কম খাবার ও তার ফায়দা

লিখেছেন লিখেছেন সঠিক ইসলাম ০৯ জানুয়ারি, ২০১৪, ০৫:১৭:২১ বিকাল

যখন মানুষ ক্ষুর্ধাত হয় তখন তার সমস্ত শরীর শুকিয়ে যায়। ক্ষর্ধাততার আগুনো জ্বলে যায়। শয়তান তার থেকে দূরে যায়। আর মানুষ যখন পেটভরে খায় তখন তার সমস্ত শরীর আদ্রতা বা ভিজে যায় তখন শয়তানের জন্য সহজ হয়ে যায়। পেটভরে খাওয়া হল, নফসের মধ্যে একটি নদী আর তা হল শয়তানের আসা যাওয়ার পথ। আর ক্ষুর্ধাততা হল, রুহের মধ্যে একটি নদী যা ফেরেস্তাদের আসা যাওয়ার পথ। ক্ষুর্ধাত ঘুমন্ত ব্যক্তি থেকে শয়তান ফেগে যান। তাহলে ক্ষুর্ধাত ব্যক্তি যদি সজাগ থাকে তাহলে শয়তান আর কাছেই আসতে পারবে না।

অপরপক্ষে পেটভরে যে ব্যক্তি খেয়েছে সে সজাগ থাকা অবস্থায় শয়তান তার সাথে সাক্ষাত করে আর যদি পেটভরে যে খায় সে যখন ঘুমিয়ে থাকে তখন শয়তান খুব সহজেই তার কাছে আসতে পারে। সুতরাং সত্যিকারে মুরীদের অন্তর নফসের চাহিদা, খানা-পিনা থেকে উদাসিন থেকে আল্লাহ পাকের দিকে ধাপিত হবে।

হযরত বিশর (রহ.) ক্ষুর্ধাততা অন্তর পরিস্কার করে দেয় মন খারাপ চাহিদা দূর করে দেয়, সূক্ষ ইলম হাসিল হয়। হযরত ইয়াহইয়া বিন মুয়ায (রহ.) বলেন, যখন মানুষ পেটভরে খায় তখন ফেরেস্তাগন তার প্রতি দয়াদ্র হয়ে কান্না করতে থাকেন। আর ব্যক্তি খাবারের লোভে পড়লো সে মন চাহিদার আগুনো জ্বলে যায়। আম্মাজান হযরত আয়েশা (রা.) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইন্তেকালের আগে পর্যন্ত একাধারে তিনদিন জবের রুটি দ্বারা পেটভরে খেতে পারেননি।

হযরত লুকমান (আ.) তার ছেলেকে নসীহত করতে যেয়ে বলেন, যখন পেটভরে যায় তখন চিন্তা শক্তি ঘুমিয়ে যায়, জ্ঞান দূর হয়ে শরীরের অঙ্গপ্রতঙ্গ ইবাদত করা থেকে অলস হয়ে বসে থাকে।

তাই বর্ণিত আছে, একবার ইবলিস হযরত ইয়াহইয়া বিন যাকারিয়া (আ.) এর সামনে প্রকাশিত হল, তখন ইবলিসের ঘাড়ে বোঝা ছিলো তখন তিনি ইবলিসকে জিজ্ঞাসা করলেন, এগুলো কি? ইবলিস বললো, এগুলো হল মানুষের চাহিদা যাদ্বারা আমি মানুষকে গ্রেফতার করে থাকে। তখন তিনি বললেন, তুই কি কখনো আমার মাঝে চাহিদা পেয়েছিস? না। তবে এক রাতে পেটভরে খেয়ে ছিলেন, তখন আমরা আপনাকে নামাজ ও যিকির থেকে বিরত রেখে ছিলাম। তখন হযরত ইয়াহইয়া বিন যাকারিয়া (আ.) বলেন, নিশ্চয় আর কখনো আমি পেটভরে খাবার খাবো না। তখন শয়তান বললো, আমি আর কখনো কোন ব্যক্তির কাছে তার কল্যাণের জন্য সত্যকথা কলবো না।

হযরত শাকীক (রহ.) ইবাদত একটা পেশা, আর তার দোকান হল, নির্জনতা, আর সে ব্যক্তির উপায় উকরণ হল, ক্ষুর্ধাততা। সুতরাং প্রত্যেক মুরীদের উচিত হল, খাবারের ক্ষেতে মধ্যমপন্থা অবলম্বন করা। আর এত বেশী খাবাবে না যা ইবাদত করতে কষ্ট সৃষ্টি হয়। আবার এত কমখাবে না যা শরীরকে দূর্বল করে দেয়। বরং খাবার এতটুকু খাবে যা শরীরকে সবল রাখতে পারে।

বিষয়: বিবিধ

১৫৬১ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

160774
০৯ জানুয়ারি ২০১৪ বিকাল ০৫:২৭
সিটিজি৪বিডি লিখেছেন : খাবার কম খাওয়া শরীরের জন্য ভাল। অনেকে খাবারের লোভ সামলাতে পারে। যা পায় তাই ভক্ষন করে থাকে।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File