ভারত-পাকিস্তান-বাংলাদেশ (হিন্দ) থেকে আফগানিস্তান (খোরাসান): ২০১৪ নিয়ে কে ভয়ে আছে?

লিখেছেন লিখেছেন সঠিক ইসলাম ০৮ জানুয়ারি, ২০১৪, ১১:৪১:৪৩ রাত

খোরাসান জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহতে ৩৫ বছরে পরল। বিংশ শতাব্দীর পৃথিবীর দুই শ্রেষ্ঠ পরাশক্তি রাশিয়া ও আমেরিকাকে নাকানি চুবানি খাইয়ে শুধু ছেড়ে দেয়নি বরং যে বিষাক্ত ডোজ দিয়েছে তা তাদের পতনের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রায় ৪০টিরও বেশি দেশ একসাথে মার্কিন নেতৃত্বের অধীনে এই পাহাড়ি দুইপায়ে দুই জুতা ওয়ালা সাবিলিল্লাহ এর ভাইদের সাথে গত ১ যুগেও কিছু করতে তো পারেই নাই, না পেরে সিভিল লোকজন মেরেছে পিঁপড়ার মত।

কোল্ড ওয়ারের সময় শুধু রাশিয়াকেই সরাসরি মাঠে দেখা গেছে। কিন্তু ২০০১ সালের আগ্রাসনে ৪০ টিরও বেশি দেশের সবাই সরাসরি এবং আটঘাট বেঁধেই নেমেছে। পাকিস্তান ও ইরানের সরকার সরাসরি নাম লিখিয়েছে কুফফার ও তাদের এলাইদের সাথে।

এতদিনের সাধের লাউ হামিদ কারজাই আর ওয়াশিংটন এর সংবাদে নিউজ চ্যানেল ভরা থাকলেও আসল কথা পালানোর একটি সম্মানজনক উপায় বের করা এবং ইমাম মাহদির আগমনকে তছনছ করাই এখন ওদের টার্গেট। হামিদ কারজাইয়ের হাত ধরে ২০১৪ সালের শ্রেষ্ঠ সিনেমা “২০১৪ সাল থেকে বের হওয়া” তৈরি হবে। এর সহসাগরেদরা হল কুফফার ও তাদের এলাইগন।

২০১৪ সালের ৩১ শে ডিসেম্বর ওরা কিভাবে বর্ষ বরণ করবে সেটা নিয়ে ওদের পুরু ২০১৪ সাল ধরেই দিবা স্বপ্ন দেখতে হবে। কাবুলে বড় বড় বিল্ডিং এর কন্সট্রাকশনের কাজ দেখলে যেকেউই ভুল করে বসতে পারে যে কাবুলবাসীরা হয়তো অন্য ১০টি পশ্চিমা দেশের মতই ২০১৪ সালকে বরণ করেছে। কিন্তু এটাই কুফফারদের দোসররা যারা মুসলিম নামধারী তাদের জন্য নাইটমেয়ার। কারণ কুফফাররা আসল সত্য জেনেই মাঠে নেমেছে কিন্তু এই মুসলিম নামধারীরা না জেনে না বুঝেই এদের সাথে আছে কতক, আর বুঝে আছে কতক।

এরা সবাই কুফফারদের চেয়ে ভয়াবহ পরিনতির অপেক্ষায়। যুগ যুগ ধরে জিহাদ করতে করতে এখন জিহাদ খোরাসানবাসীর জন্য তা ডেইলি লাইফের পার্ট এন্ড পারসেল। সুতরাং, ২০১৪ নিয়ে উনাদের নতুন কোন মাথা ব্যাথা নেই।

যে কাউকেই “২০১৪ সালে কি হবে” জিজ্ঞাসা করলে সিম্পল উত্তর আসতে পারে, নতুন কি আসবে? আকাশ কি উপর নিচ এ উলটে যাবে নাকি? যদি না হয় তাহলে আমাদের চিন্তার কোন বিষয় নয়। কারণ,” যুগ যুগ ধরে ফিসাবিলিল্লাহ আমাদের জীবনের আবশ্যিক অংশ এবং তা ২০১৪ সালেও আমাদের সাথে থাকবে”।

এই সাধারণ কথাগুলোই কুফফারদের জন্য ভয়াবহ ২০১৪ সাল নিয়ে আসবে। আফগানিস্থানের ৩ লাখ ৬০ হাজার মানুষ যারা কুফফারদের মিলিটারিতে জয়েন করেছে ২০১৪ সাল তাদের জন্য ভয়ঙ্কর। কারজাইয়ের এবং তার সহযোগীদের জন্য ভয়ঙ্কর ২০১৪।

কিন্তু এদের চেয়েও বেশী ভয়ে আছে আমেরিকা এবং তার দোসররা। তাই তারা দ্রুত ইরানের সাথে চুক্তি করে একজোট হতে যাচ্ছে। এটা নতুন কিছু নয়। এতদিন লুকায়িত ছিল, এখন প্রকাশ্যে এসেছে। এটুকুই নতুনত্ব।

এরপরও ২০১৪ সাল নিয়ে সবচেয়ে ভয়ে আছে ভারত এবং তার প্রতিবেশী পাকিস্তান। অবশেষে মনে হয় কাশ্মীরী ভাইয়েরা কিছু দেখতে পাচ্ছে রাস্তায়। আর এতেই ভারতের জানে পানি নাই। তাই তারা এখন বাংলাদেশকে কবর দেয়ায় ব্যস্ত কারণ তিন দিক থেকে আক্রমণ ওরা সামলাতে পারবে না কারণ ভিতরেও রয়েছে ধূমায়িত আগুন।

যা এক সঙ্গে জ্বলে উঠলে সার্কের সদস্য সংখ্যা কয়েকদিনেই ইইউ এর সদস্য সংখ্যা ছাড়িয়ে যাবে।

তাই ২০১৪ সালের খোরাসান নিয়ে সবচেয়ে ব্যস্ত ভারত। এই নিয়ে এরা আমেরিকার উপর ভরসা করতে না পেরে এখন ইসরায়েলের সাথেও যুক্ত হয়েছে। আর বাংলাদেশে তো রাজনৈতিকভাবে সরাসরি মাঠে নেমেছে।

এদেশের মানুষকে এখন ২০২১ সালের রূপকল্প খাওয়াবে। কারণ, ১৯২৪ সাল থেকে শুরু করে ২০২২ সালেই ইসলামিক ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ১০০ বছর হবে এবং ১০০ বছর পরপর ইসলামিক উত্থানের বছরের পিক শুরু হবে ২০২১ সালে। সুতরাং যতবেশি ঘোল খাওয়ানো যায়। এতে যা হবে বিশ্বাসী আর মুনাফিকরা পৃথক হয়ে যাবে।

এই কাজটি চমৎকারভাবে শুরু করার জন্য “চেতনা” আন্দোলনকে ধন্যবাদ দিতেই হয়। কেউ খাল কেটে পানি আনে আর কেউ কুমির আনে। সময় হলেই বুঝা যাবে তারা কি এনেছে।

আহা, ২০১৪, তোমাকে এই অঞ্চলের মুশরিক, মুনাফিক আর তাদের দোসররা এত ভয় পায় কেন?

বিষয়: বিবিধ

২৮৫৫ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

160595
০৮ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ১১:৫২
আলোর দিশা লিখেছেন : আশা করি ২০১৪ সালে কুফফারদের পতন ও মুসলিমদের বিজয় স্পষ্টভাবে দৃষ্টিগোচর হবে ইনশাআল্লাহ।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File