একটা কৌতুক প্রচলিত আছে। দুইজন ইংরেজী শিক্ষিত এক খাটে বিনা বাধায় ঘুমাতে পারলেও দু'জন মাদ্রাসায় শিক্ষিত ব্যক্তির এক খাটে ঘুমানো দায়। কারন কি?
লিখেছেন লিখেছেন সবুজ মিনার ২৮ অক্টোবর, ২০১৩, ০৮:২১:৩৩ রাত
কারন ইংরেজী শিক্ষায় শিক্ষিত ব্যক্তিরা ঘুমানোর সিস্টেমে জায়েজ-নাজায়েজ বুঝে না। অপরদিকে মাদ্রাসায় পড়ুয়া ব্যক্তিরা একজনের দোষ আরেকজন ধরতে ধরতে কাহিল অবস্থা হয়ে যায়। একজন যদি বাম কাত হয়ে শয়ন করে আরেকজন বলে ডান হয়ে শয়ন কর। একজন যদি ডান পায়ের উপর বাম পা দেয়, আরেকজন বলে ডান পা উপরে দে। একজন এর লুঙ্গি হাঁটু কাছে চলে আসলে আরেকজন বলে উঠে নাউযুবিল্লাহ, সতর ঢাক........................ এভাবে চলতেই থাকে। যদিও এগুলো কোনো মারাত্মক গুনাহ নয়, শুধু উত্তম অনুত্তমের ব্যাপার।
আমি উপরের কৌতুকটা কওমী আলেমদের জন্য আজ উৎসর্গ করব, কারন.........
-> আপনারা সুন্নী নামধারী শিন্নীদের সাথে ঐক্যবদ্ধ হোন না, মানলাম এরা মাজার পূজারী, বিদাতী ভন্ড।
-> আপনারা মওদুদীবাদী জামাত-শিবিরের সাথে ঐক্যবদ্ধ হোন না, মানলাম এদের মওদুদী সাহেবের কিছু দোষ-ত্রুটি আছে, যা হতে পারে জঘন্য অথবা নগন্য।
-> লীগের সাথে তো প্রশ্নই আসে না, বিএনপি'র সাথে কেউ আছে, কেউ নাই। তাও মানলাম।
কিন্তু আপনারা নিজেরা, কওমী আলেমরা, দেওবন্দের আকীদার অনুসারীরা কেন আজ ১৯-২০টা দলে ভাগ হয়ে গিয়েছেন, আলাদা-আলাদা নির্বাচন করেন, আর প্রতি বছর জামানত হারান। ছোট ছোট কারনে আপনার ভাগ হয়ে গেলেন। হাফেজ্জী হুজুরের সেই ইসলামী দল আজ বহুভাগে বিভক্ত। অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে, দেখে মনে হয় প্রত্যেক কওমী মাদ্রাসা সামনের দিনে এক একটি নতুন দল গঠন করবে। এখনও বহু মাদ্রাসা তাদের পৃথক পৃথক দলে ভাগ হয়ে আছে।
আজ যদি কওমী আলেমরা একতাবদ্ধ থাকতেন, তাহলে এদেশে কোনো তাগুতী শক্তি মাথাছাড়া দিতে পারত না। বামপন্থি-রামপন্থিরা দৌড়ের উপর থাকতো।সংসদে একতরফা ইসলাম বিরুধীরা আসন গাঁড়তে পারতো না। তাই, সময় থাকতে সাবধান। ইসলামের জন্য আপনারা এক পতাকা তলে চলে আসুন। এক সাথে নির্বাচন করুন। তারপর দেখুন ম্যাজিক!
ভালো লাগলে শেয়ার করুন। অনুগ্রহ করে কপি-পেষ্ট করবেন না।
বিষয়: রাজনীতি
২৬৪১ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
সত্যিতো মুসলমানের মাঝে এতো বিভেদ থাকলে কাফের রা তা দেখে হাসাহাসি করে, আর সজোরে ইসলামের ভিত্তির উপর আঘাত হানে, আর এদিকে মুসলমানরা আত্ম ঝগড়ায় লিপ্ত। যা মোটেও উচিত নয়।
মন্তব্য করতে লগইন করুন