হেফাজতের লংমার্চ প্রত্যাশা এবং প্রাপ্তি
লিখেছেন লিখেছেন লেখক ১৮ এপ্রিল, ২০১৩, ০৯:২৮:০৮ রাত
লেখার শুরুতেই মহান আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করছি এজন্য যে,বর্তমান আওয়ামী সরকারের সীমাহীন বাধা-বিপত্তি,হামলা,মামলা,হরতাল সহ সকল সমস্যা মোকাবেলা করে হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা আহমদ শাফীর আহ্বানে এ দেশের ইসলাম প্রিয় জনতা দেশের ইতিহাসে সর্ববৃহৎ ল্ংমার্চ সফলভাবে সম্পন্ন করতে পেরেছে।অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি ঢাকার সকল অধিবাসীদের যারা তাদের শ্রম,মেধা,অর্থ,পানি,খাবার ইত্যাদি দিয়ে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন মুসাফিরদের প্রতি।ঢাকাবাসী লংমার্চে আগত জনতার প্রতি যে মেহমানদারী দেখিয়েছে তা এদেশের রাজনীতির ইতিহাসে বিরল।
একটি সফল লংমার্চের পরিসমাপ্তির পর এখন সময় পর্যালোচনার।এ সমাবেশ থেকে আপমর জনতার কি প্রত্যাশা ছিল আর তারা কি পেয়েছে?আমরা যদি ইসলাম প্রিয় জনতার প্রত্যাশার দিকে লক্ষ করি তাহলে দেখব,এ সমাবেশ নেয়ে তাদের প্রত্যাশা ছিল বিশাল।আর এ কারণেই সাধারণ মানুষ দল-মত নির্বিশেষে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যোগ দিয়েছিল এ লংমার্চে।সবার মাঝেই কাজ করছিল একটি নবজাগরণের চেতনা।আমরা যদি সমাবেশের প্রথম দিকের বক্তাদের বক্তব্য গুলো শুনি,তাহলে দেখব তাদের বক্তব্যের মধ্যেও ছিল সে চেতনা প্রতিফলন।প্রায় সব বক্তাই বলছিলেন নাস্তিকদের ফাঁসি নাহওয়া পর্যন্ত আমরা ঘরে ফিরে যাবনা।মতিঝিল ছাড়াও দেশের প্রতিটি বিভাগীয় শহরে ঘরে উঠেছিল "ইসলামী জাগরণ মঞ্চ"।সবাই আশা করেছিল কঠিন কোন কর্মসূচী আসবে।কিন্তু যখন কর্মসূচী ঘোষণা করা হল তখন দেখা গেল শুধুমাত্র একদিন হরতাল আহ্বান করে সরকারকে এক মাসের সময় বেধে দেয়া হল।আর সাথে দেয়া হল কিছু নরম কর্মসূচী।
আমরা যদি বাংলাদেশে দাবি আদায়ের জন্য সংগঠিত আন্দোলনের ইতিহাস দেখি,তাহলে দেখব কঠোর কর্মসূচী। ছাড়া কোন দাবিই আদায় হয়নি।স্বৈরাচার পতন আন্দোলন,তত্ত্বাবধায়ক সরকার আন্দোলন সহ যত আন্দোলন সফল হয়েছে তার পিছনে ছিল লাগাতার কঠোর কর্মসূচী।এত বিশাল জনসমর্থন থাকার পরও মতিঝিল থেকে কেন লাগাতার কঠোর আন্দোলনের ডাক দেয়া হলনা তা আমার বোধগম্য নয়।এক মাসের যে নরম কর্মসূচী দেয়া হয়েছে তাতে দাবি আদায় হবে বলে আমার মনে হয় না।সরকার যে হেফাজতের দাবি এত সহজে মেনে নেবে না তা মাহবুবুল আলম হানিফের কথায়ই স্পষ্ট।তিনি বলেছেন,হেফাজতের দাবি মধযুগিয়ও।
শাহবাগী ব্লগাররা সহ সরকারের বিভিন্ন মহল ও মন্ত্রীরা হেফাজতের ১৩ দাফা নিয়ে বিরূপ মন্তব্য বরেছেন।এরই মধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে।গ্রেফতার করা হয়েছে আমার দেশের সাংবাদিক,প্রেস কর্মচারী সহ ১৯ জনকে।মামলায় আসামী করা হয়েছে মাহমুদুর রহমানের মাকে,দৈনিক সংগ্রামের সম্পাদক আবুল আসাদকে।
লংমার্চ থেকে ঘোষণা দেয়া হয়েছিল মাহমুদুর রহমানকে গ্রেফতার করা হলে কঠোর আন্দোলনের কর্মসূচী দেয়া হবে।কিন্তু পর্যন্ত কোন কার্যকর আন্দোলন গড়ে উঠেনি।
এ পরিস্থিতিতে আগামী দিনে আন্দোলন কোন দিকে যাবে না খুব সহসা বলা যাচ্ছে না।তবে যদি এই অচল অবস্থার অবসান না হয় তাহলে তা যে দেশের জন্য কোন ভাল ফল বয়ে আনবেনা তা হলপ করেই বলা যায়।দেশের বিরাজমান অচল অবস্থার অবসান হোক।সাধারণ মানুষের জীবনে ফিরে আসুক স্বাভাবিক সস্থি ।রাজনীতিতে জন্ম নিক সহযোগিতা,সহমর্মিতা ও পরমত সহিনুচুতার পরিবেশ।এ কামনায় শেষ করছি।
বিষয়: বিবিধ
১৩৬০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন