প্রগতিশীল ও মৌলবাদী

লিখেছেন লিখেছেন সঠিক ইসলাম ১৫ ডিসেম্বর, ২০১৩, ০৮:৪৮:৪৮ সকাল

প্রগতিশীলঃ আপনি কি বাঙালি?

মৌলবাদিঃ জি। আপনি কি মুসলিম?

প্রগতিশীলঃ আমি মানুষ আর মানবতাই আমার কাছে আসল।

মৌলবাদিঃ ও আচ্ছা । আর আমি মুসলিম আমার ধর্ম ইসলাম এবং মুসলিম হয়ে আমি গর্বিত।

প্রগতিশীলঃ থামেন ভাই। ইসলামের কথা বলে ধর্ম দিয়ে মানুষকে বিভক্ত করবেন না। বরং আসুন মানবতা দিয়ে মানুষকে একত্রিত করি।

মৌলবাদিঃও!!!

প্রগতিশীলঃ নিজ ধর্মের বড়াই করা ছারুন । সবাইকে এক নজরে দেখতে শিখুন। মনে রাখবেন সবার উপরে মানুষ সত্য তাহার উপরে নাই।

মৌলবাদিঃ ও!!! আচ্ছা ভাই শুনেছেন পাকিস্থানে নির্বিচারে ড্রোন হামলা করে শিশু ও নিরিহ মানুষ মারছে। আমার এক পাকিস্থানি প্রিয় ব্যক্তিত্য “অমুক” ড্রোন হামলায় সেই দিন মারা গেলেন।

প্রগতিশীলঃ হু। একজন পাকিস্থানি আপনার প্রিয় ব্যক্তিত্য??? একজন বাঙালি হয়ে পাকিস্থানিদের জন্যে দেখি আপনার দরদ উতলাইতেসে?? আপনি তো রাজাকার।

মৌলবাদিঃ না রে ভাই। আমি রাজাকার না। আমি সাধারন মুসলিম। কিন্তু কেন এই কথা বললেন?

প্রগতিশীলঃ আমরা বীরের জাত , আমরা বাংলাদেশি। আর বাঙালি হয়ে বাংলাদেশি হয়ে আমরা গর্বিত। ৯ মাস যুদ্ধ করে অত্যাচারি পাকিস্থানিদের হাত থেকে স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনেছি । ওরা আমাদের জাত শত্রু। তাই ওদের প্রতি আমাদের নমনিয়তা থাকতে পারে না। কোন বাঙ্গালির সোভা পায় না পাকিস্থানিদেরকে নিজেদের প্রিয় ব্যক্তিত্যের তালিকায় রাখা।

মৌলবাদিঃ ও আচ্ছা । কিন্তু আপনি না বললেন সবাইকে এক নজরে দেখতে। আপনার কাছে না মানবতাই আসল, ঐ যে সবার উপরে মানুষ সত্য তাহার উপরে নাই। তাহলে পাকিস্থানিরা কি দোষ করল , এদেরকে অন্যায় ভাবে হত্যা করা হলেও কি ...

প্রগতিশীলঃ আপনারতো দেখতেসি পাকিস্থানিদের প্রতি অঘাত ভালোবাসা , আপনি ফাকিস্থান যান এই দেশে পরে আছেন কেন? এই দেশের মাটি কোন পাকিস্থানি দালালের না। জয় বাংলা।

অতএব, বলা যায় এই সময়কার প্রগতিশীল বাঙ্গালি হতে হলেঃ

১, ধর্মের নামে বিভাজন করা যাবে না, জাতিয়তাবাদের নামে বিভাজন করতে হবে।

২, ধর্মের জন্যে যুদ্ধ করলে জঙ্গি হবে , তবে দেশের জন্যে যুদ্ধ করলে বীর।

৩, মুসলিম হিসেবে গর্ব করা যাবে না, বাঙালি হিসেবে গর্ব করতে হবে।

৪, পুরো পৃথিবীকে নিজের মনে করা যাবে না, শুধু দেশকে নিজের মনে করতে হবে।

৫, আল্লাহ প্রেমিক না হয়ে দেশ প্রেমিক হতে হবে

(ধর্মের কারনে যদি ভুল করে হলেও শত্রু দেশ পাকিস্থানের কাউকে পছন্দ করার কথা বলেন তাহলে মনে রাখবেন আপনি হচ্ছেন ‘তুই রাজাকার’)

৬, যুদ্ধ অবস্থায় থাকা সত্যেও মুসলিমরা তাদের শত্রুদের নিয়ে কটুক্তি করলে সেটা ইসলামের নামে বর্বরতা এবং দারুন অন্যায়। কিন্তু যুদ্ধ শেষ হবার অনেক বছর পরও পাকিস্থানকে ঘৃণা করতে হবে , এটা অন্যায় নয়। এটা দেশ প্রেম।

[বিঃদ্রঃ ব্যাপক চিন্তার বিষয়। এই সময় মুখোমুখি ধর্ম এবং জাতিয়তাবাদ!!! মুসলিম এবং বাঙালি।

আলহামদুলিল্লাহ আমি এই সময়কার একজন প্রগতিশীল বাঙালি নই বরং আমি মুসলিম। আর আপনি??

বিষয়: বিবিধ

১২২৪ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File