দ্বিতীয় ভ্রান্তির ক্রান্তিতে

লিখেছেন লিখেছেন আব্দুল্লাহ মাহমুদ নজীব ২১ মার্চ, ২০১৩, ০৭:৫৭:৫৪ সন্ধ্যা

( আরো তিন বছর আগে, ক্লাস সেভেনে তখন আমি, কিছু জানাশোনা যখন শুরু হয়েছিল আমার, বিশ্বাস-অবিশ্বাসের প্রাসঙ্গিক প্রত্যয়গুলো আব্বু আমাকে আমার উপযোগী করে বুঝাতেন...মনে পড়ে, বিশ্বাস-অবিশ্বাসের প্রশ্নে আব্বু আমাকে একেবারে প্রথম দিকে ছোট একটা উদাহরণ দিয়েছিলেন। সেটাকে কাব্যিক রং মেখে উপস্থাপন করলাম এতদিন পর, আব্বুকে সারপ্রাইজ স্বরূপ। ও হ্যাঁ, কবিতাটির অন্ত্যমিল হলো: 'কখগগখক' এভাবে। সম্পাদক ভাইয়াকে অজস্র ধন্যবাদ, আজকে প্রথম পাতায় সুযোগ দেয়ার জন্যে। নতুন ও পুরনো ভাইয়া-আপুনিদের শুভেচ্ছা। এটি আমার প্রথম পোস্ট। শুভ হোক সুস্থ ব্লগিং....)



ভ্রমাচ্ছন্নতার অভিযোগ ভাবিয়ে তোলে আমাকে।

তাই রহস্যের পাকে ঘূর্ণায়মান আত্মানুভূতি

আবর্তিত হতে থাকে দ্বিতীয় ভ্রান্তির প্রচ্ছায়ায়।

ভেবেছি- কী লাভ ছুটে এ মৃগতৃষ্ণিকার মায়ায়?

বোধের সলতে উস্কে দিয়ে আত্মজিজ্ঞাসার দ্যুতি

জ্বালিয়ে যাই ‘প্রথম অন্ধকারের’ প্রতিটি বাঁকে।

‘প্রশস্ত দৃষ্টি’র দাবীদার হই অনায়াসে। চিত্তে

শুনি শুধু চৈতন্যের প্রাচীর খসে পড়ার শব্দ।

আমি উচ্ছ্বসিত হই, আমার প্রচ্ছন্নতা কি তবে

কেটে গেলো? একে একে আবিস্কার করি অনুভবে

‘প্রথম অন্ধকারের’ বিভীষিকা! এইভাবে জব্দ

করে ‘মোহাচ্ছন্নতার ধাঁধা’ প্রমাণিত করি মিথ্যে।

আমার সম্মুখে কোন বাঁধ দাঁড়ানো নেই এখন,

প্রতীতির পায়ে নেই ‘অদৃশ্য’ সে শিকল। গভীর

অভিজ্ঞানে ছুটি অনুসন্ধিৎসু নেত্রে- অবারিত

প্রান্তরে। ঠিক এভাবে কোন একদিন প্রসারিত

অবধান লক্ষ্য স্থির করলো প্রজ্বলিত রবির

দিকে। আমি তো চাইনা এখানে স্থির হোক প্রেক্ষণ।

আমার ‘প্রশস্ত দৃষ্টি’ অহর্নিশ তবু সেখানেই

থমকে দাঁড়িয়ে যায়। প্রশ্ন করি- আমি কি চাইনি

আমার দৃষ্টির সব অদৃশ্য পর্দা গুটিয়ে যাক?

তবে কেনো শুধু সূর্যে এসে বারবার খায় পাক?

কেনো উর্ধ্বে উঠছেনা আর? না, সমাধান পাইনি

দ্বিতীয় ভ্রান্তির কাছে। বলে, এ উত্তর ‘লেখা নেই’!

সূর্যকে অতিক্রমের সাহসটা অন্তত অর্জন

করতে বলি। নিঃসীম দৃষ্টি নিয়ে আমি অসীমের

কাছে পৌঁছুতে চাই। না হয় সদ্য অর্জিত এই

প্রশস্ততার দাবী যে ধূলোয় মিশবে নিমেষেই!

না, আকাশ অতিক্রম করা আর হলোনা। বোধের

কপাট অবরুদ্ধের দায় কি সে করবে গ্রহণ

দ্বিতীয় ভ্রান্তিকে বলি অতঃপর, প্রশস্ত দৃষ্টির

এই প্রশস্ততা তবে? আকাশের কাছে ঘুরে-ফিরে

আছড়ে পড়াই যদি প্রশস্ততার নমুনা হয়ে

থাকে, তোমাকে সালাম জানাই। আমার চক্ষুদ্বয়ে

আকাশ ফুঁড়ার নেশা। দৃষ্টি আকাশের বুক চিরে

অসীমকে ছুঁতে চায়, ভুলতে চায় গ্লানি জিম্মির।

বিষয়: সাহিত্য

১৮২১ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File