হেযবুত তাওহীদের কারামত ^o^
লিখেছেন লিখেছেন সঠিক ইসলাম ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৩, ০৭:৫৭:০০ সন্ধ্যা
এই দিন একটি সামাজিক অনুষ্ঠানের
আয়োজন করা হোয়েছিলো ছাদের
ওপর প্যান্ডেল টানিয়ে;
ওপরে এবং চারিদিকে কাপড়
দিয়ে ঘেরা। অনুষ্ঠানে ২৭৫ জন
মোজাহেদ-মোজাহেদা ও ৪৩টির
মত বাচ্চা ও শিশু, যাদের মধ্যে ৩
মাস থেকে ১ বছর বয়সের
অন্ততঃ ৩ টি কোলের শিশু
থেকে ১০-১২ বছর বয়স পর্য্যন্ত
ছেলে মেয়ে উপস্থিত ছিলো ।
ছাদের ওপর এতগুলি মানুষের স্থান
সংকুলানের সমস্যা হোচ্ছিল।
এমামুয্যামানের বক্তব্য প্রদানের
পূর্ব মুহূর্ত্তে ছাদের পরিবেশ ছিল
খুবই হট্টগোলপূর্ণ। ৪৩টি বাচ্চার
চিৎকার, চেঁচামেচি তো আছেই
নিকটেই কোন মসজিদ বা ওয়াজ
মাহফিল থেকে লাউড স্পিকারের
আওয়াজ আসছিল।
বাড়িটি বিশ্বরোড সংলগ্ন হওয়ায়
গাড়ির হর্নের ক্রমাগত আওয়াজ
তো ছিলই। কাছেই কোথাও
একটি বিয়ে অনুষ্ঠানে লাউড
স্পিকারে বাজানো গান-বাজনার
শব্দ শোনা যাচ্ছিল। বাইরে ছিল
প্রচণ্ড শৈত্য প্রবাহ। প্রচণ্ড
বাতাসে প্যান্ডেলের কাপড় পত পত
কোরে শব্দ কোরছিল । সেদিন ছিল
ঐ বছরের অন্যতম শীতল দিন।
সবার শীতে খুব কষ্ট হোচ্ছিল।
এরই মধ্যে এমামুয্যামান সবার
উদ্দেশ্যে মোবাইল ফোনের
মাধ্যমে ১০ মিনিটের
একটি ভাষণ দিলেন, সেই ভাষণ
লাউড স্পিকারে শোনানো হোল।
যখন এমামুয্যামান তাঁর ভাষণ
আরম্ভ কোরলেন তখন পরিবেশ
পুরো অন্যরকম হোয়ে গেল।
পরে অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে যে যামানার
এমামের ঐ ভাষণের সময় আল্লাহ
ন্যূনতম আটটি মো’জেজা আল্লাহ
ঘটান। অতি সংক্ষেপে মো’জেজাগুলি হোলঃ
১)চেল্লাচেল্লি বোনধো হোয়ার মোজেজা : এমামুয্যামানের ভাষণ আরম্ভ
হওয়ার মুহূর্ত্ত
থেকে চারিদিকে একটি অদ্ভুত
পিনপতন নীরবতা,
নিস্তব্ধতা নেমে এলো।
মনে হোচ্ছিল পৃথিবীর সমস্ত শব্দ
থেমে গেছে। কোথাও সামান্যতম
শব্দ নেই, শুধু এমামুয্যামানের
বলিষ্ঠ, সুন্দর কন্ঠ
শোনা যাচ্ছে এবং প্রতিটি শব্দ
এত
পরিষ্কারভাবে শোনা যাচ্ছে যে,
পরে অনেকে বোলেছেন তাঁর
সামনে বোসে তাঁর কথা কোনও দিন
এত পরিষ্কারভাবে শোনা যায় নি।
তাঁর ভাষণ শেষ হওয়ার
সঙ্গে সঙ্গেই গোলমাল শুরু হোল ।
২) শিশুরা বাকরোদ্ধ হোয়ার মোজেজা : সেখানে ৪৩টি বিভিন্ন
বয়সের শিশু ছিল, যারা একটু আগেও
তুমুল হৈ চৈ হট্টগোল কোরছিল ।
এমামের ভাষণ শুরু হোতেই
তারা কি আল্লাহর ইচ্ছায় সবাই
চুপ হোয়ে গেল এবং ১০ মিনিট
ধোরে চুপ রোইল । অথচ ৩/৪
টা বাচ্চাকে ২ মিনিট চুপ
কোরিয়ে রাখা প্রায় অসম্ভব । এই
অসম্ভব ঘটনাই সেদিন ঘোটল।
৩) হাওয়া বোনধো হোয়ার মোজেজা : ঠান্ডা হাওয়া বন্ধ
হোয়ে যাওয়া। ঠাণ্ডা বাতাসের
মধ্যে মিটিং করাই দুঃসাধ্য
হোয়ে উঠেছিল। কিন্তু এমামের
ভাষণের ঐ ১০ মিনিট
শৈত্যপ্রবাহ পর্যন্ত বন্ধ
হোয়ে গিয়েছিল। বাতাসের
ধাক্কায় প্যান্ডেলের
কাপড়ে যে আওয়াজ হোচ্ছিল তাও
তখন বন্ধ হোয়ে গিয়েছিল। তখন
যে পরিবেশটি তৈরী হোয়েছিল
তা ছিল সকলের জন্য
আরামদায়ক ।
৪) লাউডস্পিকারের মোজেজা : এমামের ভাষণ আরম্ভের একটু
আগে পর্যন্তও অনুষ্ঠানের লাউড
স্পিকার তিনটি শব্দ ছিল অস্পষ্ট,
খুব খেয়াল কোরে বুঝতে হোচ্ছিল।
তিনটি স্পিকার তিন ধরণের
হওয়ায় টিউন করা ছিল খুব কঠিন
ছিল, পুরো সাউন্ড সিস্টেমটাই
ছিল প্রায় অকেজো, পুরানো । কিন্তু
এমাম কথা বলার সামান্য আগেই
হঠাৎ লাউড স্পিকারের শব্দ একদম
পরিষ্কার হোয়ে যায় ।
অনেকে বলেন,
‘আমরা লাউডস্পিকারের যে আওয়াজ
শুনেছি তেমন আগে কখনো শুনি নাই,
পরেও শুনি নাই।’
৫) মোবাইল ফোনের মোজেজা : অনুষ্ঠানস্থলে মোট
৫২টি মোবাইল ফোন চালু ছিল।
সেখানে উপস্থিত ছিলেন
সারাদেশের আমীরগণ, যাদের
প্রত্যেকের ফোনে প্রচুর কল আসে।
কিন্তু এমামের ভাষণের সময়
একটিতেও কোন রিং বাজে নাই ,
কোন কল আসে নাই ।
৬) সময় সংকোচনের মোজেজা : এমাম ১০
মিনিট ৯ সেকেন্ড কথা বোলেছেন,
অথচ সকলের
কাছে মনে হোয়েছে মাত্র দু-এক
মিনিট, সর্বোচ্চ তিন মিনিট ।
৭) মনোযোগের মোজেজা : এগুলোর
মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ
মো’জেজা হোচ্ছে সকলের
মনকে আল্লাহ পৃথিবীর সবকিছু
থেকে বিচ্ছিন্ন
কোরে এমামুয্যামানের ভাষণের
প্রতি নিবিষ্ট
কোরে দিয়েছিলেন । কেউ
বোলেছেন, মনে হোল যেন গভীর
পানির মধ্যে
বোসে এমামের কথা শুনছি, কেউ
বোলেছেন, তখন
মনে হোয়েছে পৃথিবীতে কেবল
আমি আর এমাম আছি । আগের
সবগুলি মো’জেজার একমাত্র
উদ্দেশ্যই ছিল
মোজাহেদেরকে এমামের
ভাষণটা শোনানো। এ সময়
কারো মনোযোগে যেন সামান্য
বিচ্যুতি না ঘটে সেজন্য আল্লাহ
পুরো পরিবেশটা এমন
কোরে দিয়েছিলেন।
৮) ঘটনার চারমাস
পরে আমরা উদ্ঘাটন কোরি যে , এই
ভাষণে এমামুয্যামানের কথাগুলির
মধ্যে আল্লাহ তিন (৩) সংখ্যার
একটি অভূতপূর্ব সমন্বয় সাধন
কোরেছেন । ভাষণের অন্তত ৩০টির
অধিক বিষয় তিনবার
কোরে এসেছে বা ৩
দ্বারা বিভাজ্য । যেমন:
এমামুয্যামান শুরুতে দোয়া করেন
তিনটি, শেষে দোয়া করেন তিনটি,
দোয়া চান তিনটি বিষয়ের জন্য,
ভবিষ্যদ্বাণী করেন তিনটি,
ভাষণে জান্নাত
শব্দটি আছে তিনবার, জাহান্নাম
তিনবার, মোট উপস্থিতি ৩১৮ জন
ইত্যাদি ।কোন
মানুষের পক্ষে সারাজীবনের
সাধনাতেও এটা করা সম্ভব নয় ।এই আটটি মো’জেজার
মধ্যে সাতটি মো’জেজা আল্লাহ
এমনভাবে ঘটালেন
যেগুলি কেবলমাত্র ঐ সময়ে ঐ
স্থানে যারা উপস্থিত ছিলেন
তারাই দেখতে পেলেন,
অন্যরা সেটা দেখতে পায় নি।
তাহোলে প্রশ্ন আসে,
বাকী যারা সেখানে উপস্থিত
ছিলেন না,
বা যারা পরবর্ত্তীতে আসবেন
তারা কী কোরে ঐ মো’জেজার
ব্যাপারে নিশ্চিত হবেন ? তাদের
এবং তাদের পরবর্ত্তী সকল
মানুষের জন্য আল্লাহ সেখানে তাই
একটি মো’জেজা ঘটালেন
এমনভাবে যেটি ঐ স্থান-কাল-
পাত্রের সীমানায় সীমাবদ্ধ নয়,
অন্যরাও এটা দেখতে পাবে। সেদিন এমামের
সংক্ষিপ্ত ভাষণটিকে আল্লাহ
বাঁধলেন ৩ সংখ্যার জাল দিয়ে । "
বিষয়: বিবিধ
১৬৪৭ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
* উপস্থিত সকল পুরুষরাই গর্ভবতী হয়ে যায়।
* উপস্থিত সকল মহিলা পুরুষে রূপান্তরিত হয়ে যায়।
* বক্তৃতার সময় এমামের প্রসব বেদনা উঠে এবং দুটি বাচ্চা প্রসব করে।
* বাচ্চাদের পেশাব শিশিতে ভরে রাখার পর তা হতে সুগন্ধি বের হতে থাকেو যা পরবর্তীতে এমাম ব্যবহার করে করত।
* অনুষ্ঠানে যারা পায়খানা করেছিলو সেগুলি কেক হয়ে গিয়েছিলو যা এমামকে হাদিয়া স্বরূপ দেয়া হয়েছিল।
.....
মন্তব্য করতে লগইন করুন