কলা গাছে কাঠাল আর আম গাছে জাম যেভাবে ধরে...............

লিখেছেন লিখেছেন প্রশান্তি ২৯ এপ্রিল, ২০১৩, ০১:৪২:২৪ দুপুর

আবুল বারাকাতের কন্যা ঢাবি শিক্ষিকা অরণীর ইসলামবিদ্বেষী ভূমিকা : জুমা’র নামাজের সময় পরীক্ষা নেয়ার চেষ্টা

বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার : এবার খোদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে ইসলামবিদ্বেষের অভিযোগ পাওয়া গেছে। মুসলমানদের অন্যতম ইবাদতের দিন শুক্রবার জুমা’র নামাজের সময় উক্ত শিক্ষকা পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত নেন। অভিযুক্ত ঐ শিক্ষক অর্থনীতি বিভাগের সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত লেকচারার অরণী বারকাত। জুমা’র নামজের সময় পরীক্ষা গ্রহণের বিষয়টি নিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীরা উত্তেজিত হয়ে ওঠার খবর পেয়ে পরিস্থিতি অবনতির পূর্বেই এবিষয়ে হস্তক্ষেপ করেন বিভাগীয় চেয়ারম্যান। তিনি দ্রুত পরীক্ষা কেন্দ্রে হাজির হয়ে শিক্ষার্থীদের শান্ত থাকতে বলেন এবং জানান, জুমা’র নামাজের সময় কোনো পরীক্ষা নেয়া হবে না। তিনি শিক্ষার্থীদের এ বলে শান্ত করার চেষ্টা করেন, যেহেতু উক্ত শিক্ষক মহিলা। তাই তিনি জুমা’র নামাজের বিষয়টি মাথায় আনেননি।

তবে একাধিক শিক্ষার্থী জানান, বিভাগীয় চেয়ারম্যান পরিস্থিতি শান্ত করার জন্য একটি কথা বলেছেন। কিন্তু উক্ত শিক্ষিকা ব্যক্তিগতভাবে ইসলামবিদ্বেষী পরিবারের হওয়ায় এঘটনা ঘটিয়েছেন। তাকে পরীক্ষার সময় নির্ধারণের পূর্বেই জুমা’র নামাজের কথা জানানো হয়েছিল। কিন্তু তিনি জানান, তার হাতে সময় নেই। তাই নামাজের সময়ই পরীক্ষা নিতে হবে। এক শিক্ষার্থী জানান, শিক্ষক অরণী বারকাত অর্থনীতিবিদ আবুল বারকাতের কন্যা। এদিকে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে এধরনের ঘটনা নজিরবিহীন বলে জানান একাধিক জ্যেষ্ঠ শিক্ষক। ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়জুড়ে নিন্দার ঝড় ওঠে।

সূত্র জানায়, অর্থনীতি বিভাগের ৫ম সেমিস্টারের ‘ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড’ কোর্সটি পড়ান বিভাগের সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষক অরণী বারকাত। গতাল (শুক্রবার) ছিল কোর্সটির মিডটার্ম পরীক্ষা। সম্প্রতি হরতালসহ রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ শুক্রবারেও ক্লাস পরীক্ষা চালু রাখার ঘোষণা দেন। ফলে অধিকাংশ বিভাগেই হরতালের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে এদিন সকল কার্যক্রম চালু রাখা হয়। জুমা’র নামাজ চলাকালে থাকে বিরতি। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে সকল রেকর্ড ভাঙিয়ে গতকাল জুমা’র নামাজের সময়ই পরীক্ষা নেয়ার জন্য সিদ্ধান্ত নেন অরণী বারকাত। পরীক্ষার সময় নির্ধারণ করা হয় ১২টা থেকে ২টা পর্যন্ত। সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ ভবনের ৩০২ নং কক্ষে ছিল পরীক্ষার স্থান। অথচ অধিকাংশ মসজিদে জুমা’র নামাজ চলে বেলা ১টা থেকে দেড়টার মধ্যে। পবিত্র জুমা’র নামাজের কথা বার বার স্মরণ করিয়ে দিয়ে শিক্ষার্থীরা এসময় পরীক্ষা না নেয়ার অনুরোধ করলেও তিনি তা গ্রাহ্য করেননি বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ফলে শিক্ষার্থীদের মাঝে বিরাজ করে তীব্র ক্ষোভ আর অসন্তোষ। সব মহলে ওঠে নিন্দার ঝড়। মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ একটি দেশে এধরনের সিদ্ধান্ত কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন শিক্ষক শিক্ষার্থীরা। তারা এধরনের শিক্ষকদের সামাজিকভাবে বয়কটের দাবি জানান।

ক্যাম্পাসব্যাপী এধরনের প্রতিক্রিয়ার ফলে বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আলী তসলিমের মধ্যস্থতায় পরীক্ষার সময় পিছিয়ে জুমা’র পরে দেয়া হয়। এব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি বিষয়টি দেখছি। এটি বিভাগের কোনো সিদ্ধান্ত নয়, কারণ মিডটার্ম পরীক্ষার সময় সংশ্লিষ্ট কোর্সের শিক্ষক এককভাবেই নির্ধারণ করে থাকেন। তিনি বলেন, এধরনের সিদ্ধান্ত সাধারণত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করেই নেয়া হয়।

বিভাগের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে ‘সময় কমে’র অজুহাত তুলে অরণী এ সিদ্ধান্ত নেন। পরে চেয়ারম্যান ১২টায় পরীক্ষা শুরুর কিছুক্ষণ আগে পরীক্ষা হলে উপস্থিত হয়ে শিক্ষার্থীদের আশ্বস্ত করার চেষ্টা করেন। উক্ত শিক্ষক পুরুষ না হওয়ায় নামাজের বিষয়ে অবগত ছিলেন না বলে তিনি শিক্ষার্থীদের শান্ত করেন। এছাড়া পরীক্ষার সময় পিছিয়ে ২টায় করার সিদ্ধান্ত জানানো হয় এসময়। এব্যাপারে কথা বলতে অরণী বারকাতকে বার বার ফোন দিয়েও পাওয়া যায়নি।

দৈনিক ইনকিলাব: ঢাকা, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০১৩, ১৪ বৈশাখ ১৪২০, ১৫ জমাদিউস সানি ১৪৩৪

এবার বুঝুন ধর্ম নিরপেক্ষতা কাকে বলে??????আর এসব বেকুবরা কিভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের টিচার হয়??????কারা এদেরে টিচার বানায়????????

বিষয়: বিবিধ

১৪০৫ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File