আব্দুল কাদের মোল্লা

লিখেছেন লিখেছেন সঠিক ইসলাম ০৫ ডিসেম্বর, ২০১৩, ০৭:০৯:৪৭ সন্ধ্যা

একজন রাজনীতিবিদ, সম্মানিত

শিক্ষক এবং ত্যাগী নেতা।

তিনি ছিলেন একজন মেধাবী ছাত্র।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট

থেকে অনার্স এবং মাস্টার্সে ১ম শ্রেণীতে ১ম স্থান

অধিকার করেন তিনি। এমনকি মাস্টার্সে রেকর্ড

ভঙ্গকারী নম্বরও ছিনিয়ে নেন তিনি। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে,

তখন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ছিলেন স্বয়ং শেখ মুজিবুর

রহমান।

আওয়ামী লীগ তখন ক্ষমতায়। এমতাবস্থায় ”তথাকথিত শত

শত মানুষের খুনি এবং সারাদেশের বিখ্যাত রাজাকার“ এই

তরুণ কীভাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা করে গোল্ড

মেডেল অর্জন করে ফেলে??

হিসেব মেলাতে কি ইচ্ছে হয় না??

মাস্টার্স শেষ করে তিনি ঢাবি’র ভেতরকার উদয়ন স্কুলে শিক্ষক

হিসেবে যোগ দেন। পরবর্তীতে যোগ দেন বাংলাদেশ রাইফেলস

পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষক হিসেবে। কলেজটির বর্তমান

নাম “বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ পাবলিক কলেজ”। এমনকি তিনি এই

কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবেও কিছুদিন দায়িত্ব পালন

করেন।

রাইফেলস এর শিক্ষার্থীদের মনে কি এবার প্রশ্ন জাগছে?

হিসেবে তালগোল পাকাচ্ছে কি?

এতবড় কুখ্যাত রাজাকার যিনি নাকি শত শত মানুষে একাই

মেরে ফেলেছেন... তিনি আবার ঢাবি’র গোল্ড মেডেলিস্ট

হয়ে রাইফেলস এর প্রিন্সিপাল হয়ে গেলেন...!!! কাঁচা হাতের

নাটক হয়ে গেলো না একেবারে? হাসিও তো আসে না এইসব

ফাজলেমী গল্প শুনলে!

আব্দুল # কাদের # মোল্লা মূলত একজন একাডেমিশিয়ান হলেও

পরবর্তীতেসক্রিয় ভাবে যোগদান করেন রাজনীতিতে।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর বিভিন্ন পর্যায়ে দায়িত্ব

পালন করার পর বর্তমানে তিনি কেন্দ্রীয় কমিটির

সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এর দায়িত্বে রয়েছেন।

ইসলামের আদর্শিক রাজনীতি যারা করেন, তাদেরকে আদর্শিক

ভাবে কিংবা রাজনৈতিক ভাবে মোকাবিলা করতে পারার

ক্ষমতা সরকারের থাকার কথা না। স্বভাবতই তাদেরকে ঘুর

পথে কাজটি করতে হচ্ছে। ইতিহাসকে হাস্যকর এবং অবশ্যই ঘৃণ্য

পন্থায় বিকৃত করে তাঁকে বানিয়ে ফেলা হল

একেবারে রাজাকার সর্দার। নামের সাথে অসম্মানজনক

কিছু ট্যাগ লাগিয়ে আর কুৎসিত কিছু ক্যারিকেচার

বানিয়ে তারা মনে করল এবার তারা জিতে গেছে। আর অসুস্থ

কিছু মানুষ, তরুণ, শিক্ষার্থী আবেগ আর ছাগলামীর বশে সকল

চিন্তাচেতনার ঊর্ধ্বে উঠে দিনরাত

গলা ফাটাতে লাগলো মনুষ্য সভ্যতার

বিবর্তনকে উপেক্ষা করে। কেননা, সভ্যতার বিবর্তনে মানুষ

সবকাজেই মগজকে কাজে লাগায়, এ ক্ষেত্রে সেটি লক্ষ্য

করা যায় নি।

________________________________________

সম্মানিত মানুষকে বিশ্রী ট্যাগ লাগিয়ে আর ব্যাপক প্রচার

প্রচারণা করে স্রেফ “অসম্মান” করা যায়; কিন্তু

তাঁকে “অসম্মানিত” করা যায় না।

________________________________________

যা হোক, একজন নিরপরাধ শাস্তি পেতে পারে না।

তা সে লাখ লাখ আওয়ামী সমর্থক আর বামপন্থীদের

চক্ষুশূল হোক, তবুও..

ইতিহাস নিয়ে জোচ্চুরি আর কত??

এখন সময় প্রত্যেকের মগজকে ব্যবহার করার।

বিষয়: বিবিধ

৯৮২ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File