নাস্তিকতা একটি ধর্মের নাম, আর ধর্মনিরপক্ষ রাষ্ট্রও একটি ধর্মীয় রাষ্ট্রের নাম

লিখেছেন লিখেছেন তারিক আলাম ২২ মার্চ, ২০১৩, ০৭:৪১:৪১ সকাল

এই লিখাটা আমার "ধর্ম দর্শন : মানুষ, ধর্ম ও রাজনীতি" থেকে নেওয়া -

...বিশ্বাসী হচ্ছে ধর্মের মূল, বিশ্বাসই ধর্ম। সুতরাং বিশ্বভ্রমন্ডর একজন সৃষ্টকর্তা সৃষ্টি করেছেন এটা যেমন একটা বিশ্বাস, অন্যদিকে বিশ্বভ্রমন্ডর একজন সৃষ্টকর্তা বা কোনো সৃষ্টকর্তা নাই এটাও একটা বিশ্বাস, আর এই বিশ্বাসই হচ্ছে নাস্তিকবাদ ধর্মের মূল। নাস্তিকবাদ ধর্মের যারা বিশ্বাস করে তারাই নাস্তিক। যখন কোনো ধর্ম বিশ্বাসের উপর আঘাত করা হয় তখন সেটা আরেক ধর্ম বিশ্বাস দিয়েই করা হয়। ধর্মকে আঘাত শুধু ধর্মই করে, অন্য কিছু করে না। ধর্মের সাথে ধর্মরই যুদ্ধ হয়, অন্য কারো সাথে হয় না।

বিশ্বাসই বা ধর্মই যেহেতু নীতির মূল তাই রাজনীতিকে বিশ্বাস বা ধর্ম মুক্ত করা যায় না। রাজনীতি থেকে ধর্মকে আলাদা করতে হলে সেটা আরেকটা ধর্ম দিয়ে করতে হবে। অর্থাৎ ধর্মই পারে ধর্মকে প্রতিস্হাপন করেতে। ধর্মের জায়গা কখনো খালি থাকেনা সেটা আরেক ধর্ম দিয়ে পূরণ হয়।

ধর্মনিরপক্ষ রাষ্ট্র মানে ধর্মমুক্ত রাষ্ট্র, অর্থাৎ রাষ্ট্রের নীতিমালা সকল ধর্ম বা বিশ্বাস থেকে মুক্ত থাকবে। শুধু ধর্মই যেহেতু পারে ধর্মকে প্রতিস্হাপন করেতে, ধর্মের জায়গা শুধু আরেক ধর্ম দিয়েই যেহেতু পূরণ হয়, তাই ধর্মমুক্ত রাষ্ট্র ব্যবস্তাও একট ধর্মীয় রাষ্ট্র ব্যবস্তা; এবং সেই রাষ্ট্রের নীতিমালা যে ধর্মের উপর ভিত্তি করে তৈরী, সে ধর্মের নাম হলো ধর্মমুক্ত ধর্ম বা নাস্তিক ধর্ম অথবা এক বা একাধিক প্রচলিত ধর্মের সংমিশ্রনে একট নতুন ধর্ম। সুতরাং ধর্মনিরপক্ষ রাষ্ট্রের নীতিমালা নাস্তিকতাবাদ বা নতুন কোনো ধর্মের উপর ভিত্তি করে তৈরী হয়।

বিশ্বাসহীন বা ধর্মহীন মানুষ আর পশুর মধ্যে চিন্তা চেতনার কোনো পার্থক্য নেই, পার্থক্যটা শুধু শারীরিক গঠন প্রণালীতে। সুতরাং মানুষ হিসেবে নিজেকে দাবি করলে তা অব্যশই বিশ্বাসী বা ধর্মীয় মানুষ হতে হবে, সেটা যে ধর্মই হোক না কেন।

বিষয়: রাজনীতি

১২৫৯ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File