আজ বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১১৪ তম জন্মবার্ষিকী
লিখেছেন লিখেছেন লেখক ২৫ মে, ২০১৩, ০৮:০৫:১৩ রাত
আজ ১১ জ্যৈষ্ঠ। বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১১৪ তম জন্মবার্ষিকী। ১৮৯৯ খ্রীষ্টাব্দের এই দিনে ভারতের বর্ধমান জেলার চুরুলিয়া গ্রামে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। নজরুল আমাদের জাতীয় কবি। বৃটিশ শাসনের নাগপাশাবদ্ধ বাংলার জাতীয় জীবনের দুর্যোগময় মুহুর্তে ধুমকেতুর মতোই আকষ্মিকভাবে কাজী নজরুল ইসলামের আবির্ভাব। হিন্দু-মুসলিম স্বতন্ত্র ঐতিহ্য ধারায় বিভক্ত বাংলা সাহিত্যের গৎবাঁধা প্রবাহে তিনি সংযোজন করেন বৈচিত্রের সুর।
সাহিত্যকে নজরুল গ্রহণ করেছিলেন সমাজ বদলের হাতিয়ার হিসেবে। রাজনৈতিক শোষণ-বঞ্চনা, সামাজিক বিভেদ-বৈষম্য, কুসংস্কার, ধর্মের নামে ধর্মহীনতায় অবদমিত মানবতাবোধ এবং এসব থেকে মুক্তির আকুতি মূর্ত হয়ে ওঠে তাঁর সাহিত্যে।
ধর্ম ও বর্ণ ও দেশকালের সীমারেখা অতিক্রমী সার্বজনীন মানব প্রেমের দুর্বার শক্তির উদ্বোধনই ছিল তাঁর সৃষ্টির মূল উপজীব্য। তাঁর কাব্য-গান, গল্প উপন্যাস ও প্রবন্ধ-নাটকের মূল সুর মানব নিবর্তনমূলক বিধি ব্যবস্থা, আচরণ ও স্বার্থ সংকীর্ণতার বিরুদ্ধে প্রকাশ্য বিদ্রোহের সুর। ‘অগ্নিবীণা’র আগুনঝরা এই সুরে নির্জীব পরাধীন জাতির প্রাণে সঞ্চার করতে সক্ষম হন জাগরণী চেতনা।
তিনি বিদ্রোহী, তিনি সংগ্রামী, তিনি প্রেমিক, আবার তিনিই শান্তির বার্তাবাহক।তাঁর কবিতা ও গান বৃটিশ বিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে বাঙালীর সকল আন্দোলন-সংগ্রামে প্রেরণা যুগিয়েছে। তাঁর সাহিত্যে প্রতিফলিত হয়েছে নির্যাতিত জাতির হৃদয়ের রক্তক্ষরণ ও মুক্তি আকাঙ্খার চিত্র। তাঁর সৃষ্টি সম্ভাব বাংলা সাতিহ্যের অমূল্য সম্পদ।প্রকৃত অসাম্প্রদায়িক চেতনায় উদ্ভাসিত কবি মানুষের সংকীর্ণতা, দীনতা, মূঢ়তা, নীচতাকে মনেপ্রাণে ঘৃণা করেছেন।
বিশেষ দ্রষ্টব্য: কবির জন্মদিনে তাকে নিয়ে একটি লেখাও নির্বাচিত না করায় অনেক দুঃখ পেলাম।আজ কবির জন্মদিনে তাকে স্মরণ করছি গভীর শ্রদ্ধা আর ভালবাসায়।
বিষয়: সাহিত্য
১২৩৬ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন