সরকারের অভিজিত নাটক ফাঁস
লিখেছেন লিখেছেন সঠিক ইসলাম ১৪ মার্চ, ২০১৫, ০৮:৫৭:৫৫ রাত
হত্যাকান্ডে জড়িত মন্ত্রীসহ গণজাগরণ মঞ্চ
নিউজবিডিসেভেন: শেখ
হাসিনার অবৈধ সরকার যখন
দেশে বিদেশে ইমেজ
সঙ্কটে ভোগে বা ক্ষমতার
গদিটা যখন নড়বড় করে ওঠে তখন নতুন
একটি ইস্যুর অপেক্ষায়
থাকে বাংলাদেশের জনগণ।
একটি বিব্রতকর
ইস্যুকে আরেকটি নতুন বড় ইস্যুর
ধামা দিয়ে চাপা দেয়ার
অপকৌশলটি এ সরকার
সর্বোচ্চভাবে প্রয়োগ
করতে সিদ্ধহস্ত। ২০ দলের চলমান
আন্দোলন ও আন্তর্জাতিক বিশ্বের
সর্বোচ্চ চাপে যখন হাসিনা সরকারের গদি উল্টে যাচ্ছে ঠিক তখন
ঘটfনো হলো অভিজিত হত্যাকান্ডটি। দেশি-বিদেশিদের সংলাপের
ইস্যুটার উপর এখন অভিজিত হত্যার ধামা চাপিয়ে দিয়ে সংলাপের
ইস্যুটাকে চাপা দিয়ে দিল সরকার।
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক আওয়ামীলীগ নেতা ও কারাবরণ করা সাবেক এক
সংসদ সদস্য জানান, মুক্তমনা ব্লগের প্রতিষ্ঠাতা অভিজিত রায় ইসলাম,
আল্লাহ ও রাসূল (সাকে নিয়ে অবমাননাকর লেখালেখি করতেন।
স্বাভাবিকভাবেই তারউপর ক্ষিপ্ত হয়ে আছে ইসলামপ্রেমীরা। এছাড়াও
অভিজিত আমেরিকা ও ভারতের একটি শক্তিশালী গ্রুপের হয়ে কাজ
করতো। যাদের মূল টার্গেট এ দেশ থেকে ইসলামকে নির্মূল
করা এবং আধিপত্য স্থাপন করা। সেসব
কারণে অভিজিতকে হত্যা করা হলে দায় পরবে ইসলামিস্টদের ঘাড়ে।
অর্থাত সরাসরি জামায়াতকে দায়ী করে বিএনপিকেও
জড়িয়ে দেয়া যাবে। সাথে ২০ দলের চলমান আন্দোলনকেও
দায়ী করা যাবে। পাশাপাশি অভিজিত যেহেতু আমেরিকা ও ভারতের
হয়ে কাজ করে এবং আমেরিকাতে বসবাস করে সেহেতু পশ্চিমা ও
ভারতকে ক্ষেপানো যাবে। তাদের সমর্থন পাওয়া যাবে। প্রমাণ
করা যাবে এদেশে ২০ দলীয় জোট জঙ্গি হামলা চালাচ্ছে। এছাড়াও, এ
সুযোগে সরকারবিরোধী যে কয়েকটি বামদল
আছে সেগুলোকে পাশে পাওয়া যাবে। সেসব হিসাব নিকাশের
মাধ্যমে অভিজিতকে বেছে নেয়া হয় হত্যার জন্য। আর এ হত্যার
মধ্যদিয়ে মিডিয়ার কল্যাণে সংলাপ বা চলমান
আন্দোলনকে ধামাচাপা দেয়া গেল। একঢিলে শত
পাখি মারা বলতে পারেন।
অভিজিত হত্যার পরিকল্পনাকারী যারা…
২৮ ফেব্রুয়ারি নিউজবিডি৭.কমের প্রাথমিক
অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে জানিয়েছিলাম, ব্লগার অভিজিৎ হত্যার মূল
পরিকল্পনাটি করা হয়েছে ইন্ডিপেন্ডেন্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক
আরাফাত এ রহমানের বাসায়। যেখানে ৭১ টিভির মোজাম্মেল বাবু
প্রায়ই আড্ডা মারতে এবং মদ খেতে আসেন। এই বাসায় বসেই এই দুই জন
অভিজিৎ হত্যার এই ভয়ংকর পরিকল্পনাটি করেছে।
নিউজবিডি৭.কমের অধিকতর অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে আরও
চাঞ্চল্যকর তথ্য। বেরিয়ে এসেছে আরও অনেকের জড়িত থাকার তথ্য।
অনুসন্ধানে দেখা গেছে, তথ্যমন্ত্রণালয়ের নির্দেশেই
অভিজিতকে হত্যা করা হয়েছে। এ তথ্যটি বিভিন্ন সূত্র নিশ্চিত করেছে।
সেদিন আরাফাত ও বাবুর মদের আড্ডায় উপস্থিত ছিলেন
তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুও। সেখান থেকেই অভিজিত হত্যার মূল
পরিকল্পনা হয়।
গণজাগরণ মঞ্চের একাংশের নেতা মাহমুদুল হক মুন্সি বাঁধন এই
প্রতিবেদকের সাথে আলাপকালে অফ দ্যা রেকোর্ডে বলেন, তথ্যমন্ত্রীর
নির্দেশে অভিজিতকে হত্যা করা হয়েছে বলে তারা জেনেছেন। সময়
হলে সত্য প্রকাশ করার কথাও বলেন তিনি। তবে এখন নিজের জীবনকেই
হুমকির মুখে দেখছেন তিনি। সে কারণে সত্য বলা থেকে দূরে থাকছেন
বলেও জানান।
সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টি এই প্রতিবেদককে অফ
দ্যা রেকোর্ডে জানান, ছাত্র মৈত্রীর সভাপতি বাপ্পাদিত্য বসু, জাসদ
ছাত্রলীগের সভাপতি শামসুল ইসলাম সুমন, ছাত্রলীগের সহ-
সভাপতি জয়দেব নন্দী, কেন্দ্রীয় তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক এরশাদুর রহমান
চৌধুরী, ঢাবি শাখা সাধারণ সম্পাদক ওমর শরীফ ও গণজাগরণ মঞ্চের
সংগঠক আরিফ জেবতিক টিএসসির আবৃত্তি সংগঠন স্বরশ্রুতির
রুমে একটি গোপন বৈঠকে মিলিত হন। সে রুদ্ধদ্বার বৈঠকের
মাঝামাঝিতে উপস্থিত হন গণজাগরণ মঞ্চের আরেক সংগঠক ও
আওয়ামীলীগের সাইবার কর্মী ও সাংবাদিক অমি রহমান পিয়াল। একদম
শেষের দিকে উপস্থিত হন ঢাবির ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. মেজবাহ
কামাল ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি ও ঢাবির
অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন। সে বৈঠকেই অভিজিতকে হত্যার পরিকল্পনার
নীলনক্সা করা হয় বলে গোপন রাখার শর্তে আরিফ জেবতিক
মাসুদা ভাট্টিকে জানান। তিনি আরও জানান, তথ্যমন্ত্রীর নির্দেশ
বাস্তবায়ন করতেই এই গোপন বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।
অর্থাত, তথ্যমন্ত্রীর নির্দেশে ড. মেজবাহ কামাল ও আনোয়ার হোসেনের
পরিকল্পনায় বাপ্পাদিত্য বসু, শামসুল ইসলাম সুমন, জয়দেব নন্দী, এরশাদুর
রহমান চৌধুরী, ওমর শরীফ, আরিফ জেবতিক ও অমি রহমান পিয়াল ব্লগার
অভিজিতকে হত্যার নীলনক্সা প্রণোয়ন করেন। সেনাবাহিনীর কিছু
সদস্যও জড়িত রয়েছে বলে জানা গেছে। সেনাবাহিনীর সাথে এ
বিষয়ে যোগাযোগ রক্ষা করেছেন মৃত কর্ণেল তাহেরের ভাই অধ্যাপক
আনোয়ার হোসেন।
হত্যার পর গণমাধ্যমের খেলা…
হত্যার পর একাত্তর টিভির মোজাম্মেল বাবু, সময় টিভির জোবায়ের,
বৈশাখী টিভির বুলবুল, গাজী টিভির উপস্থাপক অঞ্জন রায়,
এটিএননিউজের প্রভাষ আমিন, বাংলাভিশনের মোস্তফা ফিরোজসহ
বিভিন্ন পত্রিকা ও টিভির সম্পাদক ও টকশোর উপস্থাপকদের নিয়ে গোপন
মিটিং করেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহেমদ, তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক
ইনু, ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া।
সে বৈঠকে অভিজিত হত্যাকান্ডকে টকশোর আলোচনার বিষয় করা,
সংবাদে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া এবং এ হত্যার সাথে জামায়াত
বিএনপিকে জড়িয়ে সংবাদ প্রচার ও টকশো পরিচালনার
নির্দেশনা দেয়া হয়।
যেভাবে হত্যা করা হলো অভিজিতকে…
বাবা অজয় রায়ের নিষেধ সত্ত্বেও ফেব্রুয়ারির ১৫ তারিখ ব্লগার
অভিজিৎ ও তার স্ত্রী বন্যা আমেরিকা থেকে দেশে আসেন। বিদেশ
থেকে আসার পর থেকে নিয়মিত বইমেলায় আসতেন এ দম্পতি। ঢাবির
অধ্যাপক মেজবাহ কামালের সাথে অভিজিতের বাবা ঢাবির
অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক অজয় রায়ের বিরোধ চলছিল। মেজবাহ অজয়
রায়কে বিভিন্ন সময় হুমকিও দিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন অজয়
রায়ের সহকর্মীরা। সে কারণে অজয় রায়
অভিজিতকে দেশে আসতে নিষেধও করেছেন।
বাংলা একাডেমির সিসিটিভি ফুটেজ থেকে র্যাবের ভাষ্য অনুযায়ি,
অভিজিত যখন বইমেলাতে ছিল তখন তার সাথে ২ জন ঘোড়াঘুড়ি করেছে।
একসাথে চাও খেয়েছে। অভিজিত যখন বইমেলা থেকে চলে যেতে উদ্ধত
হয় তার আগে কেটে পরে সে ২ জন। তারাই কিলারদের অভিজিতের
অবস্থান জানায়। হত্যাকান্ডের সময় লাইট বন্ধ করে দেয়া হয়। অভিজিতের
সাথে ২ জন কে ছিল সেটাও সনাক্ত করেছে র্যাব। তারা হলেন আরিফ
জেবতিক ও অমি রহমান পিয়াল।
ঘটনার দিন বইমেলায় যতক্ষণ অভিজিত ছিলেন ততক্ষণ নজরদারি করছিলেন
আরিফ জেবতিক। আরিফ জেবতিক অভিজিতের সাথেই ছিল
বলে জানিয়েছে র্যাব। বাংলা একাডেমির সিসিটিভি ফুটেজ
দেখে র্যাবের এক সদস্য নাম না প্রকাশের শর্তে জানায়, আরিফ জেবতিক
ও পিয়াল অভিজিতের সাথে ছিল। তারা একসাথে বইমেলায়
ঘুড়েছে এবং চা ও খেয়েছে। অভিজিত যখন বইমেলা থেকে বের
হবে তার আগে আরিফ ও পিয়াল সরে যায়। আরিফ জেবতিকের
সাথে অভিজিতের অনলাইনে দীর্ঘদিনের বিরোধ চলছিল।
মেলা থেকে বের হওয়ার পর ফোনে খুনিদের অভিজিতের অবস্থান
জানায় অমি রহমান পিয়াল। সুপরিকল্পিতভাবে খুনিদের একটি গ্রুপ
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ভেতর ছিল। অন্য একটি গ্রুপ
মোটরসাইকেলে অপেক্ষমাণ ছিল ঘটনাস্থল ঢাবির টিএসসির রাজু
ভাস্কর্যের অদূরেই ‘জামাল স্টোর’ নামে একটি চা দোকানের (রাস্তার)
উল্টো পাশে। ঘটনার সময় সাদা শার্ট ও কোর্ট পরা দুজন
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ভেতর থেকে স্কুলব্যাগে বহন
করে চাপাতি নিয়ে এসে প্রথমে ব্লগার অভিজিৎকে আঘাত করে।
বাঁচাতে এলে তার স্ত্রী বন্যাকেও কোপায় তারা। সে সময় লাইট বন্ধ
করে রাখা হয়। যাতে সিসিটিভিতে দেখা না যায়। ঘটনার
প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছ থেকে জানা গেছে, তাদের বয়স ৩০ থেকে ৩৫ বছর
হবে। অত্যন্ত ক্ষীপ্রতার সঙ্গে অভিজিৎকে কুপিয়ে ৫ মিনিটের মধ্যেই
তারা স্থান ত্যাগ করে। প্রত্যক্ষদর্শী সেলিম চিৎকার করলে সে সময় ঘটনার
পাশে অবস্থান করা বাপ্পাদিত্য বসুর গ্রুপটি তার
দিকে তেড়ে গেলে তিনি ভয়ে পালিয়ে যান। ঘটনা সম্পন্ন
করে খুনিরা রাস্তার
উল্টো পাশে দাঁড়ানো মোটরসাইকেলে করে পালিয়ে যায়। আর ঘটনার
সময় যাতে কেউ বাধা না দেয়
এবং হত্যা করে নিরাপদে পালিয়ে যেতে পারে সে কারণে আশাপাশে ছিলো বাপ্পাদিত্য
বসু, শামসুল ইসলাম সুমন, জয়দেব নন্দী, এরশাদুর রহমান চৌধুরী ও ওমর শরীফ।
তারা ৫ টি গ্রুপে কমপক্ষে ১০ জন কর্মীকে নিয়ে অবস্থান করছিল। ঘটনাস্থল
থেকে দুটি চাপাতি ও একটি ঘাড়ের ব্যাগ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
অভিজিতের ময়নাতদন্ত ও সুরতহাল রিপোর্ট পযালোচনা করলে দেখা যায়,
যেভাবে অভিজিতকে কোপানো হয়েছে ঠিক
একইভাবে কোপানো হয়েছিল বিশ্বজিতকে। ঢাকা মেডিকেল
কলেজের ফরেনসিক বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. সোহেল মাহমুদ
বলেন, দক্ষ কিলার ছাড়া এভাবে মানুষ হত্যা করা সম্ভব নয়। বিশ্বজিতের
সুরতহাল রিপোর্টের সাথে অনেকাংশে মিলেছে অভিজিতের
রিপোর্টটি।
ঘটনাস্থলের অদূরে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের পাশের ফুটপাতের বই
বিক্রেতা শাজাহান বলেন, বাঁচাও বাঁচাও শব্দে একটি নারী কন্ঠ
শুনতে পাই। আমি ভেবেছিলাম ছিনতাইকারী ধরেছে। এরপরই
ছাত্রলীগের কয়েকজন এসে আমাকে বলে, লাইট বন্ধ করে দে। কিছু
দেখলেও চুপ করে থাকবি। এরপরই আমরা লাইট বন্ধ করে দেই।’
বই বিক্রেতা শাহিদা বলেন, ছাত্রলীগের লোকজন এসে আমাদের ভয়
দেখিয়ে বলে লাইট বন্ধ কর।
বাঁশি বিক্রেতা মো. লাল মিয়া বলেন, শুধু চিৎকার চেঁচামেঁচি শুনেছি।
গণজাগরণ মঞ্চের কয়েকজনকে জিজ্ঞেস করলে তারা বলেন, যা করছেন
সেটা করেন। এরবেশি বুঝতে চাইয়েন না।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ফুটপাতে বইয়ের দোকানের এক
কর্মচারী জানান, ঘটনাস্থল থেকে দু’জনকে পালিয়ে যেতে দেখেছেন
তিনি। পালানোর সময় আশেপাশে ছাত্রলীগ ও কয়েকটি বামদলের
নেতারা ছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শী সানা মিয়া জানান, অভিজিতকে কোপানোর সময় ৩/৪ গজের
মধ্যে অসংখ্য মানুষ ছিল। কিন্তু কেউ ঠেকানোর সাহস করিনি। কারণ সবাই
ভেবেছে এটা ছাত্রলীগের দুগ্রুপের মারামারি। আর এ ঘটনার সময়
ছাত্রলীগের অনেক নেতাকর্মী ঘটনাস্থলের অদূরে বটগাছটার
নিচে ছিল।
প্রত্যক্ষদর্শী গোলাম হোসেন জানান, ঘটনাস্থলের পাশে ছাত্রলীগ ও
পুলিশ থাকায় প্রকাশ্যে হত্যা করলেও কেউ ঠেকানোর সাহস করেনি।
অভিজিতকে ২ জন কুপিয়েছে। তাদেরকে কখনও দেখিনি। তবে ২ জনের
সাথে আরও কয়েকজন ছিল তাদেরকে আমি চিনি। তাদের কেউ কেউ
ছাত্রলীগ করে। অনেককে গণজাগরণ মঞ্চেও দেখেছি।
বিরোধীদলের বা সরকারের সমর্থনহীন কোন দল বা সংগঠনের পক্ষে এরকম
একটি এলাকায় লাইট বন্ধ করে এভাবে প্রকাশ্যে হত্যাকান্ড চালানোর
রূপকথা কোন বিবেকবানরা বিশ্বাস করবেন?
নিরাপত্তা বেষ্টনীতে অভিজিৎ খুন নিয়ে কয়েকটি প্রশ্ন….
অভিজিতকে তথ্যমন্ত্রীর নির্দেশে কিভাবে, কখন,
কারা হত্যা করেছে তার প্রমাণ পাঠক পেয়েছেন। কিন্তু সরকার দলীয়
মিডিয়াগুলোকে দিয়ে প্রমাণ করার চেষ্টা করছে এ
হত্যাকান্ডটি বিএনপি-জামায়াত করেছে। কেউ কেউতো বেগম
জিয়া বা মান্নাকেও জড়িয়ে দিয়েছেন এ ঘটনার সাথে।
মৌলবাদী বা জঙিগ হামলার মোড়কে মূলত এ হত্যাকান্ডকে রাজনৈতিক
প্রতিহিংসা ট্রামকার্ড হিসেবে ব্যবহার করছে। নিউজবিডি৭ এর
অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের বাইরেও যদি সাদা চোখে ঘটনাটি বিশ্লেষণ
করে দেখেন তাহলে কী দাঁড়ায়?
শাহবাগ থানা থেকে ঘটনাটির দুরত্ব ২০০ গজ। ঘটনাস্থলের কাছেই ছিল
পুলিশের নিরাপত্তা টহল দল। গ্রন্থমেলার ফটক ঘিরে আরও কয়েক
স্থানে ছিল পুলিশের অবস্থান। সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় পুলিশের
নিয়মিত টহল দলের অবস্থানও ছিল আশপাশের সড়কে। প্রত্যক্ষদর্শী, নিহতের
স্বজন, ব্লগার ও বিভিন্ন সংঠনের পক্ষ থেকে অভিযোগ উঠেছে,
ঘটনাস্থলের ৫০ গজ দূরেই দায়িত্ব পালন করছিল পুলিশ। সেখানে ছিল
পুলিশের একটি পিকআপ ভ্যান। হামলার শিকার হয়ে অভিজিৎ ও তার
স্ত্রী বন্যা ‘বাঁচাও বাঁচাও’ বলে চিৎকার করলেও কোন পুলিশ কেন
এগিয়ে যাননি? ঘটনাস্থলটি রাজু ভাস্কর্য থেকে ২৫ গজ দূরে উত্তর
দিকে সোহ্রাওয়ার্দী উদ্যান সংলগ্ন ফুটপাত। ঘটনাস্থলের পাশেই
গ্রন্থমেলা উপলক্ষে পুলিশের ব্যারিকেড।
পুরো ফেব্রুয়ারি মাসব্যাপী সেখানে প্রহরায় রয়েছে পুলিশ। একাধিক
সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার সময় চিৎকার করে লোকজনের সাহায্য চান
অভিজিতের স্ত্রী বন্যা। কিন্তু পাশে দায়িত্ব পালনরত পুলিশ বন্যার
চিৎকারে সাড়া দেয়নি। গ্রন্থমেলার তখন টিএসসি ব্যারিকেডের
দায়িত্ব পালন করছিলেন পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) ওয়াহিদুজ্জামান।
ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, আমরা (পুলিশ সদস্যরা) তখন গ্রন্থমেলার দায়িত্ব
পালন করছিলাম। আমাদের অবস্থান ছিল গ্রন্থমেলার
টিএসসি ব্যারিকেডে। ঘটনাস্থলের খুব কাছে।
অমর একুশে গ্রন্থমেলার নিরাপত্তার জন্য
বাংলা একাডেমি ৪০টি সিসিটিভি ক্যামেরা লাগিয়েছে।
এছাড়া ওই এলাকার ছয়টি মোড়ে রয়েছে পুলিশ চেকপোস্ট।
চারিদিকে র্যাব, পুলিশ ও বিজিবির নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা।
সাথে আছে সিভিল পোষাকে গোয়েন্দা কর্মকর্তা। শাহাবাগ
থেকে প্রথম চেকিং শুরু, দ্বিতীয় চেকিং হয় টি এস সির মোড়ে, তৃতীয়
চেকিং বইমেলার গেইটে। অন্যদিকে জাতীয় ঈদগাহের সামনে প্রথম
চেকিং, দ্বিতীয়টা দোয়েল চত্তরের মোড়ে তৃতীয় চেকিং বইমেলার
গেইটে। এই রাস্তা গুলোতে প্রতি ২ হাত অন্তর অন্তর প্রায় ১০-১২ জন
করে পুলিশ, র্যাব ও বিজিবির সদস্য মোতায়েন করা । দর্শনার্থীদের
হাতে ব্যাগ থাকলেই সেই ব্যাগ চেকিং হয় কমপক্ষে দুই জায়গায়। এরকম
একটা নিরাপত্তাবহুল জায়গায় দুজন নর নারীকে ৫ মিনিট সময়
ধরে কুপিয়ে একজন হত্যা ও আরেকজন কে জখম করে চলে গেলো কিন্তু পুলিশ
টের ই পেল না ? টি এস সি থেকে খুন করে খুনি নিশ্চয়ই তিন
জায়গা ছাড়া অন্য কোন জায়গা দিয়ে পালাতে পারবে না।
একদিকে কলাভবনের দিকের রাস্তা তাও পুলিশ বেষ্টনী,
অন্যদিকে শাহাবাগের রাস্তা তাও পুলিশের কড়া নিরাপত্তা,
অন্যদিকে দোয়েল চত্তরের দিকের রাস্তা। আর রমনা তে ঢুকার প্রশ্নই
আসে না। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হামলাকারীরা দুই
দিকে পালিয়ে যায়। একজন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের
দিকে এবং অন্যজন মিলন চত্বরের দিকে পালায়। হামলাস্থলের মাত্র ২৫
গজ দূরেই পুলিশ ব্যারিকেড ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রবেশ
পথে সাতজন পুলিশ ডিউটিতে ছিল ওই সময়। এর মধ্যেই হত্যকাণ্ডটি ঘটে।
অভিজিৎ ও তার স্ত্রী রাফিদা আহমেদ বন্যা বই মেলা থেকে ৯ টার
দিকে ফিরছিলেন। এসময় একটি সিএনজিচালিত
অটোরিকসা থেকে তিন যুবক নেমে টিএসসি মোড়ের বটতলায়
চাপাতি দিয়ে তাদের কোপায়।
তবে এতো নিরাপত্তার মধ্যদিয়ে খুনি পালালো কিভাবে? আর
বইমেলার সিসিটিভির ফুটেজ দেখে পুলিশ কেন খুনিদের চিহ্নিত
করছে না? খুনিদের পোশাকে রক্তের দাগ ছিল। তাহলে সে দাগ
নিয়ে এতো আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর মধ্যদিয়ে খুনিরা পালালো কিভাবে?
৬ টি চেক পয়েন্ট থাকার পরও কিভাবে স্কুল
ব্যাগে করে চাপাতি নিয়ে আসলো খুনিরা? এসব প্রশ্নের কোন উত্তর
কী সরকারের কাছে জানতে চেয়েছে মিডিয়াগুলো?
আকরাম হোসেন নামে এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, 'পুলিশ ব্যারিকেডের
কাছেই হামলাটি হয়।'
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হত্যাকা-ের এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, ঘটনাস্থলের ৫০
কদম সামনে ছিল পুলিশের বড় একটি ভ্যান। সেখানে অন্তত ১৫ জন পুলিশ
ছিল। এর (রাস্তার) উল্টো পাশের যাত্রীছাউনিতে ছিল ১০ থেকে ১৫
পুলিশ। টহলে ছিল আনসার সদস্যরাও।
ঘটনাস্থল থেকে শাহবাগ থানার দূরত্ব ২৫০ গজ। পশ্চিমে নীলক্ষেত পুলিশ
ফাঁড়ি আর পূর্বে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান।
রয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশের সবগুলো পথে পুলিশ
চেকপোস্ট। তারওপর, সাড়ে আটটার দিকে বই মেলা বন্ধ হয়ে যাওয়ায়
ফিরছিল প্রচুর লোক। প্রতিদিনের মতো বৃহস্পতিবারও কয়েক হাজার
লোক মেলায় এসেছিল। অনেকেই জানান, তারা মনে করছিলেন
ছাত্রলীগের দু'গ্রপের মধ্যে বিরোধের জেরে এই হামলা হচ্ছে। তাই
তারা অভিজিৎ দম্পতিকে বাঁচাতে এগিয়ে যাননি। ক্যাম্পাসের
ভেতরে প্রায়ই ছাত্রলীগের অভ্যন্তরীণ সংঘর্ষ ঘটে বলেও জানান তারা।
টিএসসির ব্যস্ত মোড়ে কিভাবে হত্যকাণ্ডটি ঘটল এ বিষয়ে পুলিশেরও
কোন সদুত্তর নেই।
পুলিশ কমিশনার আছাদুজ্জামান বলেন, 'বৃহস্পতিবার থানা এবং মেলার
প্রবেশ মুখে পুলিশ অবস্থান করছিল। ক্যাম্পাসের সবগুলো প্রবেশ পথেই
ছিল পুলিশ।'
অভিজিতের বাবা অজয় রায় বলেন, এই ঘটনায় যারা জড়িত, পুলিশের
কাছে সব তথ্য রয়েছে। তাদের ধরতে ২৪ ঘণ্টার বেশি সময় লাগার কথা নয়।
এ জন্য প্রয়োজন সরকারের ইচ্ছা। অভিজিৎকে দেশে আসতে নিষেধ
করা হয়েছিল জানিয়ে শিক্ষাবিদ অজয় রায় বলেন, তাকে বলেছিলাম
বাংলাদেশে এসো না। মেজবাহ কামাল বেশ ঝামেলা করছে। কিন্তু
সে তার মাকে দেখতে এবং এবারের বইমেলায় তার দুটো বই প্রকাশিত
হওয়ায় দেশে আসে।
প্রশ্ন হলো সরকার
যদি হত্যাকান্ডটি না চালাবে তাহলে এতো নিরাপত্তার
মধ্যদিয়ে কিভাবে হত্যা করা হলো? আর
অভিজিতকে নিরাপত্তা দিতে না পারার দায় কী সরকারের
না বিরোধীজোটের?
আনসারউল্লাহ বাংলা টিম নাটক…
হত্যাকাণ্ডের দুই ঘণ্টার মধ্যেই আনসার বাংলা-৭ নামের একটি সংগঠন
টুইটারে দায় স্বীকার করে। তবে এই সংগঠনের আদৌ কোন অস্তিত্ব
আছে কীনা সেটাই ভাবার বিষয়।
কতিপয় ভাববার বিষয়…
১. সরকার যখন চরমভভাবে ইমেজ সঙ্কটে ভোগে অথবা কোন রাজনৈতিক
স্বার্থ হাসিলের প্রয়োজন হয় তখনই কেন এসব হত্যাকান্ড ঘটে? রাজিব
হত্যা বা মাওলানা ফারুকী হত্যার মতো। আর এসব হত্যার পর আলাদীনের
চেরাগের আশ্চর্য দৈত্যের মতো এসে হাজির হয় আনসারুল্লাহ
বাংলা টিম। হাসিনা ঘষা দিতেই সংগঠনটি হাজির হয় দায় স্বীকার
করার জন্য।
২. বিরোধীদলের অব্যাহত আন্দোলন ও আন্তর্জাতিক বিশ্বের
চাপে সরকার যখন খাদের কিনারে ঠিক তখনই জঙ্গি নাটক নিয়ে হাজির
হলো সরকার। আর বারবার সরকারকে উদ্ধার করার জন্য বাংলা টিম
এগিয়ে আসে যেন। সরকার জঙ্গি নাটক করার জন্য নাস্তিক লতিফ
সিদ্দীকিকে দিয়ে চেষ্টা করে যখন সফল হয়নি তখন নিজেদের
মনা লোকদের হত্যা করে জঙ্গি নাটক সাজানোর এ অপকৌশল হাসিনার
নতুন নয়। জঙ্গি ইস্যুগুলো বা হত্যাকান্ডগুলো তখনই ঘটে যখন সরকার খাদের
কিনারে থাকে।
৩. ৪ দলীয় জোটের আমলে যখন জিএমবি নামের জঙ্গি সংগঠনের উদ্ভব
হয়েছিল তার দায় যদি নিতে হয় ততকালীর সরকারের
তাহলে আজকে যে আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের উদ্ভব এই সরকারের
আমলে হয়েছে তার দায় কেন বিরোধীদল নিবে? কেন সরকারি দল
নিবে না?
৪. আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের উদ্ভব হওয়ার পরপরই র্যাব ও ডিবির
সহযোগিতায় তাদের মূল নেতা সহ প্রায় সবাইকেই নাকি গ্রেফতার
করেছে বলে বিবৃতি দিয়েছে। এমনকি এখনও পর্যন্ত তারা কারাগারেই
আছে। তাহলে এসব কর্মকান্ড পরিচালনা করছে কারা? সরকার কেন তাদের
ধরতে পারছে না?
৪. এতো এতো নিরাপত্তার মধ্যদিয়ে খুনি পালালো কিভাবে? আর
বইমেলার সিসিটিভির ফুটেজ দেখে পুলিশ কেন খুনিদের চিহ্নিত
করছে না? খুনিদের পোশাকে রক্তের দাগ ছিল। তাহলে সে দাগ
নিয়ে এতো আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর মধ্যদিয়ে খুনিরা পালালো কিভাবে?
৫. বিএনপি-জামায়াত যেখানে ঢাকা শহরের কোথাও একটি মিছিল
পর্যন্ত বের করতে পারে না সেখানে টিএসসির মত সুরক্ষিত জায়গায় এই
ধরনের কাজ কোন বিরোধী শক্তির পক্ষে করা কিভাবে সম্ভব?
বিরোধীদলের বা সরকারের সমর্থনহীন কোন দল বা সংগঠনের পক্ষে এরকম
একটি এলাকায় লাইট বন্ধ করে এভাবে প্রকাশ্যে হত্যাকান্ড চালানোর
রূপকথা কোন বিবেকবানরা বিশ্বাস করবেন?
৬. আরো আশ্চযের কথা হলো, আওয়ামী লীগের জন্যে যখনই এই ধরনের
জঙ্গী প্রচারনা দরকার পড়ে , তখনই কিছু জঙ্গী গোষ্ঠী বেরিয়ে আসে।
ফেইসবুকে বা টুইটারের একটি একাউন্ট থেকে এই হত্যার দায় স্বীকার
করে জঙ্গীরা বিবৃতি দেয়! সেই বিবৃতিকে ফলাও করে এমন
ভঙ্গিতে প্রচার করে মোজাম্মেল বাবুদের টিভি চ্যানেল ও
পত্রিকা যে এর চেয়ে খাটি কথা ও প্রমাণ আর হতে পারে না।
৭. কোন ঘটনার মিডিয়ার গুরুত্বই প্রমাণ করে ঘটনাটির সাথে কারা জড়িত।
যে ঘটনায় সরকারের লাভ সে ঘটনাগুলোকে মিডিয়া সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়।
কোন ঘটনার জন্য কে দায়ী সেটা বুঝতে হয় সে ঘটনার
বেনিফিশিয়ারি কারা তাদেরকে দিয়ে। এ ঘটনার সরাসরি সরকার
লাভবান হতে চেষ্টা করেছে। তারমানে নিশ্চিতভাবে সরকারই এ
হত্যাকান্ড চালিয়েছে। অভিজিত হত্যার
সাথে সাথে টিভিগুলো লাইভ সম্প্রচার শুরু হয়। পরিকল্পিত
না হলে কিভাবে এতোদ্রুত লাইভ করলো টিভিগুলো? তারপর কোন তদন্ত
ছাড়াই বলে দেয়া হলো এ কাজ বিএনপি- জামায়াত বা অন্যান্য
ইসলামি সংগঠনগুলোর। তারমানে সরকার
ঘটনাটিকে ঘটিয়ে পরিকল্পিতভাবে দোষটা অন্যের
ঘাড়ে চাপিয়ে দেয়া হলো। ইমরান এইচ সরকারতো হত্যার আগেই
বুকে কালো ব্যাচ পরেছিল আর ফেসবুকে প্রতিবাদ আন্দোলনের
ঘোষণা দিয়েছিল। ইমরান যদি এই
হত্যাকান্ডটি সম্বন্ধে আগে থেকে অবগত না থাকতেন
তাহলে কিভাবে তিনি ঘটনাটির আগেই প্রতিবাদ সমাবেশ
ঘোষণা করলো।
হত্যা পরিকল্পনায় অভিজিৎকে যে কারণে বাছাই করা হয়েছে…
১. হিন্দু ও মুক্তমনা এই ব্লগার নাস্তিক হলেও তার হিন্দু নামটি বিজেপির
হিন্দুত্বকে উস্কে দেওয়ার জন্যে খুবই কাজে দিবে। কারন বিজেপির
সাম্প্রতিক মতিগতি নিয়ে সরকার খুব দুশ্চিন্তায় পড়ে গেছে। ভারতের
নতুন স্বরাষ্ট্র সচিবের সফরের আগে আগে এই হত্যাকান্ডটি অন্য ধরনের
ফলাফল এনে দিবে।
২. তিনি আমেরিকারও নাগরিক। তার হত্যাকান্ডে জঙ্গীবাদের
কার্ডটি জমবে ভালো। পশ্চিমা বিশ্বের একটি অপশক্তির করুণা পেতে এই
হত্যাকান্ডটা সরকারকে সহায়তা করবে। জঙ্গীদের দমনে এই সরকারই
পশ্চিমাদের দরকার বলে তীক্ষ্ণভাবে অনুভূত হবে।
৩. তিনি মুক্তমনা ব্লগার। এই ধরনের ব্লগার নিহত হলে তা সহজেই
ইসলামপন্থীদের ঘাড়ে দোষটি দিয়ে দেয়া যায়। জনগণের চিন্তা এর
বাইরে যাবে না।
অভিজিতকে হত্যা করে জঙ্গিবাদের শেষ
কার্ডটি কী খেললো আওয়ামী লীগ সরকার? নাকি এরকম আরও কার্ড
খেলবে দলটি? তাহলে কিন্তু যারা আজকে সত্য জেনেও গোপন
রেখে সুবিধার জন্য হাসিনার সাথে রয়েছেন তারাও কিন্তু
অভিজিতের মতো নিজস্ব মানুষদের হাতেই কোনদিন নিহত হবেন। আসল
থুনির নাম জেনেও কোনদিন বলতে পযন্ত পারবেন না। হাসিনা তার
অবৈধ গদি রক্ষা করতে নিজের সন্তানকেও হত্যা করতে পারে।
বিষয়: বিবিধ
১৪৩২ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন