প্রেম, দ্রোহ ও মানবতার কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৩৭তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ ।
লিখেছেন লিখেছেন লেখক ২৭ আগস্ট, ২০১৩, ০১:১২:৩৮ দুপুর
বল বীর -
বল উন্নত মম শির!
শির নেহারি আমারি, নত শির ওই শিখর হিমাদ্রির!
[অগ্নি-বীণা]
উম্মত আমি গুনাহগার
তবু ভয় নাহি রে আমার
আহমদ আমার নবী
যিনি খোদ হাবিব খোদার।।
(গুল বাগিচা)
আজ ১২ ভাদ্র। প্রেম, দ্রোহ ও মানবতার কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৩৭তম মৃত্যুবার্ষিকী। ১৩৮৩ বঙ্গাব্দের ১২ ভাদ্র (১৯৭৬ সালের ২৭ আগস্ট) ঢাকার তৎকালীন পিজি হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
দারিদ্র্যের কষাঘাতে জর্জরিত হয়েও তিনি কখনো আপস করেননি। মাথা নত করেননি লোভ-লালসা, খ্যাতি, অর্থবিত্তের বৈভবের কাছে। 'চির উন্নত মম শির' বলে আজীবন সংগ্রাম করে গেছেন শোষিত-বঞ্চিত মানুষের মুক্তির জন্য।
মানবতার মুক্তির পাশাপাশি সাম্প্রদায়িকতা, ধর্মান্ধতা, কুসংস্কার, কূপমণ্ডুকতার বিরুদ্ধেও তিনি ছিলেন সোচ্চার। তার সাহিত্যকর্মে প্রাধান্য পেয়েছে ভালোবাসা, মুক্তি এবং বিদ্রোহ। একাধারে কবি, সাহিত্যিক, সংগীতজ্ঞ, সাংবাদিক, রাজনীতিবিদ এবং সৈনিক হিসেবে অন্যায়ের বিরুদ্ধে তিনি ছিলেন সোচ্চার।
১৮৯৯ সালের ২৫ মে (১৩০৬ বঙ্গাব্দের ১১ জ্যৈষ্ঠ) ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার আসানসোল মহকুমার চুরুলিয়া গ্রামে জন্ম হয় নজরুলের। ছোটবেলায় দুখু মিয়া ছিল ডাকনাম। রুটির দোকানে কাজ করেছেন। মক্তবে পড়িয়েছেন। যাত্রা দলের হয়ে গান লিখেছেন। এর ভেতর দিয়ে তার হাতে সৃষ্টি হয়েছে গান, কবিতা, প্রবন্ধ, গল্প, উপন্যাস, ছোট গল্পসহ অসংখ্য রচনা।সংগীত রচনায় নজরুল অসাধারণ প্রতিভার স্বাক্ষর রাখেন। তিনি প্রায় তিন হাজার গান রচনা ও সুরকরেছেন।
১৯৭২ সালের ২৪ মে বাংলাদেশের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কবিকে বাংলাদেশে নিয়ে আসেন। বাংলা সাহিত্যে তার বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ১৯৭৪সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কবিকে সম্মানসূচক ডি. লিট উপাধি দেন। ১৯৭৬ সালে বাংলাদেশ সরকার কবিকে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব দেয়। একই বছরের ২১ ফেব্রুয়ারি কবিকে দেওয়া হয় একুশে পদক।
বিষয়: সাহিত্য
১৩১৭ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন