ইসলামী রাষ্ট্রের বৈশিষ্ট্য ও ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পদ্ধতি
লিখেছেন লিখেছেন সঠিক ইসলাম ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫, ০৮:০৪:১৮ সকাল
আলহামদুলিল্লাহ। ওয়াসসলাতু ওয়াসসালাম আলা রসূলিল্লাহ ওয়া আলা আলিহি ওয়াসসবিহী আজমাঈন।
একটি ইসলামী রাষ্ট্রের প্রধান বৈশিষ্ট্যসমূহ কী কী তা অনেকেরই জানা নেই । তাই এই নোটে আমি ইসলামী রাষ্ট্রের মৌলিক বৈশিষ্ট্য গুলো উল্লেখ করছি।
একটি ইসলামী রাষ্ট্রের প্রধান বৈশিষ্ট্যসমূহঃ
#সাধারণ বৈশিষ্ট্যসমূহঃ
ইসলামী রাষ্ট্রের প্রথম ও প্রধান বৈশিষ্ট্য হচ্ছে , এই রাষ্ট্র স্বীকার করে নিবে সমস্ত কিছুর মালিক মহান সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ সুবহানওয়াতাআয়ালা,মানুষের জন্য বিধান দাতাও তিনি,সকল ক্ষমতার উৎস তিনি, সকল আইন দাতাও তিনি, অন্য কোন আইন/বিধান যদি আল্লাহর আইন/বিধানের সাথে সাংঘর্ষিক হয় তাহলে তা বাতিল বলে গণ্য হবে। এই রাষ্ট্রের প্রথম ও প্রধান কাজ হবে আল্লাহর আইন পৃথিবীতে জারি করা।
এই রাষ্ট্রে থাকবে না কোন অবিচার,নির্যাতন,যুলুম। এই রাষ্ট্রে ধনীরা রাষ্ট্র প্রধানের কাছে ততক্ষণ দুর্বল থাকবে যতক্ষণ তাদের কাছ থেকে ‘যাকাত’ আদায় করা না হয়।গরীবরা এই রাষ্ট্রের প্রধানের কাছে ততক্ষণ প্রর্যন্ত সবল থাকবে যতক্ষণ তাদের প্রাপ্য তাদের দেয়া না হয় । এই রাষ্ট্রের একটি কুকুরও যদি অনাহারে মারা যায় তাহলে রাষ্ট্রপ্রধান নিজেকে দায়ী মনে করে।এই রাষ্ট্রের প্রধান আরাম করে এসি রুমে বসে হিন্দি সিরিয়াল বা ইংলিশ মুভি দেখে না বরং যার দিন শুরু হয় ফাজরের সলাতের ইমামতির মাধ্যমে । রাষ্ট্রপ্রধান নিজে বা তার প্রতিনিধির মাধ্যমে রাষ্ট্রের মানুষের সুখ দুঃখের খবরাখবর রাখেন।
এই রাষ্ট্রের মাসজিদগুলো শুধুমাত্র সলাতের কাজে ব্যয়িত হয় না বরং এইগুলো হয়ে উঠে দাওয়াতী ও ইসলাহীর (আত্নশুদ্ধির) প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। এইগুলো প্রশাসনিক নির্দেশ শুনানোর কাজেও ব্যবহৃত হয়।
এই রাষ্ট্রে কোন নির্লজ্জতা,অশ্লীলতা,বেহায়াপনার স্থান নেই। তাই এই রাষ্ট্রে সমস্ত অশ্লীল,আধাপোশাক পরিধানকারীর ছবি প্রদশর্নীর মাধ্যম বন্ধ করে দেয়া হয়। সেটা প্রিন্ট মিডিয়া হোক বা ইলেকট্রনিক মিডিয়া হোক।এই রাষ্ট্রে ব্যক্তি স্বাধীনতার নামে তথাকথিত ‘চেতনা প্র্যাক্টিস’ এর অধিকার দেয়া হয় না । এই রাষ্ট্রের মিডিয়াগুলো লোকদের দ্বীন শিখানো ,দাওয়াতী কাজ , শিক্ষামূলক প্রোগ্রাম ও নির্মল বিনোদনের মাধ্যম হয়। এই রাষ্ট্রের পথে পথে বিল বোর্ডে অর্ধনগ্ন মহিলার ছবি প্রদর্শন করতে দেয়া হয় না ।
এই রাষ্ট্রে কুকুর এবং শুকুরের স্বাধীনতা কাউকে দেয়া হয় না (যখন তখন যার তার সাথে ‘শাহবাগে’ ‘চেতনা প্র্যাক্টিস’ করা) । এখানে ইচ্ছাকৃতভাবে পোশাকের ‘গরীবানা অবস্থা’ মেনে নেওয়া হয় না অর্থাৎ অর্ধনগ্ন পোশাক পড়তে দেয়া হয় না। এখানে একটুকরো কাপড় তেনার মত পেঁছিয়ে মাথার মধ্যে দেয়াকে হিজাব বলেনা। এবং রঙ বেরং এর stylist বোরকা পড়ে নিজেদের সৌন্দর্য আরো বেশিগুণ বাড়িয়ে রাস্তা ঘাটে চলা ফেলার অধিকার কারো থাকে না । এখানে কোন ব্যক্তি কোন নারীকে ইভটিজিং এর চিন্তাও করতে পারে না ধর্ষণ তো দূরে থাক কারন এখানে এর জন্য আদালত তাকে কঠিন শাস্তি দিতে পারে, এখানে সমস্ত পর্ণ ওয়েবসাইট নিষিদ্ধ।অশ্লীল(ইসলামী সংজ্ঞাঅনুযায়ী) গান,বাজনা,নৃত্য নিষিদ্ধ। এইগুলোর সিডি,ডিভিডি ক্রয় বিক্রয় নিষিদ্ধ, এইগুলো কোনো ব্যক্তির কাছে পাওয়া গেলে তাকে আদালত ‘তাজিরি’ শাস্তি দিতে পারে।
রাষ্ট্রের ভিতরে থেকে আল্লাহর আইনের বিরুদ্ধে কেউ কথা বলতে পারে না এবং এর জন্য রয়েছে চরম শাস্তি। এখানকার সবমানুষ আইনের দৃষ্টিতে সমান(ইসলামী সংজ্ঞা অনুযায়ী)।এখানে মর্যাদার মাপকাঠি শুধু আল্লাহভীতি।
এইরাষ্ট্রের অন্যতম দায়িত্ব হচ্ছে সমস্ত ‘মুশরিকী’ কার্যকলাপ উৎপাটনের ব্যবস্থা করা আর এই জন্য যত কবর,খানকা,দরগাহ,মাজার রয়েছে যেখানে ‘শিরক’ (আল্লাহকে না ঢেকে অন্য কাউকে ঢাকা বা আল্লাহর ক্ষমতায় অন্য কাউকে অংশীদার মনে করা) হয় সে সব স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেওয়া।
এই রাষ্ট্র জাতীয়তাবাদ কে সমূলে উৎখাত করে , যে ভূখন্ডের,যে অঞ্চলের,যে ভাষার,যে রঙ এরই মানুষ হোক না কেন এই রাষ্ট্র তাদের জন্য উন্মুক্ত তবে শর্ত হচ্ছে এইভূখন্ডে আগমনকারী লোকদের এই রাষ্ট্রের আইনকানুন মেনে নিতে হবে। আফ্রিকার কুঁচকুঁচে কালো একজন ব্যক্তিও এই রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থাকতে পারে এবং এমনকি তাকওয়া ও জ্ঞানের অধিকার বলে রাষ্ট্রপ্রধান হতে পারে। এই রাষ্ট্রের প্রবেশের জন্য একটাই ভিসা দরকার আর তা হচ্ছে “ আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ(ইবাদাতের যোগ্য,যার আইন বিধান মেনে নেওয়া হবে ) নেই এবং মুহাম্মাদ (সঃ) হচ্ছে আল্লাহর রসূল “ এটা মেনে নেওয়া অথবা ‘জিযিয়া’ দিয়ে রাষ্ট্রের আইনমেনে বাস করা ।
#এই রাষ্ট্রের একটা উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হচ্ছে “ঠিকে থাকা এবং সামনে এগিয়ে যাওয়া” তাই এই রাষ্ট্রের কোন ফিক্সড মানচিত্র নেই, আপাতত অধিকারভুক্ত এলাকার একটি মানচিত্র থাকতে পারে কিন্তু এই রাষ্ট্রের লক্ষ্য থাকবে সামনে এগিয়ে যাওয়া, এরজন্য দাওয়াহ এবং জিহাদ দুটোই একসাথে সামর্থ্য বিবেচনা করে পরিচালিত হবে ।
#অর্থনৈতিক_বৈশিষ্ট্যঃ
এইরাষ্ট্রের অর্থব্যবস্থা না মুক্তঅর্থনীতি আর না সমাজতান্ত্রিক । এই রাষ্ট্রের নাগরিকদের সম্পদের মালিক হওয়ার এবং তা ব্যয় করার অধিকার থাকে তবে তা অবশ্যই ইসলাম অনুমোদিত পন্থার বিরুদ্ধাচরণ না করে ।
মুসলিম ধনীদের থেকে এখানে যাকাত আদায় করা হয় ( ৮৫ গ্রাম বা ৭.৫ ভরি স্বর্ণ বা ৫২.৫ ভরি রুপা বা তার সমপরিমাণ অর্থমূল্যের কেউ যদি মালিক হয় এবং তা যদি একবছর পর্যন্ত তার কাছে থাকে তাহলে এই সম্পদ থেকে ২.৫% যাকাত দিতে হবে । এবং ব্যবসায়িক পণ্যের বাজারমূল্যের উপর প্রতি বছর ২.৫ যাকাত দিতে হবে। তবে অন্যকোন স্থায়ী সম্পত্তির উপর যাকাত নেই। এছাড়া জমিনে উৎপাদিত ফসল একটি নির্দিষ্ট পরিমাণের বেশি হলে সেখান থেকে ১০ ভাগ বা ২০ ভাগ দিতে হবে (যদি জমিতে সেচ দেওয়া হয় তাহলে ২০ ভাগ অন্যথায় ১০ ভাগ।
যাকাত অর্থব্যবস্থার বিস্তারিত আলোচনা এখানে সম্ভব নয় তাই সংক্ষেপে বললাম)
এখানে কেউ সুদের লেনদেন করতে পারে না । যদি করে তাহলে এর জন্য ‘তাজিরি’(সেই শাস্তি যা শরীয়াতে নির্দিষ্ট নয় , বিচারক পরিবেশ পরিস্থিতি বিবেচনা করে শাস্তি দেন) শাস্তি ভোগ করতে হবে। এখানে কেউ দাম বাড়ানোর উদ্দেশ্যে অন্যায় ভাবে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য মজুদ করে রাখতে পারে না। অস্বাস্থ্যকর দ্রব্যের লেনদেন করতে দেয়া হয় না ।
এখানে লটারী,বিভিন্ন প্রতিযোগিতার নামে জুয়া খেলতে দেয়া হয় না ( ইসলামী শরীয়াহ মতে জুয়া হচ্ছে সেই জিনিস যেখানে কিছু ব্যক্তি অর্থ বা সম্পদ দিবে এবং একটা পদ্ধতি ঠিক করবে (যেমন কোন খেলা বা লটারী ) এবং সেই পদ্ধতি অনুসারে এক বা একাধিক ব্যক্তি সমস্ত অর্থ বা সম্পদের মালিক হয়ে যাবে এবং অন্যরা কেউ কিছু পাবে না । )
তাই এখানে বর্তমানে প্রচলিত বীমা ব্যবস্থা নিষিদ্ধ করা হয় কারন এখানে কোন লস না হলে বীমাগ্রহীতা ব্কিছুই পাই না শুধু মাত্র বীমা প্রতিষ্ঠান সমস্ত অর্থের মালিক হয়।
তাই এখানে বীমার পদ্ধতি হবে ইসলামিক পদ্ধতি ।( ইসলামিক পদ্ধতির ব্যাংকিং ও বীমার জন্য আলাদা নোট লেখা প্রয়োজন । তাই এখানে সেইগুলো বিস্তারিত লিখছিনা ।)
এখানে নেই কোন ঘুষ,দূর্নীতি বা সুদ। সমগ্র অর্থ ব্যবস্থা সুদ মুক্ত।এখানে ব্যংকিং এর ক্ষেত্রে কোন ‘উইনডো’ ইসলামিক আবার কোনটি ‘উইনডো’ ‘ননইসলামিক’ এমনটি করা যায় না , এই রাষ্ট্র সুদের ভিত্তিতে উন্নয়ন ঋণও নেয় না ।
এখানে ‘যদি সম্ভব’ হয় তাহলে Fake Money(কাগজে মুদ্রা যার আসলে কোন value নেই ) এর ব্যবহার বন্ধ করা হয় , এখানে সেই ধরনের মুদ্রা চালু করা হয় যার বাস্তব value রয়েছে যেমন স্বর্ণ-রোপা ইত্যাদি।
এই রাষ্ট্রের অন্যতম দায়িত্ব হচ্ছে তার জনগনের জন্য ‘হালাল’ খাবার এর নিশ্চয়তা দেওয়া, এখানে কোন ভাবেই হারাম খাবার যেমনঃশুকুরের শরীরের যে কোন কিছু,মদ বা এলকোহল বিক্রি করা যায় না । প্রত্যেকটি কোম্পেনির তাদের প্রোডাক্ট গুলোকে ‘Testing Department’ থেকে পাশ করিয়ে নিতে হয় । তাই এখানে এনার্জি ড্রিংক,পিগ চকলেট ইত্যাদি হাবি-জাবি নামে কেউ হারাম খাদ্য বা পানীয় বিক্রয় করতে পারে না । এখানে মাদকদ্রব্যের ব্যবসায়ীদের কঠিন শাস্তি দেয়া হয় এমনকি মৃত্যুদন্ডও দেয়া যেতে পারে।
এই রাষ্ট্র চাইলে তার ভূখন্ডের ব্যবসা বাণিজ্যের উপর কর আরোপ করতে পারে। তবে তা অবশ্যই মানুষের সাধ্যের মধ্যে থাকতে হবে এবং তা যেন জুলুম না হয়ে যায় ।
#শিক্ষাব্যবস্থাঃ এই রাষ্ট্রের শিক্ষা ব্যবস্থা সম্পূর্ণ ঢেলে সাজানো হয়, এখানে পড়াশুনা করে একজন শিক্ষার্থী অন্যকে ঠকিয়ে কিভাবে টাকা উপার্জন করা যায় তা শিখে না । এখানে শিক্ষা হয় আখেরাতমুখী,বাস্তবমুখী,কর্মমূখী এবং অত্যাধুনিক।এই রাষ্ট্রের পুরুষ স্টুডেন্টদের মহিলা টিচারের দিকে হা করে তাকিয়ে থাকতে হয় না কারন এখানে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কোএজুকেশন মুক্ত।(অর্থাৎ ছেলে-মেয়েদের জন্য আলাদা আলাদা স্কুল,কলেজ,ইউনিভার্সিটি,কোচিং)
#রাষ্ট্রপ্রধান নির্বাচনঃ
এখানে কয়েক বছর পর পর রাষ্ট্রপ্রধান নির্বাচনের নামে হাংগামা হয় না। একবার রাষ্ট্রপ্রধান বা খলিফা নিযুক্ত হওয়ার পর তার মৃত্যু,শারীরিক বা মানসিক অসুস্থতার কারনে দায়িত্ব পালনে অনুপযুক্ততা বা ইসলামী শরীয়াহ বাস্তবায়ন না করার কারন ব্যতীত তাকে সরানো যায় না । এবং তার বিরুদ্ধে প্রকাশ্য বা গোপনে কার্যক্রম পরিচালনা নিষিদ্ধ এবং সমস্ত মুসলিমের উপর ফারদ হয়ে যায় এই ধরনের অপতৎপরতা রুখে দেওয়া, ব্যক্তিগত ভাবে সেই রাষ্ট্রপ্রধান যতই খারাপ হোক না কেন, যতক্ষন তিনি সলাত এবং শরীয়াহ কায়েম রাখবেন ততক্ষণ তার বিরুদ্ধে অস্ত্র ধারণ করা হারাম-নিষিদ্ধ। তবেতার অন্যায় কার্যকলাপের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করা যাবে এবং তার অন্যায় কার্যাবলীর প্রকাশ্য নিন্দা করাও যাবে তবে অস্ত্র হাতে তার বিরুদ্ধাচরণ করা যাবে না । ( তবে আল্লাহভিরু তাকওয়াবান ব্যক্তি রাষ্ট্রপ্রধান হলে তার এই রুপ কার্যাবলী করার সম্ভাবনা খুব কম)
এখানে তথাকথিত গণতন্ত্রেরর মত একজন চোর ও একজন আল্লাহভীরুর ভোটের একই রকম মূল্য নয়, তাই রাষ্ট্র প্রধান নির্বাচনে যারা বেশি আল্লাহভীরু এবং ইসলামী জ্ঞানের অধিকারী তারাই মতামত(ভোট) দিতে পারে।
আল্লাহভীরু ও ইসলামী জ্ঞানসম্পন্ন ব্যক্তিগণ যখন একজন রাষ্ট্রপ্রধান নির্বাচন করে তখন ঐ ভূখন্ডের সমস্ত মানুষের তার কাছে ‘বাইয়াহ’(আনুগত্যের শপথ) দেওয়া ‘ফারদে আইন’ (প্রত্যেক ব্যক্তির জন্য বাধ্যতামূলক হয়ে যায়) । এই রাষ্ট্রের প্রতিটি ব্যক্তির উপর ‘ফারদ’ হয় রাষ্ট্রপ্রধানের শরীয়াত সম্মত নির্দেশ পালন, যদি প্রয়োজন হয় তাহলে মুসলিম নাগরিকদের কুফফার শক্তির সাথে জিহাদ করতে হয়।
এখানে বাবার পর ছেলে তারপর তার ছেলে রাষ্ট্রপ্রধান হবে এই রকম কোন নিয়ম নেই বরং যিনি সবচেয়ে বেশি আল্লাহভীরু, ইসলামী জ্ঞানের অধিকারী এবং অন্যান্য গুণাবলীর অধিকারী হবেন তিনিই এই রাষ্ট্রের প্রধান নির্বাচিত হবেন ।
যদি রাষ্ট্রপ্রধান হওয়ার যোগ্যতা যেমনঃ মুসলিম হওয়া,সুস্থমস্তিস্কের অধিকারী হওয়া,পুরুষ হওয়া,তাকওয়াবান হওয়া ইত্যাদি যোগ্যতা একজন কোরাইশ বংশের লোকের থাকে তাহলে সেই ব্যক্তি রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে অগ্রাধিকার পাবে। ( যেহেতু আল্লাহর রসূল (সঃ) এই নির্দেশনা দিয়েছেন)
রাষ্ট্রপ্রধান বিভিন্ন এলাকার জন্য গভর্ণর (দায়িত্বশীল) এবং বিচারক নিয়োগ দিবেন। গভর্ণর নিয়োগের সময় স্থানীয় জনগণের মতামত ও নেয়া যেতে পারে।
‘খলিফা’ বা রাষ্ট্রপ্রধান চাইলে তার পরবর্তী খলিফা বা রাষ্ট্রপ্রধান নিযুক্ত করে যেতে পারে বা তাকওয়াসম্পন্ন ইসলামী জ্ঞানের অধিকারী ব্যক্তিদের খলিফা নির্বাচনের দায়িত্ব দিয়ে যেতে পারে।
#আইন ও আদালতের বৈশিষ্ট্যঃ
এই রাষ্ট্রে রয়েছে ইসলামী শরীয়াহ আইন, শরীয়াহ বাস্তবায়নে কোন কিছুর বিনিময়ে আল্লাহর একটি বিধান ও ‘compromise’ করতে এই রাষ্ট্র প্রস্তুত নয়, এই শরীয়াহ আইন পশ্চিমাদের কাছে যতই খারাপ লাগুক না কেন, যদি সমস্ত পৃথিবী এই আইনের বিরোধিতা করে তারপরেও এই রাষ্ট্র শরীয়াহ বাস্তবায়নে বিন্দুমাত্র ছাড় দিবে না। যদি সমস্ত পৃথিবীর সাথে এই কারনে যুদ্ধ লেগে যায় তাহলে এই রাষ্ট্রের কর্তব্য তাদের বিরুদ্ধে জিহাদ করা ।
এখানে বিচারক তারাই হতে পারে যাদের আছে তাকওয়া এবং ইসলামী জ্ঞান । এখানে রাষ্ট্র প্রধানের বিরুদ্ধেও মামলা করা যায় ।
বর্তমান যুগের ওসি-ডিসি ইত্যাদি লোকজন ইসলামী রাষ্ট্রের সাধারণ কনেস্টবল হওয়ার যোগ্যতা রাখেনা।
এই রাষ্ট্রের বিচার বিভাগ থেকে প্রশাসন সম্পূর্ণ আলাদা হবে । বিচারক সম্পূর্ণ স্বাধীন বিচার করার ক্ষেত্রে । ঐ রায় রাষ্ট্র প্রধানের বিরুদ্ধে গেলেও তিনি ইসলামী শরীয়াহ মতে বিচার করবেন। আর রাষ্ট্রপ্রধানের দায়িত্ব হচ্ছে ন্যায় পরায়ণ তাকওয়াসম্পন্ন বিচারক নিয়োগ দেওয়া ।
এই রাষ্ট্রের যে কোন ব্যক্তির অধিকার রয়েছে তার অভিযোগ রাষ্ট্রপ্রধান বা তার প্রতিনিধির নিকট পেশ করার ।
এই রাষ্ট্রের প্রধানেরও ক্ষমতা নেই যে কারো উপর শাস্তি জারি করা হলে তাকে ঐ শাস্তি থেকে বাঁচানো, এখানে রাষ্ট্রপ্রতির সাধারণ ক্ষমার আওতায় চোর,ডাকাত,ব্যভিচারী সহ ইত্যাদি অপরাধীদের সাজা মওকুপ করার কোন সিস্টেম নেই। একমাত্র কিসাসের ক্ষেত্রে( অর্থাৎ কোন ব্যক্তি অন্য কোন ব্যক্তিকে আঘাত করলে বা হত্যা করলে ঐ ব্যক্তির বা ঐ ব্যক্তির উত্তরাধিকারীদের অধিকার রয়েছে তাকে একই রুপ শাস্তি দেওয়ার ) যদি ঐ ব্যক্তি বা ঐ ব্যক্তির উত্তরাধিকারী চাই তাহলে আঘাতকারী বা হত্যাকারীকে ক্ষমা করতে পারে, অন্য কেউ এই অধিকার রাখে না এমন কি রাষ্ট্রপ্রধান ও নয়।
এইরাষ্ট্রে সরকারীভাবে সলাত(নামায) বাধ্যতামূলক।কোন মুসলিম ব্যক্তি এই রাষ্ট্রে সলাত না পড়ে থাকতে পারে না, যদি সে সলাত অস্বীকার করে তাহলে তাকে প্রথমে বুঝানো হয় এবং সময় দেয়া হয় সলাত পড়া শুরু করার জন্য, যদি সে এতে রাজি না হয় তাহলে তাকে কঠিন শাস্তি এমনকি মৃত্যুদন্ড দেয়া হয়।
এর একটা কারন হতে পারে যে সে মুসলিম হয়ে ইসলামী রাষ্ট্রের সমস্ত অধিকার ভোগ করবে কিন্তু একজন মুসলিমের ঈমানের পর প্রধান কাজ সলাত পড়বেনা তা হতে পারে না।
তাই জামায়াতে সলাতের সময় সমস্ত অফিস,আদালত,ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান,গার্মেন্টস এর কার্যক্রম বন্ধ থাকে। এবং প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের মালিকরা বাধ্য থাকে কর্মচারীদের সলাত পড়ার সুযোগ এবং সময় দেয়ার জন্য।
এখানে বিবাহ সহজ কারন এখানে কেউ যৌতুক চাইতে পারে না । কোন অবিবাহিত ব্যক্তি যদি ব্যভিচার করে তাহলে এই রাষ্ট্র তাকে ১০০ দোররা মারার শাস্তি দেয় , আর কোন বিবাহিত ব্যক্তি যদি ব্যভিচার করে তাহলে এই রাষ্ট্র তাদের কঠিন শাস্তি দেয়,যত অনাচার রয়েছে তার অন্যতম কারন ব্যভিচার , ভবিষ্যত বংশ ধারা রক্ষা এবং এইডস এর মতে ভয়াবহ অবস্থা থেকে বাঁচার জন্য কঠিন শাস্তির প্রয়োজন যাতে শাস্তির কথা মনে উঠতেই ঐ কাজের কথা মাথায় না আসে, আর সেই শাস্তি হচ্ছে পাথর মেরে হত্যা করা । এবং এটা প্রকাশ্যে যাতে অন্যরা আর এই জঘন্য কাজ করার সাহস না পাই,এই রাষ্ট্রে রুপবান (সমকামী)দের জন্য রয়েছে আরো কঠিন শাস্তি এমনকি তাদের কে আগুনে পুঁড়িয়ে শাস্তিও দেয়া যায় ,মহান আল্লাহ এই অপরাধের জন্য লূত (আঃ) এর জাতিকে ধবংস করেছিলেন।
এখানে কোন পুরুষ বা মহিলার উপর ব্যভিচারের অপবাদ দেয়া হলে তার জন্য রয়েছে কঠিন শাস্তি এবং তা হচ্ছে ৮০ দোররা। তাই এখানে যখন তখন যে কাউকে হারামী,পতিতা ইত্যাদি নামে আখ্যায়িত করা যায় না । এখানে প্রতিটি মানুষের মান-সম্মানের মূল্য অনেক। সে মুসলিম হোক বা হোক অমুসলিম ,হোক গরীব বা ধনী।
এখানে চুরি করলে হাত কাটা হয় কারন এখানে কেউ অভুক্ত থাকে না , মদপান করলে শাস্তি দেয়া হয়,এখানে জাদুকর দের কঠিন শাস্তি দেয়া হয় এমনকি মৃত্যুদন্ড দেয়া হয় কারন এরা মানুষের শরীর এবং সংসারের ক্ষতি করার কাজে লিপ্ত।
এখানে মুরতাদ( ইসলাম ত্যাগকারী) ব্যক্তিদের শাস্তি হচ্ছে হত্যা করা। সে যদি প্রকাশ্যে ইসলামের কোন বিধানের বিরুদ্ধে বলে বা অস্বীকার করে তাহলে তাকে বুঝানো হয় ,সময় দেয়া হয় কিন্তু সে যদি তার গোঁড়ামি পরিহার করে সত্য ধর্মে ফিরে না আসে তার শাস্তি হচ্ছে হত্যা। এছাড়া এই রাষ্ট্রে কোন ব্যক্তিই আল্লাহ,রসূল(সঃ) বা ইসলামের কোন বিধানের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে বিরোধিতা করার অধিকার রাখে না যদি কেউ এই অপরাধ করে তাহলে তাকেও কঠিন শাস্তি দেয়া হয়। যেহেতু সে এই রাষ্ট্রের বিধান মেনে নিয়ে এই রাষ্ট্রে বাস করছে সেহেতু তাকে এই রাষ্ট্রের আইনের বিরোধিতা করার জন্য শাস্তি দেয়া হয় ।
#নারীর অধিকারঃ
ইসলামী রাষ্ট্রে অর্থ উপার্জনের কঠিন দায়িত্ব নারীদের দেয়া হয় না। তাই বিয়ের আগে ‘ফেয়ার এন্ড লাভলী’ মেখে রুপ প্রদর্শন করে তথাকথিত "প্রতিষ্ঠিত" হতে হয় না, এখানে একজন নারীর সমস্ত অর্থনৈতিক ভরণ পোষন তার পরিবারের পুরুষ লোকদের উপর বর্তায় , যদি পরিবারের পুরুষবৃন্দ তার ভরণপোষণ করতে অক্ষম হয় তাহলে সরকারই তার ভরণ পোষণ করে ।এখানে নারীর প্রধান ভূমিকা থাকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজে, আর সেটা হচ্ছে জাতির ‘ভবিষ্যৎ’দের আদব-কায়দা,পড়াশুনা শিখিয়ে জাতির জন্য সৎ,দক্ষ ও আল্লাহভীরু জনশক্তি উপহার দেওয়া । তবে কোন নারী চাইলে তার পরিবারের সম্মতিতে চাকুরী-বাকুরী , ব্যবসা-বাণিজ্য করতে পারে , আর যেহেতু এই রাষ্ট্রে পুরুষ-মহিলার অবাধ মেলামেশা নেয় সেহেতু তাদেরকে ‘বস’দের মন রক্ষার্থে ও চাকুরী বাঁচাতে ‘লিটনের ফ্ল্যাট’এ যেতে হয় না ।
একজন নারীর তার সম্পদের উপর পূর্ণ অধিকার রয়েছে । এই সম্পদ তারা বাবা-মা বা স্বামী অন্যায় ভাবে নিয়ে নিতে পারে না। এখানে একজন নারী তার মোহরানা নিজের কাছে রাখার পূর্ণ অধিকার প্রাপ্ত । এই অধিকার কেউ কেড়ে নিলে সে মামলা করতে পারে,উত্তরাধিকার সম্পত্তি যাতে সে পেতে পারে তার নিশ্চয়তা রাষ্ট্র করে দেয় এবং বিনা খরচেই বিচার চাইতে পারে।
এই রাষ্ট্রের মাসজিদগুলোতে নারীরা চাইলে যেতে পারে তবে সেখানে তাদের রয়েছে আলাদা প্রবেশ এবং বের হওয়ার পথ।এই রাষ্ট্রে নারীদেরও ঈদের জামায়াতে যাওয়ার অধিকার থাকে বরং উৎসাহিত করা হয়। তবে সেখানে অবশ্যই নারী পুরুষের জন্য আলাদা আলাদা অবস্থা থাকে। তবে ইসলাম অনুসারে একজন নারীর জন্য প্রতিদিনের সলাত গুলো তার ঘরের অভ্যন্তরে পড়াতেই সাওয়াব বেশি।
#অমুসলিমদের সাথে ব্যবহারঃ
এখানে অমুসলিমরা রাষ্ট্রের আইন মেনে বাস করতে পারবে তবে তাদেরকে নিরাপত্তা দেওয়ার প্রতিদান স্বরুপ 'জিযিয়া'(সরকার কর্তৃক আরোপিত নির্দিষ্ট কর ) দিতে হবে এবং তাদের উপর কোন যাকাত ধার্য করা যাবে না , তাদের ইজ্জত সম্মান রক্ষা করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব। তাদের মহিলাদের ইসলামী পোশাক পরিধানে বাধ্য করা যাবে না তবে তাদের কে অশ্লীল পোশাক পরার অনুমতিও দেয়া হয় না এই রাষ্ট্রে । তারা তাদের ধর্ম কোন বাধা ছাড়ায় পালন করতে পারে তবে ধর্মের নামে এমন কাজ তারা করতে পারে না যা প্রকৃত অর্থেই তাদের ধর্মে নেই এবং তাদেরকে সত্য ধর্ম ইসলাম জানার সুযোগ করে দেওয়া হয়।
#যুদ্ধবন্দীদের সাথে ব্যবহারঃ
এই রাষ্ট্রে যুদ্ধ বন্দীদের কয়েক প্রকার ব্যবস্থা রয়েছে। রাষ্ট্র প্রধান বা তার প্রতিনিধি অবস্থা বিবেচনা করে এর যে কোনো একটি গ্রহণ করতে পারে যেমনঃ বন্দী বিনিময়,পণ আদায়,কোন ব্যক্তির নিয়ন্ত্রণে(slavery) দিয়ে দেওয়া ইত্যাদি অথবা হত্যা।
যুদ্ধ বন্দী নারীদের জন্যও একই অবস্থা , বন্দী থাকাকালীন এই নারীদের শরীরের উপর কোন মানুষের অধিকার থাকে না তবে যদি অন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা না যায় বা না হয় তাহলে তাকে কোন জিহাদকারীর নিয়ন্ত্রণে(slavery) দিয়ে দেয়া হয়। এবং একবার কোন ব্যক্তির নিয়ন্ত্রণে দেয়ার পর রাষ্ট্রের আর ক্ষমতা থাকে না তাকে ফিরিয়ে নেওয়ার। সে ব্যক্তি চাইলে সে মহিলার যৌণ চাহিদা পূরণে সাহায্য করতে পারে, এইক্ষেত্রে ইসলাম সেই ব্যক্তিকে স্বাধীনতা দিয়েছে যেভাবে একজন বিবাহিত পুরুষ কে তার স্ত্রীর সাথে সংগমের স্বাধীনতা দেয়, যার নিয়ন্ত্রণে ঐ নারী থাকবে সে ছাড়া অন্য কোন ব্যক্তির সেই মহিলার শরীর দিকে থাকানোও নিষিদ্ধ। ঐ মহিলাকে তার ধর্ম পালনের সুযোগ দেয়া হবে তবে প্রকৃত ‘সত্য ধর্ম’ ইসলামের জ্ঞান ও থাকে জানার ব্যবস্থা করে দেয়া হবে , যদি ঐ মহিলা ইসলামকে সত্যি মনে করে মুসলিম হয় তাহলে ঐ ব্যক্তিকে উৎসাহিত করা হয় যাতে ঐ মহিলাকে তার নিয়ন্ত্রণ থেকে মুক্ত করে বিয়ে করার জন্য অথবা অন্য পুরুষের সাথে ঐ নারীর বিয়ে দিয়ে দেয়ার জন্য সেক্ষেত্রে ঐ মহিলার সাথে মুক্ত করে দেওয়া ব্যক্তি আর physically মিলিত হতে পারবে না । তাছাড়া ঐ ব্যক্তি চাইলেই ঐ নারীকে যে কোন সময় নিয়ন্ত্রণ মুক্ত করে দিতে পারে সেই নারী মুসলিম হোক বা না হোক এবং এই মুক্তির জন্য ঐ নারীর শরীরের প্রতিটি অংগের জন্য ঐ ব্যক্তির প্রতিটি অংগ জাহান্নামের আগুন থেকে বাঁচবে ইন শা আল্লাহ। আর যদি মিলনের কারনে ঐ নারী সেই ব্যক্তির সন্তানের মা হয় তাহলে ঐ ব্যক্তির মৃত্যুর পরে ঐ নারী Automatically নিয়ন্ত্রণ মুক্ত হয়ে যাবে। ইসলামের এই ব্যবস্থা বর্তমানে কুফফারদের ব্যবস্থার চেয়ে অনেক ভাল যেখানে একজন যুদ্ধ বন্দী নারীকে দিনের পর দিন গণধর্ষণ করা হয় বা ঐ মহিলার মুক্তির কোন ব্যবস্থা না করে তাকে অন্ধকারে বন্দী করে রাখা হয়।
ইসলাম প্রতিষ্ঠার পদ্ধতিঃ গনতন্ত্র/সশস্ত্র বিপ্লব/সেনাবাহিনীর নুসরা/ নাকি সমন্বিত প্রচেষ্টাঃ
(প্লিজ পুরোটা পড়বেন) আমরা অনেকেই স্বপ্ন দেখি আমাদের দেশ সহ পুরো পৃথীবিতে খিলাফাত তথা ইসলাম কায়েম হবে কিন্তু এই খিলাফাত তথা ইসলাম প্রতিষ্টার পদ্ধতি নিয়ে আমাদের মধ্যে চরম মতবিরোধ আছে,তাই আমি আমার মতে, যে পদ্ধতি অবলম্বন করা ইসলাম এবং বাস্তব সম্মত হবে তা এই লেখায় আলোচনা করছি।
গণতন্ত্রঃ বর্তমানে যে গণতন্ত্র চালু আছে তার মূল কথা হচ্ছে সকল ক্ষমতার উত;স জনগণ(যদিও বান্তবে দেখা যায় সকল ক্ষমতার উতস শাসক গোষ্ঠী),এখানেই ইসলামের সাথে এর পার্থক্য,ইসলাম বলে সকল ক্ষমতার মালিক আল্লাহ,বিধান ও আইন দাতা তিনি এবং পুরো পৃথীবির মানুষ একমত হলেও আল্লাহর আইন পরিবর্তন করা যাবেনা। বর্তমান গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে এক জন চোর,ডাকাত বা আল্লাহ্ দ্রোহীর মতের যে গুরুত্ব একজন খাটি মুসলিমের মতের গুরুত্বও তাই কারন এখানে সবাই একটাই ভোট দিতে পারে কিন্তু ইসলামে জনগনের মতের গুরুত্ব থাকলেও দেশের প্রধান তথা খলিফা নির্বাচনে তাদের মতই গ্রহন যোগ্য যারা ইসলামকে জীবন বিধান হিসেবে মেনে নেয় এবং সমাজে যারা তাকওয়া,জ্ঞান,ক্ষমতা ইত্যাদি কারনে প্রভাবশালী,তাই গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ইসলাম প্রতিষ্ঠা দুরুহ ব্যাপার,তাছাড়া এখানে কিছু দিন পর পর নির্বাচন হয়,যদি ইসলামী শাসন জনগনের পছন্দ না হয় তাহলে আবার ইসলাম বিরোধীরা ক্ষমতায় আসতে পারে কিন্তু ইসলামে একবার খলিফা নির্বাচিত হওয়ার পর তিনে যদি প্রকাশ্যে আল্লাহর বিধানের বিরোধীতা না করেন এবং নামায কায়েম রাখেন তাহলে তার বিরোদ্ধে বিদ্রোহ করা জায়েজ নয় যদিও তিনি ব্যক্তিগতভাবে গুনাহর কাজ করেন ,তাই বর্তমান এই গণতান্ত্রিক পদ্ধতি পরিবর্তনের নিয়ত ছাড়া এই পদ্ধতিতে অংশগ্রহণ করে ইসলাম প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়।কিছু মানুষ গণতান্ত্রিক পদ্ধতির নির্বাচনে অংশ নেয়াই যাবেনা এমন দাবি করে কারন তারা মনে করে এটা হারাম এবং হারাম পদ্ধতিতে খিলাফাত কায়েম সম্ভব নয় এবং উচিত নয়,আমি আরো কিছু পরে এই ব্যাপারে বিস্তারিত লিখছি ইন শা আল্লাহ্।
...................................................................................................................
সশস্ত্র বিপ্লবঃ এই ব্যাপারে বেশ কিছু আলেম আপত্তি জানিয়েছেন কারন তাদের মতে জিহাদের( সশস্ত্র বিপ্লবের)ডাক একমাত্র খলিফাই দিতে পারে,আমি কুরান হাদীস পরে যা বুঝেছি তাহল রসূল(সঃ) ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার আগে যুদ্ধ করেননি,আল্লাহ্ কুরানে ইবরাহীম,নূহ,মুসা বা ঈসা(আঃ) কে তাদের মূল শত্রুদের বিরুদ্ধে প্রথমে জিহাদ করতে বলেননি,আমরা যদি মূসা(আঃ) এর ব্যাপারটা দেখি তাহলে দেখব আল্লাহ্ মূসা(আ) এবং বনী ঈসরাঈলকে ফেরাউনের বিরুদ্ধে জিহাদ করতে বলেননি বরং তাদের মিশর থেকে হিজরত করতে বলেন,তবে মিশর থেকে বের হয়ে অন্য আরেকটি কওমের বিরুদ্ধে জিহাদ করতে বলেন এবং মূসা(আঃ) এর মৃত্যুর পর তার প্রধান সাহাবী ইউসা ইবনে নুন এর নেতৃত্বে তারা বিজয়ী হয়(আমি যতদূর জানি),এথেকে আমরা বুঝতে পারি ফেরাউনের বিরুদ্ধে মুসলিমদের যুদ্ধ করার সামর্থ ছিলনা তাই আল্লাহ্ তাদের বিরুদ্ধে জিহাদ করতে বলেননি অন্য দিকে যে জাতির বিরুদ্ধে জিহাদ করতে বলার হয়েছের তাদের সামনে নিশ্চয় ইসলামকে তুলে ধরা হয়েছিল এবং তারা না মেনে নেওয়ার পরে তাদের বিরুদ্ধে জিহাদ করতে বলা হয়েছিল(এটা একটা কমন বুঝার ব্যাপার কারন কুরান পড়ে আমরা বুঝতে পারি আল্লাহ্ তার দ্বীনের দাওয়াত পোছার আগে কাওকে শাস্তি দেননা)এখন আমরা যদি মেনে নেই যে সশস্ত্র বিপ্লব জায়েজ তাহলে কয়েকটি প্রশ্ন আমাদের সামনে আসে,১। আমরা যে সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করব তারা কি মুসলিম নাকি কাফির,যদি আমরা তাদের কাফের বলি এই কারনে যে, তারা আল্লাহর আইন মানছেনা তাহলে একই যুক্তিতে যারা তাদের ভোট দেই তারাও কাফের কারন তারা কাফের কে সমর্থন করছে,আর যদি শাসক গনকে মুসলিম বলে মনে করি কারন তারা ধর্ম সম্পর্কে তেমন ভাবে না জানার কারনে আল্লাহর আইন প্রতিষ্ঠা করছেনা তাহলে আমি যতটুকু জানি তাতে তাদের বিরুদ্ধে সংগ্রামকে ফিকহির ভাষায় জিহাদ বলেনা ,বলে বিদ্রোহ ,তবে এই বিদ্রোহ জায়েজ,এখন প্রশ্ন হচ্ছে আমাদের কি ঐ পরিমাণ শক্তি সামর্থ আছে যা দিয়ে আমরা সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে পারব?আমরা কিছু অস্ত্র হয়ত আনতে পারব তাও কাফেরদের থেকে কিনতে হবে,কিন্তু এই অস্ত্র যুদ্ধ করতে যথেষ্ট নয় আর আমরা ভারি অস্ত্র পাব কোথায়? কারন ভারি অস্ত্র আনতে হলে সীমান্ত দিয়ে বাইর থেকে আনতে হবে তা তো সম্ভব না,আর আমরা সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে চাইলে আগে যুদ্ধের ঘোষনা দিতে হবে, ঘোষনা ছাড়া চোরা গুপ্তা হামলা ইসলাম অনুমোদন করেনা তাইতো হাদীস শুনে মুয়াবীয়া(রঃ) কে আক্রমন না করে ফিরে আসতে হয়েছিল,আর যদি ঘোষনা ছাড়া ইসলাম বিরোধীদের হত্যা করা শুরু করি তাহলে এটা একদিকে যেমন ইসলাম সমর্থন করেনা অন্যদিকে তারাও যদি র্যাব পুলিশকে সাথে নিয়ে দাড়ি,টুপি দেখলে গুলি করে।নামায রত অবস্হায় গুলি করে তাহলে তাদেরকে আমরা কি বলে দোষারুপ করতে পারি??
..........................................................................................
সেনাবাহীনির নুসরাঃ এটা ইসলাম বিরোধী নয় ,তবে কথা হচ্ছে এই রকম সেনাবাহিনী তো আসমান থেকে নাজিল হবেনা,তারা যদি ইসলামিক না হয় তাহলে কেন তারা এমন বিপ্লব ঘটাবে যাতে তাদের কোনো লাভ হবেনা?
সমন্বিত প্রচেষ্টাঃ উপরিউক্ত পদ্ধতি গুলো একটিও স্বয়ং সম্পূর্ণ নয় বলে আমি মনে করি,আমাদের প্রথমে যা করতে হবে তা হচ্ছে নিজের জীবনে,পরিবারে ইসলাম কে প্রতিষ্ঠা করতে হবে ,শুধু ফরজ পালন করা যথেষ্ঠ মনে করা উচিত হবেনা বরং রসূল(সঃ) এর সাহাবীরা যেমন প্রত্যেকটা ব্যাপারে আল্লাহর রসূল(সঃ) কে অনুসরণ করতে চেষ্টা করতেন আমাদেরও তেমন করতে হবে,সাহাবীরা সুন্নাত,নফল এতো গুলো বাচ বিছার করতেননা ,কোনো ব্যাপারে আল্লাহর রসূলের নির্দেশ পেলে সেটাই মানতে প্রাণপণ চেষ্টা করতেন তবে কেও যদি নফল কিছু আমল না করে আমরা তাকে দোষারুপ করে দল বা জামায়াত থেকে বেরও করে দিতে পারিনা,আমাদের পরিবারগুলোতে পর্দা পালন হতে হবে যেমন আমার স্ত্রীর সাথে আমার ভাই,আংকেল,ভাইপো বা অন্য কোনো না মাহরাম বিনা প্রয়োজনে দেখা সাক্ষাত করবেনা ,প্রয়োজন হলে পর্দার আড়াল থেকে কথা বলতে পারে,আমাদের পরিবার গুলোতে একজন আরেক জনের প্রবেশের ক্ষেত্রে অনুমতি নেওয়ার যেসব বিধান কুরান দিয়েছে তা পালন করা হবে ইত্যাদি,আমাদের প্রতিষ্ঠিত স্কুল,কলেজ।ইউনিভার্সিটি গুলো অর্থ উপার্জনের মাধ্যম না হয়ে বরং দাওয়াতী ক্ষেত্র হবে, উখান থেকে যারা বের হবে তাদের বেশির ভাগই দায়ী ইলাল্লাহ হয়ে বের হবে,অন্যরা দাওয়াতী কাজে এক্টিভ না হলেও কখনো ইসলাম বিরোধী হবেনা,এই রকম সিলেবাসই আমাদের তৈরি করতে হবে,যেমন ইন্ডিয়াতে ডাক্তার জাকির নায়েকরা করেছে,আমাদের হস্পিটাল গুলোতে পরিপুর্ণ ইসলামী শরীয়াহ তথা পর্দা মেনে চলা হবে যেমন ইন্ডিয়াতে ডাক্তার জাকির নায়েকরা পেরেছে,আমাদের টিভি চ্যানেল,পত্রিকা,ব্যাংক গুলোকে সম্পুর্ণ শরীয়াহ মেনে চলতে হবে,কেউ যদি মনে করে এটা সম্ভব না তাহলে আমি তাকে আল্লাহর প্রতি নতুন করে ঈমান আনতে বলব(তবে মনে রাখতে হবে বিশেষ পরিস্তিতিতে ইসলাম তার শরীয়ার সাধারন রুলের বাইরে কাজ করার অনুমতি দেই,যেমনঃ গর্ভপাত হারাম কিন্তু মায়ের জীবন যদি হুমকির মুখে পড়ে তাহলে ইসলাম গর্ভপাতের অনুমতি দেই,এটাও শরীয়াতের অংশ।) আমাদের এমন একটা দল থাকতে হবে যেখানে লোকেরা দীন শিখতে পারবে, যাদের সমস্ত কাজ হবে কুরান হাদীস অনুসারে,এখানে প্রত্যেকটা ব্যক্তির মনে দীন কায়েমের দায়িত্বানুভূতি জাগ্রত থাকবে,আমাদের যেসব ভাই admin। এ চাকরি করবে তারা একেকজন হবে ইসলমের প্রতিনিধি,আমাদের পুলিশ,সেনাবাহিনীতে লোক ঢুকাতে হবে এবং তাদেরকে সাংগঠনিক পরিবেশে রাখতে হবে অর্থাৎ তাদের জন্য নিয়মিত প্রোগ্রামএর আয়োজন করতে হবে,শারীরিক ভাবে সম্ভব না হলে অনলাইনে করা যায়,যখন প্রয়োজন হবে তখন কেন্দ্রীয় আমীরের ঘোষণায় তারা যথাযথ ভূমিকা পালন করবে,মাঠে যে সব ভাই থাকবেন তাদের উন্নত চরিত্র ও ইসলামের আদর্শ প্রদর্শন করে ব্যাপক দাওয়াতী কাজ করতে হবে.
....................................................................................
গণতান্ত্রিক পদ্ধতির নির্বাচনে অংশগ্রহণ কি মোটেও জায়েজ নয়?ঃ কিছু ভাই বলেন যে এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ মোটেও জায়েজ নয়,তারা একটা উদাহরণ দেই যে, মদ আপনি যে নিয়তেই খাননা কেন তা হারাম,তাই নির্বাচনে অংশগ্রহণ হারাম,এই যুক্তিটি ঠিক নয় কারন মদ খাওয়ার কাজটাই হারাম কাজ কিন্তু পার্লামেন্টে যাওয়া হারাম নয়, ঐখানে আল্লাহর আইনের বিরুদ্ধে আইন করাই হারাম,তাই এই সিস্টেম পরিবর্তন করে খিলাফাত তথা ইসলামে কায়েমের নিয়ত নিয়ে নির্বাচনে যাওয়া জায়েজ,এটাই বেশির ভাগ উলামার ফাতওয়া।সত্য বলতে কি রসূল(সঃ) এই পদ্ধতি কেই বেচে নিয়েছিলেন,মদীনার লোকেরা ইসলাম কবুলের আগে ঠিক করেছিল তারা আব্দুল্লাই ইবনে উবাই(মুনাফিক সর্দার) কে তাদের নেতা বানাবে কিন্তু তারা ইসলাম গ্রহণের পর মুহাম্মাদ(সঃ) কে নেতা নির্বাচিত করে ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করে,যদি এর পরেও কেউ বলে যে নির্বাচনে যাওয়া হারাম তাহলে তার যুক্তিতেই তাকে মানতে হবে যে, কুফরি,শিরকি মতবাদে পরিচালিত ভার্সিটিতে পড়া হারাম হবে,কুফরি আইনে পরিচালিত আদালতে জামিন চাওয়া হারাম হবে,হজে যাওয়ার জন্য ছবি তোলাও হারাম হবে।তাই ইসলাম বিরোধীদের খোলা মাঠে গোল দিতে দেওয়া মোটেই উচিত হবেনা এতে তারা আরো ইসলাম বিরোধী আইন করতে থাকবে।
আমি উপরে যা লিখলাম তা যদি করা সম্ভব হয় তাহলে এমন এক দিন আসবে ইন শা আল্লাহ,যে দিন আমরা দেশের ইসলাম প্রিয় জনতাকে সাথে নিয়ে আল্লাহর আইন বাস্তবায়নের দাবি তুলতে পারব,সরকার এই আন্দোলনকে প্রতিহত করতে পারবেনা কারন পুলিশ,সেনাবাহিনীর বিরাট অংশে আমাদের লোক থাকবে,এই ভাবে বিপ্লব হওয়ার পর একটা গণভোট নিয়ে বিশ্ববাসীকে দেখাতে হবে যে, এই দেশের লোকেরাই আল্লাহর আইন চাই,আর কোনো ব্যক্তি চরম ইসলাম বিরোধী না হলে আল্লাহর আইনের পক্ষে ভোট দিবেই,এর পর সংবিধান পরিবর্তন করে সকল ইসলাম বিরোধী দল নিষিদ্ধ করা হবে এবং তাদের কৃত অপরাধের বিচার করা হবে, একজন খলিফা নির্বাচন করা হবে এবং দেশে খিলাফাত কায়েম হবে। তবে অবশ্যই বাইরের দেশের সাথে ভাল সম্পর্ক রাখতে হবে তা না হলে তাদের সাথে যুদ্ধ করার মত সামর্থ্য প্রথম প্রথম আমাদের থাকবেনা।
বিষয়: বিবিধ
৫০২৭ বার পঠিত, ৫ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
A PHP Error was encountered
Severity: Notice
Message: Undefined offset: 7228
Filename: views/blogdetailpage.php
Line Number: 764
আল্লাহ আপনার এই লিখার প্রতিটি বর্নের জন্য সর্বোচ্চ পরিমান সাওয়াব বরাদ্ধ করুন। এটাই আমার প্রার্থনা।
আপনার কনক্লুডিং লাইনটা এতোটাই বেপরোয়াভাবে শক্তিশালী, এতোটাই আগ্রাসী এবং এতোটাই আপনার পরিকল্পনার বিরুদ্ধে যে উক্ত আপাতঃ বিদেশী শক্তি কিংবা ইসলামিক্যালী দাজ্জালিক শক্তিটি - আপনার ইচ্ছা ও কর্ম দুটোকেই দূর্বল শুধু করছেনা - তাকে মিইয়ে দিচ্ছে যেন। মনে হচ্ছে সব ই ঠিক আছে কিন্তু তারপর ও নিঃশেষ হয়ে যাচ্ছে।
স্বভাবতঃই আমি অনুভব করি এ্যাকশান যদি হতেই হয় - আমাকে দুনিয়া বিমুখ হয়ে আখেরাত মুখি হতে হবে। যা আমাদের আজকের সমাজ ব্যবস্থা, আজকের চিন্তাধারা র সাথে যায় না, উদ্ভট এবং ইমপ্রাকটিক্যাল মনে হয়। উদাহরন স্বরূপঃ
১। সাবসিস্টেন্স/মারজিনালাইজড লেভেল এর লিভিং কে আত্মস্থ করতে হবে এবং তা পরিচিত মহলে প্রমোট করতে হবে - ঠিক যেমনটা নবী আঃ, সাহাবী রাঃ এর জীবনে পাওয়া যায় এবং কোরান ও হাদীসে দৃষ্টান্ত পাওয়া যায়।
২। শিক্ষিতা মহিলাদেরকে সোশ্যাল কাজে সাবসিসটেন্স লেভেল পারিশ্রমিকের বিনিময়ে বিভিন্ন সচেতনতামূলক কাজে আত্মনিয়োগ করতে হবে। যেখানে ঘরের বাহিরের কাজ সর্বোচ্চ মাসিক ৪০ঘন্টা কাজের ইক্যুইভ্যালান্ট হতে পারে। শিক্ষিত ভাইরা তাদের উপার্জনমুখী কাজের ঘন্টা কমিয়ে দিতে হবে এমন একটা লেভেল এ যেখানে তার এক ধরনের অভাব বোধ ও অর্থনৈতিক দৈন্যতার ভয় লেগে থাকে। মিনিং এমন কোন উপার্জন নয় - যা ফ্রিজ ভরা মাংস, ওয়ার্ডব ভরা পোষাক ইজি করে দেয়। অবশিষ্ট সময় দ্বীন, মানুষ, সমাজ ও রাষ্ট্রের জন্য কাজ এ ব্যায় করতে হবে।
৩। গণহারে মুসলিম নারীদাসীর শ্রম বিক্রি বন্ধ করার জন্য কাজ করতে হবে। তথা অর্গানাইজড গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রী হতে মহিলাদেরকে গ্রামমুখী করতে হবে। এতে করে ৪০ লক্ষের বেশী মুসলিমাহ আর্থিকভাবে দরিদ্র হলেও দাসানুদাসের জীবন হতে মুক্ত হতে পারবে এবং আখেরাতে উত্তম প্রতিদান পেতে পারবে।
এমনি ভাবে যা কিছু দুনিয়া মুখি - তা হতে আমরা বিরত হতে থাকি - তথা আমরা তাদের জন্য শ্রমের জোগান কমিয়ে দেই, শাসন এ ভাগ না বসাই, ভোগের পরিমান কমিয়ে দেই ঠিক যেমনটা খিদির আঃ শিখিয়েছেনঃ
১। নৌকা ফুটো করা মানে জীবিকায় সাময়িক ছেদ করা কিংবা জীবিকা অর্জনে হ্রাস টেনে ধরা।
২। শিশু হত্যা করা মানে ঈমানের প্রয়োজনে দরকার হলে প্রিয় কোন বস্তুকে কোরবানী করে দেওয়া।
৩। অবলার দেওয়াল বিনির্মান মানে যদি আমরা আল্লাহর জন্য উপরোক্ত দুটো ত্যাগ স্বীকার কির তবে নিশ্চিত আমরা অবলা হলেও, দূর্বল হলেও আল্লাহ আমাদেরকে এ্যাবানডান দিবেন আগামীতে।
আল্লাহ আপনার সহায় হোন। ভাল থাকবেন সবসময় ইনশাল্লাহ্।
মন্তব্য করতে লগইন করুন