আাসুন পরিচিত হই চাটার্ড একাউন্টেন্সি (CA) প্রফেশনাল কোর্স এর সাথে (পর্ব-০১):
লিখেছেন লিখেছেন হরিলুট ১৮ মার্চ, ২০১৩, ১১:০১:১০ রাত
এই পর্বে কী কী থাকছে-
ভূমিকা
চাটার্ড একাউন্টেন্ট প্রফেশন কী?
চাটার্ড একাউন্টেন্সি কারা পড়তে পারবে?
চাটার্ড একাউন্টেন্সি কার মাধ্যমে পড়তে হবে?
শিক্ষার্থী নিবন্ধন প্রক্রিয়া
1. ভূমিকা: চাটার্ড একাউন্টেন্সি হল একটি প্রফেশনাল কোর্স। বাংলাদেশে এই কোর্স চালু হয় সর্বপ্রথম ১৯৭২ সালে রাষ্ট্রপতির বিশেষ অধ্যাদেশ বলে। যার পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিষ্ঠিত হয় দি ইনস্টিটিউট অব চাটার্ড একাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশ” (আইসিএবি)। বর্তমানে আইসিএবি একটি স্বাধীন এবং সায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান যা চাটার্ড একাউন্টেন্সি (সি.এ) প্রফেশন এর সকল কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করে। আইসিএবি ইনস্টিটিউট টি ঢাকার কাওরানবাজারে সি.এ ভবনে অবস্থিত।
আইসিএবি ওয়েবসাইট এখানে
2. চাটার্ড একাউন্টেন্ট প্রফেশন কী : সি.এ প্রফেশন হল একটি বিশ্বব্যাপী বৃহৎ এবং স্বাধীন পেশা। ভারতীয় উপমহাদেশ ছাড়াও সারা বিশ্বে সি.এ প্রফেশন অত্যন্ত জনপ্রিয়। একজন কোয়ালিফাইড চাটার্ড একাউন্ট্যান্ট বিশ্বের যে কোন দেশে অত্যন্ত সম্মানের সাথে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারে।
3. চাটার্ড একাউন্টেন্সি কারা পড়তে পারবে : সি.এ হলো একটি ১০০% প্রফেশনাল কোর্স। বাংলাদেশে সি.এ পড়ার জন্য আইসিএবি এর একটি নিজস্ব নীতিমালা রয়েছে। যা মোটামুটি নিম্নরুপঃ
এসএসসি এবং এইচএসসি অথবা সমমানের উভয় পরীক্ষা মিলে যদি কোন শিক্ষার্থী কমপক্ষে ৯ পয়েন্ট এবং কমপক্ষে একটিতে এ প্লাস পায় তাহলে সে সি.এ পড়তে পারবে।
স্নাতক পাশের পরও (যে কেউ যে কোন বিষয় থেকে) সি.এ পড়তে পারবে। সে ক্ষেত্রে তাকে অবশ্যই স্নাতক পযন্ত সকল একাডেমিক পরীক্ষা মিলিয়ে কমপক্ষে ৭ পয়েন্ট থাকতে হবে।
4. চাটার্ড একাউন্টেন্সি কার মাধ্যমে পড়তে হবে : আইসিএবি অনুমোদিত বাংলাদেশে বর্তমানে সি.এ ফার্মের সংখ্যা প্রায় ২০০টি। আগ্রহী শিক্ষার্থীকে সি.এ পড়তে হলে অবশ্যই আইসিএবি অনুমোদিত যে কোন সি.এ ফার্মের মাধ্যমে আইসিএবিতে নিবন্ধিত হতে হবে।
5. শিক্ষার্থী নিবন্ধন প্রক্রিয়া : আগ্রহী শিক্ষার্থীকে প্রথমে আইসিএবি নিবন্ধিতি ফার্মের তালিকা সংগ্রহ করতে হবে। তালিকা সংগ্রহ করার জন্য এই লিংকে ক্লিক করুন। তারপরে পছন্দ অনুসারে সি.এ ফার্মে বায়োডাটা (সি.ভি) ড্রপ করতে হবে। সি.এ ফার্ম যদি শিক্ষার্থীকে তাদের যোগ্য মনে করে তাহলে বিভিন্ন পরীক্ষার মাধ্যমে তার মেধা যাচাই করে তাকে আর্টিকেল স্টুডেন্ট হিসাবে মনোনয়ন করবে।
তারপর ফার্মের নির্দ্দিষ্ট নীতিমালা অনুযায়ী ফার্মে যোগদানের পরবর্তী ২/৩ মাস তাকে প্রভিশন প্রিয়ড হিসাবে কাজ করতে হবে। তারপর তাকে ঐ ফার্মের মাধ্যমে আই.সি.এ.বি তে নিবন্ধনের জন্য আবেদন করতে হবে। বর্তমান নিবন্ধন ফি ৩০,০০০/- টাকা। নিবন্ধনের তারিখ থেকে পরবর্তী ৩ বছর তাকে ঐ সি.এ ফার্মের অধীনে কাজ করতে হবে। এক্ষেত্রে তাকে কোন টাকা পয়সা খরচ করতে হবে না। বরং তাকে ফার্ম থেকে প্রত্যেক মাসে আই.সি.এ.বি এর নিয়ম অনুযায়ী একটি নিদ্দিষ্ট পরিমান ভাতা দেয়া হবে। আই.সি.এ.বি এর নিয়ম অনুযায়ী আর্টিকেল স্টুডেন্টদের মাসিক ভাতা হল-
১ম বছর ৩০০০/-
২য় বছর ৩৫০০/-
৩য় বছর ৪০০০/-
রেজিষ্ট্রেশন হয়ে গেলে শিক্ষাথীর্কে আই.সি.এ.বি কর্তৃক বিনামূল্যে বই, লাইব্রেরী কার্ড সরবরাহ করা হবে এবং কোচিং ক্লাস করানো হবে। কোচিং সম্পর্কিত বিস্তারিত পরের পোষ্টে আলোচনা করা হবে।
(চলতে থাকবে............)
পরবর্তী পর্বে কি কি থাকছে-
আই.সি.এ.বি এর নিয়ম নীতি
কিকি কাজ সিএ ফার্ম শেখায়
সিএ পড়ার অসুবিধা
পরীক্ষা এবং ক্লাস
কেরিয়ার
সময় সল্পতার কারণে অনেক তাড়াহুড়ো করে লিখেছি। কোন ভুলত্রুটি হলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। পোষ্টটি কেমন হলো কমেন্ট এর মাধ্যমে জানাবেন। পরবর্তী পোষ্টটি শিগ্রই প্রকাশ করা হবে। এই সম্পর্কিত কারও কোন প্রশ্ন থাকলে জানাতে ভুলবেন না। সঙ্গেই থাকুন.........
বিষয়: বিবিধ
১২৯১ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন