লিবিয়ার অত্যাচারী ডিক্টেটর মুয়াম্মার গাদ্দাফীর জনগণের উপর কৃত যুলুমসমূহ
লিখেছেন লিখেছেন সঠিক ইসলাম ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪, ১১:৫৬:১৪ সকাল
১। লিবিয়ায় বিদ্যুত মাগনা , সমগ্র লিবিয়ার কোথাও বিদ্যুৎ বিল প্রেরণ করা হত না । ২। সুদভিত্তিক ঋণ দেয়া হত না , সকল ব্যাংক রাষ্ট্রায়ত্ব ছিল এবং শুন্য শতাংশ সুদে নাগরিকদেরকে ঋণ সুবিধা প্রদান করা হত ।
৩। লিবিয়ায় নিজের ঘর মানুষের মৌলিক অধিকার হিসেবে ধরে নেয়া হত এবং এর জন্য সরকার নাগরিকদেরকে পূর্ণাঙ্গ আর্থিক সহায়তা প্রদান করত ।
৪। সকল নব বিবাহিত দম্পতিকে নিজের নতুন ঘর নির্মাণে সাহায্য সরূপ সরকার পঞ্চাশ হাজার ডলার মাগনা প্রদান করত ।
৫। শিক্ষা ও চিকিৎসার সুবিধা সকল লিবীয় নাগরিকের বিনা পয়সায় অর্জিত ছিল । গাদ্দাফীর আগে শিক্ষার হার ২৫% ছিল , বর্তমানে ৮৩% লোক শিক্ষার অলঙ্কারে অলংকৃত ।
৬। কৃষকদেরকে কৃষি উপাদান যথা বীজ এবং উর্বর জমি মাগনা সরবরাহ করা হত ।
৭। কোন নাগরিকের লিবিয়ায় চিকিৎসা কিংবা শিক্ষার উপযুক্ত সুযোগ সুবিধা না হলে সরকার বিনা খরচে বিদেশে প্রেরণ করত ।
৮। লিবিয়ায় কেহ নিজের গাড়ী ক্রয় করতে চাইলে তাকে সরকার ৫০% সাবসডি প্রদান করত ।
৯। পেট্রোলের দাম লিটার প্রতি 14SO ছিল । ১০। লিবিয়ার উপর বৈদেশিক কোন ঋণ ছিল না , লিবীয় পণ্যসমূহের সর্বমোট মুল্য প্রায় 150 S কোটি ডলারের ঊর্ধ্বে ছিল , বর্তমানে যা পশ্চিমাদের আয়ত্বে আছে । ১১। গ্রাজুয়েশন করার পরও কোন নাগরিক চাকুরী না পেয়ে থাকলে সরকার তার শিক্ষাগত যোগ্যতা অনুসারে চাকুরীর ব্যবস্থা হওয়া পর্যন্ত মুফত ভাতার ব্যবস্থা করত । ১২। দেশের তেল থেকে উপার্জিত মুদ্রার এক নির্দিষ্ট হিস্যা সকল লিবীয় নাগরিকের ব্যাংক একাউন্টে জমা করা হত । ১৩। মা'কে সকল শিশু জন্মগ্রহণের পর 5000 S ডলার মুফত প্রদান করা হত । ১৪। দেশের মরু অঞ্চলের চাষাবাদের লক্ষে গাদ্দাফী পৃথিবীর সর্ববৃহৎ খাল খননের প্রজেক্টও আরম্ভ করেছিলেন . যাতে সারা দেশে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ নিশ্চিত করা যায় ।।। এ হল ঐ সব নিপিড়নের যৎসামান্য বিবরণী , যা গাদ্দাফী নামক ডিক্টেটর লিবীয় জনসাধারণের উপর চালিয়েছিলেন । এসব নিপিড়ন ছাড়াও গাদ্দাফী আরো তিনটি বিরাট বিরাট অপরাধ করেছিলেন । প্রথম , তিনি পাকিস্তানকে এটমী প্রোগ্রামের জন্য ১০০ মিলিয়ন ডলার প্রদান করেছিলেন যখন পাকিস্তানের উপর সর্বপ্রকার নিষেধাজ্ঞা আরোপিত ছিল । এই অর্থ দিয়েই পাকিস্তান এটমী প্রোগ্রাম আরম্ভ করেছিল । দ্বিতীয় , তিনি সব সময় মুসলিম রাষ্ট্রসমূহকে একত্রিত করে তাদের ব্লক তৈরির জন্য চেষ্টা করেন , কখনো আফ্রিকার রাষ্ট্রসমূহের ব্লক , কখনো আরব রাষ্ট্রসমূহের । কিন্তু আমাদের মুসলিম দেশসমূহ গাদ্দাফীর এ চালের শিকার হয়নি বরং পরষ্পর মারামরির উপরই একমত থাকে । তৃতীয় বিষয়ে তো তিনি শেষ সীমায় পৌছান , যখন তিনি সোনা-রুপার মুদ্রায় লেন দেনের সিদ্ধান্ত নিলেন এবং ঘোষণা করলেন যে পেপার কারেন্সি জাল কারেন্সি । এসব কৃতকর্মের কারণেই আমেরিকা গাদ্দাফীকে হত্যা করিয়ে দিল , যাতে লিবীয় জনগণকে এক অত্যাচারী ডিক্টেটর থেকে নিস্তার দেয়া যায় । বর্তমানে লীবিয়ায় পুরোপুরী গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত আছে এবং লীবিয়া গণতন্ত্রের স্বাদ গ্রহণ করছে ।
বিষয়: বিবিধ
১৫২১ বার পঠিত, ৮ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আজ যখন দেখা যায় আফ্রিকান প্রজাতন্ত্র দেশে মুসলমানদের বর্বরভাবে হত্যা করা হচ্ছে। অথচ দুনিয়ার কোন মুসলিম নেতা টু শব্দটা পর্যন্ত করছে না। তখনই কর্ণেল গাদ্দাফী কতবড় মাপের একজন নেতা ছিলেন, কত দরদ ছিল স্বজাতির প্রতি তা অনুমান করা যেতে পারে।
মন্তব্য করতে লগইন করুন