বেকার বন্দনা এবং ডিজিটাল ভাবনা

লিখেছেন লিখেছেন অন্ধকারের আলো ২০ মার্চ, ২০১৩, ০১:৩৪:২০ রাত

একজন শিক্ষিত বেকার তরূণ কিংবা তরুণীর মুখের চেয়ে বিষন্ন মুখ আর বোধ হয় নেই। এতদিন তাকে তাগিদ দেয়া হত- শিক্ষিত হও,যোগ্যতা অর্জন কর । মানুষের মত মানুষ হও বলতে যা বুঝায় সৎ, পরোপকারী ,নিষ্টাবান, চরিত্রবান ইত্যাদি মানবীয় গুনাবলীতে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত কর । কিন্তু আজ যখন সবর্স্ব উজাড় করে দিয়ে সে তার শিক্ষা জীবন শেষ করল তখন তার সামনে সারি সারি বিরক্ত মুখ আর বন্ধ দরজা।ঘরে মুখ চ...েয়ে থাকা বাবা মা,ভাইবোন আর বাইরে এই অপমান। চাকুরী জন্য ছুটে চলা দুয়ার থেকে দুয়ার হয়তো অভিজ্ঞতা না হয় লাল টেলিফোন , নীল টেলিফোন না হয় লাখের কোটা ছোয়া ঘুষ বানিজ্য। চাকুরী জন্য ঘুষ কথাটি না বলে হয়ত “বিনিয়োগ” বলা যেতে পারে ন্ াহয় তথাকথিত চাকুরী দাতারা কিছুটা অখুশি ই হবেন বরং চাকুরী পাবার সামান্য যোগ্যতাটুকু অনেকাংশে অযোগ্য হিসেবে বিবেচিত হবে। অবশেষে ঘুষ বা দুর্ণীতি কিছু না বলে “বিনিয়োগ” হিসেবে দাড় করিয়ে মনকে শান্তনা দিতে চায় কেননা ছোট্ট একটা পানের দোকান যদি চিন্তা করি তবে সেখানে “বিনিয়োগ” আবশ্যক তবে কেন নয় পিয়ন বা দারোয়ান বা কেরানী নিয়োগ এ “বিনিয়োগ” বিহীন পরিবেশ বান্ধব নিয়োগ প্রক্রিয়া ? “বিনিয়োগ” একটি গতিশীল প্রক্রিয়া যা প্রতিটি স্থরে জরূরী আবশ্যক। দেশ ছেড়ে বিদেশ পাড়ি দিতে ও সেখানে শ্রমিক হিসেবে “বিনিয়োগ” আবশ্যক সেখানে চাকুরী দাতারা “বিনিয়োগ” বিহীন নিয়োগ প্রক্রিয়া চালূু করবেন কিভাবে? যেহেতু কিছু পেতে হলে কিছু দিতে হবেই এই মুল্যেবোধে আমরা সকলে বিশ্বাসী তবে এবার সত্যিই “বিনিয়োগ” করতে চায় শেয়ার বাজারে কিন্তু সাবধান শেয়ার বাজারে আছে দুষ্টু চক্র । এই দুষ্ট চক্রটি বেকার বিনিয়োগকারী কে করেছেন নিরাকার বিনিয়োগকারী যা সর্বশেষ আকার টি হারিয়ে তলা বিহীন ঝুড়ি। তবু ও আশায় বুক বাধি কেনন্ াআমাদের চারপাশে রয়েছে হতাশার মাঝে আলোয় বাসা বাধতে কিছু কোম্পাণীর শ্লোগান যা আশানীয়া যেমন জ্বলে উঠুন আপন শক্তিতে বা চলো বহুদুর বা ভালবাসার টানে পাশে আনে বা যেখানে দিন বদলের চেষ্টা সেখানে............তবে আশার বানী শুনে ও আমরা কি তাদের কোন সহযোগীতা পাই তবে ছুটতে ছুটতে পায় সুকতলী বিহীন জুতা । যা শুধুই রাজধানী কেন্দ্রিক নিয়ন্ত্রিত পুরো দেশটির নীতি নির্ধারনী মহল।ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরন নেই জেলা শহর গুলিতে। সেবার মান নিশ্চিত করনে আছে অনেক সেবাদানকারী প্রতিষ্টান এর অফিস জেলা শহরে কিন্তু কাজের জন্য নীতি নির্ধারনে চেয়ে থাকতে হয় রাজধানীর দিকে ।যা বন্টন হয় রাজধানী থেকে । ব্যাপারটা অনেকটা এমনযে গরু ঘাস খায় জেলা শহর থেকে আর দুধ দেয় রাজধানীতে । বেকার এখন চেয়ে আছে রাজধানীর দিকে । যদিও বা আমরা এখন চিঠি লিখিনা তবে ই মেইল আদান প্রদান করি । এখন বেকার চায় ই মেইলে যোগাযোগ স্থাপনে । তবে এখনো উচ্চ পর্যায়ে থাকা সরকারী বা বেসরকারী প্রতিষ্ঠান সমূহের ই-মেইল যেমন এর মত অজস্র ঠিকানাতে মেইল পাঠিয়ে ও কোন কিছুর সমাধান বা উত্তর পাওয়া যায় না যা বেকারের আর একটি হতাশাজনক সাফল্যতা এই ডিজিটাল বাংলাদেশে?

শাওন আচার্য্য

০১৮১৮-০৬৫৭৭১

বিষয়: বিবিধ

১৩০৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File