বাংলাদেশে ভারতবিরোধী জনমত বাড়ছে

লিখেছেন লিখেছেন তিতুমির ০২ জানুয়ারি, ২০১৪, ০৫:০৪:৪৭ বিকাল

বাংলাদেশে ভারতবিরোধী জনমত বাড়ছে

: বাংলাদেশে ভারতবিরোধী জনমত বেড়েছে বলে মন্তব্য করেছে ভারতের প্রভাবশালী ইংরেজি দৈনিক দ্য হিন্দু। গতকাল ‘আনসার্টেইনটি ইন বাংলাদেশ’ শিরোনামে প্রকাশিত সম্পাদকীয়তে এই মন্তব্য করা হয়। এতে আরো বলা হয়, মনে হয় বাংলাদেশে ৫ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচন নিয়ে প্রধান দুটি রাজনৈতিক দলের মধ্যে সমঝোতার এখনও সামান্য সুযোগ আছে। সম্পাদকীয়তে বলা হয়, ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে বিরোধীদলের ওপর খুবই ন্যক্কারজনক সন্ত্রাসী আক্রমণ চালাচ্ছে। এর প্রেক্ষিতে বিএনপি ১ জানুয়ারি থেকে সারাদেশে রাজপথ, রেলপথ ও নৌপথ অবরোধের ডাক দিয়েছে।

দ্য হিন্দুর সম্পাদকীয়তে বাংলাদেশের চলমান সংকটের কথা উল্লেখ করে বলা হয়, এই সংকট ভারতের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ নীতির প্রতি কঠিন চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে। এটা কোনো গোপন বিষয় নয় যে, নয়া দিল্লির সঙ্গে ঢাকার সম্পর্কের বড় জায়গা জুড়ে রয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। ভারতের পররাষ্ট্রনীতির দৃষ্টিকোণ থেকে এবং বিশেষ করে জাতীয় নিরাপত্তার উদ্দেশ্যের থেকে দেখলে গত পাঁচ বছরে বাংলাদেশের সঙ্গে এর চেয়ে ভালো সম্পর্ক আর কখনোই ছিল না।

দ্য হিন্দুর ওই সম্পাদকীয়তে আরো উল্লেখ করা হয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের ইসলামী উগ্রপন্থী এবং ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় এলাকাগুলোর বিচ্ছিন্নতাবাদীদের আস্তানা গুঁড়িয়ে দিয়েছেন। তবে এই সমীকরণের ফলে বাংলাদেশে ভারতবিরোধী জনমত অবিশ্বাস্য উচ্চতায় পৌঁছেছে। কারণ ঢাকা যেভাবে ছাড় দিয়েছে নয়া দিল্লি সেভাবে কিছুই করেনি। যেমন বাস্তবায়বান করেনি তিস্তা চুক্তি।

সম্পাদকীয়তে আরো বলা হয়, বিরোধী দলের প্রতি নমনীয় হতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পরামর্শ দিতে পারত ভারত। কিন্তু ইতোমধ্যেই অনেক দেরি হয়ে গেছে। ভারত আশঙ্কা করছে নির্বাচন পরবর্তী বাংলাদেশ আরো অস্থিতিশীলতার দিকে যেতে পারে। সমস্যাসঙ্কুল প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বাংলাদেশে যে সরকার ক্ষমতায় আসবে তার সঙ্গে সম্পর্ক রক্ষা দিল্লির জন্য আরো জটিল হয়ে পড়বে।

সম্পাদকীয়তে বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে বলা হয়, বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া কার্যত গৃহবন্দি। আরেকজন রাজনীতিক জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সাবেক সামরিক শাসক এইচ এম এরশাদ নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেয়ার পর তাকে কমান্ডোরা ধরে নিয়ে গিয়ে সামরিক হাসপাতালে ভর্তি করেছে। যদিও এরশাদের জাতীয় পার্টি ক্ষমতাসীন জোটের দ্বিতীয় বৃহত্তম শরীক। ফলে এই নির্বাচনে বড় দলের মধ্যে শুধু আওয়ামী লীগই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। জামায়াতকে নির্বাচনে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ৩০০ আসনের সংসদে অর্ধেকেরও বেশি আসনে জয় নিশ্চিত হয়ে যাওয়ায় ক্ষমতাসীন দল নিশ্চিতভাবেই জয়ী হতে যাচ্ছে। কিন্তু এ ধরনের জরাজীর্ণ নির্বাচনে বিজয় সেই রকম বৈধতার ধারে কাছেও যেতে পারবে না -যেটি আওয়ামী পেয়েছিল ২০০৮ সালের জয়ের পর।

একেই বলে আল্লাহর মাইর দুনিয়ার বাইর।

এত ডিশের চেনেল , ইন্ডিয়ার নায়ক, নায়িকার , শিল্পীদের

আনাগোনা সব বিফলে গেল।

অতএব মরলেও লাভ , বাচলেও

লাভ। এটা শুধু ইমানদারদের বেলতেইয়ে খাটে।

অতএব ইমানদারদের কোনো হতাশা নেই, থাকতে

পারে না.

বিষয়: বিবিধ

১৪৮৯ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

158368
০২ জানুয়ারি ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:১৪
জাগো মানুস জাগো লিখেছেন : yes....bd people are against of india, its for indian policy about bd.

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File