শাহবাগীদের অধঃপতনের একটি নমুনা
লিখেছেন লিখেছেন দৃপ্ত শিখা ১১ এপ্রিল, ২০১৩, ০১:০৩:১৫ রাত
তখন চলছিল শাহবাগের জয়জয়কার! অফিসে সবাই বলাবলি করছিল এইবার জামাত শিবিরকে চুড়ান্তভাবে নির্মূল করা হবে।একজনতো বলেই ফেললো, জামাত শিবিরকে এইবার যদি নির্মূল করতে না পারি তবে জামাত ই করবো। অফিসের অনেকেই শাহবাগীদের সাপোর্ট করলেও দুজনের কথা উল্লেখযোগ্য। একজন হল একাউন্টস অফিসার । যিনি ছাত্রজীবনে বাম রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিলেন। আর অপরজন হলেন প্রজেক্ট ইঞ্জিনিয়ার। উনি ডুয়েটে ছাত্রলীগ করতেন। এরা ছিল শাহবাগের নিয়মিত মানুষ।
ইতোমধ্যে একটা অঘটন ঘটে গেছে। ব্লগার রাজিবকে হত্যা করা হয়েছে। এইবার জামাত শিবির আর যায় কই? ইঞ্জিনিয়ার সাহেবও তার ব্যতিক্রম নয়। যার যেভাবে ইচ্ছা সেভাবে জামাত শিবিরকে সেভাবে গালি দিচ্ছে। কেউ বলছে এদের সবাইকে জবাই করা উচিৎ আর কেউ বলছে ফাঁসি।
এর কিছুক্ষণ পর ইঞ্জিনিয়ার সাহেব ছুটে এলেন আমার কাছে।তাকে খুবই উত্তেজিত মনে হচ্ছে। আমার কাছে ছুটে এসে জিজ্ঞাসা করলেন নিহত ব্লগারের নাম। আমি বললাম রাজিব। আবার ছুটে গেলেন তাঁর ডেস্কে। আবার আমার কাছে ছুটে এলেন। আমি বললাম ভাই আপনাকে খুবই উত্তেজিত দেখা যাচ্ছে।
উনি বললেন রাজিব যে উনি রাজিবের কিছু লেখা পড়ে এসেছেন। ফেইসবুকে এক বন্ধু তাকে রাজিবের ব্লগের লিঙ্কগুলো দিয়েছে। তারপর উনি বলা শুরু করলেন............।
" বাংলাদেশে যে এই রকম ইসলাম বিদ্বেষী লোক আছে আমারতো বিশ্বাসই হচ্ছে না। আমারতো আমারই তো ইচ্ছে হছে একে কুটি কুটি করে কাটতে। আর যাই করুক শিবির এত দিনে একটা কাজের কাজ করেছে। আমি আমার জীবনে একটা বড় ভুল করেছি শাহবাগ গিয়ে। আল্লাহ তুমি আমাকে মাপ কর।"
এই সব বলার সময় উনার এক শাহবাগী বন্ধু ফোন করেছে। বিকালে শাহবাগ যাওয়ার জন্য। উনিতো রেগেমেগে আগু্ন। উপরের কথা গুলো উনার বন্ধুকে ও বলল। জবাবে উনার বন্ধু বলল এই সব জামাত শিবিরের মিথ্যাচার। উনি বলল আমি নিজে পড়েছি। এটা মিথ্যাচার না। তুই ও পড়ে দেখ। উনার বন্ধু বলল তোকে শিবির এ ধরেছে। উনি বলল শিবির কেন অন্য কোন সন্ত্রাসী সংগঠনে যোগ দিলেও শাহবাগীদের সাথে আর না।
এর পরের দিন দেখেন রাজিবের লেখা গুলো আর নাই। তখন সত্য বুঝতে উনার আর বাকি রইলো না। এর পর উনি নিজেই শাহবাগীদের বিরুদ্ধে প্রচারণা চালাতে শুরু করলেন। আর বলতে লাগলেন জামাত শিবিরের সবচেয়ে বড় ভুল তারা মিড়িয়া তৈরী করল না। তাই শাহবাগীদের ধর্মদ্রোহীতার বিরুদ্ধে প্রত্যেককে মিড়িয়া হিসেবে ভূমিকা পালন করার জন্য বলতে লাগলেন।
এভাবে যেই সত্য জানতে শরু করল। সেই এক একটি মিড়িয়া হিসেবে কাজ শুরু করল। যার কারণে ২৪ ঘন্টা লাইভ টেলিকাস্ট করে শাহবাগের পতন রোধ করা যাচ্ছে না।
কারন, যখন সত্য আসিয়া মিথ্যার সামনে দাঁড়ায় তখন মিথ্যা বিলুপ্ত হয়। কেননা মিথ্যা বিলুপ্ত হওয়ারই ছিল।
বিষয়: বিবিধ
১৪৫২ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন