ফাঁসি চাই, সোহেল রানা'র নয়, যারা সোহেল রানা'র ফাঁসি চায় তাদের!
লিখেছেন লিখেছেন সবুজ মিনার ২৭ এপ্রিল, ২০১৩, ০৯:৩০:০০ রাত
সবাই ( কিছু লীগার বাদে) দাবী করছেন সাভার গণহত্যার মূল হোতা সোহেল রানা কে গ্রেফতার করতে। আমি লীগ না করলেও এই দাবীর বিরুদ্ধে। কারন এটি একটি অবান্তর দাবী। বরং যারা তার গ্রেফতার দাবী করছে, এদের সবাইকে গ্রেফতার করা উচিত। সাহস কত্ত বড়!!!?
লীগ ক্ষমতায় থাকতে তাদের সোনার-দামাল ছেলেকে গ্রেফতারের দাবী করে!!! এত্ত বড় দুঃসাহস? আরে, সোহেল রানা স্বাধীনতার সপক্ষ শক্তির দামাল সৈনিক। নিঃসন্দেহে যারা তার গ্রেফতার দাবী করে এরা মুক্তিযুদ্ধে চেতনা বিরুধী, রাজাকার, মৌলবাদী, তালেবান। তাই তো মানবতার মহান দেবতালয় শাহবাগ হতে তার বিরুদ্ধে কোন স্লোগান উঠে না। কে দিবে স্লোগান। লাকি দিবে? তাহলে মুরাদ-রানা'র বাহিনী লাকিকে বুঝিয়ে দিবে ৭১ এ লাকি থাকলে কিভাবে পাকিরা তার ইজ্জত-জানমালকে ছিঁড়ে-ফুঁড়ে খেত।
[বিঃদ্রঃ লাকির জান আছে-ইজ্জত আছে কি না আল্লাহপাকই ভাল জানেন/ আর পাকিরা এরকম মেয়াদোত্তীর্ণ জিনিস গ্রহন করত কি না জানি না] আর এই মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ধারক ও বাহক মিস্টার রানা সাহেবের চরিত্রের কিঞ্চিত বিবরণ-
->সাভার থানা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমানে পৌর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক সোহেল রানার উত্থান ঘটে এলাকার সন্ত্রাসী হিসেবে।
-> ছোটবেলা থেকেই নেশাগ্রস্ত বেপরোয়া স্বাভাবের রানা মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করতেন। এ সুবাধে শত শত বখে যাওয়া তরুণ তার বাহিনীর সদস্য ছিলেন।
->অর্থ বৈভব ও প্রতিপত্তির কারণে সোহেল রানার সঙ্গে স্থানীয় আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য তালুকদার তৌহিদ জং মুরাদের সাহচর্যে আসেন। তার সুনজরে পড়ে সোহেল রানা হয়ে ওঠেন অপ্রতিরোধ্য।
->জমি ব্যবসার নামে নিরীহ লোকজনের জমি দখলের অভিযোগও আছে তার বিরুদ্ধে। গত বুধবার ভবনধসের আগেও হরতালবিরোধী মিছিল করার জন্য লোক জড়ো করেছিলেন রানা।
-> ২০০৮ সালে রানা প্লাজার ভেতরে গুলিতে নিহত হয় রানার প্রতিপক্ষ যুবলীগ নেতা আবদুল্লাহ। অভিযোগ রয়েছে তাকে মদের আসরে দাওয়াত দিয়ে গুলি করে হত্যা করা হয়; কিন্তু এ মামলাটি টাকার জোরে অন্য খাতে প্রবাহিত করা হয়।
->সাভারের আরেক সন্ত্রাসী ছাত্রদলের নেতা ভিপি হেলাল উদ্দিনের বডিগার্ড জাকিরকে অপহরণ করে ১৯৯৯ সালে নৃশংসভাবে হত্যা করে তার লাশ ঢাকা-আরিচা মহসড়কে ফেলে রাখা হয়। অভিযোগ রয়েছে, জাকির সোহেল রানার বোনকে প্রেম করে বিয়ে করেছিল। এ বিয়ে রানা ও তার পরিবার কোনোভাবে মেনে নিতে পারছিল না। এ কারণে তাকে কৌশলে হত্যা করা হয়।
->এভাবেই সন্ত্রাসী সোহেল রানা আজকের ভুঁইফোড় ব্যবসায়ী আর যুবলীগ নেতা।
->হেলালউদ্দিনের সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে সোহেল রানা গড়ে তোলেন সন্ত্রাসী বাহিনী। এলাকায় তার বাহিনী পরিচিতি পায় ‘রানা বাহিনী’ নামে।
->সন্ত্রাসী বাহিনীকে কজে লাগিয়ে সোহেল রানা গড়ে তোলেন বিভিন্ন ব্যবসা। ২০০৭ সালে তিনি নির্মাণ করেন রানা প্লাজা।
বিস্তারিত - একজন সোহেল রানার বিস্ময়কর উত্থান
এই হল মুক্তির চেতনায় উজ্জীবিত এক চেতনা ব্যবসায়ীর চরিত্র। অনুরোধ করলাম হাত জোর করে, মুক্তিযুদ্ধকে আর অসম্মান করবেন না। এই চেতনার ধারকের ফাঁসি চাইবেন না। আর কথা যদি না শুনেন, বুঝতেই পারছেন, ক্ষমতায় লীগ আছে। লাল ঘোড়া দাবড়াইয়া দিমু
সম্পাদক সাহেবের কাছে অনুরোধ, লেখাটি মুছবেন না। এডিটিং প্রয়োজন হলে আমাকে বলুন, আমি এডিট করে দিব
বিষয়: বিবিধ
১৮৬১ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন