এইবার যদি বেকুবটার শিক্ষা হয়!! কিন্তু বেচারা যাবে কোথায় অনেক পোলাপানইতো ওর উপড় ক্ষেপে আছে...........
লিখেছেন লিখেছেন প্রশান্তি ১৩ মে, ২০১৩, ০৪:৫৯:২৪ বিকাল
সরকারকে বিভ্রান্ত করায় সরিয়ে দেয়া হচ্ছে ইফা’র ডিজিকে
সোমবার, ১৩ মে ২০১৩
আহমেদ জামাল: অবশেষে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক সামীম মোহাম্মদ আফজালকে অপসারণের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এ সংক্রান্ত নথি ইতিমধ্যে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। সূত্র মতে, দেশের কওমি মাদরাসার আলেমদের সম্পর্কে সরকারকে মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করেছেন তিনি। এছাড়া, কওমি আলেমদের সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষেপিয়ে তোলা, আলেমদের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি এবং সমপ্রতি দেশে ধর্মীয় হানাহানি ও মারামারির পরিবেশ সৃষ্টির জন্য তাকে দায়ী করেছে সরকারের নীতিনির্ধারক মহল। এ জন্য তাকে অপসারণের দাবি ওঠে সরকারের ভেতর থেকেই। তবে অবস্থান ধরে রাখার জন্য সামীম আফজাল বেশ দৌড়ঝাঁপ করছেন। টাঙ্গাইল জেলার অধিবাসী সরকারের প্রভাবশালী এক মন্ত্রীকে দিয়ে জোর লবিং চালাচ্ছেন। এব্যাপারে আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক শেখ মোহাম্মদ আবদুল্লাহ বলেন, বিষয়টি সমপূর্ণ প্রধানমন্ত্রীর ওপর নির্ভর করছে। তিনি যা ভাল মনে করবেন তা-ই হবে। প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তের ওপর আমাদের পরিপূর্ণ আস্থা আছে। জেলা ও দায়রা জজ সামীম মোহাম্মদ আফজাল গত সাড়ে ৪ বছর ধরে ইসলামিক ফাউন্ডেশনে মহাপরিচালক হিসেবে প্রেষণে কর্মরত আছেন। এ সময় তার বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম, স্বজনপ্রীতি ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠে। এসব বিষয়ে বহু খবর বিভিন্ন সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়। সমপ্রতি তার বিরুদ্ধে প্রাতিষ্ঠানিক লুটপাট, স্বজনপ্রীতি এবং অর্থ আত্মসাতের অসংখ্য অভিযোগের প্রেক্ষিতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। দুর্নীতি দমন কমিশনে তার বিরুদ্ধে ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রেস থেকে ১৮ মাসে সাড়ে ৩ কোটি টাকা আত্মসাৎ এবং ইসলামিক ফাউন্ডেশনে অফিসার নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে দু’টি মামলা বিচারাধীন রয়েছে। এর আগে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় তার দুর্নীতির তদন্ত করার উদ্যোগ নিয়েছিল। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে তা বন্ধ হয়ে যায়। সংশ্লিষ্টরা জানান, সমপ্রতি রাসুল (সাঃ)কে নিয়ে কতিপয় ব্লগারের কিছু আপত্তিকর লেখাকে কেন্দ্র করে কওমি মাদরাসাগুলো বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠলে সামীম মো. আফজাল তাদের ক্ষোভ প্রশমিত না করে উল্টো তাদের বিরুদ্ধে সারা দেশে উস্কানিমূলক লিফলেট বিতরণ করেন। ওই সব লিফলেটে কওমি মাদরাসাসমূহের প্রতি ইঙ্গিত করে বলা হয় তারা চোরাগোপ্তা হামলাকারী খারিজিদের দ্বারা প্রভাবিত। চোরাগোপ্তা হামলার ইতিহাস তুলে ধরে বলা হয় ইতিহাসে প্রথম খারিজিরা চোরাগোপ্তা হামলা শুরু করে। এতে আরও ফুঁসে ওঠেন কওমি আলেমরা। তাদের দাবি, এ ধরনের লেখার মাধ্যমে বিধর্মীদের হাতে ইসলামকে কলঙ্কিত করার হাতিয়ার তুলে দেয়া হয়েছে। এসব কারণে বিক্ষুব্ধ আলেমদের ক্ষোভ সামীম আফজালের কারণে সরকারের বিরুদ্ধে চলে যায় বলে মনে করছেন সরকারের একজন নীতিনির্ধারক। এদিকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে নতুন মহাপরিচালক হিসেবে প্রস্তাব করা হয়েছে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সাবেক পরিচালক মাওলানা ফরীদ উদ্দীন মাসউদ-এর নাম। এছাড়া, গোপালগঞ্জের এক ইমামের নামও আছে প্রস্তাবে। তবে প্রস্তাবিত মহাপরিচালকের নিয়োগ ঠেকাতে তার বিরুদ্ধে জঙ্গি সংশ্লিষ্টতা এবং দুর্নীতির অভিযোগ সংবলিত কতিপয় লেখা বিতরণ করা হচ্ছে সরকারের বিভিন্ন মহলে। এ কাজে নেপথ্য ভূমিকা রাখছেন সামীম আফজাল এমন অভিযোগ সংশ্লিষ্টদের। তারা বলেন, যে কোন উপায়ে এ সরকারের পুরো মেয়াদে ডিজি পদে থাকতে চান তিনি। এ ব্যাপারে ডিজি সামীম মোহাম্মদ আফজাল বলেন, সরকারি চাকরিতে তিন বছর পর বদলির নিয়ম আছে। আমার এ পদে সাড়ে চার বছর পূর্ণ হয়েছে। সুতরাং চাকরি বিধি মোতাবেক বদলি হওয়া অস্বাভাবিক নয়। তবে এ ক্ষেত্রে কোন ষড়যন্ত্রের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার কথা অস্বীকার করেন তিনি।
মানব জমিন থেকে কপি পেষ্ট.......
বিষয়: বিবিধ
১৮১৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন