভাপতি হন। জিন্নাহ একই সাথে কংগ্রেস ও মুসলিমলীগ করতেন, এবং এই দুই দলের মাধ্যমে তিনি হিদু-মুসলিম অনেক রাজনৈতিক মতপার্থক্য দূর করতে উদ্যোগ নেন এবং সফলও হন।
ধর্মনিরপক্ষবাদী জিন্নাহ উপলব্ধি করতে শুরু করলেন কংগ্রেসের ধর্মনিরপেক্ষ চিন্তা ভাবনা প্রকারন্তে হিন্দু জাতীয়বাদকেই বিকাশ করছে এবং মুসলমানরা সমাজে নিষ্পেষিত ও নিগৃহীত হচ্ছে। তার উপলব্ধি থেকেই তিনি ১৯২০ সালে গান্ধীর Satyagraha আন্দোলনকে সমর্থন করতে পারেননি, আর এটার কারণে কংগ্রেসে তাকে লাঞ্চনা ও বঞ্চনার শিকার হতে হয়। এক প্রকার অভিমান করেই তিনি ১৯২০ সালেই কংগ্রেস ও মুসলিমলীগ রাজনীতি ত্যাগ করে বিলেতে গিয়ে ল প্রাকটিস শুরু করেন।
ধর্মনিরপেক্ষ চেতনা যে মুসলিম জাতীয়তার চেতনার সাথে সাংঘর্ষিক এবং অন্তরায় এটা পরিপূর্ণভাবে উপলব্ধি করতে জিন্নাহর সময় লেগেছিল অনেক বছর। অবশেষে ১৯৩০ সালে আল্লামা ইকবালের ভারতের তত্কালীন সামাজিক বাস্তবতায় মুসলিম জাতীয়তাবাদ চেতনা বিকাশের জন্য একমাত্র পথই যে একট স্বাধীন মুসলিম রাষ্ট্র, এই দর্শনই জিন্নাহর চিন্তা-ভাবনাকে দারুন ভাবে আলোড়িত করে এবং পরিবর্তন করে। ভারতে মুসলিম সমাজের দুরদশার কথা চিন্তা করে তিনি তার ধর্মনিরপক্ষবাদী চেতনা থেকে মুসলিম জাতীয়তাবাদ চেতনায় রূপান্তর হন ১৯৩০ সালে। ইকবালের আদর্শকে ধারণ করে এবং ইকবালসহ তখনকার মুসলিমলীগের শীর্ষ নেতাদের অনুরোধে জিন্নাহ ১৯৩৪ সালে ভারতে আবার ফিরে আসে মুসলিমলীগের হল ধরেন। আর এখান থেকেই জিন্নাহর রাজনীতিতে দ্বিতীয় পর্ব শুরু একজন মুসলিম জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসী মানুষ হিসেবে। আর এই নতুন জাগরিত জিন্নাহ কংগ্রেসের সাথে তর্কের লড়াই শুরু করেন এবং বৃটিশ রাজের সাথে লড়তে থাকেন ভারতবর্ষে সামিজিকভাবে নিগৃহীত মুসলমানদের মুক্তি সংগ্রামের জন্য। তার এই লড়ায়ের শেষ প্রান্তে এসে ১৯৪৭ সালে হিন্দু জাতীয়তাবাদ ও মুসলিম জাতীয়তার চেতনা বিদ্দেশী ধর্মনিরপেক্ষ সমাজতান্ত্রিক নাস্তিকদের চাদর ছিড়ে ভারত উপমহাদেশের মুসলমানদের জন্য একটি মুক্ত স্বাধীন রাষ্ট্রের গোড়াপত্তন করেন। দীর্ঘ সংগ্রামের পর নানা সংঘাতের ভীতর দিয়ে ভারত উপমহাদেশে ১৯৪৭ সালে ২ টি স্বাধীন রাষ্টের জন্ম ছিল একটি নিরুপায় বাস্তবতা। এই বাস্তবতার উপলব্ধি ছিল সবার কিন্তু কঠিন সত্য বাস্তবতা মানতে অস্বীকার করে অনেকে। তার মধ্যে ভারতের ধর্মনিরপেক্ষ সমাজতন্ত্রে ও নাস্তিক ধর্মে বিশ্বাসী লোকেরাই ছিল বেশি। তাই তারা ১৯৪৭ সালের পর থেকেই পূর্ব-পাকিস্তানে অর্থাৎ পূর্ব-বাংলায় তাদের মতাদর্শে বিশ্বাসী সমাজতান্ত্রিক চিন্তা-ধারার লোকদের ভিতরে ধর্মনিরপেক্ষর নামে হিন্দু সংস্কৃতি ও নাস্তিক জাতীয়তাবাদ চেতনা মাথায় তুলে দেন।
বাংলাদেশের একশ্রেনীর সুশীল, বুদ্ধিজীবী, রাজনৈতিক ও মিডিয়াব্যক্তিত্ব ধর্মবিরপেক্ষবাদী জিন্নাহর আলোচনা করতে বললে তারা জিন্নাহর এতই গুনগান গায় যে তা একদিনের আলোচনায় শেষ করা যায় না। কিন্তু সেই একই লোকদেরকে যখন মুসলিম জাতীয়তবাদী জিন্নাহর কথা বলা হলে তারাই আবার জিন্নাহকে ধর্মান্ধ এবং ভারত মাতার বিশ্বাসঘাতক বলে গালি-গালাজ করে। এই বুদ্ধিবৃত্তিক লোকদেরকে যখন কংগ্রেসের জিন্নাহকে বিশ্লেষণ করতে বলা হয় তখন তারা জিন্নাহকে মানবতাবাদী ও স্বাধীনতাকামী একজন খাটি ভারতী বলে প্রশংসা করে পাতার পর পাতা লিখে ফেলে; আবার এদেরকেই যখন মুসলিমলীগের জিন্নাহকে বিশ্লেষণ করতে বলা হলে, তারা জিন্নাহকে পাকিস্তান জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসী ও অখন্ড ভারতের স্বাধীনতা বিরোধী বলে বদনাম করে।
তার মানে এই দারায় যে আমাদের দেশের সেই স্বঘোষিত প্রগতিবাদী লোকেরা একই ব্যক্তির ধর্মনিরপেক্ষবাদী বিশ্বাসের প্রশংসা করেন আর মুলিম জাতীয়তাবাদ বিশ্বাসকে বদনাম করেন। এ থেকে তারা এটাই প্রমান করেন যে ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ ও মুসলিম জাতীয়তাবাদ কখনও একসাথে যায় না, বরং এই দুটা পরস্পর বিপরীত ও সাংঘর্ষিক। তাহলে আমাদের দেশের এই স্বঘোষিত প্রগতিবাদী লোক তাদের বক্তব্য দিয়েই প্রমান করেন যে তাদের ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ মুসলিম জাতীয়তাবাদের বিরোধী এবং হিন্দু সংস্কৃতি ও নাস্তিক জাতীয়তাবাদের সহযোগী। আসলে এদের ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ আর কিছুই না এটা হিন্দু সংস্কৃতি ও নাস্তিক জাতীয়তাবাদ, আর তারা ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ শব্দটি দিয়ে বাংলাদেশের মুসলমানদেরকে বোকা বানান ও ধোকা দেন। ধর্মনিরপেক্ষর নামে হিন্দু সংস্কৃতি ও নাস্তিক জাতীয়তাবাদ চেতনা হলো ১৯৪৭ সালের পূর্বের চেতনা, আর এর কথায় আমি আমার আগের কিছু লেখায় উল্লেখ করেছি। এদের কেবলা মক্কা শরিফ না, এদের কেবলা হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ। আর এ কারণেই আমরা শাহবাগের আন্দোলনের সময় দেখলাম পশ্চিমবঙ্গ কেবলা থেকে কিছু পুরোহিত শাহবাগে আসে ১৯৭১-এর চেতনার মোড়কে পুজো-প্রার্থনার দীক্ষা দিয়ে গেলেন।
১৯৪৭ সালের পূর্বের চেতনা অর্থাৎ হিন্দু সংস্কৃতি ও নাস্তিক জাতীয়তাবাদের চেতনাকে ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধের মোড়ক দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বলে গত ৪ বছরে এই ১৪ দলীয় সরকার বিভিন্ন ডিজিটাল ও এনালগ পদ্ধতিতে এর ব্যাপক প্রচার এবং প্রসার চালাতে লাগলো। তারই ধারাবাহিকতায় শাহবাগের আন্দোলনে মাধ্যমে এই আবৃত চেতনাকে বাংলাদেশের এক শ্রেনী এবং ভারতের মিডিয়া ঢাকঢোল পিটিয়ে বাজারজাত করতে লেগে গেছিল। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সাথে ১৯৪৭ সালের পূর্বের চেতনা অর্থাৎ হিন্দু সংস্কৃতি ও নাস্তিক জাতীয়তাবাদের চেতনার কোন সম্পর্ক নেই। বাংলাদেশের মানুষ মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বলতে অত্যাচারী জুলুমবাজ পাক শাসকের বিরুদ্ধে শোষিত শ্রেনীর মুক্তি সংগ্রাম বোঝে; মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বলতে অর্থনৈতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক বৈসম্মের বিরুদ্ধে সংগ্রাম বোঝে; মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বলতে পাক হানাদার বাহিনীর গণহত্যা থেকে বেচে থাকার সশস্ত্র সংগ্রাম বোঝে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বলতে কখনই ইসলাম ধর্ম বিরোধী কর্মকান্ড বোঝে না। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বলতে বাংলাদেশের বাঙালী বা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদ বোঝে, সেটা কখনও ভারতীয় বাঙালী জাতীয়তাবাদ বুঝায় না। সময়ের সাথে সাথে ধর্মীয় বিশ্বাস ও মূল্যবোধের কারণে আজ বাংলাদেশের বাঙালী সংস্কৃতি এবং ভারতীয় বাঙালী সংস্কৃতির মধ্যে অনেক ব্যবধান, চিন্তা চেতনার পার্থক্য বিস্তর। ডিজিটাল ইন্টারনেটের যুগে এ ব্যবধান আরো বাড়বে, কমবে না।
বাঙালী জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসী আওয়ামীলীগের ১৪ দল ২০০৮ সালে ক্ষমতায় আসার শর্ত হিসেবে হিন্দু সংস্কৃতি ও নাস্তিক জাতীয়তাবাদের চেতনা সংবিধানে সংযোজনের অঙ্গীকার করে ভারত ও ১/১১ এর সরকারকে। ক্ষমতা গ্রহণ করার পর আওয়ামিলীগ তার এই অঙ্গীকার পূর্ণ করেন সংবিধানের ইসলাম ধর্মকে ধর্মনিরপেক্ষ সমাজতন্ত্র দ্বারা প্রতিস্থাপন করে। সংবিধানের সংশোধনীর সাথে সাথে ধর্মনিরপেক্ষ সমাজতন্ত্র নামে হিন্দু সংস্কৃতি ও নাস্তিক জাতীয়তাবাদের চেতনার উপর ভিত্তি করে তৈরী হতে থাকে একের পর এক অনলাইন ও অফলাইন ডিজিটাল মিডিয়া। আর আওয়ামিলীগ এক হাতে তার বাঙালী জাতীয়তাবাদ এবং অন্য হাতে এই নতুনরুপী পুরাতন জাতীয়তাবাদ নিয়ে ছুটতে থাকে সারা বাংলাদেশে। সর্বশেষে গত মাসে ভারত ও বাম রাজনীতিবিদেরা শাহবাগী মরিচিকা আন্দোলনের আকর্ষণ দেখিয়ে আওয়ামীলীগকে শাহবাগে টেনে এনে তার হাত থেকে বাঙালী জাতীয়তাবাদ কেড়ে নিয়ে তার মাথায় হিন্দু সংস্কৃতি ও নাস্তিক জাতীয়তাবাদ বসায় দেয়। অন্ধ-ক্ষমতালোভী আওয়ামিলীগ তার সুদীর্ঘ ৬০ বছরের বাঙালী জাতীয়তাবাদের চেতনা বলি দিয়ে হিন্দু সংস্কৃতি ও নাস্তিক জাতীয়তাবাদ বুকে ধারণ করে নিয়েছে। আওয়ামীলীগের এই ত্যাগ ও নতুন জাগরণ বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষকে পরিষ্কারভাবে ২ টি ধারায় বিভক্ত করে দিয়েছে।
২০১৩ সালের শুরু হলো বাংলাদেশের এক নতুন রাজনৈতিক যুদ্ধ - হিন্দু সংস্কৃতি ও নাস্তিক জাতীয়তাবাদ বনাম মুসলিম ও বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ। আজ রাজপথে মুসলিম ও দেশ প্রেমের চেতনায় বিশ্বাসী মানুষেরা রক্তের বিনিময়ে রুখে দাড়িয়েছে হিন্দু সংস্কৃতি ও নাস্তিক জাতীয়তাবাদের চেতনায় বিশ্বাসী শক্তির বিপক্ষে। বিশ্বাসের এক রক্তক্ষয়ী সংঘাত শুরু হয়েছে রাজপথে।
(১) http://en.wikipedia.org/wiki/Atheism_in_Hinduism
বিষয়: রাজনীতি
২৬৫৯ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন