আল্লাহর রহমত কোথায়?কাদের উপড়?বুঝা কত মুশকিল!!!
লিখেছেন লিখেছেন প্রশান্তি ২৪ মার্চ, ২০১৩, ০১:৪৪:২৯ দুপুর
আল্লাহর রহমত ছাড়া কোন কিছুই হয় না, মনে-প্রাণে, ঈমানে-আকীদায় রেখেই লিখলাম এই লেখাটা। লেখাটা ধর্মীয় গোড়ামী/কট্রর/ধর্মদ্রোহী/নাস্তিক মনে করবেন না। শুধুই জানার জন্য বা নিঃসন্তানদেরকে শান্তনা দেয়ার জন্য...........
এই পৃথিবীতে কতশত দম্পতি আছে যারা দিনরাত স্ব স্ব ধর্মের দেবতা/আল্লাহ/খোদা/ঈশ্বর/ভগবানের কাছে একটি সন্তান প্রার্থনা করছে, হাজার হাজার টাকা খরচ করছে কবিরাজ/পীর-ফকীর/ডাক্তারদের পিছনে। কোন সন্তান হয়না তাদের, নিঃসন্তান তারা, কত দুঃখ তাদের মনে, তাদের উপড় আল্লাহর রহমত হয়না। অথচ যদি কেও ভালবাসা/প্রেম করে নারী-পুরুষ মিলিত হয় সমাজে হেয/ঝামেলা করার জন্য তাদের মাঝে আল্লাহর রহমতের আর সীমা থাকেনা, একদিনের পানিতেই বাচ্চায় ভেসে যায় পুরো এলাকা।
আমি রাজশাহীর বানেশ্বরে ছিলাম ২০০২-২০০৪ইং এসময়ে একজন আটা বিক্রেতা হাস্যচ্ছলে বলেছিল সারাদিন আটা বিক্রি করে ঘর্মাক্ত শরীরে বাসায় যাই আর আটাভেজা শরীরের ঘাম ও যদি বউয়ের ভিতর দেই বাচ্চা হয়ে যায়, বুঝতেও পারিনা কিভাবে হল?
যাদের দরকার হয়না তাদেরকে দেয়,যাদেরকে দিলে তারা বিপদে পরবে তারা পায়, যাদের দরকার বা যারা হাও-মাও করে বাচ্চার জন্য কাদে তারা পায়না। আল্লাহর রহমত কোথায়/কাদের উপড় সেটা জানিনা নাকি আমরা স্বল্প বুদ্ধির মানব জাতী আল্লাহর লীলা খেলা বুঝিনা................দেখুন নিচের ঘটনা........
নিজস্ব প্রতিনিধি
আরটিএনএন
মানিকগঞ্জ: মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার আলন্ডী গ্রামে প্রেমিক সেন্টু হোসেনের (২২) সঙ্গে বিয়ের দাবিতে পাঁচ মাসের অন্তঃস্বত্ত্বা এক প্রেমিকা বাড়িতে এসে এক সপ্তাহ ধরে অনশন করছেন।
অন্যত্র বিয়ে করে সেন্টু গত সোমবার বউ বাড়ি তোলার পর তার প্রেমিকাও বাড়িতে এসে এই অনশন শুরু করেছেন। তবে নববধূ ও প্রেমিকাকে রেখে সেন্টু পলাতক রয়েছেন।
এ নিয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান কয়েকবার সালিশে বসে ঘটনার সত্যতা পেলেও মীমাংসায় ছেলে পক্ষ রাজি হয়নি।
এ ব্যাপারে পুলিশ অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছে হরিরামপুর থানা।
ওই প্রেমিকার মা জানান, তার পাঁচ মেয়ের মধ্যে এই মেয়ে (১৮) চতুর্থ। দারিদ্রতার কারণে মেয়েকে লেখাপড়া করাতে পারেনি। স্বামীর সঙ্গে তিনিও সারাদিন মাঠে-ঘাটে দিনমজুরের কাজ করেন। তারা বাড়ি না থাকার সুযোগে একই গ্রামের কাশেম আলীর ছেলে সেন্টু মেয়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে।
বিষয়টি তারা আগে টেন পাননি। অন্তঃস্বত্ত্বার লক্ষণ দেখে মেয়েকে জিজ্ঞাসাবাদে তারা সেন্টুর সঙ্গে প্রেম ও শারীরিক মেলামেশার কথা জানতে পারেন। এরপর লোক-লজ্জার ভয়ে তারা মেয়েকে বাড়ি থেকে বের করে দেন।
প্রেমিকের বাড়িতে অবস্থানরত ওই প্রেমিকা জানান, নয় মাস আগে সেন্টুর সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক হয়। বিয়ের প্রলোভনে সেন্টু শারীরিক মেলামেশা করলে সে গর্ভবতী হয়ে পড়ে। বিয়ের জন্য চাপ দিলে সেন্টু বিয়েতে রাজি না হয়ে গর্ভপাত করতে তাকে কবিরাজি ঔষুধ খাওয়ানোর চেষ্টা করে। গর্ভপাতে ব্যর্থ হওয়ায় বর্তমানে তিনি পাঁচ মাসের অন্তঃস্বত্তা।
সেন্টু অন্য এক মেয়েকে বউ করে বাড়িতে তোলার খবর শুনে গত সোমবার বিকেলে তিনিও সেন্টুর বাড়িতে এসে উঠেছেন। তাকে দেখেই সেন্টু গা ঢাকা দিয়েছে।
অনাগত সন্তানের পিতৃপরিচয় ও সামাজিকভাবে স্ত্রীর স্বীকৃতি হিসেবে সেন্টু তাকে বিয়ে না করা পর্যন্ত ওই বাড়িতেই তিনি থাকবেন বলে জানান।
সেন্টুর মা আছিয়া বেগম জানান, সেন্টু গত চারমাস আগে পাশের গ্রামের এক মেয়েকে বিয়ে করে এবং গত সোমবার দুপুরে বউ বাড়িতে আনে। বিকেলে ওই মেয়েটিও সেন্টুর সঙ্গে বিয়ের দাবিতে বাড়িতে এসে উঠেছে। এরপর থেকে সেন্টুর কোনো হদিস পাওয়া যাচ্ছে না।
গালা ইউপি চেয়ারম্যান শফিক বিশ্বাস জানান, এ ঘটনায় কয়েকবার সালিশ ডাকা হয়। সালিশে ওই মেয়েটি সঙ্গে প্রেম ও শারীরিক মেলামেশার প্রমাণ পাওয়া যায়। কিন্তু ছেলে পক্ষ সালিশ না মেনে বার বার পাশ কাটিয়ে যায়।
তবে ওই মেয়েটি ও তার পরিবারের সদস্যরা আইনের আশ্রয় নিতে চাইলে তিনি সার্বিকভাবে সহযোগিতা করবেন বলে জানান।
হরিরামপুর থানার ওসি শওকত আলী জানান, পুলিশ বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখছে। ওই মেয়ে কিংবা তার পরিবার লিখিত অভিযোগ দিলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিষয়: বিবিধ
১২২৭ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন