**নারী সম্পর্কে সম্পর্কে কতিপয় মনীষীগনের অমৃত-বচন....!

লিখেছেন লিখেছেন সঠিক ইসলাম ১৫ জুলাই, ২০১৩, ১২:৫০:৪৩ রাত

কম বয়েসী মেয়ে হল রসগোল্লার মত যেখানে রাখবে সেখানেই পিঁপড়ে ধরবে !

- শংকর।

পৃথিবীতে বা সমুদ্রে যত হিংস্র প্রাণী আছে সবচেয়ে বৃহত্তম প্রাণী হল মেয়েরা !

- মেনানডার।

বিড়াল, পাখি এবং মেয়েরা একই ধরণের প্রাণী যারা নিজেদের প্রসাধনের উপর সর্বাধিক সময় নষ্ট করে !

- চার্লস নড়ায়ার।

মেয়েরা ব্যয় এবং অপব্যয় দুটোতেই সিদ্ধহস্ত !

- ফ্রান্সিস বেকন।

মেয়েরা সাধারণত এত খারাপ যে, ভাল এবং মন্দ মেয়ের মধ্যে কোন পার্থক্যই করা যায় না !

- টলস্টয়।

একজন মেয়ে যাকে মন দিতে পারে, তাকে শরীরটা দেওয়া কিছুই নয়। এই শরীরে আছেটা কী? অথচ আশ্চর্য ! নিরানব্বই ভাগ পুরুষের কাছে এবং সমাজ যারা গড়েছেন তাদের কাছে এই শরীরটাই দামি।

- বুদ্ধদেব গুহ।

মেয়েরা সন্তান উৎপাদনের যন্ত্র বৈ কিছু নয় ! !

- নেপোলিয়ান।

"বিশ্ববিদ্যালয়ের মেয়েদের চুইংগামের মতো চাবাতে ইচ্ছে করে" - হুমায়ুন আজাদ

"মেয়ের সম্মান মেয়েদের কাছেই সবচেয়ে কম!" -রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

"পুরুষেরা মেয়েদের খেলার সামগ্রী আর

মেয়েরা শয়তানেরখেলার সামগ্রী!

মেয়েরাসন্তান উৎপাদনের যন্ত্র বৈ কিছু

নয়!" -নেপোলিয়ান

"চোখের সামনে আমার মেয়ে বড় হচ্ছে ।

কিন্তু সামাজিক নিয়মের বেড়াজালে আমার

হাত-পা বাঁধা।" -হুমায়ূন আজাদ

"প্রত্যেক মেয়েই নিজের জন্য একটা নুনু

চায় ।এই নুনুর জন্যই তারা পুরুষদের

হিংসা করে!" -সিগময়েড ফ্রয়েড

"মেয়েটাকে বিয়ে করে ফেললেই তো পার -

ফ্রিতেই যদি গাভীর দুধ মেলে তাহলে কোন

মূর্খ টাকা খরচা করে ঘরে গাই পোষে?" মনেরমত মন,সমরেশ মজুমদার

নারী সম্পর্কে কিছু মহান উক্তি : এগুলো নিয়ে কোন দিন কারো মনে প্রশ্ন আসবেনা।কারন তারা সাহিত্যিক বলে কথা।পারলে তাদের নোবেল পুরস্কার দিত শেখ হাসিনা ও নাস্তিকের পালেরা।

আল্লামা শফি নারীদের "তেঁতুল" বললে "দোষ" হয়ে যায়!!! কিন্তু .সাবিনা ইয়াসমিন এর মতোপ্রখ্যাত শিল্পী "যৌবন আমার লাল টমেটো" বললে সেইটা ভালো হয়ে যায়!!""..! বুইড়া মমতাজ বিপিএল এর অনুষ্ঠানে "পোলা তো নয়

যেন আগুনেরি গোলা" গান গাইলে হাত তালি পায়?!! শাহবাগী নেতা আমি পিয়াল choti বই লিখলে দোষ হয় না,

আসিফ মহিউদ্দীন choti বই লেখলে দোষ হয় না! খালি আল্লামা শফি দোষ, অনেকে হয়ত বলবেন.. "শফি সাহেব আলেম মানুষ উনি এটা বলবেন কেন?? এর উত্তর হল :: "শফি সাহেব তার ওয়াজ বুঝার সুবিধার্থে শ্রোতাদের উদ্দেশ্যে এই কথা বলেছেন, because একজন আলেম একজন ইসলামী শরীয়তের শিক্ষক, একজন শিক্ষক তার ছাত্রদের বুঝার জন্য গভীর উদাহারন দিতে পারেন! যেভাবে বায়োলজি ক্লাসে নারী পুরুষের দেহের,এবং সন্তান উৎপাদন সহ বিভিন্ন আলোচনা করে থাকেন! তাহলে বলা যায় যদি

শফি সাহেবের তেঁতুল উদাহারণ খারাপ হয়, তাহলে , জীব বিজ্ঞান চরম খারাপ!

প্রধানমন্ত্রী গতকাল বললেন, জঘন্য!

আর আজ সংসদে পরিষদ-দল বললো, গ্রাম্য ধর্মব্যবসায়ী, পাপী, সংবিধান অবমাননা, রাষ্ট্রদ্রোহিতা, কুরুচিপূর্ণ, ছি ছি ছি...

আল্লামা শফীর ধর্মব্যবসাটা কেমন, জানেন?

বিশেষ তহবিলে বছরে ৭০০ কোটি টাকার বরাদ্দ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বছরে একবেলা এতিমদের সাথে ইফতার করে খুব ফটোসেশন করেন। গণভবনের সেই এসি অডিটোরিয়ামে হয়ত বড়জোর ৫০০ এতিম আমাদের প্রধানমন্ত্রীর সাথে জনগণের টাকায়

একবেলা খাওয়ার সুযোগ পায়।

আর "গ্রাম্য ধর্মব্যবসায়ী" (??!)আল্লামা শফী তাঁর হাটহাজারী মাদ্রাসায় ১০ হাজারেরও বেশি হতদরিদ্র ছাত্রকে প্রতিদিন চারবেলা খাওয়ানোর ব্যবস্থা করেন। মহান আল্লাহর অপার অনুগ্রহ ও তাঁর অনুগ্রহ-প্রত্যাশী বান্দাদের অর্থসহায়তায় এসব ছাত্রের থাকা-খাওয়া, জামা-কাপড়, বই-পুস্তক, কাগজ-কলম সবই মাদ্রাসা থেকে দেয়া হয়।

হ্যাঁ, এখানকার বেশকিছু ছাত্র আক্ষরিক অর্থেই "ফকিরনির পুত" - অনেকেই সম্পূর্ণ এতিম।

না, এদেরকে আল্লামা এসি রুমে রাখতে পারেন না। না, এদেরকে প্রতিদিন চারবেলা খাইয়ে আল্লামা কোনো ফটোসেশনও

করেন না। বেবি মওদুদদের সংসদে প্রণীত বাজেটে ওদের জন্য একটি টাকাও বরাদ্দ রাখা হয় না। কারণ মতিয়াদের রাষ্ট্র ওইসব এতিম, গ্রাম্য, ফকিরনির পুতদের কুরআন-হাদীস অধ্যয়নের

সনদকে এখনো স্বীকৃতিই দেয়নি।

তাই এসব গ্রামীণ জনগোষ্ঠিকে ৭০ বছর (প্রধানমন্ত্রীর বয়সের চেয়েও বেশি) ধরে কুরআন-হাদীস পড়িয়ে, ওয়াজ-মাহফিলে গ্রামীণ ভাষায় ধর্মের কথা শুনিয়ে বড় জঘন্য অপরাধই করেছেন আল্লামা। পাপের কোনো সীমা নেই প্রধানমন্ত্রীর পিতার বয়সী [প্রধানমন্ত্রীর পিতা ও আল্লামা উভয়েরই জন্ম ১৯২০ সালে] এই বৃদ্ধের। কারণ, ওইসব ছাত্রকে এই বৃদ্ধ টিএসসির আলো- আঁধারীতে বিএফ/জিএফ-এর মজা-লুটার বিদ্যা রপ্ত করাতে পারেননি। কারণ, এই বৃদ্ধ বঙ্কিমি বাংলার সুচারু প্রয়োগে শেরাটন বা ওয়েস্টিনের হলরুম কাঁপাতে জানেন না।

আর তাই নটী তারানা হালিমদের রাষ্ট্র এই বৃদ্ধের গ্রাম্য ছাত্রদের শহরের চত্বরে একটি রাত কাটানোর নিদারুণ স্পর্ধাকে ইলেকট্রিসিটি নিভিয়ে দারুণভাবেই দমিয়ে দিয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীর ভাষ্য, ওইসব গ্রামীণ হতভাগারা নাকি সেই রাতে রঙ মেখে তারানাদের মতো অভিনয় করতে চেয়েছিল! পুলিশ চলে যাওয়ার

পর ওইসব লাশ নাকি উঠে দৌড় দিয়েছিল!

আল্লামা শফী ও তাঁর সহকর্মীদের রাতজাগা তাহাজ্জুদের কান্না সাক্ষী - ওইসব রঙ মাখা লাশ এখনো দৌড়ে তাদের গ্রাম্য, জঘন্য, রাষ্ট্রদ্রোহী অভিভাবকের বুকে পৌঁছায়নি। মাদ্রাসায় তাদের

শীর্ণ খাট, তাদের আধা-ছেঁড়া কাঁথা-বালিশ, তাদের কুরআন-কিতাব সবকিছু ওদের আরেকটি সজীব স্পর্শের অপেক্ষায় কাঁদছে।

বিষয়: বিবিধ

৫৩৬৯ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File