সনদপ্রাপ্ত রাজাকার আওয়ামীলীগ করেন বলে হয়ে যান ঘাতক দাদাল নির্মূল কমিটির উপদেষ্টা!!!
লিখেছেন লিখেছেন সঠিক ইসলাম ০৭ জানুয়ারি, ২০১৪, ০৪:২০:৪৬ বিকাল
কবি শামসুর রহমানের পরে যার কথা উল্লেখ না করলেই নয় তিনি হলেন, জাতীয় অধ্যাপক জনাব কবির চৌধুরী. তিনি কবি শামসুর রহমান কর্তৃক সম্পাদিত দৈনিক পাকিস্তান পত্রিকায় পাকিস্তানের সংহতি রক্ষায় 17 মে, 1971 বিবৃতি দিয়ে বলেছিলেন, 'মুক্তিযোদ্ধারা ভারতের দালাল. তিনি মুক্তিযুদ্ধের পুরো সময়টাতেই বাংলা একাডেমীর মহাপরিচালকের দায়িত্ব পালন করেছেন. আরো উল্লেখ্য কবির চৌধুরীর পুরো পরিবার মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষে ছিল. তাঁর বড় ভাই কাইয়্যুম চৌধুরী পাকিস্তান সেনাবাহিনীর কর্নেল ছিলেন. তিনি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে ভূমিকা রাখেননি অথবা নীরবও থাকেন নি বরং সরাসরি বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন. তিনি আজীবন পাকিস্তানে থেকে গেছেন, স্বাধীন বাংলাদেশে কোনদিন আসেন নি. কবির চৌধুরীর অপর ভাই মুনির চৌধুরী যিনি একজন শহীদ বুদ্ধিজীবী. তাঁর সম্পর্কে মন্তব্য জনাব কাদের সিদ্দীকির ভাষায় দেখুন, 'পাকিস্তানের পক্ষে 1971 সালে ঢাকার 31 জন বুদ্ধিজীবী বিবৃতি দিয়েছিল. তাতে একনম্বরে স্বাক্ষর করেছিল মুনির চৌধুরী. মুনির চৌধুরী পুরো যুদ্ধের সময় একদিনের জন্যও নিজের কর্মস্থলে যাওয়া বন্ধ করেনি. এমনকি নভেম্বর মাসের বেতনও তিনি তুলছিলেন '. সূত্র: আমার দেশ, 04/10/11. মুনির চৌধুরী বেঁচে থাকলে আমরা তাঁর গর্বিত ছাত্র হতে পেরে অহংকার করতাম, পরিতাপের বিষয় আমরা তাঁকে হারিয়েছি! ভুল এবং শুদ্ধের মাঝেই মানুষের পরিচিতি, পরবর্তীদের জন্য সেখানে থাকে শিক্ষা. কথা হচ্ছিল জাতীয় অধ্যাপক জনাব কবির চৌধুরীকে নিয়ে. তিনি মুক্তিযুদ্ধের সরাসরি বিরোধিতা করেও মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি দাবীদার আওয়ামী সরকার কর্তৃক জাতীয় অধ্যাপক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন! এখন তিনি সরকারের উচ্চতম চিন্তাশীল বুদ্ধিজীবী, শিক্ষা উপদেষ্টা এবং সেই তিনিই আবার ঘাতক দাদাল নির্মূল কমিটির উপদেষ্টা!
আসলে এভাবেই আমাকে, আপনাকে ও পুরো জাতিকে এক মিথ্যার সাগরে নিমজ্জিত রেখেছে আওয়ামীলীগ ও তথাকথিত সুশীল জাফর শেয়ালরা ... সকল মিথ্যা পায়ে ঠেলে বীর বাংলাদেশী জেগে উঠবেন কিনা নিজেকেই প্রশ্ন করুন...
বিষয়: বিবিধ
১৬০২ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
-কিন্তু আজ আমাদের নতজানু পররাষ্ট্র নীতি এবং অতি বন্ধু প্রেমের কারণে বিএসএফ আমাদের দিকে বন্দুক তাক করতে সাহস পাচ্ছে। আমাদেরকে নির্বিচারে হত্যা করছে আর আমাদের ভারতপ্রেমী রাজনীতিবিদেরা সেইসব হত্যার বৈধতা দিচ্ছে।”
আমার বি ডি আর ফিরিয়ে দাও, ফিরিয়ে দাও আমার সাহস , শৃঙ্খলা, বিশ্বাস। আমাকে আর রক্তাক্ত করোনা, আমার এই জনপদকে হায়েনাদের থাবায় রক্তাক্ত করোনা,
আজ ভাবতে ই হয় ভারত ও পাকিস্থানের বর্ডারে এক পাকিস্থানি সৈন্যের বদলে ভারতীয় ২ জন কে মরে তার খেসারত দিতে হয়েছে, আর এই কারনে ১৯৭১ এ পাকিস্থানকে ভাগ করার পালন করা হয়েছিল, যাতে পাকিস্থানের একদিকে আক্রমন করলে ভারতের দুই দিক থেকে পাল্টা আক্রমনের স্বিকার হতে হবে, যা ভারতের দ্বারা মোকাবেলা করা সম্ভব না, যার কারনে আজ বাংলাদেশ বর্দারে হত্যার উৎসব করছে হায়েনারা, আবার পাকিস্থানিদের পালথা জবাবে ভয়ে বিড়াল হয়ে আছে,
পাকিস্থানকে ভাগ করে ভারত এই দুই পাসের আক্রমন থেকে চির মুক্তি পেয়েছে, তাদের এই বর্ডার পাহারায় এখন আর হাজার কোটি রুপী লাগতেছেনা, এক দিকে অর্থনৈতিক ভাবে অনেক টাকা সেইভ আবার পাকিস্থানের শক্তি ভেঙ্গে তাদের নিজেদের দালাল দিয়ে বাংলাদেশকে কন্ট্রোল করা ই ছিল ভারতিয় দের আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধে সাহায্য করার মেইন কারণ,
তাই আমাদের এই তরুন সমাজ কে ইতিহাস কে ভাল করে জেনে দেশকে রক্ষা করার কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়ে সকল বাহিনিতে যোগ দিয়ে দেশ সেবায় এগিয়ে আসতে হবে, আমাদের সেই হারানো শক্তি , ঐক্য ও বিশ্বাস কে নিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে হবে, আক্রমনের বিরুধে পাল্টহা আক্রমন, গুলির বিপরীতে গুলি, লাসের বিপরীতে লাস, তাহলে ই অন্যায়ের বিরুদ্ধে ন্যায় প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব,
পোষ্টটির জন্য ধন্যবাদ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন