আজকের বাংলাদেশ-১

লিখেছেন লিখেছেন তিতুমির ২৩ মার্চ, ২০১৩, ০১:১৪:৪০ রাত

বাংলাদেশ জামাতে ইসলামী ৮০' এর দশকের স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত গণতান্ত্রিক আন্দোলনে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি উল্লেখযোগ্য নাম।এটা স্বীকার করতে হয়ত অনেকেরই কষ্ট হবে কিন্তু সত্য স্বীকার করলেও যা,না স্বীকার করলেও তা; সত্য সত্যই থাকবে।

জামাতের বর্তমান রাজনৈতিক অবস্থান স্বীকার করতে চায় না দেশের বাম দলের নেতারা।যাদের ভোটের কোন পারসেন্টই নাই।আর আওয়ামীলীগ স্বীকার করতে চায় না কারন ভয় যদি স্বীকার করলেই নিজেরা ছোট হয়ে যায়।

এ প্রসঙ্গে ব্যারিস্টার রফিকুল হক বলেছেন-

জামাত একটি বড় এবং শক্তিশালী দল, এবং শিবিরের ছেলেরা অনেক স্মার্ট।


এমন একটি দল যা ২০০৫ থেকে আজ পর্যন্ত নিষিদ্ধই বলতে হবে। প্রকাশ্যে তো নয়ই, গোপনেও কোনরকম কার্যক্রমই চালাতে দিচ্ছে না। এমতাবস্থায় তাদের দলীয় নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে মামলা চলছে। যদিও জামাত প্রথম থেকেই বলে আসছিলো যে এই মামলা সাজানো নাটক।এবং এই অভিযোগ জামাতের লোকজন ছাড়া অন্য কেউ বিশ্বাস করতো কিনা সন্দেহ কিন্তু গত ডিসেম্বরে স্কাইপ কেলেঙ্কারির পর বিচারপতি যখন প্রতিবাদ ছাড়াই সরে গিয়েছেন এবং সাইদির বিরুদ্ধে সাক্ষী দিতে এসে, উল্টো সাইদীর পক্ষে সাক্ষী দিতে চাওয়ায় তাঁকে সরকারি বিশেষ এজেন্সি দ্বারা গুম করা হল।তখন জামাতের অভিযোগের সত্যতাই প্রমাণিত হয় এবং এর ফলশ্রুতিতে গত ডিসেম্বর থেকে আজ পর্যন্ত মাঠের দখল জামাতেরই। এই বাস্তবতায় হঠাৎ উপলব্ধিতে খালেদা জিয়ার মাঠে প্রবেশ।পরপরই বি এন পির ১৫১ জন নেতৃবৃন্দের ডাণ্ডা বেড়ি পরিয়ে রিমান্ডে নেয়া এবং অন্যদিকে হেফাজতে ইসলামের ঢাকামুখী লংমার্চের ঘোষণা- বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি পুরোপুরি বিরোধী দলের অনুকুলে নিয়ে এসেছে। আর এই অবস্থায় নিয়ে আসার জন্য সবচেয়ে বড় ক্রেডিট দিতে হবে আওয়ামীলীগকে। কারন প্রতিবাদ করার অধিকার সবারই আছে। কিন্তু দেখা গেল জামাতের প্রতিবাদ তো দুরের কথা সাধারণ ঘরোয়া প্রোগ্রামই বানচাল করে দিচ্ছে,গ্রেফতার করছে,নির্যাতন করছে, থানায় নিয়ে গুলি করছে।প্রতিক্রিয়ায় জামাতের লোকজন কিছু গাড়ি ভাংচুর করছে, লাঠি দিয়ে পুলিশ পিটাচ্ছে।আজকের হলুদ সাংবাদিকতায় শুধু শিবিরের তাণ্ডবই দেখাচ্ছে কিন্তু শিবিরের তাণ্ডব তো রিএকশন। আর একশন ছাড়া কি রিএকশন হয়? গত তিন মাসের সরকারী একশনে প্রায় দুই শতাধিক লোকের প্রাণহানির বিপরীতে চার,পাঁচ জন পুলিশের প্রাণহানিতে একশন=রিএকশন এর সুত্র টি ভুল প্রমাণিত হয় শুধু জামাত শিবিরের ইসলাম ভিত্তিক রাজনিতির কারণেই।যদি এটি বাম দলের হত তবে ২০০ এর বিপরীতে ৫০০ থেকে ১০০০ লাশ পড়ে যেত।

কিন্তু এই অবস্থা কিছুই হত না যদি আওয়ামী পুলিশ জামাতকে তার স্বাভাবিক প্রতিবাদ প্রকাশ করতে দিতো। আর তার বাস্তব প্রমান মতিঝিলে জামাত-শিবিরকে স্বাভাবিক প্রোগ্রাম করতে দেওয়ায় কোন সহিংসতা তো হয়ই নাই, বরং পুলিশকে শিবির কর্তৃক ফুল দিয়ে বরণ করে নেয়া হয়েছিলো। আর এটা কোন হলুদ সাংবাদিকরাও স্বীকার না করে পারে নাই। ফলে আজকের যে ভয়াবহ রাজনতিক অনিশ্চয়তা তা হয়তো আওামিলিগের রাজনৈতিক অদূরদর্শিতা ও বোকামির ফল, অথবা ইচ্ছাকৃত। আর আওয়ামীলীগের রাজনৈতিক গুরু যখন ভারত ও ইসরাইল,সেখানে অদূরদর্শিতা ও বোকামির প্রশ্নই আসে না। বাকি রইল ইচ্ছাকৃত ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি।আর এটাকেই বলে ঘোলা জল।কেউ কেউ ঘোলা জলে মাছ স্বীকার করতে ভালবাসে অথবা ঘোলা জল খেতে ভালবাসে। আর গাধারাই ঘোলা জল খায় কারন ঘোলা জলে গাধারা নিজের চেহারা দেখতে পায় না।

বিষয়: রাজনীতি

৯৩৪ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File