"হেজবুত তাওহীদ" ও এক গৃহবধুর ওসিয়াত নামা কেন্দ্রিক বিশেষ প্রতিবেদন !!
লিখেছেন লিখেছেন সঠিক ইসলাম ৩১ জানুয়ারি, ২০১৪, ০৬:৩৫:৫২ সন্ধ্যা
দুইবোন বাড়ি থেকে কাউকে কিছু না বলে এসে হেজবুত তাওহীদে যোগ দিছে। বৃদ্ধ বাপ- খুঁজে হয়রান। তালাশের সাহায্যে তারা তাদের আবিষ্কার করল হেজবুত তাওহীদের কার্যালয়ে। মেয়ে গুলারে নিতে আসার অপরাধে বাপ কে ও আপন কন্যার হাতে খেতে হল রড আর ঝাড়ুর বাড়ি।
একবার ভাবুন কতখানি নিজস্বতা দেউলিয়া হলে এমন কাজ করা যায়। আর এই সংগঠনের মগজ ধোলাইয়ের সার্থকতা কতখানি সেটাও একবার ভাবুন। মেয়েদের একই বক্তব্য,এই সমাজে আমরা স্বামীর হাতে মার ছাড়া আর কিই বা পেয়েছি। হিঃ তাঃ আমাদের দিয়েছে জীবনের নিশ্চয়তা, আর আল্লাহ এই দলের কর্মীদের লাশ টাকেও পচান না। আমরা আল্লাহ সৈনিক। বুঝুন কি অবস্থা!!
"হেজবুত তাওহীদ" নামে যে দল তৈরি করেছেন বায়েজাদ খান পন্নি অরফে সেলিম পন্নি, তাদের আকিদাহ (বিশ্বাস) হচ্ছে রাসুল (সাঃ) নাকি ব্যর্থ হয়েছেন এবং এই জামানার এক মাত্র নেতা হচ্ছেন বায়েজাদ খান পন্নি।মুসলিম জাতি যদি তাদের এ দল গ্রহন না করে, তাহলে সকলে জাহান্নামে যাবে !
তালাশ টিম এর অনুসন্ধান
হেযবুত তাওহীদের কারামত
https://www.facebook.com/ashraf320/videos/vb.100002185257547/849679611781539/?type=2&theater
বিষয়: বিবিধ
৩৬২৫ বার পঠিত, ১২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
সাঈদ ইবনে তালীদ (রঃ)...উরওয়া(রঃ)থেকে বর্ণিত।তিনি বলেন, আমি আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রাঃ)আমাদের এদিক দিয়ে হজ্জ্বে যাচ্ছিলেন।আমি শুনতে পেলাম,তিনি বলছেন যে,আমি নবী (সাঃ)কে বলতে শুনেছি,আল্লাহ তায়ালা তোমাদেরকে যে ইলম দান করেছেন তা হটাৎ করে ছিনিয়ে নেবেন না বরং ইলমের বাহক উলামায়ে কিরামকে তাদের ইলেমসহ ক্রমশ তুলে নেবেন।তখন শুধুমাত্র মূর্খ লোকেরা অবশিষ্ঠ থাকবে। তাদের কাছে ফাতওয়া চাওয়া হবে।তারা মনগড়া ফাতওয়া দিবে।ফলে নিজেরাও পথভ্রষ্ঠ হবে,অন্যদেরকেও পথভ্রষ্ঠ করবে। (বুখারী:৬৮০৯)
আপনি বললেন "আর আপনারা হলেন বাকি ৭২ দলের অংশ যেগুলোর জন্য অগ্নি অপেক্ষা করছে।"
=====
গায়েবের খবর জানেন নাকি??? এভাবে বলে দিলেন???
=====
অবশ্য এখান থেকেই বোঝা যায় আপনাদের দল যে গোমরা দল।
২. পন্নির মতে রাসূল (স.) এর ইন্তেকালের ৭০ বছর পরই মুসলিম জাতি বিলীন হয়ে যায়। এর পরবর্তী তেরশত বছর যাবত যত মুহাদ্দীস, মুফাস্সির, মুজতাহিদ, ইমাম ইসলামের খেদমত করেছেন তাদের ৯৯% ই ভন্ড, ধর্ম ব্যাবসায়ী, মুশরিক (নাউযুবিল্লাহ মিন যালিক)।
৩. তারা পাচ ওয়াক্ত নামাজ পড়েনা, এবং আমাদের মত নামাজও পড়েনা, এক ভিন্ন রীতিতে নামাজ পড়ে, কারন তাদের বিশ্বাস নামাজ দেয়া হয়েছে একমাত্র সামরিক প্রশিক্ষণ এর জন্যই, এ জন্য তারা সেভাবেই নামাজ পড়ে যেভাবে পড়লে একজন সৈন্যের যুদ্ধের ট্রেনিং হয়ে থাকে, তাই তারা আমাদের মসজিদগুলোতে জামাতে উপস্থিত হয় না।
৪. তাদের মতে রাসূল (স.) এর ইন্তিকালের পর যেসকল মুসলিমগণ সশস্ত্র জিহাদ চালিয়ে আসতেছেন একমাত্র তারাই মুসলিম আর বাকী সবাই গনতন্ত্র বা রাজতন্ত্র বা বাদশাহীকে মেনে নিয়ে মুশরিক হয়ে গিয়েছে।
৫. তাদের এমাম পন্নির সাথে সংশ্লিষ্ট সকল ঘটনাকে তারা মুজিযা হিসেবে প্রচার করে থাকে, অথচ মুজিযা কেবল মাত্র নবীদের সাথেই সংশ্লিষ্ট।
৬. পন্নি তার বই এর একজায়গায় লিখেছে তসবিহ এসেছে মূলত হিন্দুদের জপমালা থেকে তাই মুসলিমদের এটা বর্জন করা উচিত, অথচ তার মৃত্যুর ঘটানায় তারা বর্ণনা করে থাকে মৃত্যুর সময় সে তসবিহ জপতে ছিল!
৭. পন্নির লিখিত বই এ এসলাম এসলামই নয় তে প্রমাণ করতে চেষ্টা করেছে রাসূল (স.) এর ইন্তিকালের ৭০ বছর পর আসল ইসলাম বিলীন হয়ে গিয়েছে, আর এ বই ই তাদের সংগঠনের মূল চালিকা শক্তি বা দলিল। পন্নি নিজেই সে বই এর শেষে উল্লেখ করেছে আমি এ বইতে যা প্রমাণ করতে চেষ্টা করেছি তা প্রচারের জন্যই হেযবুত তাওহীদ প্রতিষ্ঠা করলাম। (উল্লেখ্য তিনি ছিলেন একজন হোমিও প্যাথিক ডাক্তার, তবে তিনি মাওলানা মওদূদী (র.) এরও ছাত্র ছিলেন।)
মন্তব্য করতে লগইন করুন