নারী অধিকার
লিখেছেন লিখেছেন সঠিক ইসলাম ০২ জানুয়ারি, ২০১৫, ০৮:৩৩:৫৯ সকাল
নারী অধিকার নিয়ে সবচেয়ে বেশি বিভ্রান্তি হয় সবসময়। আর সে যদি হয় নাস্তিক তাহলে তো সে ইসলামকে হেয় করার আরেকটা পদ্ধতি পেয়ে বসে। কয়েকটা বিভ্রান্তির নমুনা :
1.ইসলামে মেয়েদের ঠকানো হয়েছে। বাবার সম্পত্তিতে মেয়ের হক ছেলের থেকে কম।
2.ইসলাম কত অমানবিক! মেয়েদের ঘরে থাকতে বলে,পর্দায় থাকতে বলে।
3.ইসলামে নারী নেতৃত্ব হারাম। কত ব্যাকডেটেড! হিলারি ক্লিনটন আমেরিকার মত শক্তিশালী রাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রী ছিলেন। তিনি কি ব্যর্থ?
4.ইসলামে বাচ্চা মেয়েদের বুড়া লোকের সাথে বিয়ে দেয়া জায়েজ। কি জঘন্য!
5.ধর্ষিতাকেও কিনা শাস্তি পেতে হয়! কত পাষন্ড!
আরো অগণিত আছে। লিখতে লিখতে মহাকাব্য হয়ে যাবে। যাহোক যেগুলা লিখলাম তা সম্পর্কে বলি।
*মনে করুন তাসলিমা আপার আরেকটা বড় ভাই নাম তার তরুণ। তাদের আব্বু তাসলিমাকে একটাকা আর একটা চকলেট দিলেন আর তার ভাইকে চারটাকা দিয়ে বললেন সে যেন চকলেট কিনে নিজে এবং পরিবারের সকলকে খাওয়ায়। তারপর তাসলিমা যখন তার জামাইর কাছে গেল সেও তাকে চকলেট দিল আর চার টাকা দিল। মায়ের কাছে যাওয়ার পর ও তাসলিমা এক টাকা পেল।
তাসলিমার কাছে থাকল 1+4+1=6 টাকা।
অন্যদিকে সবাইকে চকলেট কিনে খাওয়াতে গিয়ে তরুণকে আরো দুটাকা ধার করতে হয়। ফলে তার কাছে কোন টাকাই থাকেনা।
এবার দেখেন তো?তাসলিমা চকলেট তো খেলই হাতে টাকাও থাকল। আর তরুণ বেচারা দেনায় পড়ল।
হ্যাঁ। এটাই ইসলাম। যেখানে বাবা-মা,স্বামীর সম্পদে অধিকার আছে কন্যার যদিও অল্প। কিন্তু যেহেতু তার দায়িত্ব সবসময় পুরুষের উপর তার সম্পদ সে বিলাসিতা অথবা দান খয়রাতে বিলিয়ে দিতে পারে।
** পর্দা নিয়ে নতুন আর কি বলব! পশ্চিমা দেশ আর ইসলামিক দেশগুলোর ধর্ষণের পরিসংখ্যান দেখলেই পরিষ্কার হয়ে যাবে। তবে ইসলামে পুরুষদের চোখের পর্দার বিধান কঠোরভাবে মানতে বলা আছে। আর সেটা যে কালো পর্দায় ঢেকে থাকার চেয়ে কত কঠিন পুরুষই বলতে পারবে।
***নারী নেতৃত্বের স্বাদ কেমন সেটা একবার আমাদের দেশের দিকে তাকালেই বুঝবেন
**** ইসলামে বয়সের ব্যাপারের চাইতে ইচ্ছার উপর বেশি জোর দেয়া হয়েছে। প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে বিয়ে হতে পারে তবে উভয়ের সম্মতিতে। মেয়ে যদি চায় তাহলে কার কি সমস্যা। কিন্তু লোভে পড়ে বাবা মা বড়লোক বুড়োকে জামাই বানায় মেয়ের অনিচ্ছাসত্ত্বে। ইসলামে এই বিয়েকে বিয়ে বলেই গণ্য করা হয়না!
5.ধর্ষণের সংজ্ঞা যদি হ্যাপির মত হয় তখন তাকে যেনা বলে। আর যেনাকারীর শাস্তি অবশ্যই প্রাপ্য। আর ধর্ষিতা যদি মিথ্যা অভিযোগ আনে ধর্ষণের তাহলেও তো শাস্তি প্রাপ্য। কারণ এতে সে একজন নিরপরাধীকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে।
(কই ধর্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তির জন্যে তো কেউ ইসলামকে সাধুবাদ জানায়না)
''ইসলাম মানেই ক্ষমা। যদি তার বিপরীত নির্দয়তা দেখ তবে জেনে রাখ সেটা ইসলাম নয়।
ইসলাম মানেই জ্ঞান। যদি তার বিপরীত বোকামি দেখ তাহলে জেনে রাখ তা ইসলাম নয়। ইসলাম মানেই ন্যায়বিচার। যদি তার বিপরীত অবিচার দেখ তবে জেনে রাখ তা ইসলাম নয়।''
বিষয়: বিবিধ
১৩৭১ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আমাদের সমাজে মিউচুয়াল কোন ব্যাপারে কোন হ্যাপা ঘটলে দোষ সবসময়ই ছেলেদের দেওয়া হয় ।
মেয়েকে সর্ব ক্ষেত্রেই নির্দোষ বলে প্রথম থেকেই ধরে নেওয়া হয়।
A PHP Error was encountered
Severity: Notice
Message: Undefined offset: 10348
Filename: views/blogdetailpage.php
Line Number: 764
মন্তব্য করতে লগইন করুন