চমকপ্রদ যুদ্ধপরাধ ও দর্শন
লিখেছেন লিখেছেন শান্তি ২০ মার্চ, ২০১৩, ০৬:২৫:১২ সন্ধ্যা
বাংলাদেশ ছোট্ট একটি স্বাধীন দেশ।অর্থনৈতিক কাঠামো খুব বেশী ভালো না হলেও রাজনৈতিক সচেতনতা দেখলে মনে হয়,প্রত্যেকটা জনগন উঁচু মানের দার্শনিক।একজন রাজনীতি বিজ্ঞানের ছাত্র হিসাবে আমি জানি "রাজনীতিতে অতি উত্সাহ রাজনৈতিক অনুন্নায়নের অন্যতম কারণ"।সে হিসাবে এ কথা নির্ধিদায় বলতে পারি বাংলাদেশের আজকের এই রাজনৈতিক অস্থিরতার অন্যতম কারন তথাকথিত রাজনৈতিক অতি উত্সাহ।আমি এটাকে রাজনৈতিক উত্সাহ বলব না, এটাকে বলব রাজনৈতিক অজ্ঞতা।বর্তমান সরকারের অনেক সাফল্যই অস্বীকার করার মত না ।বিদ্যুত্,অবকাঠামো সংস্কৃতিগত ও আরো না জানা অনেক বিষয়।কিন্তু দূর্নামও কম কুড়ায় নি এ সরকার!সরকারের একমুখীতা,উগতাই আর কিছু তথাকথিত বামরাই আজকের সরকারকে পচাঁনোর অন্যতম কারন। বর্তমানে সরকারকে নাস্তিক সরকার বলার কারন যে ঐ বামদের সাথে সংস্লিষ্টতা।বর্তমানে রাজনৈতিক সহিংসতার অন্যতম কারনই হল যে দেশের ৮৯%মুসলমান, সে দেশের সরকার কি হিসাবে ধর্ম নিরপেক্ষ রাজনীতি চর্চা করতে চায়?অথচ বিশ্বের অনেক দেশেই ধর্মীয় রাজনৈতিক পরিচয় বহন করে যেখানে৮৯%কিংবা এর কম সংখ্যক লোক ঐ ধর্মীয়।সেখানে কেন বাংলাদেশে ধর্মীয় রাজনীতির চর্চা বা দল গঠন হবে না।একজন মুসলমান হিসাবে আমি কখনও চাব না ইসলামের পরাজয় কিংবা আমাদেরই কারনে ইসলামী আইনের অনুপস্থিতি?যেটা যুগে যুগেও কখনও কেউ চায় নি। বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্তিতির সবচেয়ে খারাপ যে বিষয়টি সেটি হলো নিজের মতের বিরুদ্ধ কোন কিছু মেনে না নেওয়া,সেটা এখন নিজের ভালো কিংবা মন্দ হোক।যেমন সরকারের সাফল্য কিংবা ব্যর্থতা সম্পর্কে সমালোচনা করাটাই যেন সরকারের বিরুদ্ধাচারন হয়ে গেছে।আর এ নিয়েও হয়ে গেছে টাইবুনাল।লজ্জায় লাল হয়ে যাচ্ছি।এক দেশ,এক নীতি,এক মতই যদি হয় তাহলে তো বললেই পারে।গ্রামে গ্রামে হয়ে গেছে কমিটি যাতে সরকারের বিরুদ্ধে কেউ কথা বলতে না পারে যেখানে হলমার্ক,শেয়ারবাজার,নরহত্যার মত কেলেংকারী হতে পারে সেখানে তো বিরুদ্ধে মত আসতেই পারে।যুদ্ধাপরাধ বিচার নিয়ে যেখানে স্কাইপে কেলেংকারী,সেখানে তো ভিন্ন মত আসতেই পারে।তাই বলে প্রতিরোধ কমিটি করার তো প্রয়োজন আছে বলে মনে হয় না।যেখানে সরকার পতন ছাড়া অন্য কোন ইস্যুতে সরকারের পুলিস বাহিনী দিয়ে প্রায় দুইশ লোককে হত্যা করা হয়,সেখানে তো কথা হতেই পারে।সরকার চাইলেই পারত এই ইস্যুটিকে অন্য ভাবে সমাধান করতে কারন যেখানে আরো অনেক বড় বিষয় আছে যেটি দেশের উন্নয়নে কাজ করবে।যে দেশের এত প্রাকৃতিক সম্পদ থাকা সত্তেও উন্নয়নের ছোঁয়া চোখে লাগার মত না,সেখানে কি হিসাবে ৪২বছরের পুরানো যুদ্ধাপরাধের মত একটি বিষয়কে বড় ইস্যু মনে করে দেশের উন্নয়নের গতিকে বাধাঁগ্রস্ত করছে।একটু ভেবে দেখুনতো এটির বিচারের পর কি বাংলাদেশের কোন উন্নয়ন হবে?বিচার আমিও চাই তবে এভাবে দেশ থামিয়ে দিয়ে নয়।সরকারের উচ্চ মহলের কাছে আমার প্রার্থনা থাকবে তারা যেন এর সঠিক সুরাহা করে।এতে দেশ ও দশের ভালো হয়।কোন অবান্চিত প্রান আর যাবে না।স্বাধীন মত প্রকাশের বাধাঁ আর থাকবে না।ধন্যবাদ
বিষয়: বিবিধ
১২২৪ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন