ফরমালিন ইস্যু - - - বার্ড ফ্লু ইস্যুর পরের পর্ব
লিখেছেন লিখেছেন আবদুল্লাহ বাংলাদেশী ২২ জুন, ২০১৪, ০৯:৪৯:০৫ রাত
যেভাবে বার্ড ফ্লুর কথা প্রচার করে বাংলাদেশের পোলট্রি শিল্প ধ্বংস করা হয়েছিলো একই ভাবে "ফরমালিন মেশানো" স্লোগান তুলে বাংলাদেশের ফল চাষিদের ফকির বানানোর চেষ্টা চলছে। অনেকদিন আগে থেকেই বাংলাদেশে বিদেশী ফল আমদানি চলছে, এই ফলগুলো ২/৩ মাসেও পচে না, আকার বিকৃত হয় না, বিদেশী আপেল, মাল্টা, আঙ্গুর, বেদানা কিছুই পচে না। তাহলে এতদিন আমাদের স্বাস্থ্য সচেতন সুশীল সমাজ কোথায় ছিল? তারা কি এই ফরমালিন মেশানো বিদেশী ফল আমদানি নিয়ে কোনদিন প্রশ্ন তুলেছে? নাকি তারা এই বিদেশী ফল আমদানির টাকার ভাগ পায় বলে চুপ ছিল? দেশীয় ফল চাষিদের ব্যবসা বন্ধ করলেই তো দ্বিগুণ বেগে বিদেশী ফল আমদানি বেড়ে যাবে, তখন হয়তো সুশীলদের লাভের অংকটাও বাড়বে।
বাংলাদেশে কোন ফরমালিন তৈরির ফ্যাক্টরি নেই। বাংলাদেশের সব ফরমালিন বিদেশ থেকে আমদানি করা। এই ফরমালিন যে কেউ আমদানি করতে পারে না, একমাত্র সরকার অনুমোদিত প্রতিষ্ঠান ব্যতীত। বাংলাদেশে আপনি চাইলেই ফরমালিন ক্রয় বা বিক্রয় করতে পারবেন না। আলহামদুলিল্লাহ্, বাংলাদেশে প্রতি মৌসুমে ফলের বাম্পার ফলন হয়, এতো আম লিচুতে ফরমালিন মেশাতে কী পরিমাণ ফরমালিন লাগবে একবার ভেবেছেন? এতো বেশী পরিমাণ ফরমালিন কি দেশে আমদানি হয়েছে? সরকারী হিসাব মতে হয়নি। তাহলে এতো আসলো কিভাবে? পাচার হয়ে? তার মানে আবারও "বন্ধু রাষ্ট্র ভারত"? তাহলে এই ফরমালিন কি ইচ্ছে করেই এই দেশে পাচার করা হচ্ছে তারপর তাদের মিডিয়া দিয়ে ফলাও করে প্রচার করা হচ্ছে যাতে এই দেশের ফল চাষিরা ফকির হয়ে যায়, ব্যবসা গুটিয়ে ফেলতে বাধ্য হয়? সুশীলদের চেঁচামেচির চাপে পরে সাধারণ জনগণ দেশী ফল খাওয়া বন্ধ করে দেবে, তারপর তারা ভারতীয় আম, লিচু চড়া দামে কিনে নিজেদের ফলের চাহিদা মেটাবে। "পকেট ভরবে বন্ধু রাষ্ট্রের" আর পকেট খালি হবে "সোনার বাংলার"।
বিষয়: বিবিধ
১২৩১ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন