সৌদি আলেমরা কারাগারে যাওয়ার কারণ

লিখেছেন লিখেছেন সঠিক ইসলাম ০৮ এপ্রিল, ২০১৪, ১০:১৪:৩৩ রাত

শায়খ মুহাম্মদ বিন আব্দুর রাহমান আল আরিফী হাফিজাহুল্লাহ।

মধ্যপ্রাচ্যের প্রাণভোমরা। বক্তব্য লিখনীতে অনন্য। বংশীয় দিক

থেকে হযরত খালিদ বিন ওয়ালীদ রাযিয়াল্লাহু'র বংশধর। মিসরের বর্তমান ফেরআউন সিসি যখন ডক্টর মুরসির পতন ঘটিয়ে সে দেশে গণহত্যা শুরু করে। তখন তিনি এর বিরুদ্ধে জোড়ালো বক্তব্য দেন।

এর কারণেই তাকে গ্রেফতার করে সৌদী মুনাফিক সরকার। তাকে একদিন জেলে আটকে রেখে মিসরের আভ্যন্তরীণ বিষয়ে কথা না বলার দস্তখত নিয়ে মুক্তি দেয়। তার গ্রেফতারির কারণ স্পষ্ট। কারণ

সৌদি সরকার ফেরআউন সিসিকে সমর্থন দিয়েছে এবং আর্থিক সাহায্য করেছে। এভাবে সৌদি আরবের বেশ কয়েকজন আলেমকে সত্য বলার অপরাধে, অন্যায়ের বিরুদ্ধে গর্জে ওঠার কারণে গ্রেফতার করা হয়েছে। এখানে কয়েকজন আলেমের গ্রেফতারির কারণ উল্লেখ করা হলো। শায়খ সুলায়মান উলওয়ান হাফিজাহুল্লাহ:

১৯৬৯ সালে জন্ম গ্রহণ করেন। কাসীম শহরে। বিশিষ্ট আলেম ও মুহাদ্দিস। লিখনীতেও অনন্য। তার অপরাধ হচ্ছে ৫৩ টি কারণ

দেখিয়ে ফেদায়ী হামলা জায়েয বলে ফতোয়া দেয়া। ইমারাতে ইসলামিয়্যাহ আফগানিস্তানের পতনের পর জিহাদ ফরজ আইন বলা এবং আফগান জিহাদে অংশগ্রহণের দাওয়াত দেওয়া। ২০০৪ সালে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার হওয়ার এখন নয় বছর

হয়ে গেলো। এরমধ্যে ধারাবাহিক ছয় বছর আপন স্ত্রীর সাথেও দেখা করতে পারেন নি। শায়খ খালিদ আর রাশিদ হাফিযাহুল্লাহ:

অত্যন্ত হৃদয়গ্রাহী ভাষায় ওয়াজ করতেন। ইয়া উম্মাতা মুহাম্মদ

(হে মুহাম্মদের উম্মতেরা), রাআইতুন্নাবীয়্য ইয়াবকী(আমি নবীজীকে কাদতে দেখেছি) সহ বিভিন্ন শিরোনামে তার বেশ

কয়েকটি বক্তব্য আছে। এইসব বক্তব্যে তিনি উম্মাহের বর্তমান অবস্থা, বুশের ইসলামের বিরুদ্ধে ক্রুসেড ঘোষণার কথা অত্যন্ত

মর্মস্পর্শী ভাষায় তুলে ধরেন। ব্যস, তাকে গ্রেফতার করা হয়। ২০০৫ সালে। দেওয়া হয় ১৫ বছরের জেল। আজ অবধি তিনি কারাগারে আছেন। তার পরিবারের উপরও চলছে নির্যাতন। শায়খ নাসির আল ফাহাদ হাফিযাহুল্লাহ: তিনি বেশ ভালো লিখতেন। তিনি অনেক বই ও প্রবন্ধ লিখেছেন, তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য … • আত-তিবিয়ান ফি কুফরি মান আ'আন আল-আম্রিকান

( ﺍﻟﺘﺒﻴﺎﻥ ﻓﻲ ﻛﻔﺮ ﻣﻦ ﺃﻋﺎﻥ ﺍﻷﻣﺮﻳﻜﺎﻥ )

-- যারা আমেরিকাকে সাহায্য করে তাদের স্পষ্ট কুফরি ( মুদ্রিত )

• রিসালাহ ফি হুকমি ইসতিখদাম আসলিহাত আল-দামার আল-শামিল দিদ আল-কুফফার - গনবিধ্বংসী অস্ত্র

( Weapon of Mass Destruction )

ব্যবহারের বৈধতা ( মুদ্রিত ও প্রকাশিত : ২১ মে, ২০০৩ )

ব্যস, তাকে গ্রেফতার করা হয়। ১৯৯৭ সালে একবার অন্যবার ২০০৩ সালে। এখন পর্যন্ত তিনি কারাগারে আছেন। শায়খ আব্দুল্লাহ বিন মুহাম্মাদ মুহাইসিনি হাফিযাহুল্লাহ: তিনি মসজিদে নববীর ইমাম ছিলেন। গাদ্দাফি নিহত হবার পর তিনি আরবের দালাল শাসকদের পতন কামনা করে দুআ করেন। এতেই তাকে মদীনার মসজিদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। বর্তমানে তিনি সিরিয়ায় মুজাহিদফ্রন্ট আহরারুশ শামের হয়ে জিহাদরত আছেন।

উপরের আলোচনায় যদি একটু চিন্তা করি তাহলে বুঝতে পারবো যে, তাদের গ্রেফতারির কারণ হচ্ছে পশ্চিমা স্বার্থের বিরুদ্ধে কথা বলা, জিহাদের কথা বলা, সত্যকে তুলে ধরা। সউদি আরবের ধৃষ্টতা .. মুসলিম উম্মাহর চিন্তা-চেতনার সাথে এ- কী গাদ্দারি!

এক.

প্রথমেই দারুল উলুম নদওয়াতুল উলামার মহাপরিচালক হযরত মাওলানা সায়্যিদ রাবে হাসানী নদভী (হাফিযাহুল্লাহ)কে অনেক অনেক ধন্যবাদ। কেননা তিনি মুসলিম উম্মাহর ক্ষত-বিক্ষত হৃদয়কে সম্মান জানিয়ে সউদি সরকারের একটি উচ্চস্তরের প্রতিনিধিদলকে নদওয়াতুল উলামা’র ক্যাম্পাসে প্রবেশের অনুমতি দেন নি। নিঃসন্দেহে এটি একটি শক্ত প্রতিবাদ। আমরা মনে করি,

সউদি সরকার মুসলিম উম্মাহর প্রকৃত স্বার্থকে পাশ কাটিয়ে শুধু নিজেদের সাম্রাজ্য ও রাজতন্ত্রকে কণ্টকমুক্ত রাখার জন্যে পাশ্চাত্যের সাথে গাঁটছড়া বেধেছে।আফগানিস্তান আর ইরাকের লক্ষ লক্ষ মানুষ হত্যার ঘৃণ্যনায়ক শুধু ইঙ্গ- মার্কিনীরাই নয়, নির্লজ্জভাবে সউদিও তাদেরকে সমর্থন জানিয়ে মুসলিম উম্মাহর বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। লাখ লাখ শিশু বিনা চিকিতসায় বিনা ওষুধে কাতরাতে কাতরাতে মারা গেছে, এর দায়ও সউদি এড়াতে পারবে না! ভারতের নরেন্দ্র মোদির চাইতেও জঘন্য খেলায় মেতে উঠেছে এই সউদি রাজা-যুবরাজরা। এ পর্যন্ত মিসরে ৯ হাজার মানুষকে মেরে ফেলা হয়েছে, এর দায়ও নিতে হবে বাদশা আবদুল্লাহকে, তিনি এ হত্যাকান্ডকে প্রকাশ্যে সমর্থন যুগিয়েছেন। ‘থলে থলে রিয়াল’ তুলে দিয়েছেন। কুটনৈতিক সমর্থবান জানিয়েছেন। বারবার বলেছেন, আমরা সন্রাসীদের (ইখওয়ানকে) সমর্থন করি না। একদিকে নিজেকে খাদিমুল হারামাইন হিসাবে পরিচয় দিতে তাবত ব্যাকুলতা আর অন্যদিকে মানুষ মারার জন্যে অবৈধ সেনাশাসককে উতসাহ দেওয়া— একেই বলে হারামাইনের খিদমত?

দুই.

গত শুক্রবারও (৭/৩/১৪) সউদি আরব আরেকবার মুসলিম উম্মাহর সাথে বেঈমানি করেছে। মিসরের নিরস্ত্র ইসলামী সংগঠন ইখওয়ানুল মুসলিমীনসহ আরো ৮টি ইসলামী সংগঠনকে ‘সন্ত্রাসী দল’ হিসাবে সরকারিভাবে ঘোষণা দিয়েছে। আমি নিশ্চিত, বাদশাহ ফয়সল এখনবেঁচে থাকলে রাগে-ক্ষোভে- দুঃখে এই আবদুল্লাহর টুটি চেপে ধরতেন। বাদশাহ ফয়সল তাঁর শাসনামলে ঘোষণা করেছিলেন, ইথওয়ানুল মুসলিমীন আল্লাহভীরু এক মহান সংগঠন। আজ ছোট ভাই আবদুল্লাহর মুখে শুনি উল্টো কথা। পাশ্চাত্যের পদলেহন করে বর্তমান বাদশা আর কয়দিন বাদশাহির মজা লুটতে পারবেন? বয়স তো তাঁর কম হয় নি, তবুও কেনো এই বিস্ময়কর

গাদ্দারি?

তিন.

বুশ-ওবামা বাদশার সম্মাননা পায়। এমনকি মুসলিমঘাতক আরাকানের জান্তাও তাঁর কাছে সম্মাননা পায়। পাশ্চাত্যের লাল চামড়া দেখলে তিনি একেবারে বিগলিতচিত্তে হাসি দিয়ে বার্ধক্য ঢাকার চেষ্টা করেন। কিন্তু আফগানিস্তান-ইরাক-সিরিয়া- মিসরের

রক্তবন্যা কেনো কখনো তাঁর চোখে এক কাতরা সমবেদনাও ফুটিয়ে তুলতে পারলো না? খাদিমুল হারামাইনের এ কেমন মানবতা? আল-আকসার পবিত্র চত্বরে নাপাক ইহুদিরা যখন তখন

দাবড়ে বেড়ায়। কখনো বুটপায়ে ভিতরে গিয়ে ধরপাকড় করে। তখন বাদশাহ নামদার কি কখনো ওদের দিকে খাদিমুল হারামাইনের দরদ- ব্যথা নিয়ে তাকিয়েছেন? প্রতিবাদ করেছেন কি কখনো? আফসোস এমন খাদিমুল হারামাইনের জন্য!

চার.

কাতার কী অপরাধ করেছে? কেনো সউদি-বাহরাইন-আমিরাত ‘জোট বেধে’ নিজেদের রাষ্ট্রদূতদেরকে ফেরত নিয়ে গেলো কাতার থেকে? ইখওয়ান- হামাসের পাশে দাঁড়িয়েছে কাতার

— এই কি অপরাধ? তবে তাই হোক! সব শালা গাদ্দারেরা নিয়ে যাক ওদের রাষ্ট্রদূতদের, কাতরের এতে কিচ্ছু হবে না। কাতার আরো সমৃদ্ধ হয়ে ওঠবে। নিজের পায়ে দাঁড়াবে। মুসলিম উম্মাহর অশ্রুময় ভালোবাসা নিয়ে আরো এগিয়ে যাবে। ধন্যবাদ হে সাহসী আমির!

পাঁচ.

হে আলে সউদ! জাযিরাতুল আরব তোমাদের কারো বাবার সম্পত্তি না। কেনো তোমরা এই জাযিরাতুল আরবের .. এই হিজাযভূমির নাম বদলে দিয়ে রেখেছো— ‘সউদি আরব’? কেনো তোমরা হে আলে সউদ দুশমনের সাথে ‘হাত মিলিয়ে’ তুর্কি খেলাফত ধ্বংস করেছো? তারপর ওদের সাথে গোপনে চুক্তি করে বাদশাহ হয়ে গেছো? কেনো তোমরা মুসলিম হত্যায় প্রতিবাদ করো না?

প্রভুরা অখুশি হবে বলে? রাজতন্ত্র চলে যাবে বলে? কেনো তোমরা জাযিরাতুল আরব-এর ব্যবসা-বাণিজ্য ও অর্থ বিভাগ নিয়ন্ত্রণের চাবিকাঠি ঐ দুশমনদের হাতে তুলে দিয়েছো? বলবে কি; কেনো হারামাইনের পাশে দুশমনের নামে আকাশচুম্বী বিলাসী হোটেলের বন্যা বইয়ে দিচ্ছো? ওদের স্বার্থে নয় কি? মধ্য আফ্রিকা প্রজাতন্ত্র এখন মুসলিম শূন্য! সবাইকে খৃষ্টানরা মেরে সাফ করে দিয়েছে! কেনো তাহলে তোমরা সামান্য প্রতিবাদ করো নি? নাকি ইখওয়ানুল মুসলিমীনকে ‘সন্ত্রাসী দল’ আখ্যা দেয়াটা একটু বেশিই গুরুত্বপূর্ণ? মনে রেখো, জাযিরাতুল আরবের তেল ও সোনা তোমাদের না, সমস্ত মুসলিম উম্মাহ এর মালিক। কেনো তোমরা তেল তুলে দিচ্ছো দুশমনের স্বার্থ রক্ষার জন্যে ওদের হাতে?

কেনো তোমরা স্বর্ণ দিয়ে বিমান বানিয়ে বে-শরম বিলাসিতায় গা বাসিয়ে দিচ্ছো? এ সব তেল সোনার মালিক কি আলে সউদ? কবে থেকে? তাহলে কেনো এই ডাকাতির মহোতসব?

ছয়.

আমরা সব দেখছি। আমরা আরো দেখছি, হাতে গোনা আলেমগণ ছাড়া প্রায়সবাই সউদি সরকারের অন্যায়কে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছেন! হে দরবারি আলেমরা! আল্লাহকে ভযকরো! রিয়ালের মায়ায় ঈমান নিয়ে কেনো তোমাদের এই নোংরা বাণিজ্য?

লেখকঃ ইয়াহয়া ইউসুফ সাহেব

বিষয়: বিবিধ

৪২৪১ বার পঠিত, ১৯ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

204749
০৮ এপ্রিল ২০১৪ রাত ১০:৩৮
প্রবাসী আব্দুল্লাহ শাহীন লিখেছেন : সৌদি সরকার তাদের ক্ষমতা হারানোর ভয়ে আজ মজলুমের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে।সৌদি আরবের আলেম উলামা মজলুমের পক্ষে কথা বললেই জেলে দেওয়া হচ্ছে ,,,আপনার লিখা থেকে বেঁক কিছুই বুঝলাম ধন্যবাদ।
204772
০৮ এপ্রিল ২০১৪ রাত ১১:১৬
হাবিবুল্লাহ লিখেছেন : ভালো লাগলো অনেক ধন্যবাদ
204773
০৮ এপ্রিল ২০১৪ রাত ১১:১৮
বেদনা মধুর লিখেছেন : মক্কা মদিনা কাফেরেরা দখল করতে পারবে না এরকম একটা ধারণা অনেকে মধ্যে আছে। সেই ধারণা এখন মিথ্যা হয়ে গেল কিনা তা নিয়ে সন্দেহ বাড়ছে।
কেও কেও এখন জানতে চায়, যে হজ করা এখন জায়েজ হবে কিনা? কারণ হজের টাকায় সরকার চলে আর এই হজের টাকা মুসলমানদের বিপক্ষে খরচ করছে এই বাদশাহ। এমতাবস্থায় হজ করার মানেই হলো মুসলমান হত্যা করতে সৌদি বাদশাহর হাতে টাকা দেয়া নয় কি? তাই জানতে ইচ্ছে করে , এই অবস্থায় হজ করা জায়েজ হবে কিনা?
০৯ এপ্রিল ২০১৪ সকাল ০৫:২৭
153846
সাদাচোখে লিখেছেন : হজ্জ আল্লাহর জন্য। হজ্জে যাবার ব্যায়ের বিপরীতে একজন হাজী পরিবহন বাসস্থান ইত্যাদি সুবিধাদী গ্রহন করেন। সো এটার সাথে সরকারের লাভালাভের হিসাবে যৌক্তিক নয়। এটার সাথে জায়েজ কি না জায়েজ টাইপের সন্দেহ ডুকাতে দজ্জালের এজেন্ট প্রতারনাপূর্ন কাজ করছে।
০৯ এপ্রিল ২০১৪ দুপুর ০৩:৩৯
153991
বেদনা মধুর লিখেছেন : আপনি হয়ত জেনেও না জানার ভান করবেন যে সোউদির মুল আয়ের উৎস হজ্ব। আর এই আয় থেকে তারা ইসরাইলে টাকা দেয় মুসলমান মারতে। আপনি তো জানেন তারপরেও মিথ্যা বলবেন। তাই না?
মক্কার ভিতরে বাদশা নিজের হোটেল বানিয়ে টাকা তুলছে কেন? তার জবাব কি?
০৯ এপ্রিল ২০১৪ দুপুর ০৩:৫১
153996
বেদনা মধুর লিখেছেন : ওমরা করতে ৫০ হাজার টাকায় চলে। তাহলে হজ্বে বেশি হলে ৭০ হাজার টাকা লাগতে পারে। কিন্তু হজ্বে ৪ লাখ টাকা নেয়া হয় কেন?
204779
০৮ এপ্রিল ২০১৪ রাত ১১:৩৫
সন্ধাতারা লিখেছেন : ভালো লাগলো ভালো লাগলো অনেক ধন্যবাদ
204876
০৯ এপ্রিল ২০১৪ সকাল ০৫:৩০
সাদাচোখে লিখেছেন : এ জাতীয় লিখা আমাদের সচেতনতার জন্য আরো আরো প্রয়োজন।

সৌদী এ রাজবংশ - মুসলিম দের ব্যবচ্ছেদ সহ - যত ক্ষতি করেছে - ইসলামের ইতিহাসে আর কোন শাসক কিংবা ইসলামের শত্রুরাও সে পরিমান ক্ষতি করতে পারেনি।

শেখ ইমরান হোসাইন - এই পাপিষ্ঠাদের স্বরূপ উন্মোচন করেছেন।
204893
০৯ এপ্রিল ২০১৪ সকাল ০৮:৪০
মুহাম্মদ_২ লিখেছেন :
إن الدين ليارز إلى المدينة كما تأرز الحية إلى جحرها
মক্কা থেকে ঢাকা
ঢাকা থেকে মক্কা
গোত্র ও ভাষার নামে দু’টি দেশ। সৌদী আরব ও বাংলাদেশ। এমন দেশ পৃথিবীতে কোথাও নেই। দুটি দেশই আল্লাহর গযবের দ্বারপ্রান্তে। সৌদী আরব পূর্ণ ইসলামের অবতীর্ণস্থল। ক্বোরআনের ভাষা সহ দ্বীন তাদের মধ্যে বিদ্যমান, কা’বা ও মাদীনা সেখানে। ধর্মীয় ও আর্থিক স¤পদ ষোলআনা আল্লাহ দিয়েছেন। যাতে তারা ষোলআনা দ্বীন ক্বায়েম করতে পারে। কিন্তু করেছে তার উল্টোটা। ষোল আনা মুর্তাদ সৌদী শাসকরা।
বাংলাদেশ বিশ্বে এক নম্বর দুর্ণীতি পরায়ণ দরিদ্রদেশ! ছোট্ট একটি দেশে ষোল কোটি মানুষ! না মানব স¤পদের খনি? শতকরা নব্বইজন মুসলমান! প্রতি ইঞ্চি মাটিতে সোনা ফলে। তাইনা সোনার বাংলা? ধর্মস¤পদ ও মানবস¤পদে সমৃদ্ধ হওয়া সত্তে¡ও দুর্নীতি ও দারিদ্র্যে পয়লা নম্বর কেনো? আল্লাহ আল্ ক্বোরআনে বলে দিয়েছেন (৫ঃ৮২) বিশ্বের ঈমানদারদের সর্বকালে, দু’নিকৃষ্ট শত্রæ, ইয়াহুদী ও মুশরিক। সৌদীদের মনিব ইয়াহুদীরা ও বাংলাদেশীদের বিধাতা মুশরিক ভারত। সৌদী শাসকরা মুস্তাকবির, বাঙ্গালী শাসকরা মুস্তাকবির।
নবী আদর্শের যায়দ, বেলাল ও উসামাহ হয়ে মুসতাদআফ্দের “গায্ওয়াতুল হিন্দ” ঢাকা-মক্কা, সমান্তরাল সিরাতুল মুস্তাকীম। সে মুক্তিপথের মহাযুদ্ধের আযান, ইকামত, সালাত, সিয়াম ও হজ্জ এ বই। লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু তার ধ্বনী ও পতাকা।
তেতুলিয়া থেকে টেকনাফ পর্যন্ত বেলাভ‚মির বাংলা, গোত্রহীন ও বর্ণ বৈষম্যহীন মানব সাম্যবাদের উর্বর ক্ষেত্র। এদেশের মাটিকে হিন্দুকুশের উৎস থেকে সৃষ্ট স্রোতধারা বন্যার রূপ ধারণ করে ধুয়ে তার আবর্জনা বঙ্গোপসাগরে নিক্ষেপ করে। আবার সমুদ্রের জলোচ্ছাস এসে মাটি ও মানুষকে পবিত্র করে যায়।
হিন্দুকুশের উৎসের জনবসতির নাম খোরাসান বলে উল্লেখ পাওয়া যায়। আখেরী নবী সঃ খোরাসানের পশ্চাদভূমি থেকে বিশ্বমানবতার বিশ্বজয়ী আন্দোলনের ইঙ্গিত করেছেন বলে দেখা যায়। সালমান ফারসীর আবাস ভূমিও খোরাসানের অন্তর্ভুক্ত ছিলো। তার কাঁধে হাত রেখেই রাসূল সঃ বলেছেন “স্বরা থেকে ধরায় সালমানের আদর্শের সৈনিকরা আল্লাহর দ্বীনকে নামিয়ে এনে প্রতিষ্ঠিত করবে।” (মুস্লিম) এখানে মনে রাখতে হবে যে, সালমান শিয়া বা সুন্নী ছিলোনা। পাঁচ নবীর পাঞ্জেতনী মিল্লাতে ইব্রাহীমের অনুসারী নূহ সদৃশ দীর্ঘায়ু ব্যক্তি ছিলো সালমান।
খোরাসানের উৎসে আজ ইব্রাহীম হানীফকে ইয়াহুদী খৃষ্টানে বিভক্তকারী দাজ্জাল আমেরিকা ও তার দোসরদের বিশ্ব ধ্বংসযজ্ঞের পায়তারা! অপর পক্ষ খাতামুন নাবিয়্যীনকে শিয়া সুন্নীতে বিভক্তকারী ইরানী আফগানিরা তার প্রেক্ষাপট তৈরী করে পরস্পরের নিধন প্রয়াসী। এক আল্লাহর এক দ্বীনের ঐক্য মূলের স্রোতে অনৈক্যের বিষ ছড়াতে কি ধনকুবের সৌদী উসামা বিন লাদেনের সংযোগ? সি, আই, এর কোনো পোষ্য, তাও আবার আরবী প্রতিহিংসা পরায়ণকে দিয়ে কি বিশ্ব শান্তির ইসলামী উত্থান নস্যাতের ইং-মার্কিন নীলনক্সা নয় ?! ইসলামের মূল নীতির স¤পূর্ণ পরিপন্থী সন্ত্রাসী “আল্ কায়দা” কি গোটা ইসলামী বিশ্বকেই চরম বেকায়দায় ফালায় নি?!
ইসলামী ইতিহাস সম্পর্কে মৌলিক জ্ঞান সম্পন্ন ব্যক্তি মাত্রেরই জানা যে, মুস্লিম জাতির মধ্যে গোত্র বিবাদী আরব ও উপজাতীয় বিবাদী আফগানীরা দু’টি নিকৃষ্ট ঐক্যভঙ্গকারী জাতি। বিশ্বনবী সঃ এর পূর্ণ রিসালাতকে তাঁর মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গেই আল্লাহ কর্তৃক আল ক্বোরআনে নিন্দিত আরবরা যেমন ক্বোরেশী, হাশেমী, উমাইয়া, আব্বাসী, শিয়া ও সুন্নীতে বিভক্ত করে ইসলামের উদীয়মান সূর্য্যকে ডুবিয়ে দেয়, ঠিক তেমনি ভারতবর্ষে ইসমাঈল শহীদ ও সাইয়েদ আহমদের ইসলামী জাগরণের বিজয়কে আফ্গানী উপজাতীয়রা পেছন থেকে ছুরিকাঘাত করে বালাকোটে নিভিয়ে দেয়। এখন সারা বিশ্বে আল্লাহর দ্বীনের চূড়ান্ত উত্থানের সন্ধিক্ষণে আরবী উসামা বিন্ লাদেন ও আফগানী অর্ধ-শিক্ষিত মোল্লা উমরের শ্বশুর জামাতার খেল কি চরম বিপদের অশনি সংকেত নয়?!
এ সন্ধিক্ষণে মনে রাখতে হবে যে বিন লাদেনরা ইয়ামেনের সে অর্থ পূজারী বেনিয়া স¤প্রদায়ের, যারা গর্বের সাথে বলে যে তারা আরব দ্বীপের ইয়াহুদী। মোল্লা উমররাও সুদ, আফীম, গাঁজা, চরস, হিরোইন ও অন্যান্য মাদক ব্যবসায়ী কাবুলীওয়ালা বংশোদ্ভুত। সুন্নী আরবী সা¤প্রদায়িকতা ও সন্ত্রাসমুক্ত হলেই এরা গ্রহণযোগ্য হতে পারে। তা না হলে এরা ইরানী শিয়াদের সাথে মিলে ইসলামী বিশ্বের বুকে ত্রিশূল রূপেই রক্ত ঝরাবে।
আমি কিন্তু দৃঢ়ভাবে তা বিশ্বাস করে বিশ্বের ইসলামী উত্থানের পিয়াসীদের দশবার সতর্ক করে দিচ্ছি। নিউইয়র্কে যারা সন্ত্রাসী আক্রমণ করে ইং-মার্কিন দস্যুদের আফগানিস্তান, তথা পাকিস্তান, ভারতীয় মুসলমান ও বাংলাদেশ গ্রাস করার পথ করে দিয়েছে, তারা কোনোমতেই ইসলাম ও মুসলিম উম্মার পক্ষের কেউ নয়। শত্রæদের চর।
তালেবান ও বিন লাদেনরা যদি বিশ্ববানিজ্য কেন্দ্র আক্রমনের সাথে জড়িত না থাকে, তা হলে এখন তাদের শেষ সুযোগ, হয় তারা স্পষ্ট ভাষায় তার নিন্দা করে বিশ্বের মুসলিম ও নিরপেক্ষ অমুসলিম বিচারকদের ট্রাইবুনাল করে, বিন লাদেন ও তার আল কায়দাকে নির্দোষ প্রমাণ করবে, নয় ঐ ঘৃণ্য পাপের দায়দায়িত্ব ঘাড়ে নিয়ে মজলুম নিরাপরাধ মুসলিম জাতিকে দায় মুক্ত করবে। এক মুখে তারা বলবে যে, “আমরা ঐ আক্রমন করিনি, যারা করেছে, তাদের সাধুবাদ জানাই, ঐ ধরনের আরো আক্রমন হবে” এবং তারপরও তারা বিশ্ব মুসলিমের প্রতিনিধিত্বের দাবিদার হবে, তা হবেনা। ইস্লামে চোরাগুপ্তা হত্যার কোনো ক্ষমা নেই। ঘোষিত সম্মুখ যুদ্ধ ইসলামী জিহাদ। আমরা তা না হলে সন্দেহাতীত ভাবে বিশ্বাস করবো যে, তালেবান, বিন লাদেন ও ইরানী শিয়ারা তাদের জন্মদাতা আমেরিকা, রাশিয়া, ও ইয়াহুদী চক্রের ত্রিশূল বৈ কিছু নয়। মূলতঃ তারা ঐ দাজ্জালী ত্রয়েরই ত্রিশূল হয়ে মুসলিম জাতির বুকে বিঁধেছে।
এ পরিস্থিতিতে, বাংলাদেশ ও তার ষোল কোটি মুস্তাদআফ্ জনগোষ্ঠি ব্যতীত বিশ্বে ইসলামী পুনর্জাগরণের সূচনা করার যোগ্য আর কেউ রইলোনা। বাংলার সমতল মাঠ-ঘাটের মতো গোত্রবাদের হানা-হানী মুক্ত জনগণকেই আমার দৃঢ় বিশ্বাস “বিস্মিল্লাহ” বলে নবী আদর্শের উসামাহ্ বিন যায়দের পতাকা উত্তোলন করে মূল ইব্রাহীমী আযান, ইসমাঈলী ইকামত ও মুহাম্মাদী ইমামত ঘোষণা করতে হবে। তবে এ ক্ষেত্রে, এ মুহুর্তে চরম সতকর্তা অবলম্বন করতে হবে যে, এ কাফেলার প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় কাতারে যেনো কোনো অবস্থাতেই ১৯৭১ সালের বাছনী পরীক্ষা কালে যারা উভয় পক্ষে লুট, ধর্ষণ ও নির্বিচার হত্যাযজ্ঞে জড়িত ছিল তাদের একটি লোকও যেনো ঢুকে না পড়ে। এরা ঘোষিত অনুশোচনা করে এখন থেকে সদাচরণের শপথ করে অনুসারী হতে পারবে। ১৯৭১ সালে যারা ঐ বদকাজে নেতৃত্ব দিয়েছে, তারা রেজাকার আলবদরের হোক, বা মূর্তিবাহিনীর হোক, তাদের নেতৃত্বে কোনো স্থান হবেনা এ যাত্রায়। তারা বাকীজীবন তওবা-তিল্লা ও অনুশোচনা অনুতাপ করেই কাটাতে হবে। যদি আল্লাহ তাদের ক্ষমা করেন! তাই তাদের বড়ো পাওয়া! ১৯৭১ সাল প্রকৃত মুক্তিকামী মুক্তিবাহিনী, যারা পাকিস্তানী মুনাফেকী ও ভারতীয় কুফরের দ্বন্দে ঈমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ন হয়েছে, তাদের হিরার মতো খুঁজে বের করে সামনে সাজাতে হবে।
দৃষ্টান্ত স্বরূপ, এটিএনের বক্তা মাওলানা আবুল কালাম আযাদ স¤পর্কে পত্রিকায় যেসমস্ত অভিযোগ ছাপা হয়েছে, সে গুলো যদি মিথ্যা হয়, তা মিথ্যা প্রমাণ করে এ কাফেলায় তাকে যোগ দিতে হবে। আর যদি এর কিছুও সত্য হয়, তা হলে তার নেতৃত্ব দূরে থাক, তার মুখে ইসলামের কোনো নীতিবাক্যও শোনা যাবেনা। অন্যায় স্বীকার করে তার অনুশোচনা বর্ণনা করে অপরাপর মানুষের শিক্ষার জন্য তার জবানবন্দি শোনা যেতে পারে। নীতিবাক্য নয়। তার জন্য জাহিলিয়্যাত ও ইসলামে সত্যের ধারক বাহক পবিত্র মুখ ও কন্ঠ চাই। শিল্পীর বাক চাতুর্য নয়। রাসূল সঃ বলেছেন, “তোমাদের মাঝে জাহিলিয়্যাতে উত্তমরা ইসলামেও উত্তম। জাহিলিয়্যাতের অধমরা ইসলামেও অধম।”
خياركم في الجاهلية جياركم في الإسلام، وشراركم في الجاهلية شراركم في الإسلام
দরিদ্র মুস্তাদআফ্ বাংলাদেশ তার শাসক শ্রেণীর পাপে পৃথিবীর পয়লা নম্বর দুর্নীতিপরায়ণ। দুঃশাসনের ফলে প্রথম শ্রেণীর দরিদ্রও। সৌদী আরব কাবাঘর ও মসজিদে নববী দখল করে মাটির নিচে পৃথিবীর জানা সর্ববৃহৎ তেলের ভান্ডার ও খনিজ স¤পদ সহ ইয়াহুদী খৃষ্টানদের হাতে আত্মসমর্পণ করে আছে। বিশ্ব মুস্লিমের মিশনকেন্দ্র মস্জিদুল হারাম ও মসজিদুল আকসা মুর্তাদ আরবদের আতাঁতে আজ ইয়াহুদী-খৃষ্টানদের করতল গত। ইয়া আল্লাহ! এ অবস্থায় তোমার মুস্তাদআফ্দের বিশ্বে আর কোনো ঠিকানা রইলোনা।
হে মুস্তাদআফ্দের অভিভাবক! আপনি আরব-অনারব ও পূর্ব-পশ্চিম কিছুরই মুখাপেক্ষী নন। আপনি রাব্বুল মাশরিক্বাইন ও রাব্বুল মাগ্রিবাইন। পূর্ব-পশ্চিম, উত্তর-দক্ষিণ ও আসমান-যমীন সব কিছুর একমাত্র মালিক আপনি। আপনার তুচ্ছ দাস আমি পৃথিবীর সকল সীমাবদ্ধ শক্তি থেকে আমাকে বিচ্ছিন্ন করে আপনার সীমাহীন শক্তিতে আত্মসমর্পণ করলাম। আপনার খাতামুন্ নাবিয়্যীন রাসূলের অনুসরণে পৃথিবীর মুস্তদআফ্দের হয়ে আমি আপনার দরবারে রাসূল সঃ এর তায়েফের দোয়া হুবহু পূনরাবৃত্তি করে মাদীনার মতো মুস্তাদআফীনের একটি দেশ, দারুল হিজরত ও মাসাবা চাই।
হে মুস্তাদআফ্দের প্রতিপালক! আপনি আমার প্রভু। আমি আমার সীমাবদ্ধতা, আমার যোগ্যতার অভাব ও মানুষের উপর আমার প্রভাবহীনতা স্বীকার করে আপনার কাছে আপনার পছন্দ যোগ্যতা যাচনা করছি। আমার অভাব আপনি দূর করে দিন। আমার ভুল ত্রæটি ও অপরাধের জন্য আপনি আমাকে আপনার ও আমার শত্রæর হাতে হস্তান্তর করবেন না। যা শাস্তি হয়, আপনিই দিবেন। পরকে দিয়ে তা দেয়াবেন না। আপনি রাজী থেকে যতোই শাস্তি দিবেন, তাতে আমার কোনোই দুঃখ থাকবেনা। কিন্তু পরকে দিয়ে আমাকে অপমান করবেন না। তার পূর্বে আমার মৃত্যুও শ্রেয় ও কাম্য। আমার শুরু যেমন আপনার হাতে, আমার শেষও যেনো আপনারই হাতে হয়।
হে সৃষ্টি জগতের মালিক! সারা বিশ্ব মুস্তাকবির দানবদের স্বেচ্ছাচারের নরকপুরী। আপনার পৃথিবীতে কোথাও আপনার ঈমানদার মুস্তাদআফ্দের অভয়ারণ্য নেই। আপনার ‘বালাদুল আমীন’ ও ‘বাইতুল মাকদিস’ তথা মাস্জিদুল হারাম ও মাস্জিদুল আকসাসহ গোটা আরব্য উপদ্বীপ বনী আদমের শত্রæ ইবলিস ও তার মানব সন্তান আপনার নবী মূসা, ঈসা ও মুহাম্মাদ সঃ দের ঐক্যবদ্ধ দ্বীনকে ত্রিধা বিভক্তকারী ইয়াহুদী, খৃষ্টান ও মোহামেডান আরব সন্ত্রাসীদের পূর্ণ কব্জায়!
আপনার ক্বোরআনে ঘোষিত ‘নিরুপদ্রব কেন্দ্র’ কোথায়? কোথায় আপনার বানানো ‘মাসাবা’? বিশ্বে নির্যাতিতের চূড়ান্ত বিজয় সংগঠনের মিলন কেন্দ্র ‘মাদীনা’ কোথায়? কোথায় আমরা হিজরত করবো? আমাদের কি কোনো ঠিকানা দিবেন না হিজরত করে সংগঠিত হতে?
গত শতাব্দীতে রাসূল সঃ এর ‘গায্ওয়াতুল হিন্দের’ সূচকের দাবীতে পাকিস্তান নামের একটি ভূ-খন্ড মাদীনার অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করার শপথে অর্জিত হয়েছিলো। কিন্তু ইয়াহুদী-খৃষ্টান চক্রের দেশী বিদেশী জারজরা এক দিনের জন্যও তা হতে দেয়নি। ১৯৭১ সালে তারা পাকিস্তানকে দু’টুকরা করেছে। আজ ২০০১ সালে তার পশ্চিমাংশকে ইয়াহুদী-খৃষ্টান দাজ্জালের আফগানিস্তান আক্রমনের ঘাটি রূপে পারভেজ চৌকিদার তার প্রভুদের হাতে হস্তান্তর করেছে।
অপর টুকরাটি বাংলাদেশ নামে ‘ঝুলন্ত’ রয়েছে। এর কোনো স্বামী নেই। পারিবারিক বিবাদে বিভক্ত দু’নারী ও তাদের বেদে নৌকার দাঁড়ি-মাল্লা ও গুনটানাদের টানা-পোড়নের রশিতে আজ বারো কোটি মুস্তাদআফ্ ‘হারিসুল্ হাররাস’ কৃষিজীবীর গলায় ফাঁস।
আপনার শেষ নবী সঃ বলেছেন, কৃষিজীবীর জাত ‘হারিসুল হাররাস’ দের মধ্যে থেকেই নাকি বিশ্বের মুক্তিদাতা বিশ্ব নেতার অভ্যুদয় হবে। বাংলাদেশের মতো ষোল কোটি মুস্তাদআফ্ কৃষি নির্ভর কৃষক জাতি কি বিশ্বে দ্বিতীয়টি আছে?
ইয়া রাব্বাল আলামীন! বাংলাদেশের মাটিতেই ১৯০৫ সালে এ্যঙ্গলো-এরাবিক গঠনে মুসলিম উম্মাহ অর্থে মুসলিম লীগ গঠিত হয়েছিলো। এরই আন্দোলনের ঢেউয়ে এদেশের ৯৭% লোকের ভোটে মাদীনা আদর্শের প্রতিষ্ঠার নামে পাকিস্তান হয়েছিলো। কিন্তু ইয়াহুদী-খৃষ্টান চক্রের দেশী দালালদের চক্রান্তে দেশটি জনগণের ঈমানী ভিতে প্রতিষ্ঠিত হতে পারেনি। ফলে গণ অসন্তোষে পূর্ববৎ ৯৭% ভোটের জোরেই ১৯৭১ সালে বাংলাদেশটি পৃথক হয়ে সৎ নেতৃত্বের ‘লা-ওয়ারিশী’ অবস্থায় দাঁড়িয়ে। ধর্মের মিথ্যা দাবিদাররা ধর্মহীন ও ধর্মদ্রোহীদের পদমূলে আত্মহুতি দিয়ে এ দেশটি থেকে খাঁটি ঈমানী তৃতীয় শক্তির উত্থানের পথ প্রশস্ত করে দিয়েছে।
হে রাহমানুর রাহীম! অনুর্বর মরুকাঠিন্যের সৌদী আরবে আপনার দানের প্রাচুর্য্য পেয়ে আরবরা ইয়াহুদী-খৃষ্টানদের মিত্র হয়ে ইসলাম ত্যাগকারী মুর্তাদ। বিরাট ভূ-খন্ডে তারা প্রায় জনমানুষ শূন্য। আপনার খলীল বাবা ইব্রাহীমকে দিয়ে যেখানে বিশ্বের সকল দিক থেকে সমান অধিকারে বিশ্ব ঐক্যের কেন্দ্রে মানুষকে আসার আযান দিয়ে ছিলেন, সেখানে যেতে আজ ঈমানদারদের সবচেয়ে দুরূহ বাধা।
হে মুস্তাদআফ্দের চূড়ান্ত অভিভাবক, কাবার প্রভু! বাংলাদেশ থেকে আপনার বিশেষ সাহায্য প্রাপ্ত ‘মনসুর’ নেতৃত্বের অধীনে ‘হারিসুল হাররাস্’ কৃষিজীবীদের কোটি সৈন্যের কাফেলা তৈরী করে দিন। যারা গায্ওয়াতুল হিন্দের অপ্রতিরোধ্য অগ্রসেনা হয়ে ভারতীয় পৌত্ত¡লিকতা, পাকিস্তানী মুনাফিকী, আফগানী সুন্নী লাদেনী ও ইরানী শিয়া ফিতনাকে নির্মূল করে খাইবার থেকে ইন্দোনেশিয়া পর্যন্ত মুসলিম ঐক্যের মহাসড়ক সৃষ্টি করতে সক্ষম হবে। যা দেখতে দেখতেই নূহের তুফানের মহাপ্লাবন সৃষ্টি করে পূর্ব থেকে পশ্চিমে ধাবিত হয়ে বর্তমান আফগানিস্তানে প্রজ্জলিত ইং-মার্কিন যুদ্ধের দাবানলকে নিভিয়ে ওদের সলিল সমাধি রচনা করে দিবে। আপনার খাতামুন নাবিয়্যীন তারই ইঙ্গিত করেছেন বলে জানা যায়।
পূর্বের মুস্তাকবির নমরুদ, আদ্, সামুদ ও ফিরআউনী শক্তিদের আপনি ক্বোরআনে ‘আহযাব’ অর্থাৎ সম্মিলিত শত্রæ বলে আখ্যায়িত করেছেন। শেষনবী সঃ এর মাদীনা অবরোধকারী আবু সুফ্য়ান ও তার মিত্র বাহিনীকেও আপনি আহ্যাব নামকরণ করে ক্বোরআনে একটি দীর্ঘ সূরা নাযিল করেছেন। এদের সবাইকে আপনার পূর্ব থেকে উঠা ঝড় তুফান দিয়েই নির্মূল ও নিশ্চিহ্ন করেছেন।
আফগান, ইরান, ইরাক ও সৌদী আরবে সমবেত আপনার ও আপনার মুস্তাদআফ্দের শত্রæ মুস্তাকবিরদের বঙ্গোপসাগরের মোহনা থেকে উঠা ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ এর তাওহীদের প্লাবন দিয়ে নীল নদে সসৈন্য ফিরআউনের মতো নিশ্চিহ্ন করে দিন। যেমনটি সূরা আল হাক্কায় উল্লেখ করেছেন।
হে জুনুদুল্লাহের সাহায্যকারী প্রভু! মধ্য এশিয়ার প্রবেশদ্বারে শিয়া-সুন্নী ও ওহাবী আরবী শয়তানী বিবাদ সৃষ্টিকারীরা ইসলামকে বিকৃত না করলে মধ্য এশিয়ার মু¯্্্্্্্Íাদআফ্ মুসলিমরা এ ধাক্কায় যায়দ, বারাকাহ, উসামাহ, আম্মার, সুহাইব ও সালমানদের আদর্শে বিশ্বশান্তি ও সৌভাতৃত্বের ইব্রাহীম, মূসা, ঈসা ও মুহাম্মাদ সঃদের নমুনা ও দৃষ্টান্ত হয়ে যেতো। ফলে তাদের আর্দশ দেখে চতুর্পার্শ্বের কোটি কোটি রাশিয়ান, চাইনিজ নাস্তিকরা মুসলিম হয়ে যেতো। সেখানে বর্তমানে খোমেনী, মোল্লা উমর ও বিন লাদেনদের সন্ত্রাস, স¤প্রদায়িকতা ও ক‚প মান্ডুকতা ইসলামকে মধ্যযুগীয় বর্বরতার দুর্নাম ও কৌৎসিত্ব প্রদান করেছে।
ইয়া আল্লাহ! আপনি ইরানী, আফ্গানী ও বিন লাদেনদের হেদায়েত দান করে সঠিক পথে আনুন। তারা তার অযোগ্য হলে ওদের উৎখাত করে বুশ বেøয়ারদের সাথে একত্রে ওদেরও কবর করে দিন। যাতে চীন রাশিয়ার আদম সন্তানেরা তাদের আদি ধর্ম ইসলামে ফেরৎ এসে বিশ্বে ইসলামী শান্তি ও সহাবস্থানের মহা বিজয় ঘটায়। শয়তানের সৃষ্ট সকল জাতীয়তা মিটে সূর্যোদয়ের দেশ থেকে যেনো সূর্যাস্তের দেশ পর্যন্ত মানুষ এক আল্লাহতে বিশ্বাসী এক জাত হয়।
হে ঈমানদারদের অভিভাবক! মুস্তাদআফ্দের প্রভু! আপনার গযবে বানর ও শূকরে রূপান্তরিত ইয়াহুদী খৃষ্টানদের প্রজন্ম বর্তমান বুশ, বেøয়ার, এরিয়েল শ্যারন, ইয়াসির আরাফাত ও বিন লাদেনরা যে ধ্বংসযজ্ঞের আগুন মধ্যপ্রাচ্য ও আফগানিস্তানে জ্বালিয়েছে, আপনি আপনার ক্বোরআনে বর্ণিত পন্থায় ইয়াহুদী নাসারা ও তাদের আরব দোসরদের সে আগুন দিয়েই ভষ্মিভূত করে সে যুদ্ধের আগুনকে নিভাতে আমাদের তৌফিক দিন।
(মাঈদা-৬৪) كُلَّمَا أَوْقَدُوا نَارًا لِّلْحَرْبِ أَطْفَأَهَا اللَّهُ
হে পূর্ব-পশ্চিমের প্রতিপালক! স্বভাব ও প্রাচুর্যের পাপী সৌদীদের নির্মূল করে মক্কা মাদীনা ও বাইতুল মাক্দিসকে ইয়াহুদী খৃষ্টান ও আরবীদের দখল মুক্ত করে তাকে ইব্রাহীম ও ইসমাঈল আঃদের সাথে কৃত অঙ্গীকারে পবিত্র করতে আমাদের ইব্রাহীমী ইমাম দান করুন।
বর্তমানে বিশ্বে ইয়াহুদীরা যে মেসাইয়া, খৃষ্টানরা যে পুনরুত্থীত যীশু ও মোহামেডানরা যে এক চোখ কানা এক চোখা ইমাম মাহদীদের অপেক্ষায় প্রহর গুণছে, সে দাজ্জালদের হাত থেকে আমাদের বাঁচার জন্য উভয় চক্ষুর দূরদৃষ্টি দান করুন।
আপনার এ দীন দাস তার সকল দীনতা সত্তে¡ও গত এক যুগ ধরে প্রায় আধা ডজন মাহদীর দাবিদার, এক ঈসা মসীহ্, এক বিবি মারইয়াম, ও দেয়ালের অপরপার্শ্বে এক যীশু খৃষ্টানকে প্রতিহত করে আসছে।
হে আল্লাহ! আপনি আমাকে বিশ্বময় এদের চক্রকে প্রতিহত করে একক ইব্রাহীমী ইমামতের কাফেলা তৈরীর যোগ্যতা দান করুন। যাতে আমরা বিশ্বে হযরত মূসা, ঈসা ও মুহাম্মাদ সঃ দের একক অনুসারীরা এক আল্লাহ, এক বিশ্ব ও এক মানবতার বিশ্বায়ন ঘটাতে সফল হই।
সব শেষে, হে প্রভু! আপনি সূরা নিসার ১০০ নং আয়াতে বর্ণিত দারুল হিজরত রূপে বাংলাদেশকে ক্ববুল করে তার এক নম্বর দুর্নীতিপরায়ণ শাসকদের নির্মূল করে দিন। সে দায়িত্ব পালনে আমাকে প্রয়োজনীয় ঈমানী ও আর্থিক সহ সকল যোগ্যতা দান করুন। এ পথে আমি সব ত্যাগ করে নিজে হিজরত করে সবাইকে হিজরতের আযান দিলাম। বিশ্বের আনাচে কানাচে, ইয়া আল্লাহ, আমার ক্ষীণ আওয়াজ পৌছে দিন। আমীন।”
আমি সূরা তওবা পড়ে তার আদ্যোপান্ত মেনে তওবাকারীদের যোগাযোগের আহŸান জানাচ্ছি। তার বাইরে কারো সাক্ষ্য, আলোচনা, যোগাযোগ ও পত্রালাপ অনাকাঙ্খিত। তাদের জন্য পত্রাকারে লেখা আমার বইই চূড়ান্ত। তা বুঝে যারা একাকার হতে আসবে, তাদের উদ্দেশ্যে “আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ও বারাকাতুহ্।” অন্যদের জন্য عليكم ما عليكمঅর্থাৎ আপনাদের যা প্রাপ্য, তা’ আল্লাহ আপনাদের দান করুন। আমার দীন, হীন ও জীর্ণ কুটিরে মুস্তাকবির “আপনাদের” পাবার কিছু নেই। মুস্তাদআফ্ “তোমাদের” জন্য আমার অস্তিত্বের সবটুকু দান।
যারা سَمِعْنَا وَأَطَعْنَا “শুনলাম ও মানলাম” বলে, তারা মুস্তাদআফ্। আমি তাদের। তারাও আমার। যারা سَمِعْنَا وَعَصَيْنَا “শুনলাম কিন্তু মানলাম না” বলে, তারা মুস্তাকবির। তাদের আমি কেউ নই। তারাও আমার কেউ নয়। আমি সর্বাবস্থায় তাদের থেকে আল্লাহর কাছে পানাহ্ চাই। তাদের থেকে পালাতেই আমি মক্কা মাদীনা থেকে হিজরত করেছি। এখন পাপের রাজধানী ঢাকা থেকেও আদি মক্কার ইব্রাহীম ও মুহাম্মদ সঃদের পদচিহ্নে অজানার পথে পা বাড়াতে চাচ্ছি। পাথেয় সূরা নিসার ১০০ নং আয়াত। তাতেই আমার ১০০% পরিচয় পরিচিতি। وَمَن يُهَاجِرْ فِي سَبِيلِ اللَّهِ يَجِدْ فِي الْأَرْضِ مُرَاغَمًا كَثِيرًا وَسَعَةً
ইয়া আল্লাহ! মক্কা থেকে তায়েফ সোজা পূর্বে। বাংলাদেশও সে সমান্তরাল রেখায় পূর্বে অবস্থিত। বাংলাদেশ মুস্তাদআফের খনি। একে দ্বিতীয় ও চূড়ান্ত মাদীনা রূপে ক্ববুল করুন। যেমন খাতামুন নাবিয়্যীনের তায়েফের দোয়ায় মাদীনাকে ক্ববুল করেছিলেন। শেষে আপনার দরবারে আরেকটি ছোট্ট দোয়া, আপনার হাবীবের তায়েফ হিজরতে যায়দ তাঁর একমাত্র সঙ্গি ছিলো। আমাকে যায়দের মতো ক্ববুল করুন।
رَبَّنَا وَاجْعَلْنَا مُسْلِمَيْنِ لَكَ وَمِن ذُرِّيَّتِنَا أُمَّةً مُّسْلِمَةً لَّكَ وَأَرِنَا مَنَاسِكَنَا وَتُبْ عَلَيْنَا إِنَّكَ أَنتَ التَّوَّابُ الرَّحِيمُ

০৯ এপ্রিল ২০১৪ সকাল ১১:৩২
153912
গ্যাঞ্জাম খানের খোলা চিঠি লিখেছেন : এইডা পোষ্ট না মন্তব্যে?
০৯ এপ্রিল ২০১৪ দুপুর ০৩:৩৭
153990
সঠিক ইসলাম লিখেছেন : আপনি কি হাদীস শাস্ত্রে বিশ্বাস রখেন ? উত্তর পেলে আপনার দাওয়াত বুঝার চেষ্ট করব।
০৯ এপ্রিল ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:২৮
154163
মুহাম্মদ_২ লিখেছেন : সঠিক ইসলাম, আমি হাদীস শাস্ত্রে বিশ্বাস করি। আপনার কাছে অন্যরকম মনে হল কেন??
204949
০৯ এপ্রিল ২০১৪ সকাল ১১:৩৯
গ্যাঞ্জাম খানের খোলা চিঠি লিখেছেন : আব্দুল্লাহ ইবনে আব্দুল আজিজ নামে বর্তমানে সৌদি আরবে কোন শাসক আছে কিনা সন্দেহ। সম্ভবত এ নামের লোকটি কোমায় চলে গেছে। বর্তমানে সৌদি রাজপরিবার নিয়ন্ত্রণ করছে তালাল বিন ওয়ালিদদের মত গাদ্দার ও নাফরমানরা। এ নাফরমানগুলো নিজেরা বোর্কা পড়ে কিন্তু তাদের বিবিদের পরিধানের পোষাক আষাকে বিতম্বয়ী পলিসি এপ্লাই করে।


০৯ এপ্রিল ২০১৪ বিকাল ০৪:৩৮
154015
রুপালী নদী লিখেছেন : ভাই আমার জানামতে প্রিন্স তালাল এখন আর সোদি নাগরিনা। সেটা অনেক আগেই বাতিল হয়েছে।
205250
০৯ এপ্রিল ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:২৮
মুহাম্মদ_২ লিখেছেন : সঠিক ইসলাম, আমি হাদীস শাস্ত্রে বিশ্বাস করি। আপনার কাছে অন্যরকম মনে হল কেন??
০৯ এপ্রিল ২০১৪ রাত ০৯:০৮
154244
সঠিক ইসলাম লিখেছেন :
এ কাফেলার প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় কাতারে যেনো কোনো অবস্থাতেই ১৯৭১ সালের বাছনী পরীক্ষা কালে যারা উভয় পক্ষে লুট, ধর্ষণ ও নির্বিচার হত্যাযজ্ঞে জড়িত ছিল তাদের একটি লোকও যেনো ঢুকে না পড়ে।


আপনার শেষ নবী সঃ বলেছেন, কৃষিজীবীর জাত ‘হারিসুল হাররাস’ দের মধ্যে থেকেই নাকি বিশ্বের মুক্তিদাতা বিশ্ব নেতার অভ্যুদয় হবে। বাংলাদেশের মতো ষোল কোটি মুস্তাদআফ্ কৃষি নির্ভর কৃষক জাতি কি বিশ্বে দ্বিতীয়টি আছে?

ধর্মের মিথ্যা দাবিদাররা ধর্মহীন ও ধর্মদ্রোহীদের পদমূলে আত্মহুতি দিয়ে এ দেশটি থেকে খাঁটি ঈমানী তৃতীয় শক্তির উত্থানের পথ প্রশস্ত করে দিয়েছে।


হে মুস্তাদআফ্দের চূড়ান্ত অভিভাবক, কাবার প্রভু! বাংলাদেশ থেকে আপনার বিশেষ সাহায্য প্রাপ্ত ‘মনসুর’ নেতৃত্বের অধীনে ‘হারিসুল হাররাস্’ কৃষিজীবীদের কোটি সৈন্যের কাফেলা তৈরী করে দিন। যারা গায্ওয়াতুল হিন্দের অপ্রতিরোধ্য অগ্রসেনা হয়ে ভারতীয় পৌত্ত¡লিকতা, পাকিস্তানী মুনাফিকী, আফগানী সুন্নী লাদেনী ও ইরানী শিয়া ফিতনাকে নির্মূল করে খাইবার থেকে ইন্দোনেশিয়া পর্যন্ত মুসলিম ঐক্যের মহাসড়ক সৃষ্টি করতে সক্ষম হবে। যা দেখতে দেখতেই নূহের তুফানের মহাপ্লাবন সৃষ্টি করে পূর্ব থেকে পশ্চিমে ধাবিত হয়ে বর্তমান আফগানিস্তানে প্রজ্জলিত ইং-মার্কিন যুদ্ধের দাবানলকে নিভিয়ে ওদের সলিল সমাধি রচনা করে দিবে। আপনার খাতামুন নাবিয়্যীন তারই ইঙ্গিত করেছেন বলে জানা যায়।


বর্তমানে বিশ্বে ইয়াহুদীরা যে মেসাইয়া, খৃষ্টানরা যে পুনরুত্থীত যীশু ও মোহামেডানরা যে এক চোখ কানা এক চোখা ইমাম মাহদীদের অপেক্ষায় প্রহর গুণছে, সে দাজ্জালদের হাত থেকে আমাদের বাঁচার জন্য উভয় চক্ষুর দূরদৃষ্টি দান করুন।


আপনার এ দীন দাস তার সকল দীনতা সত্তে¡ও গত এক যুগ ধরে প্রায় আধা ডজন মাহদীর দাবিদার, এক ঈসা মসীহ্, এক বিবি মারইয়াম, ও দেয়ালের অপরপার্শ্বে এক যীশু খৃষ্টানকে প্রতিহত করে আসছে।

হে আল্লাহ! আপনি আমাকে বিশ্বময় এদের চক্রকে প্রতিহত করে একক ইব্রাহীমী ইমামতের কাফেলা তৈরীর যোগ্যতা দান করুন। যাতে আমরা বিশ্বে হযরত মূসা, ঈসা ও মুহাম্মাদ সঃ দের একক অনুসারীরা এক আল্লাহ, এক বিশ্ব ও এক মানবতার বিশ্বায়ন ঘটাতে সফল হই।


হে প্রভু! আপনি সূরা নিসার ১০০ নং আয়াতে বর্ণিত দারুল হিজরত রূপে বাংলাদেশকে ক্ববুল করে তার এক নম্বর দুর্নীতিপরায়ণ শাসকদের নির্মূল করে দিন। সে দায়িত্ব পালনে আমাকে প্রয়োজনীয় ঈমানী ও আর্থিক সহ সকল যোগ্যতা দান করুন। এ পথে আমি সব ত্যাগ করে নিজে হিজরত করে সবাইকে হিজরতের আযান দিলাম। বিশ্বের আনাচে কানাচে, ইয়া আল্লাহ, আমার ক্ষীণ আওয়াজ পৌছে দিন। আমীন।”

আমি সূরা তওবা পড়ে তার আদ্যোপান্ত মেনে তওবাকারীদের যোগাযোগের আহŸান জানাচ্ছি। তার বাইরে কারো সাক্ষ্য, আলোচনা, যোগাযোগ ও পত্রালাপ অনাকাঙ্খিত। তাদের জন্য পত্রাকারে লেখা আমার বইই চূড়ান্ত। তা বুঝে যারা একাকার হতে আসবে, তাদের উদ্দেশ্যে “আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ও বারাকাতুহ্।” অন্যদের জন্য عليكم ما عليكمঅর্থাৎ আপনাদের যা প্রাপ্য, তা’ আল্লাহ আপনাদের দান করুন। আমার দীন, হীন ও জীর্ণ কুটিরে মুস্তাকবির “আপনাদের” পাবার কিছু নেই। মুস্তাদআফ্ “তোমাদের” জন্য আমার অস্তিত্বের সবটুকু দান।


এগুলোর বিস্তারিত বিবরণ কি আপনার বইতে পাওয়া যাবে ? আপনার বইটি কিভাবে পেতে পারি ? আপনার নিজের সম্পর্কে ও আপনার সংগঠন সম্পর্কে কিছু জানাবেন কি ?
১১ এপ্রিল ২০১৪ সকাল ০৭:৩৯
154838
মুহাম্মদ_২ লিখেছেন : হ্যাঁ, পাওয়া যাবে।আমি কোন সংগঠন এর সাথে জড়িত নই। আপনি আমার মেইলে যোগাযোগ করলে বইটি পাঠিয়ে দিতে পারি । আমার মেইল
205722
১০ এপ্রিল ২০১৪ বিকাল ০৪:৪৭
১০
206464
১২ এপ্রিল ২০১৪ বিকাল ০৪:৫৬
মদীনার আলো লিখেছেন : সৌদি সরকার তাদের ক্ষমতা হারানোর ভয়ে আজ মজলুমের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে।সৌদি আরবের আলেম উলামা মজলুমের পক্ষে কথা বললেই জেলে দেওয়া হচ্ছে

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File